‘ফ্রি এজেন্ট’ হয়ে গেছেন লিওনেল
মেসি। ১ জুলাই থেকে বার্সেলোনার সঙ্গে চুক্তি শেষ তার। হয়নি নতুন চুক্তি। মেসি এখন
মুক্ত। তিনি এখন শুধু আর্জেন্টিনারই সম্পদ।
কোম্যান নয়, লিওনেল স্কলানির দায়িত্বে
এখন মেসি। এ ছাড়া মেসি চাইলে এখন ভিড়তে পারেন ইউরোপের অন্য যে কোনো ক্লাবে। চলে যেতে
পারেন সাবেক গুরু পেপ গার্দিওয়ালার কাছে।
এদিকে চুক্তির সময়সীমা পেরিয়ে গেলেও, এ
নিয়ে কোনো কথাই বলছে দুই পক্ষ।
আর্জেন্টিনার বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের খবর,
এ মুহূর্তে মেসি বুঁদ হয়ে আছেন কোপা আমেরিকার শিরোপার নেশায়। নীল-সাদার জার্সিতে দুর্দান্ত
খেলছেন তিনি। দেশকে শিরোপা উপহার দিয়েই তিনি থামবেন। অন্য কিছু নিয়ে মাথা ঘামাবেন না।
অন্যদিকে বার্সেলোনাও বেশ শান্ত। মেসির
সঙ্গে নতুন চুক্তির বিষয়ে মুখ খুলছে না ক্লাবটি।
প্রশ্ন উঠেছে— তা হলে কি ১৩
বছর বয়সে ২০০১ সালে বার্সেলোনার সঙ্গে যে সম্পর্ক গড়েছিলেন মেসি, সেটি শেষ হয়ে যাবে?
এই প্রশ্নের উত্তর জানতে পুরো বিশ্ব অপেক্ষা
করছে অধীর আগ্রহে, যা জানা যাবে বার্সেলোনার কার্যালয় থেকেই।
বুধবার নিজের অফিসে এসেছিলেন বার্সেলোনা
ক্লাবের সভাপতি হুয়ান লাপোর্তা। তাকে দেখেই মেসি ইস্যুতে ভিড় জমান সাংবাদিকরা।
প্রশ্ন একটাই— মেসির সঙ্গে
নতুন চুক্তিতে যাবে কি বার্সেলোনা?
জবাবে লাপোর্তা ইংরেজিতে কেবল একটি শব্দই
উচ্চারণ করলেন- ‘রিল্যাক্স’। বাংলা করলে
যার অর্থ দাঁড়ায়, শান্ত থাকুন। লাপোর্তা হয়তো জানাতে চাইছেন, নতুন চুক্তিতে আবদ্ধ
না হলেও বার্সাতেই থাকছেন মেসি। যত মনোমালিন্যই হোক, যত সমস্যাই আসুক না কেন, ঘরের
ছেলে ঘরেই থাকবে। কোপা আমেরিকার মিশন শেষ হলেই এ বিষয়ে এগোবে দুই পক্ষ।
স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যমগুলো জানাচ্ছে– মেসির সঙ্গে এখনও ভালোভাবেই আলোচনা চলছে বার্সেলোনার। বেশ কিছু বিষয়ে সমাধানে পৌঁছাতে পারেনি দুই পক্ষ। চুক্তির অংক ধরা নিয়েই নাকি যতসব ঝামেলা। কোপা আমেরিকার মিশন শেষে মেসি ইউরোপে ফিরলেই সব কিছু চূড়ান্ত হবে। আসবে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা।