আজঃ শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪
শিরোনাম

মাসে কোটি টাকার ডাব বিক্রি হয় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ আগস্ট ২০২২ | হালনাগাদ:সোমবার ০৮ আগস্ট ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
Image

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি:

তীব্র গরমে তৃষ্ণা মেটাতে ডাবের চাহিদা এখন তুঙ্গে। তাই ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়ও জমজমাট প্রাকৃতিক বিশুদ্ধ এই পানীয়র ব্যবসা। প্রতি মাসে অন্তত ১ কোটি টাকার ডাব বেচাকেনা হয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায়। ব্যবসায়ীরা বলছেন, এখন সারাবছরই ডাবের চাহিদা থাকে। আর চাহিদার সাথে সাথে ডাব ব্যবসার পরিধিও বাড়ছে। এতে কর্মসংস্থান হচ্ছে অনেকের। চিকিৎসকরাও গ্রীষ্মের এই তাপদাহের সময়টাতে শরীরের পানিশূণ্যতা ও লবনের ঘাটতি পূরণে ডাবের পানি পান করার পরামর্শ দিচ্ছেন সবাইকে।

ডাব ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জেলায় প্রতিদিন গড়ে সাড়ে ৩ হাজার পিস ডাব বেচাকেনা হয়। শুধুমাত্র জেলা শহরেই বিক্রি হয় অন্তত ২ হাজার পিস ডাব। আকার ভেদে প্রতি পিস ডাব খুচরা বিক্রি হচ্ছে ৯০-১০০ টাকা দামে। তবে ডাবের চাহিদা রয়েছে আরও বেশি। কিন্তু চাহিদার তুলনায় বাজারে ডাবের যোগান কম থাকায় দাম কিছুটা বেশি।

জেলায় ডাব ব্যবসায়ী আছেন প্রায় ১০০ জন। এর মধ্যে জেলা শহরে ব্যবসায়ীর সংখ্যা ২৫-৩০ জন। সবগুলো দোকানই ফুটপাতে বসে। কেউ কেউ আবার ভ্যানগাড়িতে করেও ডাব বিক্রি করেন। এদিকে নোয়াখালী, লহ্মীপুর, সিলেট ও ভোলা জেলাসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ডাব আসে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। সবচেয়ে বেশি ডাব আসে নোয়াখালী ও লহ্মীপুর থেকে। প্রতি মাসে অন্তত ১ লাখ ৫ হাজার পিস ডাব বিক্রি হয় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। যার বাজারমূল্য প্রায় ১ কোটি টাকা। ডাব সবচেয়ে বেশি বেচাকেনা হয় হাসপাতালের সামনের দোকানগুলোতে। ডাব ব্যবসার মাধ্যমে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা যেমন অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হচ্ছেন, তেমনি কর্মসংস্থানেরও সুযোগ তৈরি হয়েছে এ ব্যবসায়। তবে ডাবের দাম নিয়ে ক্রেতাদের মাঝে অসন্তোষও রয়েছে। তারা বলছেন- ১০০ টাকা দিয়ে ডাব কেনার সক্ষমতা সবার নেই। বিশেষ করে দরিদ্র মানুষের জন্য ১০০ টাকা দিয়ে ডাব কিনে খাওয়া দুরূহ ব্যপার।

