আজঃ সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

মধ্যরাত থেকে ঘন কুয়াশার পূর্বাভাস

প্রকাশিত:রবিবার ১৭ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১৭ ডিসেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশের নদী অববাহিকায় মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত মাঝারী থেকে ঘন কুয়াশা এবং দেশের অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারী ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। আজ রোববার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সারাদেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। এছাড়াও অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। 

আরও পড়ুন>> গাজীপুরে রেললাইনে নাশকতার ঘটনায় গ্রেপ্তার ৭

আবহাওয়ার সিনপটিক অবস্থায় বলা হয়েছে, উপ-মহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। ঢাকায় আজ পশ্চিম/উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৮-১২ কিলোমিটার গতিতে বাতাস প্রবাহিত হচ্ছে।

আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল তেঁতুলিয়ায় ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল টেকনাফে ৩০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আজ সকাল ৬টায় ঢাকায় বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল ৮১ শতাংশ। ঢাকায় আজ সূর্যাস্ত সন্ধ্যা ৫টা ১৪ মিনিটে এবং আগামীকাল ঢাকায় সূর্যোদয় ভোর ৬টা ৩৫ মিনিটে। আগামী ৫ দিনের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে।


আরও খবর



সূর্যগ্রহণ সম্পর্কে যেসব ‘ভুল ধারণা’ পরিবর্তন জরুরি

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

৫০ বছরের মধ্যে দীর্ঘতম সূর্যগ্রহণ ঘটবে আজ। বিরল এ সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে  যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো এবং কানাডা থেকে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে আজ যেভাবে পূর্ণ সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে ২০৪৪ সালের মধ্যে এমনটি আর দেখা যাবে না। সূর্যকে পুরোপুরি ঢেকে ফেলবে চাঁদ। স্থানীয় সময় ১১টা ৭ মিনিটে মেক্সিকোর প্রশান্ত মহাসাগরীয় উপকূলে দেখা যাবে প্রথম সূর্যগ্রহণ। এরপর চাঁদের ছায়া আস্তে আস্তে সরে যাওয়ার কারণে যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ২৭ মিনিটে দৃশ্যমান হবে সূর্যগ্রহণ।

মহাজাগতিক এ ঘটনা ঘিরে যুগ যুগ ধরে বাংলাদেশ সহ পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গাতেই নানারকম ধারণা চালু রয়েছে। ঢাকা বিশ্যবিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞানের অধ্যাপক নওরীন আহসান বলছেন, এসব ধারণার প্রায় সবগুলোই সম্পূর্ণ ভুল এবং এসবের কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই।

সূর্যগ্রহণ সম্পর্কে এরকম কয়েকটি ভুল ধারণা তুলে ধরা হলো এই প্রতিবেদনে:

রান্না করা, খাবার খাওয়া : এরকম একটি কুসংস্কার প্রচলিত রয়েছে যে, সূর্যগ্রহণের সময় কোনো ধরণের খাবার বা পানীয় গ্রহণ করলে তা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। অনেক জায়গায় এরকমও ধারণা রয়েছে যে সূর্যগ্রহণের সময় রান্না করা হলে সেটিও অমঙ্গলজনক। কিন্তু এরকম ধারণার কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি বিজ্ঞানীরা কখনোই পাননি।

গর্ভবতী নারীদের বাইরে বের হওয়া : প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী, সূর্যগ্রহণের সময় গর্ভবতী নারীরা ঘরের বাইরে বের হলে গর্ভের সন্তানের শরীরে বিশেষ ধরণের জন্মদাগ থাকতে পারে। এমনকি সন্তানের হৃৎপিণ্ডে ছিদ্র থাকা বা বিকলঙ্গতা নিয়েও সন্তান জন্ম নিতে পারে। তাই, 'সংস্কার' আছে, সূর্যগ্রহণের সময়ে গর্ভবতী নারীদের ঘরের বাইরে যাওয়া ঠিক হবে না। এই ধারণাও বৈজ্ঞানিকভাবে ভিত্তিহীন হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে অনেক আগেই।

