আজঃ সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

মধ্যরাতে ইউক্রেনজুড়ে রাশিয়ার ভয়াবহ হামলা

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ মে ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

মধ্যরাতে ইউক্রেনজুড়ে ভয়াবহ বিমান হামলা চালিয়েছে রুশ বাহিনী। দেশটি বেশ কয়েকটি অঞ্চলে বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে। এ সময় পূর্ব ইউরোপের এই দেশটির বিমান বিধ্বংসী ইউনিটগুলো বেশ কয়েকটি অঞ্চলে সক্রিয় করা হয়। শুক্রবার মধ্যরাতে ইউক্রেনজুড়ে বিভিন্ন স্থানে তারা এ হামলা চালিয়েছে। খরব রয়টার্সের।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার রাত ২টা থেকে প্রায় এক ঘণ্টার জন্য ইউক্রেনের সব অঞ্চলে বিমান হামলার সতর্কতা প্রসারিত করা হয়। কিন্তু অবকাঠামো বা বেসামরিক লক্ষ্যবস্তুতে হামলার কোনো খবর পাওয়া যায়নি এবং কিয়েভ ও মধ্য ও দক্ষিণ অঞ্চলে হামলার সতর্কতা প্রত্যাহার হওয়ায় হতাহতের কোনো ইঙ্গিতও পাওয়া যায়নি। তবে পূর্বাঞ্চলের কিছু এলাকায় এবং পশ্চিম ইউক্রেনজুড়ে শুক্রবার ভোররাত পর্যন্ত বিমান হামলার সতর্কতা বলবৎ ছিল।

আরও পড়ুন: হেলে পড়ল বিশ্বের সর্বোচ্চ শিব মন্দির

ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী টেলিগ্রামে বলেছে, রাশিয়ান বিমান আকাশে রয়েছে এবং হাইপারসনিক কিনজল ক্ষেপণাস্ত্র থেকে হামলার হুমকি রয়েছে। পূর্ববর্তী একটি সামরিক বিবৃতিতে বলা হয়েছিল, আকাশে থাকা কিছু লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করা হয়েছে, তবে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।

সামরিক বাহিনী আরও বলেছে, ইউক্রেনের কেন্দ্রীয় অঞ্চলগুলো ড্রোন হামলার ঝুঁকিতে রয়েছে। মধ্য ইউক্রেনের ক্রিভি রিহ, পশ্চিমে রিভনে এবং লুতস্কসহ বেশ কয়েকটি অঞ্চলে বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে।

আরও পড়ুন: বিমান বিধ্বস্তের দুইসপ্তাহ পর ৪ শিশুকে জীবিত উদ্ধার

কিয়েভের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রাজধানীতে বিমান বিধ্বংসী ইউনিট কাজ করছে। অন্যান্য শহর একই ধরনের বিমান বিধ্বংসী ইউনিটও সক্রিয় থাকার বিষয়ে রিপোর্ট করেছে।

রাশিয়ার তাস নিউজ এজেন্সি মস্কোনিয়ন্ত্রিত দোনেৎস্ক অঞ্চলের রুশনিয়ন্ত্রিত কর্মকর্তাদের উদ্ধৃত করে বলেছে, ইউক্রেনীয় বাহিনী মধ্যরাতের পর রুশনিয়ন্ত্রিত দোনেৎস্ক শহরে আটটি গ্রেড ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে।

অবশ্য ওই হামলায় ক্ষতি বা হতাহতের কোনো বিবরণ পাওয়া যায়নি। এ ছাড়া তাৎক্ষণিকভাবে এসব তথ্য বা সামরিক কার্যকলাপের বিস্তারিত তথ্য যাচাই করতে পারেনি রয়টার্স।

এর আগে বৃহস্পতিবার ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে নতুন করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় রাশিয়া। কিয়েভ ছাড়াও কৃষ্ণসাগরীয় বন্দরনগরী ওডেসায়ও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে রুশ বাহিনী। এতে অন্তত একজন নিহত হন।

তবে কিয়েভে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ঠেকিয়ে দেওয়ার দাবি করে ইউক্রেনের সেনাবাহিনী। যদিও ধ্বংসপ্রাপ্ত ক্ষেপণাস্ত্রের ধ্বংসাবশেষ একটি বহুতল ভবনে আছড়ে পড়লে সেখানে আগুন লেগে যায়।

