আজঃ বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

মেয়েটাকে ভুত'ই মেরেছে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৭ এপ্রিল ২০২১ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৭ এপ্রিল ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image
তো, দেশের নামকরা পত্রিকা গুলো পড়ে প্রায় নিশ্চিত হয়ে গিয়েছি- মেয়েটাকে ভুত'ই মেরেছে! তাই ভুতের হদিস পাওয়া যাচ্ছে না। যদিও তারা মেয়ের পরিবারের কে কোথায় থাকে। কে, কি করে এইসব হদিস'ই পেয়ে গিয়েছে। অবশ্য মেয়েটি তো মানুষ

আমিনুল ইসলাম

মেয়েটিকে নিয়ে আমি কিছু লিখবো না। মেয়েটির বয়েস কম ছিল। কলেজে পড়ছিল। কতো হবে বয়েস?  ১৫-১৬? কিংবা সর্বোচ্চ ১৭? এর বেশি তো কোন ভাবেই নয়। এতটুকু মেয়ে ভুল করছিল না সঠিক কাজ করছিল; এই নিয়ে যারা লিখছেন; তাদের চিন্তার দৈন্যতা নিয়ে বরং আলোচনা হতে পারে।

দেশের নামকরা পত্রিকা গুলো পড়ে যা জানলাম, তাতে অবশ্য মনে হচ্ছে মেয়েটি মারা গিয়েছে কোন এক ভুতের সাথে সম্পর্ক থাকার কারণে! কেউ তাদের নাম বলছে না। পরিচয় প্রকাশ করছে না। এই হচ্ছে আমাদের নামকরা সংবাদ মাধ্যম গুলো দৌড়!

অবশ্য ভুতের বাবার যদি নিজের'ই দুই-চারটা পত্রিকার মালিকানা থাকে। দুই-চারটা টেলিভিশন চ্যানেল থাকে। বিরাট শপিং মল আর একটা আস্ত শহরের বিশাল অংশের জমির মালিকানা থাকে; তাহলে এমন দুই চারটা "মানুষ" মেরে ফেলা যায়। এতে কোন সমস্যা নেই।

তাছাড়া শুনেছি ভুত সমাজের নাকি মানুষ খেতে ভালো লাগে। মানুষের মাংসের স্বাদ নাকি একটু বেশি'ই!

তো, দেশের নামকরা পত্রিকা গুলো পড়ে প্রায় নিশ্চিত হয়ে গিয়েছি- মেয়েটাকে ভুত'ই মেরেছে! তাই ভুতের হদিস পাওয়া যাচ্ছে না। যদিও তারা মেয়ের পরিবারের কে কোথায় থাকে। কে, কি করে এইসব হদিস'ই পেয়ে গিয়েছে। অবশ্য মেয়েটি তো মানুষ! কেবল ভুতের পরিচয় পাওয়া যায়নি! অবশ্য মানুষ হয়ে ভুতের পরিচয় পাওয়া কি আর এতো সহজ নাকি!

শেষমেশ নাম না জানা সাধারণ অন-লাইন পত্রিকা গুলো পড়ে জানতে পারলাম- ভুত না; বসুন্ধরা গ্রুপের মালিকের ছেলের (সায়েম বোধকরি নাম) সাথে ওই মেয়ের সম্পর্ক ছিল।

মেয়েটার বাড়ি কুমিল্লায়। সে কলেজে পড়তে ঢাকা এসছিল। মাস তিনেক হয় গুলশানের ওই ফ্ল্যাটে থাকতো। সেই ফ্ল্যাটের ভাড়া মাসে লাখ টাকারও বেশি। ওই ফ্ল্যাটে মেয়েটা একা'ই থাকতো। আর ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়েছিল ওই মালিকের ছেলে। যে নিজেও বসুন্ধরা গ্রুপের একজন এমডি।  সে-ই ওই ফ্ল্যাটের ভাড়া দিত।

মৃত্যুর আগের দিন ওই মেয়ে তার বোনকে বলেছিল- সে বিপদে পরেছে। এরপর তার বোন কুমিল্লা থেকে ঢাকায় এসে দেখে তার বোনের মৃত দেহ ফ্যানের সঙ্গে ঝুলছে।

এখন নামকরা পত্রিকা গুলো লিখছে- এই মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। এই মেয়ে যে আত্মহত্যা করেছে; আপনারা কি করে নিশ্চিত হলেন? অবশ্য ভুতের সাথে সম্পর্ক ছিল বলে কথা। ভুত সমাজ তো আবার চাইলে যে কাউকে উধাও করে দিতে পারে। ভুত ভলে কথা। একটা ফুঁ দিলেই উধাও!