ভ্রমণ না করা : সূর্যগ্রহণ চলাকালীন ভ্রমণ করলে তা অমঙ্গলজনক - এমন একটি ধারণা প্রচলিত রয়েছে অনেক মানুষের মধ্যেই। আরেকটি ধারণা রয়েছে যে, সূর্যগ্রহণের সময় ভ্রমণ করলে গ্রহণের সময় সূর্য থেকে নিঃসৃত ক্ষতিকর রশ্মি গায়ে লেগে ত্বকের ক্ষতি করতে পারে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞানের অধ্যাপক নওরীন আহসান বলেন, গ্রহণের সময় সূর্য থেকে আলাদা কোনো ক্ষতিকর রশ্মি নিঃসরণ হয় না, কাজেই আলাদাভাবে কোনো ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না।

গ্রহণের পর গোসল করা : সূর্যগ্রহণের ফলে তথাকথিত যেসব ক্ষতিকর রশ্মি শরীরের সংষ্পর্শে আসে, সেসব রশ্মির ক্ষতিকর প্রভাব থেকে ত্বককে রক্ষা করতে গ্রহণের শেষে গোসল করার উপদেশ দেয়া হয়ে থাকে কিছু ক্ষেত্রে। এই ধারণাটিও সম্পূর্ণ অবৈজ্ঞানিক বলে মন্তব্য করেন অধ্যাপক নওরীন আহসান।

তিনি বলেন, সাধারণ অবস্থায় সূর্যের রশ্মি গায়ে লাগলে যতটা ক্ষতি হোতো, সূর্যগ্রহণের সময় তার চেয়ে বেশি ক্ষতির সম্ভাবনা নেই। কাজেই সূর্যগ্রহণের সময় যে আলাদাভাবে অতিরিক্ত ক্ষতি হবে, এই ধারণার কোনো ভিত্তি নেই।

বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করে সূর্যগ্রহণ দেখা : সূর্যগ্রহণ দেখার ক্ষেত্রে চোখের সুরক্ষার জন্য বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করার উপদেশ দেয়া হয়ে থাকে। যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ বিষয়ক সংস্থা নাসা খালি চোখে সূর্যগ্রহণ দেখা থেকে বিরত থাকতে উপদেশ দিয়েছে। সামান্য সময়ের জন্যও খালি চোখে সূর্যগ্রহণ দেখলে চোখের ক্ষতি হতে পারে বলে সতর্ক করেছে তারা।

তবে পদার্থবিজ্ঞানের অধ্যাপক নওরীন আহসানের মতে, শুধু সূর্যগ্রহণের দিনই যে সূর্যের দিকে খালি চোখে তাকানো উচিত নয় - এমনটা নয়। তিনি বলেন, সূর্যগ্রহণের দিন মানুষ সূর্যের দিকে খালি চোখে তাকায়, কারণ সেদিন সূর্যের প্রখরতা অন্যান্য সময়ের চেয়ে অনেক কম থাকে। তাই মানুষের অনেকক্ষণ যাবৎ তাকিয়ে থাকার সম্ভাবনা ও সুযোগ থাকে - যেটি ক্ষতির কারণ হতে পারে।

অধ্যাপক নওরীন আহসান আরও বলেন, যে কোনো সাধারণ দিনে মানুষ সূর্যের দিকে কিছুক্ষণ তাকালেও চোখের ক্ষতি হবে। পার্থক্যটা হলো, সাধারণ দিনে মানুষ তাকায় না, সূর্যগ্রহণের সময় মানুষ তাকায়, তাই বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে বলা হয়।

নিউজ ট্যাগ: সূর্যগ্রহণ

আরও খবর
গরমে যে কারণে দই খাওয়া জরুরি

রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪




দুর্দান্ত বোলিংয়ের পরও স্বস্তিতে নেই বাংলাদেশ

প্রকাশিত:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

৪৫৫ রানের লিড নিয়ে চট্টগ্রাম টেস্টের তৃতীয় দিন শেষ করেছে শ্রীলঙ্কা। বাংলাদেশের বোলাররা দ্বিতীয় ইনিংসে ১০২ রানে লঙ্কানদের ৬ উইকেট তুলে নিলেও লিড সাড়ে চারশ ছাড়িয়ে যাওয়ায় স্বস্তিতে নেই স্বাগতিকরা। বাংলাদেশকে দুইশর আগে অলআউট করে প্রথম ইনিংসে ৩৫৩ রানের লিড নেয় সফরকারীরা।