এর আগে গত সোমবারও কিয়েভে আকাশ, নৌ ও স্থল থেকে অভাবনীয় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় রুশ বাহিনী। এর পরের দিন দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, কিয়েভে হাইপারসনিক কিনজাল ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে যুক্তরাষ্ট্রের পাঠানো প্যাট্রিয়ট আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস করা হয়েছে। তবে তাদের এ দাবির সত্যতা নিশ্চিত করা যায়নি।


আরও খবর



‘কণ্ঠের সব চিকিৎসা দেশেই রয়েছে, বিদেশে যাওয়ার প্রয়োজন নেই’

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

কণ্ঠের যেকোনো ধরনের রোগ ও সমস্যার সুচিকিৎসা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ)সহ দেশেই রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিএসএমএমইউ উপাচার্য ডা. দীন মো. নূরুল হক। তিনি বলেন, কণ্ঠের সমস্যার জন্য রোগীদের বিদেশে যাওয়ার প্রয়োজন নেই।

বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিশ্ব কণ্ঠ দিবস উপলক্ষে র‌্যালি, সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। ল্যারিংগোলজি অ্যান্ড ভয়েস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ এর উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএসএমএমইউ উপাচার্য এ কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ল্যারিংগোলজি অ্যান্ড ভয়েস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ এর সভাপতি অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান তরফদার।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বি ব্লকের সামনে শেখ রাসেল ফোয়ারা থেকে র‌্যালিটি বের হয়ে সি ব্লকের সামনে গিয়ে শেষ হয়। র‌্যালি শেষে সি ব্লকের মাল্টিপারপাস হলে একটি সেমিনার ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. দীন মো. নূরুল হক বলেন, ভয়েস বা স্বরযন্ত্রের বা কণ্ঠের যেকোনো ধরনের রোগ ও সমস্যার সুচিকিৎসা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশেই রয়েছে। কণ্ঠের সমস্যার জন্য রোগীদের বিদেশে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। ভয়েস, কণ্ঠ হলো মহান আল্লাহ প্রদত্ত। কাউকে ভালোবাসার কথা প্রকাশ করতে হলেও কথা বলার প্রয়োজন হয়। তাই কণ্ঠের সুরক্ষার জন্য আমাদেরকে সচেতন হতে হবে। অপ্রয়োজনে উচ্চৈঃস্বরে চিৎকার করলে, আবার জন্মগত ত্রুটির কারণেও কণ্ঠের ভয়েস বা স্বর ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তাই ভয়েসের সুরক্ষায় আমাদেরকে আরও বেশি সচেতন হতে হবে।

আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, কণ্ঠের সুরক্ষার জন্য উচ্চৈঃস্বরে কথা বলা, ধূমপান, মদপান, অতিরিক্ত গরম ও অতিরিক্ত ঠান্ডা পানি পান এবং অতিরিক্ত ঝাল ও তৈলাক্ত খাবার পরিহার করা উচিত। দিনে কমপক্ষে ৮ থেকে ১০ গ্লাস পানি পান করা উচিত। রাতে ঘুমানোর ২ ঘণ্টা আগে আহার সম্পন্ন করা উচিত। শিক্ষকদের ক্লাসে লাউড স্পিকার ব্যবহার করা উচিত। বাইরে চলাফেরার সময় সবারই মাস্ক ব্যবহার করা উচিত।

অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমদ, উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. মনিরুজ্জামান খান, সার্জারি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হোসেন, নার্সিং অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. দেবব্রত বণিক, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল হান্নান, প্রক্টর অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুর রহমান দুলাল, বিশ্ববিদ্যালয়ের অটোলজি ডিভিশন প্রধান ও কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট প্রকল্পের পরিচালক ডা. এএইচএম জহিরুল হক সাচ্চু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



