আজঃ শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24
শিরোনাম

মেট্রোরেল চলবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত

প্রকাশিত:রবিবার ২২ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২২ জানুয়ারী ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বে মুসল্লিদের জন্য মেট্রোরেলের যাতায়াত সময় বাড়ানো হয়েছে। আজ রোববার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত যাত্রী পরিবহন করবে মেট্রোরেল। এর মধ্য দিয়ে আজ প্রথমবারের মতো ৯ ঘণ্টা চলাচল করবে ট্রেনটি।

ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের সচিব (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মোহাম্মদ আবদুর রউফের সই করা অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বের শেষ দিন আখেরি মোনাজাত উপলক্ষে যাত্রী সাধারণের চলাচলের সুবিধায় সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত উত্তরা উত্তর মেট্রোরেল স্টেশন থেকে আগারগাঁও স্টেশন পর্যন্ত ট্রেন চলাচল করবে।মুসলিম বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় জমায়েত বিশ্ব ইজতেমা।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের লাখো ধর্মপ্রাণ মুসলমান এতে সমবেত হয়েছেন। আজ রোববার চলছে দ্বিতীয় পর্বের ইজতেমার তৃতীয় দিনের বয়ান। বেলা ১১টার পর শুরু হবে আখেরি মোনাজাত।


আরও খবর
শিশু হাসপাতালে আগুন নিয়ন্ত্রণে

শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪




দেশের বৃহত্তম ঈদের জামাতের জন্য প্রস্তুত ঐতিহাসিক শোলাকিয়া

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

মাঠের রেওয়াজ অনুযায়ী, বন্দুকের ফাঁকা গুলির শব্দের মাধ্যমে প্রতি বছরের মত এবারও দেশের বৃহত্তম ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হবে কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে। এবার ১৯৭তম ঈদুল ফিতর জামাতে ইমামতি করবেন বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ, ইসলামি ফাউন্ডেশনের সাবেক পরিচালক ও শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানের খতিব মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ। নামাজ শুরু হবে সকাল ১০টায়।

মাঠ পরিচালনা কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ জানান, এবার শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানের চারদিকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিচ্ছিদ্র করতে সিসি ক্যামেরার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তাছাড়া সারা মাঠে ৪টি উচু অস্থায়ী টাওয়ার নির্মাণ করা হয়েছে। এসব টাওয়ারে পুলিশ সদস্যসহ আইন-শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা টাওয়ারের মাধ্যমে মাঠের সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবেন।

শোলাকিয়া জামাতকে কেন্দ্র করে জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ ও ঈদগাহ মাঠ পরিচালনা কমিটি ইতোমধ্যে যাবতীয় কাজ সম্পন্ন করেছে। তাছাড়া বিভিন্ন সুযোগ সুবিধাসহ নির্বিঘ্নে নামাজ আদায়ে সর্বিক ব্যবস্থা সুসম্পন্ন করা হয়েছে।

পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ জানান, বৃহত্তম ঈদের জামাতকে কেন্দ্র করে ২০১৬ সালের জঙ্গি হামলার বিষয়টি মাথায় রেখে শোলাকিয়া ময়দানে চারস্তরের কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

এবারের জামাতের সারা মাঠ ও আশপাশ এলাকা নিরাপত্তা চাদরে ঢাকা থাকবে। পাঁচ প্লাটুন বিডিআর, ৭০০ পুলিশ সদস্যের পাশাপাশি র‌্যার ও গোয়েন্দা পুলিশের উপস্থিতিতে শোলাকিয়া বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

রবিবার (৭ এপ্রিল) থেকে ঈদের রাত পর্যন্ত বিপুল সংখ্যক পুলিশ ও র‌্যাব মাঠে থেকে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মেটাল ডিডেকটর দিয়ে সারা মাঠ তল্লাশি করবেন।

