আজঃ রবিবার ০৫ মে ২০২৪
শিরোনাম

মাটি ছাড়াই তৈরি হচ্ছে টেকশই ও পরিবেশ বান্ধব ইট

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৯ অক্টোবর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৯ অক্টোবর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
জুয়েল বসুনীয়া, নীলফামারী

Image

মাটি ছাড়াই তৈরি হচ্ছে অত্যাধুনিক কংক্রিট ইটের ব্লক। দেখতে সুন্দর, টেকশই ও পরিবেশ বান্ধব। এসব কংক্রিটের ব্লক সরকারি প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি বেসরকারিভাবেও শুরু হয়েছে ব্যবহার। নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরের বাইপাস সড়কের ধলাগাছ মোড় সংলগ্নে বসানো হয়েছে এই ব্লক ইট তৈরির মেশিন। প্রতিঘন্টায় সেখানে তৈরি হচ্ছে এক হাজার থেকে এক হাজার ২শ' ইট।

এলাকাবাসীরা জানান, পরিবেশবান্ধব ও জমির মূল্যবান মাটি নষ্ট না করেই জার্মান প্রযুক্তিতে আগুনে না পুড়িয়ে, পাথর গুঁড়া ও সিমেন্ট দিয়ে অত্যাধুনিক ভাবে তৈরী হচ্ছে ব্লক ইট। শ্রমিকরা কারখানার পাশে স্তুপ করা পাথর, সিমেন্ট, সিলেকশন সেন্ড ট্রলিতে এনে হপারে ঢেলে দেন। পরে মিক্সার মেশিনে অন্যান্য উপকরণ মিশ্রিত করে কনভেয়ার বেল্টের মাধ্যমে ভাইব্রো মাল্টি ক্যাভিটি মোল্ডিং মেশিনের মাধ্যমে তৈরি করা হয় এই ইট। মাত্র কয়েক মিনিটের ব্যবধানে সারি সারিভাবে মেশিন থেকে বেরিয়ে আসে পরিবেশবান্ধব ব্লক ইট। এই অত্যাধুনিক ইট কিনতে দূর-দূরান্ত থেকে আসছেন অনেকে। এ কারখানায় ১৫/২০ জন লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে।

প্রতিষ্ঠানটির মালিক সৈয়দপুরের কলিম মোড় এলাকার হাজী হারুন অর রশীদ জানান, ঢাকার পূর্বাচলে এই ব্লক ইট তৈরির স্থান সংকুলান না হওয়ায় তিনি কারখানাটিকে এখানে নিয়ে আসেন এবং কংক্রিটের ইটের ব্লক তৈরির কাজ শুরু করেন।

তিনি বলেন, এইচএইচএ কংক্রিট অ্যান্ড ব্রিকস লিমিটেড কংক্রিট ইটের ব্লক বের করে প্রথমে একটু সন্দেহ ছিলো এটি চলবে কিনা। কিন্ত দিন দিন চাহিদার কারণে অনেকটা আশাবাদি। এই ব্লকের ইট একদিকে পরিবেশ দূষণ কমাবে, অন্যদিকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা পাবে কৃষি জমি ও বনাঞ্চল।

ওই প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপক মো. রেজা আজকের দর্পণকে জানান, এখানে চার ধরণের কংক্রিট ইটের ব্লক তৈরি করা হয়। এগুলো হচ্ছে বিল্ডিং বাড়ির জন্য কংক্রিট ইট, ব্লক ইট ও রাস্তা তৈরির কাজের জন্য ইউনি ব্লক ও হলো কার্বস্টল ব্লক। বিল্ডিং তৈরির ব্লক অনেকটা সিমেন্টের কালারের মতো আর রাস্তা তৈরির ব্লক রঙিন ধূসর হয়ে থাকে। রঙিন ব্লকটি সরকারি রাস্তার কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে। সৈয়দপুরের বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের কাজেও এই ইটের ব্যবহার হচ্ছে।

তিনি জানান, এসব ইটের ব্লক তৈরির পাথর ও বালু আনা হচ্ছে পঞ্চগড়ের ভজনপুর থেকে। এই কারখানাটি ২০২৩ সালের গোড়ার দিকে উৎপাদন শুরু করে। ২২ শতক জমিতে প্রতিষ্ঠানটি গড়ে উঠেছে।  তিনি বলেন, মাটির তৈরির ইটের পিএসআই থাকে ৮০০ থেকে ১০০০ আর এসব ব্লকের পিএসআই ১৮০০ থেকে ২৫০০০। ফলে এগুলো খুবই টেকশই, পরিবেশ বান্ধব, অর্থ সাশ্রয়ী। প্রতি হাজার বিক্রি হচ্ছে ১১ হাজার থেকে সাড়ে ১১ হাজার টাকায়।