বাংলাদেশকে ফলো-অন না করিয়ে চা-বিরতির পর দ্বিতীয় ইনিংসের ব্যাটিং শুরু করে শ্রীলঙ্কা। প্রথম ইনিংসে ৫৩১ রান করলেও লঙ্কানরা ধুঁকছে এবার। হাসান মাহমুদ চারটি ও খালেদ আহমেদ দুটি উইকেট তুলে নিয়ে ধস নামান। ৮৯ রানে ৯ উইকেট হারায় তারা। ৭ রানে জীবন পাওয়া অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস ৩৯ রানে অপরাজিত আছেন। ৫০ বলের ইনিংসে ছিল তিনটি চারের মার।

হাসানের বলে শাহাদাত হোসেন দীপুর হাতে ক্যাচ দিয়েছিলেন ম্যাথুস। জীবন পেয়ে রয়েছেন ফিফটির পথে। সিলেট টেস্টের মতোই প্রথম ইনিংসই ম্যাচে গড়ে দিয়েছে ব্যবধান।

১৮০, ১৩৯, ১৮৮, ১৮২, ১৭৮ টেস্টে টানা পাঁচ ইনিংসে বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের চিত্র। সবগুলোই ঘরের মাটিতে। শেষের তিনটি স্কোর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। লঙ্কানদের ৫৩১ রানের জবাবে চট্টগ্রাম টেস্টে স্বাগতিকরা গুটিয়ে গেছে ১৭৮ রানে। জাকির হাসান সর্বোচ্চ ৫৪ রান করেন।

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিলেটে প্রথম টেস্টে বাংলাদেশ ১৮৮ ও ১৮২ তে অলআউট হয়ে ৩২৮ রানের বিশাল ব্যবধানে পরাজিত হয় নাজমুল হোসেন শান্তর দল।

চট্টগ্রামের ব্যাটিং উইকেটেও ভাগ্য ফেরেনি বাংলাদেশের। থামতে হয় দুইশর আগে। তার আগে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে মিরপুরে দ্বিতীয় টেস্টে ১৮০ ও ১৩৯ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ।

দ্বিতীয় উইকেটে প্রতিরোধ ভাঙার পর দ্রুত আরও দুই ব্যাটারকে হারিয়ে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। সেখান থেকে আর বের হতে পারেনি। সাকিব আল হাসান, লিটন দাস, শাহাদাত হোসেন দীপু দ্রুত ফিরলে অল্পতেই গুটিয়ে যায় স্বাগতিকরা।

আসিথা ফার্নান্ডো নেন চারটি উইকেট। দুটি করে উইকেট শিকার করেছেন লাহিরু কুমারা, প্রবথ জয়াসুরিয়া ও বিশ্ব ফার্নান্ডো।

চট্টগ্রাম টেস্টের দ্বিতীয় দিনের পড়ন্ত বিকেলে নাইটওয়াচম্যান হিসেবে নেমেছিলেন। তৃতীয় দিন প্রথম ঘণ্টায় নিজের উইকেট অক্ষত রাখেন টাইগার বাঁহাতি স্পিনার।

দলীয় ৯৬ রানে বিশ্ব ফার্নান্দোর বলে আউট হন জাকির। ১ রান করে ফিরে যান অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। এরপর তাইজুলও আউট হন। ৯৬/১ থেকে বাংলাদেশের স্কোর হয়ে যায় ১০৫/৪।

শ্রীলঙ্কাকে ৫৩১ রানে থামিয়ে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালোই হয়েছিল বাংলাদেশের। দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ হওয়ার খানিকটা সময় আগে ভুল করে বসেন মাহমুদুল হাসান জয়। লাহিরু কুমারার বলে লাইন মিস করে বোল্ড হন শেষবেলায়।