ঈদের দিন সকাল থেকে মাঠের ২৮টি গেইটে মেটাল ডিডেকটর দিয়ে তল্লাশি করে মুসুলিদের প্রবেশ করানো হবে। এছাড়া সাদা পোশাকে পুলিশ সদস্যরা গোয়েন্দা নজরদারিতে থাকবে। পুলিশের ডক স্কোয়াডের মাধ্যমে মাঠের চারদিকে বিশেষ পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠ পরিচালনা কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসক আরও জানান, শোলাকিয়া জামাতে মুসল্লিদের আসা-যাওয়ার জন্য বাংলাদেশ রেলওয়ে  ময়মনসিংহ ও ভৈরব থেকে দুইটি শোলাকিয়া এক্সপ্রেস’ নামে বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করেছে।

ঈদের দিন ময়মনসিংহ ও ভৈরব থেকে সকাল ৭টায় কিশোরগঞ্জের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসবে। নামাজের পর বিশেষ ট্রেন ফিরতি যাত্রা করবে। এবার গত বছরের তুলনায় আরও বেশি সংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটবে-এমন ভাবনায় সবদিক থেকে শোলাকিয়া প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সুষ্ঠুভাবে নামাজ আদায়ের লক্ষ্যে যাবতীয় ব্যবস্থা সম্পন্ন করা হয়েছে।

পৌরসভা, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগ, বিদ্যুৎ বিভাগ, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ, জেলা চেম্বার অব কমার্সসহ সংশ্লিষ্ঠ বিভাগ সমূহ মাঠে অজু, গোসল এবং শোলাকিয়া মাঠে সহজে প্রবেশের ব্যবস্থা, বিদ্যুৎ ব্যবস্থা অব্যাহত রাখাসহ মুসল্লিদের সার্বিক সু-ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে।

শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠ পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (সদর) মো. আবু রাসেল জানান, এবার আবহাওয়া ভালো থাকায় বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা ও উচ্ছ্বাস নিয়ে দেশের দূর-দূরান্ত, এমনকি বিদেশ থেকে বিপুল সংখ্যক মুসল্লি নামাজ আদায় করতে শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে আসবে। মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য আলাদা কাতার রাখা হবে। নামাজের জন্য শোলাকিয়া মাঠ প্রস্তুত। সকাল ১০টায় জামাত শুরু হবে।

প্রসঙ্গত, ১৮২৮ সালে শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম জামাতে সোয়া লাখ মুসল্লির সমাগম ঘটেছিল। সোয়া লাখ থেকেই বিবর্তনের ধারায় এ মাঠের নাম শোলাকিয়া হয়েছে। দিন দিন এর প্রচারণা বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রতি বছরই মুসল্লিদের সমাগম বাড়ছে।


আরও খবর



বুয়েট ইস্যুতে দেশব্যাপী মানববন্ধন করবে ছাত্রলীগ

প্রকাশিত:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) নিয়মতান্ত্রিক ছাত্ররাজনীতি ফেরাতে দেশব্যাপী মানববন্ধনের ঘোষণা দিয়েছে ছাত্রলীগ। রবিবার (৩১ মার্চ) ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই ঘোষণা দেওয়া হয়।

এছাড়া ছাত্রলীগের সাংগঠনিক অবস্থান ও কর্মসূচি ঘোষণার লক্ষ্যে মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলন করবে দলটি।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বুয়েট শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ হোসেন রাহিম রাব্বির আবাসিক হলে সিট ফিরিয়ে দেওয়া, বুয়েটে নিয়মতান্ত্রিক ছাত্র রাজনীতি চালু করা, স্বাধীনতা দিবস উদযাপনে বাধাদানকারী বুয়েট শিক্ষার্থীদের বিচারের আওতায় আনা এবং বুয়েটসহ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে মৌলবাদী-জঙ্গিবাদী তৎপরতার মূলোৎপাটন করার দাবিতে দেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, মেডিকেল কলেজ, পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, মাদরাসায় মানববন্ধন আয়োজনের নির্দেশ দিয়েছে ছাত্রলীগ।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বুয়েটকে সাম্প্রদায়িক-মৌলবাদী-জঙ্গিবাদী গোষ্ঠীর কালোছায়া মুক্ত করে ছাত্র রাজনীতিতে বুয়েট শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়ে ছাত্রলীগের সাংগঠনিক অবস্থান ও কর্মসূচি ঘোষণার লক্ষ্যে মঙ্গলবার সকাল ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে একটি সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করবে।