সৈয়দপুর উপজেলা প্রকৌশলী এম আর রাজু আজকের দর্পণকে জানান, মাটির তৈরি পোড়া ইটের বিকল্প হিসেবে কংক্রিটের ইট কৃষিবান্ধব, পরিবেশবান্ধব। তাই ইটের বিকল্প হিসেবে বাড়ছে কংক্রিট ব্লকের ইট ব্যবহার। এলজিইডির রাস্তার কাজে কংক্রিটের তৈরি ইউনি ব্লক ব্যবহার শুরু হয়েছে।


আরও খবর



ঈদের দিন কেমন থাকবে আবহাওয়া

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

চাঁদ দেখার সাপেক্ষে বাংলাদেশে ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে আগামী বৃহস্পতিবার। ওই দিন আবহাওয়া কেমন থাকবে সে বিষয়ে ধারণা দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এক পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালের দিকে তাপমাত্রা কিছুটা সহনীয় থাকলেও দুপুরের দিকে তাপমাত্রা বাড়তে পারে। ওই দিন দেশের কোনো কোনো স্থানে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহও বয়ে যেতে পারে। এছাড়া আগামী দুদিন (বুধ-বৃহস্পতি) বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। তবে, যেহেতু কালবৈশাখীর সময় তাই যেকোনো সময় পরিস্থিতি পরিবর্তন হতে পারে।

আবহাওয়াবিদ তরিফুল নেওয়াজ কবির মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) এক পূর্বাভাসে জানিয়েছেন, ঈদের দিন (বৃহস্পতিবার) বিক্ষিপ্তভাবে কিছু জায়গায় বৃষ্টি হলেও তাপমাত্রা বাড়ার প্রবণতা থাকবে। এদিন আবহাওয়া মূলত শুষ্ক থাকবে। মঙ্গল ও বুধবার তাপমাত্রা বাড়বে, ঈদের দিনও সেটা অব্যাহত থাকবে। তবে বিক্ষিপ্তভাবে দুয়েক জায়গায় বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।

আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রাজশাহী, খুলনা, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া অন্যান্য জায়গায় আকাশ আংশিক মেঘলা এবং আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

আবহাওয়ার দীর্ঘমেয়াদী পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, এপ্রিল মাসে দুই-চারটি মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। আর এক থেকে দুটি তীব্র থেকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ হতে পারে, সে সময় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রিতে উঠতে পারে। সেই সঙ্গে থাকবে কালবৈশাখীর দাপট। বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ অথবা ঘূর্ণিঝড় তৈরি হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।


আরও খবর



ঈদের সময় দুই দিন বন্ধ মেট্রোরেল

প্রকাশিত:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আগামীকাল বৃহস্পতিবার পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন মেট্রোরেল বন্ধ থাকবে। ঈদুল ফিতরের পরের দিন শুক্রবার। ওই দিন মেট্রোরেলের সাপ্তাহিক ছুটি। ফলে টানা দুদিন মেট্রোরেল বন্ধ থাকছে।

বুধবার সকালে এ তথ্য জানিয়েছেন ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) উপব্যবস্থাপক নাজমুল ইসলাম ভূঁইয়া। তিনি বলেন, আগের ঘোষণা অনুযায়ী ঈদের দিন মেট্রোরেল বন্ধ থাকবে। গত বছরের ঈদেও বন্ধ ছিল মেট্রো চলাচল।

নাজমুল ইসলাম ভূঁইয়া আরও বলেন, বৃহস্পতিবার ঈদের দিনের বন্ধ। আর শুক্রবার তো সাপ্তাহিক ছুটির দিন। এর ফলে মেট্রোরেল চলাচল দুদিন বন্ধ থাকবে। আগামী শনিবার থেকে সময়সূচি মেনেই চলবে মেট্রোরেল।

