আজঃ শনিবার ১৮ মে ২০২৪
শিরোনাম

মেহেরপুরে বজ্রপাতে ২ কৃষকের মৃত্যু

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৮ জুলাই ২০২২ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ জুলাই ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

মেহেরপুরের গাংনী সীমান্তে বজ্রপাতে দুই কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকালে উপজেলার হাড়াভাঙ্গা ও কাজিপুর সীমান্তে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- কাজিপুর মুন্সীপাড়ার আলম হোসেনের ছেলে জাহাঙ্গীর হোসেন (৩৫) ও হাড়াভাঙ্গা গ্রামের কলিম উদ্দীন সরকারের ছেলে আকরাম সরকার (৭০)।

কাজিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মু. আলম হুসাইন জানান, কাজিপুর গ্রামের মুন্সীপাড়া খড়ের মাঠে পাটের জমিতে কাজ করার সময় বজ্রপাতে কৃষক জাহাঙ্গীর আলম গুরুতর আহত হন। পরে তাকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এদিকে হাড়াভাঙ্গা গ্রামের আকরাম সরকার মাঠে কৃষিকাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আব্দুর রাজ্জাক বজ্রপাতে দুজনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে বলেন, এটি একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ। দুজনই বজ্রপাতে মারা গেছেন। পুলিশের পক্ষ থেকে পরিবার দুটির খোঁজ খবর নেয়া হয়েছে। 


আরও খবর



কোন রাস্তায় কত গতিতে যানবাহন চলবে, জানাল সড়ক বিভাগ

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশে দিন দিন বেড়েই চলছে সড়ক দুর্ঘটনা। এসব দুর্ঘটনা কমিয়ে আনতে কোন সড়কে, কত গতিতে কোন ধরনের যানবাহন চলবে, তা ঠিক করে দিয়েছে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ। গত রোববার সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের বিভাগ থেকে মোটরযানের গতিসীমা-সংক্রান্ত নির্দেশিকা, ২০২৪ জারি করা হয়েছে। বুধবার (৮ মে) থেকে এ বিধিমালা কার্যকর হয়েছে।

বিধিমালা অনুযায়ী, এক্সপ্রেসওয়েতে মোটরসাইকেলের সর্বোচ্চ গতিসীমা ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার, জাতীয় মহাসড়কে (ক্যাটাগরি-এ) ৫০ কিলোমিটার, জাতীয় (ক্যাটাগরি-বি) ও আঞ্চলিক মহাসড়কে ৫০ কিলোমিটার, জেলা সড়কে ৫০ কিলোমিটার, সিটি করপোরেশন/পৌরসভা/জেলা সদরে ৩০ কিলোমিটার, উপজেলা মহাসড়ক ও শহর এলাকায় প্রাইমারি আরবান সড়কে ৩০ কিলোমিটার, শেয়ার রোড ও অন্যান্য সড়ক এবং গ্রামীণ সড়কে ২০ কিলোমিটার।

মোটরকার, জিপ, মাইক্রোবাস, হালকা যাত্রীবাহী মোটরযান এবং বাস-মিনিবাস ও ভারী যাত্রীবাহী মোটরযানের ক্ষেত্রে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ গতিসীমা এক্সপ্রেসওয়েতে ৮০ কিলোমিটার, জাতীয় মহাসড়কে (ক্যাটাগরি-এ) ৮০ কিলোমিটার, জাতীয় (ক্যাটাগরি-বি) ও আঞ্চলিক মহাসড়কে ৭০ কিলোমিটার, জেলা সড়কে ৬০ কিলোমিটার, সিটি করপোরেশন/পৌরসভা/জেলা সদরে ৪০ কিলোমিটার, উপজেলা মহাসড়ক ও শহর এলাকায় প্রাইমারি আরবান সড়কে ৪০ কিলোমিটার, শেয়ার রোড ও অন্যান্য সড়ক এবং গ্রামীণ সড়কে ৩০ কিলোমিটার।

ট্রাক, মিনি ট্রাক, কাভার্ডভ্যানসহ মালবাহী মোটরযান এবং ট্রেইলারযুক্ত আর্টিকুলেটেড মোটরযানের ঘণ্টায় সর্বোচ্চ গতিসীমা এক্সপ্রেসওয়েতে ৫০ কিলোমিটার, জাতীয় মহাসড়কে (ক্যাটাগরি-এ) ৫০ কিলোমিটার, জাতীয় (ক্যাটাগরি-বি) ও আঞ্চলিক মহাসড়কে ৪৫ কিলোমিটার, জেলা সড়কে ৪০ কিলোমিটার, সিটি করপোরেশন/পৌরসভা/জেলা সদরে ৩০ কিলোমিটার, উপজেলা মহাসড়ক ও শহর এলাকায় প্রাইমারি আরবান সড়কে ৩০ কিলোমিটার, শেয়ার রোড ও অন্যান্য সড়ক এবং গ্রামীণ সড়কে ৩০ কিলোমিটার।