এই পর্যন্ত লিখেই ভেবেছিলাম লেখাটা শেষ করবো।

আগেই বলেছি মেয়েটাকে নিয়ে আমি কিছু লিখবো না। অতটুকু মেয়ে ভুল করছিল নাকি ভালো করছিল; সেটা বুঝার হয়ত বয়েস'ই তার হয়নি। এই বয়েসে সবার কাছেই সব কিছু রঙিন মনে হয়। অতি সাধারণ জিনিসকেও মনে হয় বিশাল কিছু। আমরা সবাই এই বয়েস পার করে এসছি। সুতরাং এই বিষয় গুলো আমাদের জানা।

তাহলে আমরা কেন ভুল পথে যাইনি?

কারণ আমাদের পরিবারের সদস্যরা সব সময় আমাদের সঠিক পথ'টা দেখিয়ে দিতেন। বাবা-মা; বড় ভাই-বোনদের দায়িত্ব হচ্ছে- ছোটরা যদি কোন ভুল করে থাকে; কিংবা ভুল পথে যায়; তাহলে তাদেরকে সঠিক পথটা দেখিয়ে দেয়া।  এই মেয়েটা ঢাকা শহরে গুলশানের মতো একটা জায়গায় এতো বিশাল ফ্ল্যাটে থাকতো। যার ভাড়া'ই হচ্ছে এক লাখ টাকার উপর। আমি মোটামুটি নিশ্চিত- এক জীবনে আমার নিজের অন্তত এই সামর্থ্য হবে না।

তো, এই মেয়েটা এমন একটা অভিজাত এলাকায় এতো দামী একটা ফ্ল্যাটে থাকছিল; তার বড় বোন এবং পরিবারের অন্য সবাই সেটা জানত। এর দুটো ব্যাখ্যা হতে পারে। প্রথম ব্যাখ্যা হচ্ছে- পরিবারের সবাই জানত ওই ছেলের সাথে এই মেয়ের সম্পর্ক আছে। এবং হয়ত এই সম্পর্কটা পরিবারের সবাই মেনে নিয়েছে। অন্য ব্যাখ্যা হতে পারে- কেউ কিছু জানত'ই না।

দ্বিতীয় ব্যাখ্যাটা গ্রহণযোগ্য হবার কথা নয়। কারণ মেয়েটা ওই ফ্ল্যাটে তিন মাসের মতো থাকছিল এবং তার বড় বোন অন্তত ওই বাসাটা চিনত।

ভালোবাসা জাত মানে না। ভালোবাসা শ্রেণী মানে না। ভালোবাসা কোন কিছুই মানে না। তাদের মাঝে যদি ভালোবাসার সম্পর্ক থেকে থাকে; তাহলে আমার কিছু বলার নেই। কিন্তু তাদের মাঝে যদি ভালোবাসার সম্পর্ক থেকে না থাকে; তাহলে মেয়েটা ভুল করছিল। সেই ভুলটা ধরিয়ে দেয়ার দায়িত্ব ছিল পরিবারের বড়'দের।  এমনকি ভালোও যদি বেসে থাকে; এরপরও পরিবারের দায়িত্ব ছিল মেয়েটাকে সতর্ক করা। কারণ মেয়েটা পরিণত বয়েসের ছিল না।

ভুতের সাথে মানুষের সম্পর্ক হয় না।

ভুতের কাজ ভুত করেছে; মাঝখান থেকে মানুষটা হারিয়ে গিয়েছে। ভুতেদের বিচার হয় না। কারণ তারা অস্পৃশ্য। তাদের দেখা যায় না। ছোঁয়া যায় না। তারা ইচ্ছে হলে মানুষের মাংস খায়। মাঝখান থেকে দোষ হয় ওই মানুষটার- কেন সে ভুতের সামনে হাজির হলো। তাই নিজেদেরই সতর্ক হতে হবে। সেই শিক্ষা পরিবারকেই দিতে হবে।


আরও খবর
হঠাৎ উধাও হয়ে গেল ফেসবুক!