পবিত্র রমজান মাসের প্রথম দিকে মেট্রোরেলে প্রতিদিন গড়ে ২ লাখ ৪০ থেকে ৪৫ হাজার যাত্রী চলাচল করেছেন। রমজানের আগে এ সংখ্যা ছিল ২ লাখ ৯৫ হাজারের মতো। ১৬ রমজান থেকে মেট্রোরেলের চলাচল এক ঘণ্টা বাড়ানোর পর যাত্রীর সংখ্যা বেড়েছে। গত পাঁচ দিনে গড়ে ২ লাখ ৯০ হাজার আবার কোনো কোনো দিন তিন লাখ করে যাত্রী চলাচল করেছেন।

মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ এর আগে বলেছিল, সংস্থাটির নিজস্ব কর্মীদের দিয়ে মেট্রোরেল চালানো হচ্ছে। স্বাভাবিকের চেয়ে তাদের কর্মীর সংখ্যা কম। ফলে ঈদের দিন মেট্রোরেল চালু রাখলে প্রায় সবাইকে ঈদ বাদ দিয়ে কাজে ব্যস্ত থাকতে হবে।তাই কর্মীদের স্বস্তি দিতে মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ থাকছে। এছাড়া ঈদের সময় যাত্রী সংখ্যাও কম থাকে।


আরও খবর



চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ ৪৩ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

Image

অব্যাহত অতি তীব্র তাপদাহে স্বস্তি নেই চুয়াডাঙ্গায়। সকাল থেকেই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে এখানকার জনপদ। বাতাসে আদ্রতার পরিমাণ বেশি থাকায় অনুভূত হচ্ছে ভ্যাপসা গরম। এরই মাঝে আজ মৌসুমের সব রেকর্ড ভেঙে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায় রেকর্ড করা হয়েছে।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় চুয়াডাঙ্গা জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪৩ দশমিক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান।

তিনি বলেন, চুয়াডাঙ্গায় আজ মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামী দুই দিন এমন অবস্থা বিরাজ করতে পারে।

এ দিকে স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, দুপুর থেকেই মরুভূমির মতো তাপ অনুভূত হচ্ছে চুয়াডাঙ্গায়। তীব্র গরমে হাঁসফাঁস করছে প্রাণিকূল। অস্বস্তি বাড়ছে জনজীবনে।

চলমান তাপদাহে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে রয়েছেন শ্রমজীবীরা। তীব্র তাপদাহে নষ্ট হচ্ছে ধান, ভূট্টা, কলা, আম, লিচুসহ মৌসুমি ফসল।


আরও খবর



নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে আরও ৫০ বিজিপি সদস্যের অনুপ্রবেশ

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড জামছড়ি সীমান্ত দিয়ে নতুন করে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছে মিয়ানমান সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিপি) প্রায় ৫০ জন সদস্য। বিজিবি সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয়া জানায়, গত কয়েক দিন ধরে দুই-একজন করে মিয়ানমারের বিজিপি, সেনা সদস্য প্রবেশ করছিল। তবে আজ সকাল থেকে বিভিন্ন সময় ১৮ জন অনুপ্রবেশ করে। আর রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী আরকান আর্মির সঙ্গে ওই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিজিপি) ও সেনাবাহিনীর সঙ্গে বেশ গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। গোলাগুলির একপর্যায়ে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিপি) প্রায় ৫০ সদস্য বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশ করে।

এ নিয়ে গত কয়েকদিনে মিয়ারমারের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিজিপি) ও সেনা সদস্য মিলে প্রায় ৮০ জনের মত বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।

বিজিবি সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমারের সেনা-বিজিপির ১৮ সদস্য পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। মঙ্গলবার সকালে রেজু আমতলীপাড়া সীমান্ত দিয়ে ২ জন এবং জামছড়ি সীমান্ত দিয়ে ১০ জন বাংলাদেশে ঢুকেছেন। এরপর দুপুরে বাইশফাড়ি সীমান্ত দিয়ে আসেন আরও ১ জন প্রবেশ করে।

সর্বশেষ বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে জমছড়ি সীমান্ত দিয়ে আরও ৫ জন ঢোকেন। এ ১৮ জনের মধ্যে বিজিপির ছাড়াও সেনা সদস্য রয়েছেন। আজ রাতে আরও প্রায় ৫০ জনের মত সদস্য নতুন করে অনুপ্রবেশ করে।

তবে কোনো বাহিনীর কত জন সদস্য তা এখন বলা যাচ্ছে না। এদের কাছ থেকে অস্ত্র জমা নিয়ে বিজিবি তাদের হেফাজতে নিয়েছে। এখন নাইক্ষ্যংছড়ি সদরে ১১ বিজিবির হেফাজতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।