জেলা শহরের স্টেশন রোড এলাকার বাসিন্দা আশরাফ উদ্দিন জানান, তাপদাহ শুরুর আগে তিনি ৬৫-৭০ টাকায় ডাব কিনে খেয়েছেন। কিন্তু এখন সেই ডাব কিনতে হচ্ছে ৯০-১০০ টাকায়। ডাবের এই দরবৃদ্ধি ব্যবসায়ীদের কারসাজি বলে অভিযোগ করেন তিনি।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের সদর হাসপাতাল সড়কের ডাব ব্যবসায়ী বাছির মিয়া জানান, পান-সিগারেট বিক্রির পাশাপাশি ডাব বিক্রি করেন তিনি। প্রতিদিন তার দোকানে গড়ে ১০০ পিস ডাব বিক্রি হয়। কর্মচারীর বেতন দিয়ে ডাব ব্যবসা থেকে তার মাসিক আয় ১৫-২০ হাজার টাকা বলে জানান তিনি। আরেক ডাব বিক্রেতা মোঃ আক্কাস জানান, বাজারে ডাবের সংকট থাকায় দাম কিছুটা বেশি। যখন যোগান ভালো থাকে- তখন দামও কম থাকে। বেচাকেনা ভালো হলে প্রতিদিন ১২০০-১৫০০ টাকা আয় হয় তার। ডাব ব্যবসার আয় দিয়েই তার পরিবার চলে বলে জানান তিনি। তবে অনেক সময় লোকসানও গুণতে হয়। কারণ পাইকার যে ডাব সরবরাহ করে-তার মধ্যে কিছু খারাপ ডাবও থাকে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে ব্যবসায়ীর কাছে ডাব সরবরাহকারী হান্নান মিয়া জানান, প্রতি সপ্তাহে তিনি আড়াই থেকে ৩ হাজার পিস ডাব সরবরাহ করেন ব্যবসায়ীদের কাছে। শহরে তার মতো আরও দুইজন খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে ডাব সরবরাহ করেন। চাহিদা ভালো থাকায় নতুন অনেকেই ডাব ব্যবসায় আসছেন।চাহিদার তুলনায় ডাব না পাওয়া এবং পরিবহন খরচ বাড়ায় ডাবের দামও কিছুটা বেশি। প্রতি পিস ডাবের ৭০-৭৫ টাকা দরে কিনতে হয়। ভালো ডাবগুলোর সাথে অনেক খারাপ ডাবও থাকে। সেগুলোর জন্যও একই দাম দিতে হয়। তাই ডাবের দাম বেশি পড়ে। এখানে ব্যবসায়ীদের কোনো কারসাজি নেই- উল্লেখ করেন হান্নান মিয়া। ডাবের গুণাগুণ সম্পর্কে চিকিৎসকরা বলছেন, ডাবের পানিতে প্রচুর পরিমাণ খনিজ লবন থাকে। গরমের সময় শরীরের ঘাম ঝরার ফলে শরীরে যে লবনের ঘাটতি এবং পানিশূণ্যতা তৈরি হয়- সেটি পূরণ করে ডাবের পানি।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জন ডা. মুহাম্মদ একরাম উল্লাহ বলেন, গরম আবহাওয়ায় মানুষের শরীরে পানি এবং লবন শূণ্যতা দেখা হয়। এ সময়টাতে ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন ধরনের পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হয় মানুষ। ডাবের পানি শরীরের পানিশূণ্যতা এবং লবনের ঘাটতি পূরণ করে শরীরকে চাঙা করে। তাই গরমের সময়টাতে সুস্থতার ক্ষেত্রে ডাবের কার্যকারীতা অনেক


আরও খবর



গরমে স্বাস্থ্য সুরক্ষায় যেসব পরামর্শ দিলেন চিফ হিট অফিসার

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

তীব্র তাপপ্রবাহের এই সময়ে অতিরিক্ত গরম মোকাবিলায় সবাইকে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের চিফ হিট অফিসার বুশরা আফরিন।

তিনি বলেন, পরিবার ও সমাজের সবার অংশগ্রহণের মাধ্যমে সচেতনতা বৃদ্ধি সম্ভব। খুব সাধারণ কিছু পন্থা অবলম্বন করে আমরা নিজেদের ঝুঁকিমুক্ত রাখতে পারি। যেমন, বেশি বেশি পানি পান করা, ঢিলেঢালা পোশাক পরিধান করা, যথাসম্ভব ছায়ার মধ্যে থাকার চেষ্টা করা এবং অসুস্থ বোধ করলে বিশ্রাম নেওয়া বা বেশি খারাপ বোধ করলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া।

রোববার (২১ এপ্রিল) সাধারণ মানুষের জন্য এসব পরামর্শ তুলে ধরেন বুশরা আফরিন।

খাবার পানির সুব্যবস্থা ও ছায়াযুক্ত স্থান বাড়াতে সিটি কর্পোরেশন যথাসাধ্য চেষ্টা করছে জানিয়ে তিনি বলেন, কুলিং স্পেস-এর ব্যবস্থা করার জন্য, যেন পথচারীরা বিশ্রাম নেওয়ার সুযোগ পায়, চেষ্টা করা হচ্ছে। আমাদের অবশ্যই আরও বেশি করে গাছ লাগাতে হবে এবং পরিবেশবান্ধব অবকাঠামো নির্মাণে এগিয়ে আসতে হবে।