মঙ্গলবার ০৫ মার্চ ২০২৪




সুলভ মূল্যে নিত্যপণ্য বিক্রয় কেন্দ্র খুললেন পাটমন্ত্রী

প্রকাশিত:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানকের উদ্যোগে রমজান মাস উপলক্ষ্যে মাসব্যাপী সুলভ মূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রী বিক্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। রোববার (১০ মার্চ) সকাল থেকে রাজধানীর শ্যামলী মাঠের সামনে অস্থায়ী এই বিক্রয় কেন্দ্রে চলছে বেচাবিক্রি।

সরেজমিনে দেখা যায়, রাজধানীর শ্যামলী মাঠের পাশে পাটমন্ত্রীর ব্যক্তিগত উদ্যোগে নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী বিক্রয় কেন্দ্র খোলা হয়। সেখানে সাধারণ মানুষকে সুলভ মূল্যে সবজি ও নিত্যপণ্য ক্রয় করতে দেখা যায়।

সুলভ মূল্যে সবজি কিনতে আসা রবিউল হোসেন বলেন, বাজার থেকে একটি লাউ কিনতে ৬০/৭০ টাকা লাগত কিন্তু এখানে ৪০ টাকায় পেয়েছি। এটা আমাদের জন্য বড় সুযোগ।

বিক্রয় কেন্দ্রে যা যা পাওয়া যাচ্ছে : বেগুন ৪০টাকা, উস্তা ৭৫ কেজি, শিম ৫০ টাকা কেজি, চিচিঙ্গা ৩৫ টাকা, লাউ ৪০ টাকা পিস, কচুর লতি ৭৫ টাকা কেজি, গাজর ২৫ টাকা, বাঁধাকপি ৩০ টাকা, পুঁইশাক ১৫টাকা, ফুলকপি ২৫ টাকা, লালশাক ১০ টাকা আঁটি, বইতা শাক ১৫ টাকা আঁটি, পালংশাক ১০ টাকা আঁটি, ধনেপাতা ৮০ টাকা কেজি, কাঁচামরিচ ৮০ টাকা কেজি, টমেটো ৩৫ টাকা কেজি, মিষ্টি কুমড়া ৪০ টাকা পিচ, কাঁচা পেঁপে ৪০ টাকা।

এছাড়া পাওয়া যাচ্ছে সয়াবিন তেল পাঁচ লিটার ৭৬৫ টাকা, ২ লিটার ৩১২ টাকা, ডিম ডজন ১২০ টাকা, আদা ১৯০ টাকা, পেঁয়াজ ৮০ টাকা, খেসারী ডাল ১১২ টাকা, মুগ ডাল ৮৫ টাকা, মুসুরি ডাল ১০৭ টাকা, ছোলা বুট ১০০ টাকা, চিনি ১৪০ টাকা, ভেসন ৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

অন্যদিকে শাক সবজির পাশাপাশি ফল ফলাদিও বিক্রি করা হচ্ছে।


আরও খবর



ঈশ্বরদীতে সাবেক এমপির বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি

Image

পাবনা-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুজ্জামান বিশ্বাসের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর এর ঘটনা ঘটেছে।

শুক্রবার (৮ মার্চ) ৯টার দিকে ঈশ্বরদী পৌর শহরের আকবরের মোড় এলাকায় সাবেক এমপির বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। দুর্বৃত্তরা একটি প্রাইভেটকার ও মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও সাবেক এমপির বাড়ির পাহারাদার মো. রানা বলেন, বাড়ি থেকে বের হয়ে পাশের প্রাচীর নির্মাণ কাজের সামগ্রী দেখার জন্য গিয়েছিলাম। হঠাৎ দুটি মোটরসাইকেলে করে মাক্স পরিহিত চারজন লোক এসে বাড়ির সামনে রাখা প্রাইভেট কার ও মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। তাদের হাতে থাকা একটি বিদেশি মদের বোতল ভেঙে পালিয়ে যায়।

মো. বক্কার হোসেন নামের এক অটোচালক বলেন, আমি গাড়ি নিয়ে যাওয়ার সময় দেখি মাক্স পরা কয়েকজন লোক লাঠিসোটা নিয়ে গাড়ি ভাঙচুর করছে। আমি ভয়ে গাড়ি নিয়ে দ্রুত চলে যাই।

এ বিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ মিন্টু বলেন, ঘটনার খবর পাওয়া মাত্র আমি সাবেক এমপির বাড়িতে অবস্থান করি। একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক এমপির বাড়িতে রাতে এভাবে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা অবশ্যই ন্যাক্কারজনক। ঘটনার সঙ্গে যারাই জড়িত থাক তাদের বিরুদ্ধে কঠিন আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যদি আওয়ামী লীগের দলীয় কেউ এ ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকে তবে আমরা দলীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