আরও খবর



সুন্দরগঞ্জে তীব্র গরমে বাড়ছে শিশু রোগীর চাপ ওষুধের তীব্র সংকট

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
জুয়েল রানা, সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি

Image

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে তীব্র গরমের কারণে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চাপ বাড়ছে শিশু রোগীর। ৫০ শয্যা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রতিদিনেই চার থেকে পাঁচজন শিশু রোগী ভর্তি হচ্ছে। চিকিৎসক ও নার্সরা চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন। ভর্তি থাকা রোগীর পাশাপাশি বহির বিভাগে গরমজনিত কারণে নতুন নতুন রোগীর চাপ দেখা দিয়েছে। প্রতিদিন তিন থেকে চারজন ডাক্তার বহির বিভাগে তিন থেকে চার'শ রোগীকে সেবা প্রদান করছেন। তারপরেও চিকিৎসা সেবা নিতে আসা রোগীর স্বজনদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা যায়।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, প্রচন্ড গরমে স্বাভাবিক জনজীবনে ভোগান্তি নেমেছে। গত ১৪/১৫ দিন ধরে তাপমাত্রা ৩৮ থেকে ৪২ সেলসিয়াসে ডিগ্রি ওঠানামা করছে। ফলে বিভিন্ন বয়সি রোগীর পাশাপাশি শিশুরা জ্বর, সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ায়সহ নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসছেন। এদের মধ্যে কেউ ভর্তি হচ্ছে কেউ আবার চিকিৎসা নিয়ে বাসায় চলে যাচ্ছে। ৫০ শয্যা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একসঙ্গে এত শিশু রোগীকে চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে কর্মরত ডাক্তার ও নার্সদের।

শিশু রোগীর বাবা আল-আমিন বলেন, প্রচন্ড গরমে গতকাল আমার মেয়ে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হলে আমি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এসে ভর্তি করি। এখানে এসে দেখি শিশু রোগীর সংখ্যায় বেশি। ডাক্তার নার্সরা রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিচ্ছে কিন্তু সব ওষুধ বাহীর থেকে আনতে হচ্ছে নার্সদের কাছে ওষুধ চাইলে ওষুধ নেই ওষুধ সংকট বলে ওষুধের টোকেন দিয়ে কিনে আনতে বলছে বাধ্য হয়ে কিনে আনতেছি।

তিনি বলেন, তবে এত বড় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিদ্যুৎ চলে গেলে জেনারেটর বা বিকল্প কোন ব্যবস্থা না থাকায় গরমে রোগী ও রোগীর স্বজনদের হাসফাঁস অবস্থা। রাতে বিদ্যুৎ না থাকালে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভূতুড়ে পরিবেশ সৃষ্টি হয়।

নবজাতক শিশুর টিকা নিতে আসা এক মা শারমিন আক্তার বলেন, শিশুর টিকা দিতে আসতেছি কয়েকদিন থেকে শুধু ঘুরে যাচ্ছি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে টিকা শেষ হয়েছে কখন আসবে তাও জানেন না।

টিকাপ্রদানকারি নার্স জানান, প্রায় ১ মাস থেকে ডিপিটি, পিসিভি ও বিওপিভি টিকার সংকট দেখা দিয়েছে টিকা না থাকলে আমাদের কিছু করার নাই।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডাঃ তারিকুল ইসলাম জানান, সারা দেশের মতো সুন্দরগঞ্জে দাবদাহ বেশি হচ্ছে। ফলে রোগীর সংখ্যা একটু বেশি। তবে এখনো হিট স্ট্রোকে কেউ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়নি। তবে গরমের কারণে শিশু ও বৃদ্ধরাই বেশি অসুস্থ ভর্তি হচ্ছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ রেজয়ানুর রহমান জানান, প্রচন্ড গরমের কারণে শিশু ও বয়স্করা বেশি অসুস্থ হচ্ছে ফলে রোগীর চাপ একটু বেশি।

ওষুধের বিষয় জানতে চাইলে তিনি আরও বলেন, বছর শেষে কিছু ওষুধ ও শিশুদের টিকার সংকট দেখা দিয়েছে আমরা চাহিদা পাঠানো হয়েছে আশাকরি দ্রুত ওধুষ ও টিকা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসবে।

এবিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ সায়্যিদ মুহাম্মদ আমরুল্লাহ সাথে মোবাইলে অনেক বার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।


আরও খবর