আরও খবর



অতিরিক্ত মদ্যপানে ব্রিটিশ কাউন্সিল শিক্ষার্থীর মৃত্যু

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর নিউমার্কেট এলিফ্যান্ট রোডের এলাকার একটি বাসায় অতিরিক্ত মদ্যপানে মো. মাহি রশিদ দীপ্ত (১৭)নামে এক শিক্ষার্থী মৃত্যু হয়েছে। নিহত শিক্ষার্থী ব্রিটিশ কাউন্সিলের ও লেভেলের শিক্ষার্থী ছিল।

শনিবার (১৩ এপ্রিল) সকাল ৮টার দিকে এই ঘটনাটি ঘটে। পরে অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জরুরি বিভাগে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মৃত ঘোষণা করেন।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে অবগত করা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, আমরা জানতে পেরেছি নিউমার্কেটের এলিফ্যান্ট রোড এলাকার একটি বাসায় বন্ধুবান্ধব নিয়ে অতিরিক্ত মধ্যপানে সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে।

তিনি আরও জানান, নিহতের গ্রামের বাড়ি নোয়াখালী জেলা বেগমগঞ্জ থানা দয়জপুর গ্রামে মামুনুর রশিদ মামুনের সন্তান। বর্তমানে নিউমার্কেটের এলিফ্যান্ট রোড ৭/এ নম্বর বাড়ি ভাড়াটিয়া।


আরও খবর
শিশু হাসপাতালে আগুন নিয়ন্ত্রণে

শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪




বুধবার থেকে ঈদযাত্রায় ট্রেনে ভ্রমণ শুরু

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সপ্তাহব্যাপী অনলাইন যুদ্ধে যারা ট্রেনের টিকিট কাটতে পেরেছেন-তারা কাল বুধবার থেকে যাত্রা শুরু করবেন। অর্থাৎ ২৪ মার্চ যে সব যাত্রী ৩ এপ্রিলের অগ্রিম টিকিট কেটেছেন তারা গ্রামে পাড়ি জমাবেন। ওই দিন কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে ভোরেই ট্রেন ছাড়া শুরু করবে। ৩ থেকে ৯ এপ্রিল পর্যন্ত অগ্রিম টিকিট কাটা যাত্রীরা ট্রেনে চড়বেন। আবার ৩ এপ্রিল থেকে ঈদ ফিরতি অগ্রিম টিকিট বিক্রি করবে রেল। ৩ থেকে ১০ এপ্রিল অনলাইনে ফিরতি টিকিট কাটতে পারবেন যাত্রীরা।

রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ বলছে, এবারই প্রথম টিকিট কালোবাজারিবিহীন ঈদযাত্রা শুরু হচ্ছে। এবার টিকিট কালোবাজারির কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি।

তবে, ট্রেনের টিকিট সব সময়ই যেন সোনার হরিণ। এক সময় টিকিট কাউন্টার ঘিরে দুই-তিন রাত অপেক্ষা করে টিকিট সংগ্রহ করেছেন সাধারণ যাত্রীরা। গত দুই বছর ধরে এমনটা আর দেখা যায়নি। এখন শতভাগ টিকিট অনলাইনে দেওয়া হচ্ছে। তবে নির্ধারিত টিকিটের বিপরীতে লাখ লাখ মানুষ টিকিট কাটতে অনলাইনে ভিড় করেন। শতকরা ১ কিংবা ২ ভাগ মানুষ টিকিট কাটতে পারছেন। অর্থাৎ যাত্রীদের প্রত্যাশা অনুযায়ী টিকিট নেই। ঈদ উপলক্ষ্যে ১২৫টি আন্তঃনগর ট্রেনে লক্ষাধিক টিকিট বিক্রি হচ্ছে অনলাইনে। যার মধ্যে রাজধানী থেকে ৩৩ হাজার ৫০০ টিকিট বিক্রি হয়েছে প্রতিদিন।