উপজেলা যুবলীগ সভাপতি শিরহান শরীফ তমাল বলেন, সাবেক এমপির বাড়িতে হামলার ঘটনায় বর্তমান এমপি গালিবুর রহমান শরীফের নির্দেশে আমরা এখানে এসেছি। এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনার সঙ্গে দলীয় বা অন্য যারাই জড়িত থাক না কেন তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার আহবান জানাচ্ছি।

সাবেক এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুজ্জামান বিশ্বাস বলেন, বাড়িতে বসে কথা বলছিলাম। হঠাৎ গেটের সামনে ভাঙচুরের শব্দ শুনে বের হয়ে দেখি আমার ব্যবহৃত একটি প্রাইভেট কার ও বাড়িতে আসা একজনের মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে পালিয়ে গেছে। আমি মনে করি এটা শুধু ভাঙচুর নয় সেখানে গেলে আমাদের হত্যার ঘটনাও ঘটতে পারতো।

ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার গোস্বামী বলেন, ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে আমরা সাবেক এমপির বাড়িতে নিরাপত্তার জন্য পুলিশ মোতায়েন করেছি। কি কারণে এবং কারা এ হামলা করেছে তা তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আরও খবর



জ্বালানি তেলের দাম নিয়ে সুখবর দিলেন প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

চলতি মাসে দেশে গ্রাহক পর্যায়ে জ্বালানি তেলের দাম কমবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। রোববার (৩ মার্চ) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

নসরুল হামিদ বলেন, নতুন ফর্মুলায় শিগগিরই দেশে প্রথমবারের মতো জ্বালানি তেলের দাম ঘোষণা করা হবে। চলতি মাসেই গ্রাহক পর্যায়ে দাম কমিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, জ্বালানি তেলের নতুন দাম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর তরফ থেকে প্রস্তাবিত নতুন দামের অনুমোদন পাওয়ার পর এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।

এর আগে গত ১ মার্চ বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপনে জানিয়েছিল, আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয় রেখে সরকার প্রতিমাসে জ্বালানি তেলের স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণ করবে। চলতি মার্চ থেকেই জ্বালানি তেলের স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণ এ পদ্ধতি কার্যকর হবে।

এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, পেট্রোলিয়াম পণ্য (ডিজেল, কেরোসিন, অকটেন ও পেট্রোল) তথা সরকার যে সব গ্রেডের জ্বালানি তেলের বিক্রয় মূল্য নির্ধারণ করে, সেগুলোর জন্য এই স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতি প্রযোজ্য হবে। জ্বালানি তেলের স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণ নির্দেশিকা প্রকাশ করে সরকার।

তবে প্রয়োজনে অন্যান্য পেট্রোলিয়াম পণ্যের ক্ষেত্রেও শর্ত সাপেক্ষে উক্ত নির্দেশনা প্রয়োগ করতে পারবে সরকার বা বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (বিপিসি)।


আরও খবর
দেশে এলো এক হাজার টন আলু

বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪




রোজার আগে ৯০০ পণ্যের দাম কমাল কাতার

প্রকাশিত:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

প্রতি বছরের ন্যায় এবারও আসন্ন রমজানের আগেই ৯০০ পণ্যের দাম কমাল মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতার। গত ৪ মার্চ থেকেই কার্যকর হয়েছে নতুন মূল্য তালিকা, যা রমজান মাসের শেষ পর্যন্ত চলবে।

রোববার (১০ মার্চ) এ খবর জানিয়েছে গালফ নিউজ।

প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, কাতারসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে এ বছর রমজান মাস শুরু হতে পারে আগামী ১১ মার্চ থেকে। তার আগেই কাতারের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দেশটিতে নয় শতাধিক পণ্যে বিশেষ মূল্যছাড় দেওয়া হচ্ছে।

কাতারি বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, খাদ্য ও ভোগ্যপণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় পবিত্র রমজান মাসে সেগুলো কম দামে জনগণের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দেশটির বড় বড় খুচরা বিক্রয় প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে এই উদ্যোগ বাস্তবায়িত হচ্ছে।

কাতারে এবারে রমজান মাস উপলক্ষে মূল্যছাড় দেওয়া পণ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে দুধ, দই এবং দুগ্ধজাত পণ্য, টিস্যু পেপার, পরিচ্ছন্নতা উপকরণ, রান্নার তেল ও ঘি, পনির, হিমায়িত সবজি, বাদাম, বোতলজাত পানি, জুস, মধু, মুরগি, রুটি, টিনজাত খাবার, পাস্তা, ভার্মিসেলি, গোলাপ জলসহ আরও অনেক কিছু।