গত এক বছরে বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে জানিয়ে বুশরা আফরিন বলেন, এর মধ্যে অন্যতম হলো বস্তি এলাকায় জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা। কারণ তারা অন্যতম প্রবল ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠী। সেসব জায়গায় গাছ লাগানোর মাধ্যমে তাদের সম্পৃক্ত করা হয়েছে, সেসব গাছের রক্ষণাবেক্ষণের জন্যও সচেতন করা হয়েছে।

তিনি বলেন, এছাড়া, আবহাওয়া অধিদপ্তরসহ আরও বেশ কিছু সরকারি-বেসরকারি ও এনজিওর সঙ্গে আমরা যুক্ত হয়ে বেশ কিছু কার্যক্রম শিগগিরই চালু করতে যাচ্ছি। এগুলো সম্পর্কে আপনাদের বিশদভাবে অবহিত করা হবে। কল্যাণপুর ও বনানীতে পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে আমরা নগর বন তৈরি করতে যাচ্ছি, যা একই সঙ্গে শীতলকরণ, বায়ু দূষণ রোধ ও মাটির গুণাগুণ বৃদ্ধি করবে।


আরও খবর



সদরঘাটে ৫ জনের মৃত্যু

গ্রেপ্তারকৃতদের সাতদিনের রিমান্ড চায় পুলিশ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর সদরঘাটে পন্টুনে বাঁধা লঞ্চের রশি ছিঁড়ে পাঁচজন নিহতের ঘটনায় গ্রেপ্তার পাঁচ আসামিকে আদালতে তোলা হয়েছে। তাদের সাত দিনের রিমান্ডে আবেদন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সদরঘাট নৌ থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ।

আজ শুক্রবার গ্রেপ্তারদেরকে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে (সিএমএম) তোলা হয়। বৃহস্পতিবার রাতে এমভি তাশরিফ-৪ ও এমভি ফারহান-৬ লঞ্চের চার চালকসহ পাঁচজনকে আটক করা হয়।

এর আগে বিকেল তিনটার দিকে ১১ নং পন্টুনের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে মা-সন্তানসহ পাঁচজন নিহত হন। তাদের মধ্যে এক দম্পতি ও তাদের চার বছরের একমাত্র সন্তান রয়েছে। নিহতরা হলেন, মো. বেলাল (৩০), তার স্ত্রী মুক্তা (২৪) এবং তাদের চার বছর বয়সী মেয়ে মাইশা। নিহত অপর দুজন হলেন, ঠাকুরগাঁওয়ের তরুণ রবিউল (১৯) এবং পটুয়াখালীর রিপন হাওলাদার (৩৮)।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে ওসি আবুল কালাম আজাদ জানান, ঘাটে বাঁধা টিপু-১৩ ও তাশরিফ-৪ লঞ্চের মাঝ দিয়ে ঢুকতে যায় ফারহান-৬ নামের একটি লঞ্চ। এ সময় ফারহান ধাক্কা দেয় টিপুকে। আর টিপুর ধাক্কায় তাশরিফের রশি ছিঁড়ে যায়। রশির বাড়িতে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। দুর্ঘটনার পরে গুরুতর আহতদের উদ্ধার করে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।

প্রসঙ্গত, এমভি তাশরিফ-৪ ও এমভি ফারহান-৬ লঞ্চ ঢাকার সদরঘাট থেকে ভোলার বেতুয়ায় যাতায়াত করে থাকে।


আরও খবর



মহেশপুরে ৪০ পিস স্বর্ণের বারসহ আটক ২

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

Image

ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্ত থেকে ৪০ পিস স্বর্ণের বারসহ ২ জনকে আটক করেছে বিজিবি। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) বিকেলে উপজেলার ভারত সীমান্তবর্তী পলিয়ানপুর সীমান্তের ছয়ঘড়িয়া এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।

আটককৃতরা হলো- মহেশপুর উপজেলার ছয়ঘড়িয়া গ্রামের মৃত মকবুল হোসেনের ছেলে মো. জসিম উদ্দিন (৫৩) ও মৃত আকতার আলীর ছেলে মো. হুমায়ন কবির (৪০)।