অগ্রিম টিকিট কাটতে পারা রাজশাহীগামী যাত্রী বিল্লাল হোসেন বলেন, ট্রেনের টিকিট নিশ্চয় সোনার হরিণ। আগে স্টেশনে রাতের পর রাত অপেক্ষা করে টিকিট কেটেছেন। এবার টানা ৫ দিন অনলাইনে থেকে ৪টি টিকিট কাটতে পেরেছেন। পরিবারের ৫ জন সদস্য অনলাইনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা চেষ্টা করে সফল হয়েছেন। বললেন, চাহিদা অনুযায়ী টিকিট নামে মাত্র রয়েছে। যার ভাগ্য ভালো-সে-ই কেবল টিকিট কাটতে পারছে। নিরাশ হয়েছেন প্রায় ৯৮ শতাংশ মানুষ। বললেন, ৮ এপ্রিল পরিবারের সদস্যদের নিয়ে গ্রামে যাবেন। স্ত্রী এবং মা অসুস্থ, এ জন্য ট্রেন সবচেয়ে নিরাপদ। শিডিউল অনুযায়ী ঈদযাত্রায় ট্রেনগুলো চলবে-এমনটা প্রত্যাশা করেছেন তিনি।

ঢাকা রেলওয়ে বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা মো. শাহ আলম কিরণ শিশির বলেন, আমরা অগ্রিম টিকিট বিক্রি শেষ করেছি। ৩ এপ্রিল থেকে যাত্রীরা যাত্রা শুরু করবে। যাত্রীসেবা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করে গন্তব্যে পৌঁছাতে আমরা কাজ করছি। আমাদের এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ শিডিউল অনুযায়ী ট্রেন চালানো। বিনা টিকিটের যাত্রী রোধও একটি চ্যালেঞ্জ। স্টেশন চত্বরে ইতোমধ্যে আমরা তিন স্তরের অস্থায়ী বাঁশের বেড়া দিয়েছি। যাতে টিকিটধারী যাত্রীরা সহজে স্টেশনে প্রবেশ করতে পারেন।

রেলওয়ে মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলী বলেন, আমাদের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। ১৬ জোড়া ঈদ স্পেশাল ট্রেনসহ শতাধিক অতিরিক্ত কোচ প্রস্তুত রয়েছে। চলমান ট্রেনের সঙ্গে ঈদযাত্রায় ঈদ স্পেশাল ট্রেন ও কোচ চালানো হবে। টিকিট ছাড়া ট্রেনে ভ্রমণ না করতে অনুরোধ জানিয়ে রেলের ডিজি বলেন, বিনা টিকিটে ট্রেনে ভ্রমণ দণ্ডনীয় অপরাধ। স্টেশন, প্ল্যাটফর্ম ও ট্রেনে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরা অবস্থান করবেন। অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহণে শুধু যাত্রার দিন নির্ধারিত ট্রেনে ২৫ শতাংশ আসনবিহীন টিকিট বিক্রি হবে। আসনবিহীন টিকিট কাটা যাত্রীরা এসি চেয়ার এবং কেবিন কোচে কোনো অবস্থাতেই চড়তে পারবে না।

পশ্চিমাঞ্চল রেলের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) অসীম কুমার তালুকদার বলেন, আমরা সর্বোচ্চ প্রচেষ্টায় শিডিউল ঠিক রেখে ট্রেন চালাতে আপ্রাণ চেষ্টা করব।