এ ছাড়া এক্সপ্রেসওয়ে ও জাতীয় মহাসড়কে (ক্যাটাগরি-এ) ও (ক্যাটাগরি-বি) এবং আঞ্চলিক মহাসড়কে থ্রি-হুইলার চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে। জেলা সড়ক, সিটি করপোরেশন/পৌরসভা/জেলা সদর, উপজেলা মহাসড়ক ও শহর এলাকায় প্রাইমারি আরবান সড়কে চলাচলের অনুমতি সাপেক্ষে সর্বোচ্চ ঘণ্টায় ৩০ কিলোমিটার গতিতে থ্রি-হুইলার চলতে পারবে। এ ছাড়া শেয়ার রোড ও অন্যান্য সড়ক এবং গ্রামীণ সড়কে সর্বোচ্চ ঘণ্টায় ২০ ও ৩০ কিলোমিটার গতিতে থ্রি-হুইলার চলতে পারবে।

নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, দেশব্যাপী উন্নত যোগাযোগ নেটওয়ার্ক বিস্তৃতির ফলে সড়ক ও মহাসড়কে দ্রুতগতির যাত্রী ও পণ্যবাহী পরিবহনের সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং প্রায়ই অনাকাঙ্ক্ষিত সড়ক দুর্ঘটনা ঘটছে। বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ মোটরযানের অতিরিক্ত গতি ও বেপরোয়াভাবে মোটরযান চালানো। দ্রুতগতির কারণে আঘাতের মাত্রাও হয় অত্যধিক। ২০৩০ সালের মধ্যে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ও আহত মানুষের সংখ্যা অর্ধেকে কমিয়ে আনার লক্ষ্যেই নতুন এই নির্দেশিকা জারি করা হলো।

নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে, এ গতিসীমা অবশ্যই মেনে সড়ক বা মহাসড়কে মোটরযান চালাতে হবে। সেখানে বলা হয়েছে, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, আবাসিক এলাকা এবং হাট-বাজার ইত্যাদি সংলগ্ন সড়ক বা মহাসড়কে মোটরযানের সর্বোচ্চ গতিসীমা স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান বা রাস্তা নির্মাণকারী বা উপযুক্ত প্রতিষ্ঠান নির্ধারণ করবে। তবে তা কোনোক্রমেই জাতীয় মহাসড়কের ক্ষেত্রে ৪০ কিলোমিটার/ঘণ্টা এবং আঞ্চলিক মহাসড়কের ক্ষেত্রে ৩০ কিলোমিটার/ঘণ্টার বেশি হবে না। সর্বোচ্চ গতিসীমার এই বাধ্যবাধকতা শুধু স্বাভাবিক অবস্থায় প্রযোজ্য হবে বলে জানানো হয়। তবে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া, প্রখর রোদ, অতিরিক্ত বৃষ্টি, ঘন কুয়াশা ইত্যাদি প্রতিকূল পরিস্থিতিতে নিয়ন্ত্রণযোগ্য নিরাপদ গতিসীমা প্রযোজ্য হবে। দৃষ্টিসীমা বেশি মাত্রায় কমে গেলে বা একেবারেই দেখা না গেলে, মোটরযান চালানো বন্ধ রাখতে হবে।

নির্দেশিকায় বলা হয়, এক্সপ্রেসওয়ে, জাতীয় মহাসড়ক, আঞ্চলিক মহাসড়ক এবং জেলা সড়কের উভয় দিকের প্রবেশমুখ ও নির্দিষ্ট দূরত্বে যানবাহনভিত্তিক নির্ধারিত গতিসীমা-সংক্রান্ত সাইন রাস্তা নির্মাণকারী বা উপযুক্ত প্রতিষ্ঠানকে প্রদর্শন করতে হবে। মোটরযানের শ্রেণি বা ধরন অনুযায়ী, ভিন্ন ভিন্ন গতিসীমার জন্য একই পোস্টে মোটরযানের নাম ও ছবিসংবলিত গতিসীমার সাইন প্রদর্শন করতে হবে। পাহাড়ি এলাকা, আঁকাবাঁকা সড়ক, বাঁক, ব্রিজ, রেল বা লেভেল ক্রসিং, সড়ক সংযোগস্থল, বাজার, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও হাসপাতালের সামনে সাইনে প্রদর্শিত গতিসীমা প্রযোজ্য হবে।