৫৮ বিজিবি মহেশপুর ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল এইচ এম সালাহউদ্দিন চৌধুরী জানান, বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে ভারতে সোনা পাচার হচ্ছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে সীমান্ত এলাকায় টহল জোরদার করে বিজিবি। বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে ছয়ঘড়িয়ায় মহেশপুর থেকে সীমান্তের দিকে যাওয়া একটি মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে তারা। সেসময় মোটরসাইকেলে থাকা দুই ব্যক্তির কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় ৪ কেজি ৬৩৩ গ্রাম ওজনের ৪০ টি স্বর্ণের বার। আটক করা হয় ওই গ্রামের জসিম উদ্দিন ও হুমায়ন কবিরকে। এ ঘটনায় বিজিবির পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করে আসামিদের মহেশপুর থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।


আরও খবর



তিন বিভাগে শিলাবৃষ্টিসহ ঝড়ের আভাস

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আবহাওয়া হঠাৎ করেই চরমভাবাপন্ন আচরণ শুরু করেছে। বসন্তের শেষ সময়ে ঝড়-বৃষ্টিতে তাপমাত্রা কমছে না। উল্টো তীব্র তাপপ্রবাহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর।

শনিবার (৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় দেওয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, দেশের বিভিন্ন এলাকায় শিলাবৃষ্টিসহ ঝড়ের আশঙ্কা রয়েছে। পাশাপাশি বিভিন্ন এলাকায় তাপপ্রবাহ ছড়িয়ে পড়বে।

পূর্বাভাসে বলা হয়, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ হিমালয় পাদদেশীয় পশ্চিমবঙ্গ ও তার কাছাকাছি এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।

এ অবস্থায় আগামী ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় ঝড়, বজ্র ও শিলাবৃষ্টির শঙ্কা রয়েছে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। ঝড়বৃষ্টির প্রভাবে সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা (১-২) ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে। তবে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকবে।

এ সময়ে পাবনা এবং চুয়াডাঙ্গা জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। বরিশাল, পটুয়াখালী ও রাঙ্গামাটি জেলাসহ, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের অবশিষ্ঠাংশ, রংপুর ও ঢাকা বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাবে। আবার কিছু জায়গায় তা প্রশমিত হতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি অব্যাহত থাকতে পারে।

এছাড়া পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় ঢাকা, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। একইসঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। এ সময়ে সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা (১-২) ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে।

বর্ধিত পাঁচ দিনে তাপমাত্রা আরও বাড়বে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর।


আরও খবর
আজ ঢাকায় কখন বৃষ্টি হবে

বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4




ফরিদপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত বেড়ে ১৩

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

ফরিদপুরের কানাইপুরে বাস ও পিকআপ ভ্যানের সংঘর্ষের ঘটনায় আরও ২ জন নিহত হয়েছেন। এ দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলে ১১ জন নিহত হন। এরপর ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও দুইজনের মৃত্যু হয়। এ নিয়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৩ জনে দাঁড়িয়েছে।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকাল ৮টার দিকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের কানাইপুরে অ্যাবলুম ক্যাফেটেরিয়ার সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

করিমপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সালাউদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

এ দুর্ঘটনায় ছয়জন নিহতের নাম জানা গেছে। তারা হলেন, ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার শেখর ইউনিয়নের বেজিডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা তারা মোল্লার ছেলে রফিক মোল্লা (৩৫), তার স্ত্রী সুমী বেগম (২৩), দুই ছেলে রুহান মোল্লা (৬) ও হাবিব মোল্লা (৩) এবং শেখর ইউনিয়নের বাসিন্দা মর্জিনা বেগম। বাকিদের নাম এখন পর্যন্ত জানা যায়নি।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ইউনিক পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস ঢাকা থেকে মাগুরা যাচ্ছিল। সকাল ৮টার দিকে কানাইপুরের দিকনগর এলাকায় পৌঁছালে ঢাকাগামী একটি পিকআপ ভ্যানের সঙ্গে বাসটির সংঘর্ষ হয়। ওই পিকআপ ভ্যানটি ভাড়া করে কয়েকজন ঢাকায় যাচ্ছিলেন। এতে পিকআপ ভ্যানে থাকা ১১ জন যাত্রী ছিটকে পড়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন। ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও দুইজনের মৃত্যু হয়। আরও পাঁচজন আহত রয়েছেন।

জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহসান তালুকদার বলেন, এই ঘটনায় জেলা প্রশাসন ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। তিন দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতদের পরিবারকে পাঁচ লাখ টাকা এবং আহতদের তিন লাখ টাকা দেওয়া হবে।

নিউজ ট্যাগ: ফরিদপুর

আরও খবর