পূর্বাঞ্চল রেলের মহাব্যবস্থাপক নাজমুল হোসেন বলেন, ঈদযাত্রায় যাতে কোনো শিডিউল বিপর্যয় না হয়-সে জন্য তার অঞ্চলের ইঞ্জিন ও কোচ প্রতিনিয়ত পরীক্ষায় রাখা হচ্ছে। পূর্বাঞ্চলে ১০টি ইঞ্জিন প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ঈদ যাত্রায় চট্টগ্রাম থেকেও প্রচুর যাত্রী ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে ঈদ করতে ঘরে ফেরেন।


আরও খবর



আজ ভয়াল ২৫ মার্চ, গণহত্যা দিবস

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আজ ভয়াল ২৫ মার্চ, গণহত্যা দিবস। বাঙালি জাতির জীবনে ১৯৭১ সালের এইদিন শেষে এক বিভীষিকাময় ভয়াল রাত নেমে এসেছিল। এদিন মধ্যরাতে বর্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী তাদের পূর্ব পরিকল্পিত অপারেশন সার্চ লাইটের নীলনকশা অনুযায়ী বাঙালি জাতির কণ্ঠ চিরতরে স্তব্ধ করে দেয়ার ঘৃণ্য লক্ষ্যে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে নিরস্ত্র বাঙালীদের ওপর অত্যাধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে।

বাঙালির স্বাধীনতার আকাঙ্খা মুছে দেয়ার চেষ্টায় ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ গণহত্যা শুরু করেছিল পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। তারপর নয় মাসের সশস্ত্র যুদ্ধের মধ্য দিয়ে এসেছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ দিবাগত রাতে ব্যাপক গণহত্যা চালিয়ে বাঙালি জাতিকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী যে সশস্ত্র অভিযান পরিচালনা করে, তারই নাম অপারেশন সার্চলাইট।

এই অভিযানের নির্দেশ নামা তৈরি করে পাকিস্তানের দুই সামরিক কর্মকর্তা মেজর জেনারেল খাদিম হোসেন রাজা ও মেজর জেনারেল রাও ফরমান আলী। নির্দেশনামার কোনও লিখিত নথি রাখা হয়নি। গণহত্যার সেই পুরো নির্দেশ মুখে মুখে ফরমেশন কমান্ডার বা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের জানানো হয়।

অনেক পরে, ২০১২ সালে, মেজর জেনারেল খাদিম হোসেন রাজা এ স্ট্রেঞ্জার ইন মাই ওন কান্ট্রি নামে আত্মজীবনী প্রকাশ করেন। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস প্রকাশিত সেই আত্মজীবনীতে প্রথমবারের মতো অপারেশন সার্চলাইট সম্পর্কে কিছু তথ্য প্রকাশিত হয়।

অপারেশন সার্চলাইট কিভাবে পরিকল্পিত হয়, ১৯৭১ সালের সেই স্মৃতিচারণ করে রাজা লিখেছেন, ১৭ মার্চ, সকাল প্রায় ১০টা বাজে। টিক্কা খান আমাকে ও মেজর জেনারেল ফরমানকে কমান্ড হাউসে গিয়ে তার সঙ্গে দেখা করতে খবর পাঠান। খবর পেয়ে আমরা দুজন টিক্কা খানের সঙ্গে দেখা করি। গিয়ে দেখি, সেখানে জেনারেল আবদুল হামিদ খানও রয়েছেন। টিক্কা খান আমাদের বলেন, প্রেসিডেন্টের সঙ্গে শেখ মুজিবের সমঝোতা আলোচনা ইতিবাচক দিকে এগোচ্ছে না। প্রেসিডেন্ট চান আমরা যেন সামরিক অভিযানের প্রস্তুতি গ্রহন করি এবং সে অনুযায়ী একটা পরিকল্পনা তৈরি করি। এ ছাড়া আর কোনো মৌখিক বা লিখিত নির্দেশনা আমরা পাইনি। আমাদের বলা হয়, পরদিন ১৮ মার্চ বিকেলে আমরা দুজন যেন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে ওই পরিকল্পনা চূড়ান্ত করি। পরদিন সকালেই খাদিম হোসেন রাজা তাঁর কার্যালয়ে রাও ফরমান আলীকে নিয়ে বসেন। তারাই গণহত্যার এ অভিযানের নাম দেন অপারেশন সার্চলাইট।