আজ পহেলা বৈশাখ, বর্ণিল উৎসবে মাতোয়ারা সারাদেশ

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আজ পহেলা বৈশাখ। পুরোনোকে বিদায় দিয়ে বাংলা বর্ষপঞ্জিতে যুক্ত হলো নতুন বর্ষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ। সব সঙ্কীর্ণতা, কুপমণ্ডকতা পরিহার করে উদারনৈতিক জীবন-ব্যবস্থা গড়তে উদ্বুদ্ধ করে পহেলা বৈশাখ। মনের ভেতরের সব ক্লেদ, জীর্ণতা দূর করে নতুন উদ্যমে বাঁচার অনুপ্রেরণা জোগায়।

পহেলা বৈশাখ বাঙালির সার্বজনীন লোকজ উৎসব। এদিন আনন্দঘন পরিবেশে বরণ করে নেয়া হয় বাংলা নতুন বছরকে। কল্যাণ ও নতুন জীবনের প্রতীক হলো নববর্ষ। অতীতের ভুলত্রুটি ও ব্যর্থতার গ্লানি ভুলে নতুন করে সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনায় উদযাপিত হয় নববর্ষ।

দিবসটিকে ঘিরে আজ বর্ণিল উৎসবে মাতবে সারাদেশ। ভোরের প্রথম আলো রাঙিয়ে দেবে নতুন স্বপ্ন, প্রত্যাশা আর সম্ভাবনাকে। রাজধানী ও দেশজুড়ে থাকবে বর্ষবরণের নানা আয়োজন। বাংলা নববর্ষ ১৪৩১ জাঁকজমকপূর্ণভাবে উদযাপনের লক্ষ্যে জাতীয় পর্যায়ে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে সরকার। দিনটি সরকারি ছুটির দিন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ মঙ্গল শোভাযাত্রা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করবে। ছায়ানট রমনা বটমূলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করবে।

এছাড়া বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন যথাযোগ্য মর্যাদায় বাংলা নববর্ষ উদযাপন করবে। বাংলা নববর্ষের অনুষ্ঠান আবশ্যিকভাবে জাতীয় সংগীত এবং এসো হে বৈশাখ গান পরিবেশনের মাধ্যমে শুরু হবে। বাংলা নববর্ষের তাৎপর্য, মঙ্গল শোভাযাত্রার ইতিহাস ও ইউনেস্কো একে বিশ্ব সংস্কৃতির ঐতিহ্য হিসেবে অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি তুলে ধরে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং বাংলা একাডেমির উদ্যোগে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে।

এদিকে, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করবে। বাংলা নববর্ষে সব কারাগার, হাসপাতাল ও শিশু পরিবারে (এতিমখানা) উন্নতমানের ঐতিহ্যবাহী বাঙালি খাবারের আয়োজন করা হবে। একসময় নববর্ষ উদযাপিত হতো আর্তব বা ঋতুধর্মী উৎসব হিসেবে। তখন এর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল কৃষির। কারণ কৃষিকাজ ছিল ঋতুনির্ভর। পরে কৃষিকাজ ও খাজনা আদায়ের সুবিধার জন্য মোঘল সম্রাট আকবরের সময়ে বাংলা সন গণনা শুরু হয়। হিজরি চান্দ্রসন ও বাংলা সৌর সনের ওপর ভিত্তি করে প্রবর্তিত হয় নতুন এই সন।

অতীতে বাংলা নববর্ষের মূল উৎসব ছিল হালখাতা। এটি পুরোপুরিই একটি অর্থনৈতিক ব্যাপার। গ্রামে-গঞ্জে-নগরে ব্যবসায়ীরা নববর্ষের প্রারম্ভে পুরোনো হিসাব-নিকাশ সম্পন্ন করে নতুন খাতা খুলতেন। এ উপলক্ষে তারা নতুন-পুরাতন খদ্দেরদের আমন্ত্রণ জানিয়ে মিষ্টি বিতরণ এবং নতুনভাবে তাদের সঙ্গে ব্যবসায়িক যোগসূত্র স্থাপন করতেন। চিরাচরিত এই অনুষ্ঠান আজও উদযাপিত হয়।

