ভোলার মনপুরা উপজেলার মেঘনার শেষ প্রান্তে
প্রবল ঢেউয়ের তোড়ে ট্রলারের তলা ফেটে ৩টি ট্রলার ডুবে নিখোঁজ ২০ জেলের সন্ধান পাওয়া
যায়নি। এর মধ্যে মনপুরার ২টি ও নোয়াখালী জেলার সূবর্ণচরের ১ টি। ৩টি ট্রলারের মধ্যে
মনপুরার ২ ট্রলারে থাকা ৩৬ জেলের মধ্যে ২০ জেলে এখনও নিখোঁজ বলে দাবি ট্রলারের মালিকপক্ষের।
বুধবার সকাল ১০ টায় মনপুরার মেঘনার শেষ
প্রান্ত চরনিজামের পূর্বপাশে মেঘনায় ইলিশ শিকারের সময় এই ঘটনা ঘটে।
ট্রলার ডুবির ঘটনা আজকের দর্পণ কে নিশ্চিত
করেন মনপুরা উপজেলার ৪ নম্বর দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউপি চেয়ারম্যান অলি উল্লা কাজল ও মনপুরার
ডুবে যাওয়া ২ ট্রলারের আড়তদার এনাম হাওলাদার।
ডুবে যাওয়া ট্রলার ৩ টি হলো, মনপুরার নান্নু মাঝির ট্রলার এফবি আয়শা ও দুলাল মাঝির ট্রলার। অপরটি নোয়াখালীর সূর্বণচরের নয়ন মাঝির ট্রলার এফবি মায়ের দোয়া। এর মধ্যে নান্নু মাঝির ট্রলারে থাকা ৯ জেলে ও দুলাল মাঝির ট্রলারে থাকা ১১ জেলে নিখোঁজ রয়েছে। অপর দিকে নোয়াখালীর জেলার সূবর্ণচরের এফবি মায়ের দোয়া ট্রলারে থাকা ১৪ জেলেকে উদ্ধার করেছে পাশ্ববর্তী মেঘনায় মাছ শিকারে থাকা মনপুরার মিল্লাত মাঝির ট্রলার।
আরও পড়ুন: নোয়াখালীতে মা-মেয়েকে কুপিয়ে হত্যা, আটক ১
উদ্ধার হওয়া জেলেরা হলেন, এফবি আয়শা ট্রলারে
থাকা জেলে সোহেল, আবু কালাম, আবদুল হাই, নাছির, সুমন ও শফিক। অপরদিকে দুলাল মাঝির ট্রলারে
থাকা জেলেরা হলেন, লোকমান, রাজিব, শাকিল, শরীফ, হেজু ও রায়হান। এদের সবার বাড়ি মনপুরা
উপজেলার দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউয়িনের বিভিন্ন গ্রামে। তবে নিখোঁজ ২০ জেলের নাম পাওয়া যায়নি।
তবে তাদের বাড়িও একই এলাকায় বলে জানায় উদ্ধারকৃত জেলেরা।
ট্রলার মালিক পক্ষের সাথে কথা বলে জানা যায়, বুধবার সকাল ১০ টায় মনপুরার মেঘনার শেষ প্রান্ত চরনিজামের পূর্বপাশে জাল পেতে মাছ শিকারের সময় প্রবল ঢেউয়ের তোড়ে ট্রলারের তলা ফেঁটে ৩ ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটে। মনপুরার ডুবে যাওয়া ২ ট্রলারের মধ্যে দুলাল মাঝির ট্রলারে থাকা ১৭ জেলের মধ্যে ৬ জেলে উদ্ধার হলেও নিখোঁজ রয়েছে ১১ জেলে ও নান্নু মাঝির ট্রলার এফবি আয়শা ট্রলারে থাকা ১৭ জেলের মধ্যে ৮ জেলে উদ্ধার হলেও ৯ জেলে নিখোঁজ রয়েছে।
আরও পড়ুন: ফতুল্লায় চার্জার ফ্যান বিস্ফোরণে দগ্ধ স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যু
এদিকে নোয়াখালীর সূর্বণ চরের নয়ন মাঝির
ট্রলার এফবি মায়ের দোয়া ট্রলারটি ডুবে যাওয়ার সময় পাশ্ববর্তী মনপুরার মাছ ধরার মিল্লাত
মাঝির ট্রলার ওই ট্রলারে থাকা ১৪ জেলেকে উদ্ধার করে।
এ ব্যাপারে মনপুরা উপজেলার দক্ষিণ সাকুচিয়া
ইউপি চেয়ারম্যান অলি উল্লা কাজল জানান, মনপুরার ২ টি ও নোয়াখালীর সূবর্ণ চরে ১ টি ট্রলারসহ
৩ টি ট্রলার ডুবে গেছে। এতে কয়েকজন জেলে উদ্ধার হলেও ২০ জেলে নিখোঁজ রয়েছেন।
এদিকে মনপুরার ডুবে যাওয়া ২ টি ট্রলারের
আড়তদার এনাম হাওলাদার জানান, প্রবল ঢেউয়ের তোড়ে তলা ফেঁটে ২ ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটে।
২০ জেলে নিখোঁজ রয়েছে। তিনি ট্রলার ও জেলে উদ্ধারে আরেকটি ট্রলার নিয়ে চরনিজামের দিকে
রওয়ানা হয়েছেন বলে জানান।
এই বিষয় মনপুরা থানার অফিসার ইনচার্জ
(ওসি) জহিরুল ইসলাম জানান, ট্রলার ডুবির ঘটনা ট্রলার মালিক ও আড়তদার কেউ থানায় অবহিত
করেনি।
মনপুরা কোস্টগার্ডের কন্টিজেন্ট কমান্ডার হানিফ জানান, মেঘনায় প্রবল ঢেউয়ে ট্রলার ডুবি ঘটনা ঘটতে পারে। তবে ট্রলার ডুবির ঘটনায় কেউ কিছু জানায়নি।