আজঃ সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

মারমুখী জাহ্নবী কাপূর

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ আগস্ট ২০২২ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ আগস্ট ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

বলিউড ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম জনপ্রিয় তরুণ অভিনেত্রী জাহ্নবী কাপুর। প্রায়ই বিটাউনে তাকে নিয়ে চর্চা চলে। কোন না কোন কারণে চর্চায় থাকতে দেখা যায় তাকে। থেকে থেকেই পাপারাজিৎদের ক্যামেরায় ধরা দেন অভিনেত্রী। শ্রীদেবী কন্যা হিসেবে ছোট থেকেই পরিচিত সে। বনি কাপুর ও শ্রীদেবীর দৌলাতে জাহ্নবী কাপুর ও তার বোন খুশি কাপুর যে ছোট থেকেই সেলেব কিড হিসেবে বড় হয়েছে, তা আর আলাদাভাবে বলার অপেক্ষা রাখে না। অভিনেত্রী হিসেবে জাহ্নবী নিজের সোশ্যাল মিডিয়ার পাতায় ভালই এ্যাক্টিভ।

তিনি প্রায়ই নিজের একাধিক ছবি ও ভিডিও শেয়ার করে থাকেন নেটমাধ্যমে। তার অনুরাগীর সংখ্যা নিহায়তই কম নয়। জাহ্নবীর সোশ্যাল মিডিয়ার পাতায় চোখ রাখলেই সেই ঝলক মিলবে। শ্রীদেবী কন্যা নেটিজেনদের মাঝে নিজের নতুন লুকের জন্য চর্চায় রয়েছেন বরাবরই। এবার সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাট হাতে মারমুখী হয়ে দেখা দিলেন তিনি। জাহ্নবী, উষ্ণতায় এখন বুঁদ নেটপাড়া! ক্রিকেটারের ভূমিকায় এ গ্ল্যামারকন্যা। জোরকদমে চলছে ছবির শূটিংয়ের প্রস্তুতি। এরই মাঝে মুম্বাইয়ের একটি মাঠে ব্যাট হাতে প্রশিক্ষণরত জাহ্নবী, সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন সেই ছবি। ৯ মাস আগে হয়েছে ছবির ঘোষণা।

ছবির নাম মিস্টার এ্যান্ড মিসেস মাহি। নাম ভূমিকায় দেখা যাবে রুহি খ্যাত জুটি জাহ্নবী কাপুর ও রাজকুমার রাওকে। এই প্রথমবার বড় পর্দায় ক্রিকেটারের ভূমিকায় অভিনয় করতে চলেছেন শ্রীদেবী-কন্যা। যে কারণে ছবি ঘোষণার পর থেকে মুক্তির জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন জাহ্নবী ভক্তরা। গুঞ্জন সাক্সসেনা: দ্য কার্গিল গার্ল খ্যাত পরিচালক শরন শর্মার পরিচালনায় এটি দ্বিতীয় কাজ হতে চলেছে ঘোস্ট স্টোরিস নায়িকার। ছবিটির প্রযোজনার দায়িত্বে থাকছেন করণ জোহরের ধর্শ প্রোডাকশন। এটি মুক্তি পাবে ৭ অক্টোবর।

বলিউডের সঙ্গে ক্রিকেটের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। এর আগেও রূপালী পর্দায় আজহার, ধোনির বায়পিক ইত্যাদি উপভোগ করেছে দর্শক। এছাড়াও সম্প্রতি রনবীর সিং অভিনীত কপিল দেবের বায়োপিক ৮৩ মুক্তি পেয়েছে। যদিও এটি বক্স অফিসে তেমন ব্যবসা করতে পারেনি। এখন মিস্টার এ্যা- মিসেস মাহি বক্স অফিসে কতটুকু ম্যাজিক দেখাতে পারে সেটাই দেখার অপেক্ষায় বলিউড দর্শক।

এছাড়াও এই ছবিটির পাশাপাশি আরও দুটি ছবির কাজে ব্যস্ত অভিনেত্রী। একটি মালায়ালাম ছবি, হেলেনএর রিমেক। অপরটি, বরুন ধাওয়ানের বিপরীতে বাওয়াল ছবি। প্রসঙ্গত, শ্রীদেবীকন্যা বলিউডে পা রেখেছেন বেশ কয়েক বছর হয়ে গেল। ২০১৮ সালে ধড়ক ছবির পরে বেশ কয়েকটি ছবিতে অভিনয় করেছেন। সম্প্রতি তাকে দেখা গেছে গুড লাক জেরি সিনেমায়।  এটি দর্শকের মধ্যে দারুণ প্রশংসিত হয়।

নিউজ ট্যাগ: জাহ্নবী কাপুর

আরও খবর
নতুন রেকর্ড গড়লেন টেইলর সুইফট

রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪




মার্চে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৫৬৫, আহত ১২২৮

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

গত মার্চে ৫৫২টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৫৬৫ জন নিহত ও ১২২৮ জন আহত হয়েছেন। এ সময়ে ১৮১টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ২০৩ জন নিহত ও ১৬৬ জন আহত হয়েছেন। যা মোট দুর্ঘটনার ৩২.৭৮ শতাংশ, নিহতের ৩৫.৯২ শতাংশ ও আহতের ১৩.৫১ শতাংশ।