মূলত, ১৫৫৬ সালে কার্যকর হওয়া বাংলা সন প্রথমদিকে পরিচিত ছিল ফসলি নামে। পরে তা পরিচিত হয় বঙ্গাব্দ নামে। কৃষিভিত্তিক গ্রামীণ সমাজের সঙ্গে বাংলা বর্ষের ইতিহাস জড়িয়ে রয়েছে। তবে এর সঙ্গে রাজনৈতিক ইতিহাসেরও সংযোগ ঘটেছে। পাকিস্তান শাসনামলে বাঙালি জাতীয়তাবাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি হয় বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের। আর ষাটের দশকের শেষে তা বিশেষ মাত্রা পায় রমনা বটমূলে ছায়ানটের আয়োজনের মাধ্যমে। এসময় ঢাকায় নাগরিক পর্যায়ে ছায়ানটের উদ্যোগে সীমিত আকারে বর্ষবরণ শুরু হয়।


আরও খবর



লম্বা ছুটির পর আজ ব্যাংক খোলা

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

পবিত্র ঈদুল ফিতর ও বাংলা নববর্ষ মিলিয়ে পাঁচ দিনের ছুটি কাটিয়ে আজ সোমবার (১৫ এপ্রিল) থেকে খুলছে ব্যাংক, বিমা, পুঁজিবাজার ও অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো। সেইসঙ্গে খুলবে অফিস-আদালতও।

এদিন থেকে আবার স্বাভাবিক নিয়মে ব্যাংকিং ও পুঁজিবাজারের লেনদেন শুরু হবে। ব্যাংক সকাল ১০টায় খুলবে, লেনদেন চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ জানিয়েছে, সোমবার থেকে পুঁজিবাজারে লেনদেন সকাল ১০টায় শুরু হয়ে চলবে বেলা ২টা ২০ মিনিট পর্যন্ত। এরপর ১০ মিনিট হবে পোস্ট ক্লোজিং। অফিস সময় হবে সকাল ৯টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত।

গত বৃহস্পতিবার দেশে ঈদুল ফিতর উদযাপিত হয়। ঈদ উপলক্ষে বুধ, বৃহস্পতি ও শুক্রবার সরকারি ছুটি ছিল। ঈদের পর ১৩ এপ্রিল শনিবার ছিল সাপ্তাহিক ছুটি। আর রবিবার (১৪ এপ্রিল) পহেলা বৈশাখ তথা বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে ছুটি। এভাবে ১০ থেকে ১৪ এপ্রিল টানা পাঁচ দিনের ছুটিতে ব্যাংক ও শেয়ারবাজার বন্ধ ছিল। তবে অনলাইনে ব্যাংকিং কার্যক্রম, এটিএম থেকে টাকা উত্তোলন, সিআরএমে টাকা জমা ইত্যাদি সেবা অব্যাহত ছিল।

ছুটি শেষে আজ চাকরিতে যোগ দেবেন কর্মজীবী মানুষ। অনেকেই ঈদের আগে সোমবার ও মঙ্গলবার বাড়তি ছুটি নিয়ে টানা ১০ দিন ছুটি ভোগ করেছেন। কারণ, এর আগে রবিবার শবে কদরের এবং শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি ছিল।


আরও খবর



খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে নেয়া হয়েছে

প্রকাশিত:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

শারীরিকভাবে অসুস্থতার কারণে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। রোববার (৩১ মার্চ) রাত পৌনে ৩টার দিকে তাকে সেখানে নেয়া হয়।

এদিন হঠাৎ স্বাস্থ্যের অবনতি হওয়ায় খালেদা জিয়াকে দেখতে গুলশানের বাসা ফিরোজায় যান চিকিৎসক দল। বাসায় জরুরি কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন চিকিৎসকেরা। পরে মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, তাকে হাসপাতালে নেয়া হয় । সেখানে তার আরো কিছু পরীক্ষা করা হবে।

গত বুধবার খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা কিছুটা খারাপ হয়। এরপর চিকিৎসকদের নিয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা গুলশানে তার বাসভবনে গিয়ে স্বাস্থ্যের কিছু পরীক্ষা করেন।

গত ১৩ মার্চ এভারকেয়ার হাসপাতালে নিয়ে খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের কিছু পরীক্ষা করা হয়েছিল। সেসময় একদিন সেখানে ছিলেন তিনি। গত বছরের ৯ আগস্ট তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।