নির্দেশিকায় বিশেষ কিছু নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, সড়ক বাঁক, জংশন, জ্যামিতিক কাঠামো, পারিপার্শ্বিক পরিবেশ, দুর্ঘটনার ঝুঁকি ও অন্যান্য বিষয় বিবেচনায় নিয়ে সংশ্লিষ্ট রাস্তা নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান কর্তৃক মোটরযানের শ্রেণি বা ধরন অনুযায়ী নির্দিষ্ট দূরত্বের জন্য ট্রাফিক সাইন ম্যানুয়াল অনুযায়ী স্ট্যান্ডার্ড ট্রাফিক সাইন পোস্ট ও গতিসীমা প্রদর্শন বা স্থাপন করবে।

বিশেষ নির্দেশে আরও বলা হয়, মালবাহী মোটরযানসহ অন্যান্য স্বল্পগতির মোটরযান সর্বদা সড়কের বাঁ পাশের লেন দিয়ে চলাচল করবে। শুধু ওভারটেক করার সময় ডান লেন ব্যবহার করতে পারবে, কখনো বাঁ লেন দিয়ে ওভারটেক করা যাবে না।

এতে বলা হয়- ওভারটেকিং নিষিদ্ধ না থাকলে রাস্তার ট্রাফিক সাইন, রোড মার্কিং দেখে এবং সামনে, পেছনে পর্যাপ্ত ও প্রয়োজনীয় জায়গা থাকলে নিরাপদ পরিস্থিতি বিবেচনায় ওভারটেক করা যাবে। ওভারটেক করার সময় সামনে বিপরীত লেনে আসা গাড়ি এবং পেছনের গাড়ির অবস্থান ও গতিবেগ দেখে ওভারটেকিংয়ের জন্য নিরাপদ দূরত্ব আছে কি না, সে সম্পর্কে নিশ্চিত হতে হবে। নির্দেশ পালন না করলে বা গতিসীমা লঙ্ঘন করলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৮-এর সংশ্লিষ্ট ধারা অনুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


আরও খবর



ফারাক্কা চুক্তির ২৮ বছর: মিলছে না পানির ন্যায্য হিস্যা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

ফারাক্কা চুক্তির ২৮ বছর পরও পানির ন্যায্য হিস্যা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বাংলাদেশ। শুকনো মৌসুমে পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার পাকশী হার্ডিঞ্জ সেতুর উজান ও ভাটিতে পদ্মার পানির স্তর নেমে যাওয়ায় এ অঞ্চলে পানির সংকট দেখা দিয়েছে। এক সময়ের প্রমত্তা পদ্মা পরিণত হয়েছে ছোট নদীতে। মৃত্যু ঘণ্টা বেজেছে এই অঞ্চলের সুতা নদী, কমলা নদী, ইছামতি নদী ছাড়াও আরও অন্তত ১৭টি নদীর।

ভারতের সঙ্গে গঙ্গা চুক্তি হয়েছিল সেই ১৯৯৬ সালে। এরই মধ্যে জলবায়ুর পরিবর্তন হয়েছে, পানির চাহিদা বেড়েছে এবং অনেক কিছুই পরিবর্তন হচ্ছে। তাই পদ্মাকে পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে এবং এ অঞ্চলের মানুষকে বাঁচাতে গঙ্গা পানি চুক্তি রিভিউ করতে হবে। এবারের ফারাক্কা দিবসের প্রাক্কালে এমন দাবি করেছেন স্থানীয়রা।

পাবনার ঈশ্বরদীর পাকশীতে নদী গবেষক ও বিশ্লেষক অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ বলেন, নদীকে নদীর মত করে বাঁচতে না দিলে প্রাণ-প্রকৃতি ক্রমেই ধ্বংস হয়ে যাবে। এর প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে পৃথিবী। গঙ্গা পানি চুক্তি রিভিউ করে তা বাস্তবায়নের ওপরও গুরুত্ব দিয়েছেন গবেষক ও পরিবেশবিদরা।

তাদের মতে, পানির স্তর নেমে যাওয়ায় পদ্মাসহ সকল শাখা নদী এখন মৃতপ্রায়। ফলে বছরের পর বছর ধরে হুমকির মুখে পড়ে আছে পদ্মার দুই পাড়ের পরিবেশ ও জৈববৈচিত্র। পানি উন্নয়ন বোর্ড ও হাইড্রোলজি বিভাগের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ভারতীয় প্রতিনিধি দল এ বছর খরা ও অনাবৃষ্টির ফলে ফারাক্কায় পানির প্রবাহ কমে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন। ঈশ্বরদীর পাকশী পদ্মা নদীর হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে পদ্মায় পানির প্রবাহও কমেছে একই কারণে।

বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলকে মরুময়তার হাত থেকে রক্ষার জন্য ১৯৯৬ সালের ১২ ডিসেম্বর ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের ৩০ বছরের পানি চুক্তি হয়। সে সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী দেব গৌড় ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে হায়দ্রাবাদ হাউজে ঐতিহাসিক ৩০ শালা পানি চুক্তি হয়। সেই চুক্তি অনুযায়ী ভারত বাংলাদেশকে প্রতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ মে পর্যন্ত ৩৫ হাজার কিউসেক পানি দেয়ার কথা।

পাবনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের হাইড্রোলজি বিভাগের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, গতকাল বুধবার পাকশী হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে পানির প্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছে ২৯ হাজার ১৬৯ কিউসেক। তার আগের দিন মঙ্গলবার এখানে পানি পাওয়া গেছে ২৬ হাজার ৬৫৬ কিউসেক।

পাবনা হাইড্রোলজি বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী রইচ উদ্দিন জানান, বুধবার ভারতীয় নদী কমিশনের সদস্য ও নির্বাহী প্রকৌশলী অপর্ভা রাজ ও সুদীপ্তা মাহান্তিসহ ভারতীয় প্রতিনিধি দল পদ্মা নদীর পাকশী হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে বর্তমান অবস্থা পর্যবেক্ষণ ও সরেজমিনে পানি পরিমাপ করেছেন। আগামী ৩১ মে পর্যন্ত প্রতিদিন তারা পনির প্রবাহ পর্যবেক্ষণ করবেন বলে জানান। তিনি বলেন, পানির প্রবাহ প্রতিদিনই একটু একটু করে বাড়ছে।

ভারতীয় নদী কমিশনের সদস্য ও নির্বাহী প্রকৌশলী অপর্ভা রাজ বলেন, পানি কমের কারণে এখন ফারাক্কা প্রান্তে যে পানি প্রবাহ হচ্ছে তা দুই ভাগে ভাগ করে অর্ধেক বাংলাদেশে দেয়া হচ্ছে।

পরিবেশবিদ ও সরকারী এডওয়ার্ড কলেজের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের সাবেক বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর শাহনেওয়াজ সালাম বলেন, পরিবেশ ও জৈববৈচিত্র এখনো হুমকির মুখে। এসব থেকে রক্ষা পেতে আমার মনে হয় নতুন করে গঙ্গার পানি চুক্তি হওয়া দরকার।

উত্তরাঞ্চলীয় পানি পরিমাপ বিভাগ ও পাবনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী অমিতাভ চৌধুরী বলেন, ১৯৯৬ সালের চুক্তি অনুযায়ী ভারত বাংলাদেশকে ৩৫ হাজার কিউসেক পানি দেয়ার কথা। সে অনুযায়ী বর্তমানে আমরা কম পানি পাচ্ছি।


আরও খবর



জাতীয় হেল্পলাইন কল সেন্টারে কর্মপরিধি বাড়াচ্ছে আইন মন্ত্রণালয়

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিনামূল্যে আইনগত সহায়তা কার্যক্রমের আওতায় জাতীয় হেল্পলাইন কল সেন্টারের (১৬৪৩০) কর্মপরিধি ও সময়সীমা বাড়াচ্ছে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। এ জন্য জাতীয় হেল্পলাইন কল সেন্টারের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য আইনি পরামর্শ কর্মকর্তা পদে ছয়জনকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিতে যাচ্ছে জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা।

এই নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন হলে জাতীয় হেল্পলাইন কল সেন্টার থেকে দিন-রাত সবসময়ে (২৪ ঘন্টা) বিনামূল্যে আইনগত পরামর্শ সেবা পাওয়া যাবে। ফলে বাংলাদেশের যে কোন স্থান থেকে যে-কেউ, যে-কোন সময় ১৬৪৩০ নম্বরে কল করে আইনগত পরামর্শ সেবা নিতে পারবেন। এই নম্বরে কল করার জন্য কোন চার্জ বা মাসুল বা ফি কাটা যাবে না।

এ সম্পর্কিত নথিতে গতকাল বুধবার অনুমোদন দিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক এমপি। জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার পরিচালককে দ্রুত এই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, আইনি সহায়তা কার্যক্রমকে আরও সফল ও বেগবান করে তুলতে হলে এটিকে অবশ্যই জনগণের দোড়গোড়ায় নিয়ে যেতে হবে। এক্ষেত্রে জাতীয় হেল্পলাইন কল সেন্টার তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