মার্কিন সাংবাদিক রবার্ট পেইন ২৫ মার্চ রাত সম্পর্কে লিখেছেন, সেই রাতে ৭০০০ মানুষকে হত্যা করা হয়, গ্রেপ্তার করা হলো আরও ৩০০০ লোক। ঢাকায় ঘটনার শুরু মাত্র হয়েছিল। এরপর সমস্ত পূর্ব পাকিস্তান জুড়ে সৈন্যরা বাড়িয়ে চললো মৃতের সংখ্যা। জ্বালাতে শুরু করলো ঘর-বাড়ি, দোকান-পাট। লুট আর ধ্বংস যেন তাদের নেশায় পরিণত হল। রাস্তায় রাস্তায় পড়ে থাকা মৃতদেহগুলো কাক-শেয়ালের খাবারে পরিণত হল। সমস্ত বাংলাদেশ হয়ে উঠলো শকুন তাড়িত শ্মশান ভূমি।

পাইকারি এই গণহত্যার স্বীকৃতি খোদ পাকিস্তান সরকার প্রকাশিত দলিলেও রয়েছে। পূর্ব পাকিস্তানের সঙ্কট সম্পর্কে যে শ্বেতপত্র পাকিস্তান সরকার মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে প্রকাশ করেছিল তাতে বলা হয়, ১৯৭১ সালের পয়লা মার্চ থেকে ২৫ মার্চ রাত পর্যন্ত ১ লাখেরও বেশি মানুষের জীবননাশ হয়েছিল।

১৯৭০-এর সাধারণ নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে জয়লাভ করা সত্ত্বেও আওয়ামী লীগের কাছে পাকিস্তানি জান্তা ক্ষমতা হস্তান্তর না করার ফলে সৃষ্ট রাজনৈতিক অচলাবস্থা নিরসনের প্রক্রিয়া চলাকালে পাকিস্তানি সেনারা কুখ্যাত অপারেশন সার্চ লাইট নাম দিয়ে নিরীহ বাঙালি বেসামরিক লোকজনের ওপর গণহত্যা শুরু করে। তাদের এ অভিযানের মূল লক্ষ্য ছিল আওয়ামী লীগসহ তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের প্রগতিশীল রাজনৈতিক নেতা-কর্মীসহ সকল সচেতন নাগরিককে নির্বিচারে হত্যা করা। এদিন দুপুরের পর থেকেই ঢাকাসহ সারাদেশে থমথমে অবস্থা বিরাজ করতে থাকে। সকাল থেকেই সেনা কর্মকর্তাদের তৎপরতা ছিল চোখে পড়ার মত। হেলিকপ্টারযোগে তারা দেশের বিভিন্ন সেনানিবাস পরিদর্শন করে বিকেলের মধ্যে ঢাকা সেনানিবাসে ফিরে আসে।

ঢাকার ইপিআর সদর দফতর পিলখানাতে অবস্থানরত ২২তম বালুচ রেজিমেন্টকে পিলখানার বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নিতে দেখা যায়। মধ্যরাতে পিলখানা, রাজারবাগ, নীলক্ষেত আক্রমণ করে পাকিস্তানি সেনারা। হানাদার বাহিনী ট্যাঙ্ক ও মর্টারের মাধ্যমে নীলক্ষেতসহ বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা দখল নেয়। সেনাবাহিনীর মেশিনগানের গুলিতে, ট্যাঙ্ক-মর্টারের গোলায় ও আগুনের লেলিহান শিখায় নগরীর রাত হয়ে উঠে বিভীষিকাময়।

