গত মৌসুমের সাফল্য-ব্যর্থতাকে পেছনে ফেলে
লিওনেল মেসির চোখ এখন নতুন মৌসুমের দিকে। ২০২৪ সালেই মূলত পূর্ণাঙ্গ মৌসুম খেলবেন মেসি।
যেখানে বড় কিছুর লক্ষ্য নিয়েই মাঠে নামবে তাঁর দল। মৌসুম সামনে রেখে এর মধ্যে প্রথম
প্রাক্-মৌসুম প্রীতি ম্যাচের সূচিও ঠিক করেছে ইন্টার মায়ামি। যেখানে তারা প্রথম ম্যাচ
খেলবে এল সালভাদরের বিপক্ষে। আগামী ১৯ জানুয়ারি সান সালভাদরের এস্তাদিও কাসকাতলানে
মুখোমুখি হবে মায়ামি ও সালভাদর। এরপর আর্জেন্টাইন পরাশক্তি রিভার প্লেটের সঙ্গেও ইন্টার
মায়ামির ম্যাচ খেলতে পারে।
আর প্রাক মৌসুমে মেসির ইন্টার মায়ামি নিজেদের
ইতিহাসে প্রথমবারের মতো আন্তজার্তিক সফর করবে। আর প্রথম সফরেই এশিয়া ভ্রমণ করবে ফ্লোরিডার
ক্লাবটি। ইন্টার মায়ামি জানিয়েছে, তারা চীনের
প্রথম সারির লিগের খেলোয়াড়দের মধ্য থেকে নির্বাচিত একাদশের (হংকং একাদশ) বিপক্ষে ৪
ফেব্রুয়ারি হংকং স্টেডিয়ামে প্রীতি ম্যাচ খেলবে। এক বিবৃতিতে ইন্টার মায়ামির সহ–মালিক হোর্হে মাস বলেন, ‘আমরা হংকং ভ্রমণ
নিয়ে রোমাঞ্চিত। এটা আমাদের প্রথম এশিয়া ভ্রমণ হবে।’
ইন্টার মায়ামির বৈশ্বিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে
মাস আরও বলেছেন, ‘শুরু থেকেই আমরা ইন্টার মায়ামিকে একটা
বৈশ্বিক ক্লাব হিসেবে দাঁড় করাতে চেয়েছি। এটা দারুণ একটি সুযোগ। আমরা আশা করছি হংকং
এবং এশিয়াজুড়ে আমাদের সমর্থকেরা এর ফলে উৎসাহিত হবে।’
মায়ামির অন্য সহ–মালিক ডেভিড বেকহাম ২০০৩ সালে রিয়াল মাদ্রিদে
যোগ দেওয়ার পর হংকং ভ্রমণ করেছিলেন। তিনিও সৌন্দর্যের নগরী হংকংয়ে খেলার অপেক্ষায় থাকার
কথা জানিয়েছেন। বেকহাম বলেছেন, ‘ক্যারিয়ারজুড়ে আমি অনেকটুকু সময় এশিয়ায়
কাটিয়েছি। ইন্টার মায়ামিকে প্রথমবারের মতো নান্দনিক শহরটিতে খেলতে নিয়ে যাওয়ার সুযোগ
পেয়ে আমি আনন্দিত।’
এই সফর নিয়ে ইন্টার মায়ামির প্রধান সকার
অফিসার এবং স্পোর্টিং ডিরেক্টর ক্রিস হেন্ডারসন বলেছেন, ‘ক্লাবের বিশেষ
অভিজ্ঞতার জন্য আমরা এই সফরের অপেক্ষায় আছি। এ ছাড়া ২০২৪ মৌসুমের জন্য ক্লাব যতটা সম্ভব
প্রস্তুত করারও এটা দারুণ একটি সুযোগ। এই ম্যাচ আমাদের খেলোয়াড়দের নতুন প্রতিপক্ষ ও
নতুন পরিবেশের মুখোমুখি হওয়ার সুযোগ করে দেবে।’
২০২৩ মৌসুমের শেষে অবশ্য ইন্টার মায়ামির
চীন সফরে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ‘অনাকাঙ্ক্ষিত
পরিস্থিতি’র কারণে সেই সফর বাতিল করার কথা
জানানো হয়। হংকংয়ে এই ম্যাচ সামনে রেখে ১৫ ডিসেম্বর থেকে টিকিট বিক্রি শুরু হওয়ার কথা
জানা গেছে। এই সফর ছাড়াও বেশ কিছু প্রীতি ম্যাচের সূচিও ঠিক করেছে ইন্টার মায়ামি।
প্রাক্–মৌসুম দিয়ে মেসিকেও নতুনরূপে দেখার অপেক্ষায়
আছেন সমর্থকেরা। গত জুনে ইউরোপ ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রের ফুটবলে যাত্রা শুরু করেন লিওনেল
মেসি। বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন মেসির আগমন বদলে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের খেলার দুনিয়াকে। মাঠে
ও মাঠের বাইরে তাঁর হাত ধরেই সকার হয়ে উঠেছে ফুটবল। এর মধ্যে মায়ামিকে ইতিহাসের প্রথম
শিরোপাও জিতিয়েছেন মেসি।
মৌসুমের শেষ দিকে চোট এবং ক্লান্তির কারণে
ঠিকঠাক খেলতে পারেননি মেসি। যার ফলে ইউএস ওপেন কাপের ফাইনালে উঠেও আর শিরোপা জেতা হয়নি।
এমনকি জায়গা নিশ্চিত করতে পারেনি এমএলএসের প্লে-অফেও। এটুকু বাদ দিলে অবশ্য যুক্তরাষ্ট্রের
ফুটবলে মেসির শুরুটা দুর্দান্তই বলতে হবে। পুরো মৌসুম খেলা না হলেও অল্প সময়ের মধ্যে
দারুণ প্রভাব রেখেছেন মেসি।