৪২ বলে তিন চারে ২১ রান করে সাজঘরে ফেরেন জয়। ওপেনিংয়ে জাকিরের সঙ্গে জমে যাওয়া জুটি ভাঙে ৪৭ রানে। ৮২ রানে শেষ ৯ উইকেট হারিয়ে ফলো-অনে পড়ে বাংলাদেশ।


আরও খবর



বড় ব্যবধানে হেরে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

প্রথম ইনিংসের তুলনায় চট্টগ্রাম টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং ও বোলিং উভয় বিভাগে বাংলাদেশ ভালো করেছে। তবে ভাগ্যের পরিবর্তন হয়নি। সিলেট টেস্টের মতো চট্টগ্রাম টেস্টেও বড় ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। ফলে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হলো বাংলাদেশ।

চট্টগ্রাম টেস্টে হারটা আগেই নিশ্চিত হয়েছিল বাংলাদেশের। আজ পঞ্চম দিনে বাকি ছিল আনুষ্ঠানিকতা। সেই আনুষ্ঠানিকতা শেষে বাংলাদেশ ১৯২ রানে হেরেছে। শ্রীলঙ্কার ৫৩১ ও ১৫৭/৭ রানের জবাবে বাংলাদেশ ১৭৮ ও ও ৩১৮ রান করেছে।

মূলত শ্রীলঙ্কার প্রথম ইনিংসের পরই টেস্টের ফল কি হতে যাচ্ছে তা অনেকটাই পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল। বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসের পর তা নিয়ে আর কোনো সন্দেহ ছিল না। কেননা প্রথম ইনিংসে ৩৫৩ রানে পিছিয়ে থাকার পর ম্যাচে ভালো কিছু কল্পনা করাই কঠিন। সেখানে চতুর্থ ইনিংসে বাংলাদেশের সামনে লক্ষ্যমাত্রা দাঁড়ায় ৫১১ রান, যা দুঃস্বপ্ন বটে।

বিশাল এ রান তাড়া করার পথে একটা অতি মানবীয় ইনিংস দরকার হয়। কিন্তু বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংসে কেউ সেই কাজটি করতে পারেননি। চতুর্থ দিনে বাংলাদেশ যে ৭ ব্যাটার হারিয়েছিল তাদের মধ্যে কিছুটা উজ্জ্বল ছিলেন মমিনুল হক। কিন্তু শ্রীলঙ্কার ব্যাটারদের বিরুদ্ধে তা খুব কার্যকরও ছিল না। কেননা মাত্র ৫০ রানে আউট হয়েছিলেন তিনি। গতকাল পর্যন্ত ইনিংসে এটাই ছিল সর্বোচ্চ রান।

তবে মমিনুল হকের এই রান আজ টপকে গেছেন মেহেদি হাসান মিরাজ। ব্যাটারদের লজ্জা দিয়ে তিনি ৮১ রানে অপরাজিত। তাইজুল ইসলাম তাকে আরো কিছু সময় সঙ্গ দিতে পারলে হয়তো ইনিংসে বলার মতো একটা কিছু পাওয়া যেত। কিন্তু তাইজুল ইসলাম আউট হওয়ার পর বাংলাদেশ যে খুব তাড়াতাড়ি গুটিয়ে যাচেছ তা নিয়ে কারো কোনো সন্দেহ ছিল না। শেষ পর্যন্ত তাই হয়েছে। তাইজুল (১৪) আউট হওয়ার পর হাসান মাহমুদ (৬) ও খালেদ আহমেদ (২) আউট হয়ে যান। শেষ হয়ে যায় বাংলাদেশের লড়াই।