লেফটেন্যান্ট জেনারেল টিক্কা খান এবং লেফটেন্যান্ট জেনারেল এএকে নিয়াজীর জনসংযোগ অফিসারের দায়িত্বে থাকা সিদ্দিক সালিকের উইটনেস টু সারেন্ডার গ্রন্থেও এ সংক্রান্ত একটি বিবরণ পাওয়া যায়। সিদ্দিক সালিক বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় জেনারেল নিয়াজীর পাশেই ছিলেন। বাংলাদেশের মানুষের বিরুদ্ধে অনুগত পাকিস্তানি হিসাবে পাক সামরিক জান্তার চক্রান্ত তিনি খুব কাছে থেকেই দেখেছেন। ২৫ মার্চ, অপারেশন সার্চ লাইট শুরুর মুহূর্ত নিয়ে তিনি লিখেন নির্দিষ্ট সময়ের আগেই সামরিক কার্যক্রম শুরু হয়ে যায়। এমন আঘাত হানার নির্ধারিত মুহূর্ত (এইচ-আওয়ার) পর্যন্ত স্থির থাকার চিহ্ন বিলুপ্ত হয়ে গেল। নরকের দরজা উন্মুক্ত হয়ে গেল।

পাকিস্তানি হায়েনাদের কাছ থেকে রক্ষা পায়নি রোকেয়া হলের ছাত্রীরাও। ড. গোবিন্দ চন্দ্র দেব ও জ্যোতির্ময় গুহ ঠাকুরতা, অধ্যাপক সন্তোষ ভট্টাচার্য, ড. মনিরুজ্জামানসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের ৯ জন শিক্ষককে নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করা হয়। ঢাবির জগন্নাথ হলে চলে নৃশংসতম হত্যার সবচেয়ে বড় ঘটনাটি। এখানে হত্যাযজ্ঞ চলে রাত থেকে সকাল পর্যন্ত।

প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান অপারেশন সার্চ লাইট পরিকল্পনা বাস্তবায়নের সকল পদক্ষেপ চূড়ান্ত করে গোপনে ঢাকা ত্যাগ করে করাচি চলে যান। সেনা অভিযানের শুরুতেই হানাদার বাহিনী বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে তাঁর ধানমন্ডির বাসভবন থেকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারের আগে ২৬ মার্চ (২৫ মার্চ মধ্যরাতে) বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন এবং যে কোন মূল্যে শত্রুর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান।

বঙ্গবন্ধুর এই আহ্বানে সাড়া দিয়ে বাঙালি পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং দীর্ঘ ৯ মাস সশস্ত্র লড়াই শেষে একাত্তরের ১৬ ডিসেম্বর পূর্ণ বিজয় অর্জন করে। বিশ্বের মানচিত্রে অভ্যুদয় ঘটে নতুন রাষ্ট্র বাংলাদেশের।

যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি পালনের লক্ষ্যে জাতীয় পর্যায়ে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এ উপলক্ষে আজ রাত ১১ থেকে ১১টা ৩১ মিনিট পর্যন্ত সারাদেশে প্রতীকী ব্ল্যাক আউট পালন করা হবে। তবে কেপিআই এবং জরুরি স্থাপনা এ কর্মসূচির আওতামুক্ত থাকবে। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণী দেবেন। এদিন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে গণহত্যা দিবসের ওপর আলোচনাসভার আয়োজন করা হয়েছে।

সারা দেশে গণহত্যা ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক গীতিনাট্য ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হবে। স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসাসহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিশিষ্ট ব্যক্তি এবং বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কণ্ঠে ২৫ মার্চ গণহত্যার স্মৃতিচারণা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। ঢাকাসহ সব সিটি করপোরেশনে গণহত্যার ওপর দুর্লভ আলোকচিত্র ও প্রামাণ্যচিত্র প্রচার করা হবে। এছাড়াও ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে এদিন বাদ জোহর বা সুবিধাজনক সময় দেশের সব মসজিদে বিশেষ মোনাজাত এবং অন্যান্য উপাসনালয়ে প্রার্থনা করা হবে। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে এবং বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসেও দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে একই কর্মসূচি পালন করা হবে।


আরও খবর