তখন সেখানে ৫ মাসের বেশি সময় চিকিৎসা নেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী। পরে গত ১১ জানুয়ারি গুলশানের বাসায় ফেরেন বিএনপির চেয়ারপারসন।


আরও খবর



চাঁদ রাতে অমির নতুন গান, সঙ্গী আঁচল

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

এ সময়ের শ্রোতাপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী সৈয়দ অমি। চলতি বছরের শুরুতে তিনি নিয়ে আসেন দক্ষিণের আদলে মাতাল শিরোনামের একটি মিউজিক ভিডিও। এতে তিনি হাজির হয়েছিলেন জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা আঁচল আঁখির সঙ্গে। গানটি প্রকাশ্যে আসতেই দর্শকদের মধ্যে তুমুল সাড়া ফেলে। খুব কম সময়ে দর্শক-শ্রোতাদের মধ্যে গানটি ছড়িয়ে যায়। ইউটিউবে গানটি এ পর্যন্ত পাঁচশ মিলিয়ন দর্শক দেখেছেন। প্রতিনিয়ত বাড়ছে এর ভিউ। ডিজিটালের অন্য মাধ্যমেও মাতাল গানটি বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। সেখানেও হয়েছে কয়েক কোটি ভিউ।

তারই ধারাবাহিকতায় অমির নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলে চাঁদ রাতে আসছে নতুন আরও একটি গান-ভিডিও। শিরোনাম বেবি কথা ছুইনা যাও। পুরান ঢাকার কথায় গানটির কথা ও সুর গায়কের। এবারও গানটিতে মডেল হিসেবে আছেন সুলতানা বিবিয়ানাখ্যাত চিত্রনায়িকা আঁচল। গানটির সঙ্গীতায়োজন করেছেন এ এম ফরহাদ, কোরিওগ্রাফি করেছেন হাবিবুর রহমান। মিউজিক ভিডিও পরিচালনা করেছেন শুভ্র মেহরাজ।

মাতালর সাফল্য প্রসঙ্গে আঁচল-অমি বলেন, সবমিলিয়ে গানটি পাঁচশ মিলিয়ন মানুষ দেখেছে। তাদের এই ভালোবাসায় আমরা অভিভূত। একটি কাজ যখন মানুষের কাছে পৌঁছায় এবং তাদের পছন্দের তালিকায় যুক্ত হয় সেই অনুভূতি ব্যক্ত করা যায় না। এটি নতুন কাজের অনুপ্রেরণা দেয়।

নতুন গান প্রসঙ্গে সৈয়দ অমি বলেন, এই প্রথম পুরান ঢাকার ভাষায় গান লিখেছি। গানের কথায় পুরান ঢাকার অনেক ঐতিহ্য তুলে ধরা হয়েছে। তবে গানের শুটিং আমরা পুরান ঢাকায় করিনি। কুমিল্লা ম্যাজিক প্যারাডাইস পার্কে শুটিং করেছি। আমার বিশ্বাস মাতাল গানের মতো এই গানটিও জনপ্রিয়তা পাবে।

জানা গেছে, বেবি কথা ছুইনা যাও গানটিতে আঁচল হাজির হচ্ছেন কোটিপতি বাপের আদরের মেয়ে চরিত্রে। ওয়েস্টার্ন লুক, লন্ডন আমেরিকা বিভিন্ন দেশে ঘুরতে পছন্দ করেন। অন্যদিকে, সৈয়দ অমি খাঁটি পুরান ঢাকার ছেলে।

এছাড়াও আসন্ন ঈদে অমির আরো কয়েকটি গান মুক্তি পাচ্ছে। তার মধ্যে অন্যতম জসিম উদ্দিন জাকির পরিচালিত আনিসুর রহমান মিলন, সাইমন সাদিক, শবনম বুবলী ও রোশান অভিনীত মায়া দ্য লাভ সিনেমার তুমি ছাড়া চাই না কিছু অন্যতম। বুধবার সন্ধ্যায় গানটি মুক্তি পেয়েছে। এই গানটি নিয়েও বেশ আশাবাদী সৈয়দ অমি।


আরও খবর
নতুন রেকর্ড গড়লেন টেইলর সুইফট

রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