২০২১ সালে দেশটি প্রায় ৬৫০ পণ্যের দাম কমিয়েছিল। ২০২২ সালে সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৮০০তে, ২০২৩ সালে সেটি আরও বাড়িয়ে ৯০০র বেশি পণ্যের দাম কমায় মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি। এ বছরও প্রায় একই সংখ্যক পণ্যের দাম কমিয়েছে কাতারি কর্তৃপক্ষ।


আরও খবর



ছিনতাই হওয়া এমভি আব্দুল্লাহ জাহাজে যেকোনো সময় অভিযান

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ার জলদস্যুদের কবলে পড়া জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ এবং ওই জাহাজে থাকা ২৩ নাবিককে উদ্ধারে অভিযান শুরু করার প্রস্তুতি নিয়েছে সোমালিয়ার পুলিশ এবং আন্তর্জাতিক নৌবাহিনীর একটি সম্মিলিত দল।

সোমবার (১৮ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

এতে বলা হয়, গত সপ্তাহে সোমালিয়ার উপকূলে ছিনতাই হয় এমভি আবদুল্লাহ। প্রায় এক দশক শান্ত থাকার পর এটি সোমালি জলদস্যুদের হাতে গত নভেম্বর থেকে ২০টিরও বেশি জাহাজ ছিনতাই চেষ্টার সবশেষ ঘটনা।

রয়টার্স বলছে, সোমালিয়ার পুন্টল্যান্ড এলাকাটি অসংখ্য জলদস্যু চক্রের ঘাঁটি। আধা-স্বায়ত্তশাসিত এই অঞ্চলটির পুলিশ বাহিনী জানিয়েছে, তারা উচ্চ সতর্কতায় রয়েছে এবং এমভি আবদুল্লাহকে জব্দ করা জলদস্যুদের বিরুদ্ধে অভিযানে অংশ নিতে প্রস্তুতি নিয়েছে।

এক বিবৃতিতে পুন্টল্যান্ড পুলিশ বলেছে, আন্তর্জাতিক নৌবাহিনী অভিযানের পরিকল্পনা করছেএমন রিপোর্ট পাওয়ার পর পুন্টল্যান্ড পুলিশ বাহিনীও প্রস্তুত রয়েছে।

এ বিষয়ে ভারতের নৌবাহিনীর কাছ থেকে রয়টার্স মন্তব্য চাইলেও, তারা এখনও কোনো মন্তব্য করেনি।

এদিকে রোববার (১৭ মার্চ) পুন্টল্যান্ড পুলিশ জানিয়েছিল, তারা বাংলাদেশি জাহাজে থাকা জলদস্যুদের সরবরাহ করার জন্য মাদক পরিবহনকারী একটি গাড়ি জব্দ করেছে।

উল্লেখ্য, মোজাম্বিকের মাপুতু বন্দর থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাওয়ার পথে মঙ্গলবার (১২ মার্চ) বাংলাদেশ সময় বেলা দেড়টার দিকে ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ার জলদস্যুদের কবলে পড়ে বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ।

এর আগে, ভারত মহাসাগরে বিশেষ কমান্ডো অভিযান চালিয়ে সোমালিয়ার জলদস্যুদের ছিনতাই করা একটি বাণিজ্যিক জাহাজ দখলে নিয়েছে ভারতীয় নৌবাহিনী। মাল্টার পতাকাবাহী এমভি রুয়েন নামের ওই জাহাজটি গত বছরের শেষ দিকে ছিনতাই করেছিল সোমালিয়ার জলদস্যুরা।

ভারতের নৌবাহিনী আনুষ্ঠানিক এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ৪০ ঘণ্টার অপারেশনে জলদস্যুদের কবলে থাকা মাল্টার জাহাজ এমভি রুয়েনকে উদ্ধার করা হয়েছে। যুদ্ধজাহাজ আইএনএস কলকাতা শনিবার (১৬ মার্চ) জলদস্যুদের নিয়ন্ত্রণে থাকা ওই জাহাজের ৩৫ জলদস্যুকে কোণঠাসা করে ফেলতে সক্ষম হয়েছে। পরে তারা আত্মসমর্পণ করে। একইসঙ্গে ওই জাহাজ থেকে ১৭ জন নাবিককে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।


আরও খবর