লাহিরু কুমারা ৪ উইকেট শিকার করছেন। এছাড়া কামিন্দু মেন্ডিস পেয়েছেন ৩ উইকেট।


আরও খবর



বিটিসিএল সার্ভারে ত্রুটি, খুলছে না সরকারি-বেসরকারি বহু সাইট

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানি লিমিটেড (বিটিসিএল) নিয়ন্ত্রিত তিনটি ডোমেইন সার্ভারে হঠাৎ করেই দেখা দিয়েছে ত্রুটি। ফলে মঙ্গলবার রাত থেকেই এসব ডোমেইন সার্ভার নিয়ন্ত্রিত কোনো সরকারি-বেসরকারি ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে পারছেন না ব্যবহারকারীরা।

যেসব ওয়েবসাইটের শেষে ডট গভ, ডট বিডি, ডট বাংলা বা ডট কম ডট বিডি রয়েছে সেগুলো বিটিসিএলের সার্ভার থেকে নিয়ন্ত্রণ করা হয়। দেশের প্রায় সবগুলো মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট এসব ডোমেইন দিয়ে বানানো। ফলে সেগুলোতে প্রবেশ করতে পারছেন না ব্যবহারকারীরা। এ ছাড়া ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান দারাজ, ইভ্যালি ও সংবাদ সংস্থা ইউএনবিসহ বহু বেসরকারি ওয়েবসাইট এসব ডোমেইন দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করায় সেগুলোতেও প্রবেশ করা যাচ্ছে না।

জানা যায়, মঙ্গলবার রাত থেকে বিটিসিএল নিয়ন্ত্রিত তিনটি ডোমেইন সার্ভারে ত্রুটি দেখা দিয়েছে। এর ফলেই ব্যবহারকারীরা সরকারি-বেসরকারি ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে পারছেন না।


আরও খবর



লালমনিরহাটে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রেনে ইঞ্জিনের ধাক্কা, অর্ধশত যাত্রী আহত

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

লালমনিরহাট রেলওয়ে স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রেনে ইঞ্জিনের ধাক্কায় প্রায় অর্ধশত যাত্রী আহত হয়েছেন। শনিবার (৩০ মার্চ) দুপুরে লালমনিরহাট রেলস্টেশনে বুড়িমারী থেকে ছেড়ে আসা পার্বতীপুরগামী ৪৬১ নম্বর কমিউটার ট্রেনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

রেলকর্মী ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বুড়িমারী থেকে ছেড়ে আসা পার্বতীপুরগামী ৪৬১ নম্বর কমিউটার ট্রেনটি লালমনিরহাট রেলস্টেশনের প্ল্যাটর্ফমে দাঁড়ায়। এ সময় ট্রেনের ইঞ্জিন পরিবর্তন করতে আগের ইঞ্জিন নিয়ে লোকোশেডে চলে যান চালক।

পরে লোকোশেড থেকে অপর ইঞ্জিন নিয়ে বগিতে সংযোগ দেওয়ার সময় সজোরে ধাক্কা দিলে কমিউটার ট্রেনটির প্রায় অর্ধশত যাত্রী বগিতেই ছিটকে পড়ে আহত হন।

স্থানীয় বাসিন্দাদের সহায়তায় রেলকর্মীরা আহতদের উদ্ধার করে লালমনিরহাট রেলওয়ে হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। তবে আহতদের মধ্যে দুজন নারী যাত্রী মাথা ও হাতে প্রচণ্ড আঘাত পাওয়ায় তাদের রংপুরে পাঠানো হয়েছে। আর বাকি আহতদের ওই ট্রেনেই গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।

এ ঘটনায় লালমনিরহাট রেলস্টেশনের মাস্টার নুরুন্নবী ইসলাম বলেন, লোকোশেড থেকে ইঞ্জিন নিয়ে বগিতে সংযোগ দিতে জোরে ধাক্কা লাগায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। প্রায় ৪০-৫০ জন যাত্রী সামান্য আঘাত পেয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। এ ঘটনায় লোকো বিভাগের চালক গৌর গোবিন্দের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। তিনি ট্রেন নিয়ে ফিরলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে লোকো বিভাগ।

এ ব্যাপারে জানতে লালমনিরহাট রেলওয়ের বিভাগীয় ব্যবস্থাপক আব্দুস সালামকে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেননি।


আরও খবর