তারকাপূর্ণ ম্যানচেস্টার সিটি উড়ন্ত সময়
পার করছে। লিগ ও ইউরোপসেরার মঞ্চে তারা দেখিয়ে চলেছে দুর্দান্ত সব ফুটবল প্রতিভা। তবে
মূল একাদশ ছাড়াও পেপ গার্দিওলার দলের ডাগআউটেও ব্যাকআপ হিসেবে রয়েছেন তারকা ফুটবলাররা।
কাতার বিশ্বকাপে সোনালী ট্রফি অর্জনের মঞ্চে বেশিরভাগ সময়ই আর্জেন্টিনার মূল একাদশে
ছিলেন জুলিয়ান আলভারেজ। লিওনেল স্কালোনির সেই সুযোগের যোগ্য প্রতিদানও তিনি দিয়েছেন।
তবে ক্লাবে তেমন গেইম টাইম পাননা এই বিশ্বজয়ী ফরোয়ার্ড। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে
ওঠার লড়াইয়ে মাত্র কয়েক মিনিটেই আলভারেজ গোল করেছেন। এর মাধ্যমেই দেশি মহাতারকা লিওনেল
মেসিকে ছাড়িয়ে গেছেন তিনি।
বুধবার (১৭ মে) রাতে ঘরের মাঠ ইতিহাদে
রিয়াল মাদ্রিদকে একপ্রকার উড়িয়ে দিয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি। কার্লো আনচেলত্তির দলকে
তারা ৪-০ গোলের লজ্জায় ডুবিয়ে দিয়েছে। এর আগে সেমিফাইনালের প্রথম লেগে ১-১ গোলের সমতাসহ
৫-১’এ অগ্রগামিতায়
ফাইনালে উঠেছে সিটি। ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ ইন্টার মিলান।
আরও পড়ুন : চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে ইন্টার মিলান
লাউতারো মার্টিনেজ ও জুলিয়ান আলভারেজ।
দুজনই কদিন আগে কাতারে বিশ্বকাপ শিরোপা উঁচিয়ে ধরেছেন। এবার ইউরোপ সেরা হওয়ার হাতছানি
তাদের সামনে। তবে ইন্টারের হয়ে দারুণ নৈপুণ্য দেখানো মার্টিনেজ ও সিটির তরুণ স্ট্রাইকার
আলভারেজের সামনে রয়েছে ইতিহাস গড়ার হাতছানি। তবে দুজনেরই একসঙ্গে সেই কীর্তি গড়ার সুযোগ
নেই। দশম ফুটবলার হিসেবে একই মৌসুমে বিশ্বকাপ ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ে তাদের যেকোনো
একজন নাম লেখাতে পারেন।
রিয়ালকে হারানোর ম্যাচে ৮৯তম মিনিটে মাঠে
নামেন আলভারেজ। যার এক মিনিট পরেই থিবো কোর্তোয়াকে ফাঁকি দিয়ে তার গোল। ওই গোল করেই
তিনি আর্জেন্টাইন সুপারস্টার মেসিকে ছাড়িয়ে গেছেন। বার্সেলোনার হয়ে মেসি সবচেয়ে কম
বয়সী আর্জেন্টাইন হিসেবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে গোল করেছিলেন। সেই সময় মেসির
বয়স ছিল ২১ বছর ১০ মাস ৩ দিন। আলভারেজ ম্যানসিটির হয়ে সেমিফাইনালে ২১ বছর ৩ মাস ১৭
দিন বয়সে গোল করলেন। মজার বিষয় হচ্ছে, তাদের দুজনেই এই গোল করেছেন রিয়াল মাদ্রিদের
বিপক্ষে।
আরও পড়ুন : ২০২৬ বিশ্বকাপের লোগো উন্মোচন করল ফিফা
আগামী ১০ই জুন ইস্তাম্বুলের আতাতুর্ক অলিম্পিক
স্টেডিয়ামে চ্যাম্পিয়নস লীগের ফাইনালে ম্যানচেস্টার সিটির মুখোমুখি হবে ইন্টার মিলান।
সেখানে বিশ্বকাপজয়ী দুই আর্জেন্টাইন মুখোমুখি হবেন প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে। সেমিফাইনালের
প্রথম লেগে ২-০ গোলে এগিয়ে ছিল ইন্টার। মার্টিনেজের একমাত্র গোলে এসি মিলানের বিপক্ষে
তারা দ্বিতীয় লেগ শেষ করে। বিশ্বকাপ মঞ্চে বারবার গোলের সুযোগ হাতছাড়া করলেও, ইন্টারের
ফাইনালে ওঠার পেছনে সামনের সারিতে ছিলেন মার্টিনেজ।