
মায়িশা ফারহা
এক সংগ্রামী নারী । পেশায় ছিলেন একটি কিন্ডার গার্ডেনের শিক্ষিকা , তবে করোনা সংকটে
চাকরি হারান তিনি ।জীবন যুদ্ধে বারবার পরাস্থ হয়েও নিরন্তর ঘুরে দাড়ানোর চেষ্টা করে
চলেছেন । কয়েক মাস আগে করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যান স্বামী । মধ্যবিত্ত পরিবারটি মুর্হূতেই
নিঃশেষ হয়ে যায় ।
জীবন এগিয়ে নিতে
মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুড়েছেন কাজের আশায়,মানুষের কাছে হাত পেতেছেন দুইটি শিশু ও বৃদ্ধা
মাকে নিয়ে বেঁচে থাকার জন্য । মানুষের নিরবতা দেখে বাধ্য হন মায়িশা ২ হাজার টাকা বেতনে
পরিছন্নতাকর্মী হিসেবে চাকরিতে যোগ দিতে । বেঁচে থাকার সংগ্রামে যে হাতে কলম তুলে নিয়েছিলেন
সে হাতেই তুলে নেন পরিচ্ছন্নতা কর্মীর ঝাড়ুর ও কাটার ।
দেশের শীর্ষস্থানীয়
একটি পত্রিকায় মায়িশাকে নিয়ে ‘শিক্ষিকা থেকে মায়িশা এখন পরিছন্নতাকর্মী’ শিরোনামে খবর প্রকাশিত হলে উদ্দীপনের
চেয়ারম্যান ড. মিহির কান্তি মজুমদারের নজরে আসে । মুহূর্তেই ডেকে পাঠান মায়িশাকে ।
শিক্ষাগত যোগ্যতা অনুযায়ী উন্নয়ন সংস্থা উদ্দীপন বগুড়া শাখায় প্রোগরাম অফিসার হিসেবে
নিয়োগ দেন ।
এসময় আবেগ ও ভালোবাসায়
উচ্ছ্বসিত মায়িশা ফারাহ উদ্দীপন সংস্থার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। পাশাপাশি বগুড়ার
পুলিশ সুপার সুদ্বীপ চক্রবর্ত্তী ও উদ্দীপনের
চেয়ারম্যান ড. মিহির কান্তি মজুমদারে উদারতা ও মানবিক গুণাবলীর ভূয়সী প্রশংসা করেন।
এ নিয়ে উদ্দীপনের চেয়ারম্যান ড. মিহির কান্তি মজুমদার বলেন, মানুষের পাশে মানুষ দাঁড়াবে সেটাই স্বাভাবিক । তাছাড়া আমরা তারা যোগ্যতার নিরীক্ষে তাকে মূল্যায়িত করেছি ।