জাতীয় হেল্পলাইন কল সেন্টারে যাদেরকে নতুনভাবে আইনি পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হবে, তাদের দায়িত্ব হবে সারা দেশ থেকে আগত ফোন কল গ্রহণ করা, আইনি সমস্যা সম্পর্কে আইনি তথ্য প্রদান করা, লিগ্যাল কাউন্সিলিং এর মাধ্যমে আইনি প্রতিকার দেয়া, আইনি পরামর্শ প্রদান করা, আদালতে মামলা দায়ের সংক্রান্তে প্রাথমিক তথ্য প্রদান করে সহায়তা করা, সরকারি আইনি সেবা সম্পর্কে সাধারণ মানুষের কোন অভিযোগ থাকলে তা গ্রহণ করে সুপারভাইজরের মাধ্যমে কর্তৃপক্ষকে অবগত করা, গৃহীত ফোন কলের নাম, ঠিকানা, আইনগত সমস্যা ও সেবা সম্পর্কে ডাটা এন্ট্রি করা, অসহায় ব্যক্তি কোথায় গেলে বা কিভাবে আইনি সহায়তা পাবে সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য প্রদান করা এবং জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা কর্তৃক অর্পিত অন্য যে কোনো দায়িত্ব পালন করা।

আইনি পরামর্শ কর্মকর্তাদের নিয়োগের শিক্ষাগত যোগ্যতা নির্ধারণ করা হয়েছে -কোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় হতে অন্যূন দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএ-তে এল.এল.বি (সম্মান) বা সমমানের ডিগ্রী এবং আইনজীবী হিসেবে কাজ করার অভিজ্ঞতাসম্পন্ন প্রার্থীগণ এক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন।


আরও খবর



মুন্সিগঞ্জে হিট স্ট্রোকে দুজনের মৃত্যু

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সাকিব আহম্মেদ, মুন্সিগঞ্জ

Image

মুন্সীগঞ্জে হিট স্ট্রোকে দুই জন মারা গেছেন। হিট স্ট্রোকের উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও চার জন। হিট স্ট্রোকে যে দুজন মারা গেছেন তারা হলেন- ওমর আলী (৬৫) ও আব্দুল বাতেন মাঝি (৬০)। তাদের দুই জনের বাড়ি মুন্সীগঞ্জের সদর উপজেলায়।

মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ওমর আলীকে আজ মঙ্গলবার সকাল পৌনে ১১টার দিকে এবং আব্দুল বাতেন মাঝিকে সাড়ে ১১টার দিকে হাসপাতালে আনা হয়।

ওমর আলী চরকিশোরগঞ্জের বাবু হাজারীর ছেলে এবং আব্দুল বাতেন মাঝি মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার মানিকপুরের ওলিউল্লা মাস্টারের ছেলে।

মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আবু হেনা মোহাম্মদ জামাল বলেন, সকালে ওমর আলী মাঠে কাজ করার সময় অসুস্থ হয়ে পড়েন। আর আব্দুল বাতেন মাঝি বাজার এলাকায় অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাদের দুজনকেই মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তাদের মধ্যে হিট স্ট্রোকের উপসর্গ ছিল।

তিনি আরও বলেন, আরও চার জনকে হিট স্ট্রোকের উপসর্গ নিয়ে সদর হাসপাতালে আনা হয়েছে। তাদের মধ্যে তিন জনকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে এবং একজনকে চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফেরত পাঠানো হয়েছে।'


আরও খবর



বিএনপিপন্থী আইনজীবী ফোরাম থেকে ব্যারিস্টার খোকনকে অব্যাহতি

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

নির্দেশ অমান্য করে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতির দায়িত্ব নেওয়ায় ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকনকে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের দপ্তর সম্পাদক মো. জিয়াউর স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে আজ রোববার অব্যাহতির বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। খোকন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সিনিয়র সহ-সভাপতি ছিলেন।

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০২৪-২৫ সালের নির্বাচনে সভাপতি পদে ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বিজয়ী হন। এরপর গত ৪ এপ্রিল জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সিদ্ধান্ত অমান্য করে ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ৬ এপ্রিল বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটি, উপদেষ্টামণ্ডলী ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি/সম্পাদকদের এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় আপনার (ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন) এমন কার্যক্রমকে দলীয় চরম শৃঙ্খলা পরিপন্থি হিসেবে গণ্য করে সর্বসম্মত বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম, কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতির পদ থেকে অব্যাহতির সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।


আরও খবর