একই সময়ে রেলপথে ৩৮টি দুর্ঘটনায় ৩১ জন নিহত ও ৮৬ জন আহত হয়েছেন। নৌ-পথে সাতটি দুর্ঘটনায় ১৬ জন নিহত ও ১৭ জন আহত হয়েছে। সড়ক, রেল ও নৌ-পথে সর্বমোট ৫৯৭টি দুর্ঘটনায় ৬১২ জন নিহত ও ১৩৩১ জন আহত হয়েছেন।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) সন্ধ্যায় সংবাদ মাধ্যমে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরীর পাঠানো এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। দেশের জাতীয়, আঞ্চলিক ও অনলাইন সংবাদপত্রে প্রকাশিত সড়ক, রেল ও নৌ পথের দুর্ঘটনার সংবাদ মনিটরিং করে এই প্রতিবেদন তৈরি করেছে সংগঠনটি।

মার্চ মাসে সবচেয়ে বেশি সড়ক দুর্ঘটনা হয়েছে ঢাকা বিভাগে। এ বিভাগে ১৬২টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১৬৫ জন নিহত ও ৩০৬ জন আহত হয়েছেন। সবচেয়ে কম সড়ক দুর্ঘটনা হয়েছে বরিশাল বিভাগে। সেখানে ২৩টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩২ জন নিহত ও ৯২ জন আহত হয়েছেন।

প্রতিবেদনে মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, প্রকাশিত এই তথ্য দেশে সংগঠিত সড়ক দুর্ঘটনার প্রকৃত চিত্র নয়। এটি কেবল গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য। দেশে সংগঠিত সড়ক দুর্ঘটনার একটি বড় অংশ প্রায় ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ পর্যন্ত গণমাধ্যমে স্থান পায় না। তাই এসব তথ্য আমাদের প্রতিবেদনে তুলে ধরা সম্ভব হয় না। দেশে সড়ক দুর্ঘটনার প্রাথমিক উৎসস্থল দেশের হাসপাতালগুলোতে দেখলে এমন ভয়াবহ তথ্য মেলে।

ঢাকা জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন কেন্দ্র (পঙ্গু হাসপাতালে) মার্চ মাসে ১৩৬৯ জন সড়ক দুঘর্টনায় গুরুতর আহত পঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন। বিজ্ঞান বলে একটি দুঘর্টনায় ১০ জন আহত হলে তার মধ্যে কেবল একজন গুরুতর আহত বা পঙ্গু হন। বাংলাদেশে ১০ হাজার সরকারি ও ছয় হাজার বেসরকারি হাসপাতাল রয়েছে। এসব হাসপাতালে প্রতিবছর সড়ক দুঘর্টনায় আহত প্রায় তিন লাখের বেশি রোগী ভর্তি হচ্ছে। অথচ গণমাধ্যমে তার ১০ ভাগের এক শতাংশ তথ্যও প্রকাশিত হয় না বলে আমরা ঘটনার ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরতে পারি না।

বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির পর্যবেক্ষণে মার্চ মাসে সড়ক দুর্ঘটনার উল্লেখযোগ্য কারণগুলো হচ্ছে— ট্রাফিক আইনের অপপ্রয়োগ, দুর্বল প্রয়োগ, নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনিয়ম দুর্নীতি ব্যাপক বৃদ্ধি, মোটরসাইকেল, ব্যাটারিচালিত রিকশা ও তিন চাকার যানের ব্যাপক বৃদ্ধি ও এসব যানবাহন সড়ক মহাসড়কে অবাধে চলাচল, সড়ক-মহাসড়কে রোড সাইন বা রোড মার্কিং, সড়কে বাতি না থাকা, রাতের বেলায় ফগ লাইটের অবাধ ব্যবহার, সড়ক-মহাসড়কে নির্মাণ ক্রটি, ফিটনেস যানবাহন ও অদক্ষ চালকের হার ব্যাপক বৃদ্ধি, ফুটপাত বেদখল, যানবাহনের ত্রুটি, ট্রাফিক আইন অমান্য করার প্রবণতা, উল্টোপথে যানবাহন চালানো, সড়কে চাঁদাবাজি এবং অদক্ষ চালক, ফিটনেসবিহীন যানবাহন ও বেপরোয়াভাবে যানবাহন চালানো।

দুর্ঘটনার প্রতিরোধে সুপারিশগুলো হচ্ছে— রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে প্রাথমিক উৎস থেকে সড়ক দুর্ঘটনার পূর্ণাঙ্গ ডাটা ব্যাংক চালু করা, স্মার্ট গণপরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তোলা, মোটরসাইকেল ও ইজিবাইকের মতো ছোট ছোট যানবাহন আমদানি ও নিবন্ধন বন্ধ করা, দক্ষ চালক তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ, ডিজিটাল পদ্ধতিতে যানবাহনের ফিটনেস প্রদান, রাতের বেলায় বাইসাইকেল ও মোটরসাইকেল চালকদের রিফ্লেক্টিং ভেস্ট পোশাক পরিধান বাধ্যতামূলক করা, সড়কে চাদাঁবাজি বন্ধ করা, চালকদের বেতন ও কর্মঘণ্টা সুনিশ্চিত করা, রাতের বেলায় চলাচলের জন্য জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কে পর্যাপ্ত আলোক সজ্জার ব্যবস্থা করা, ব্লাক স্পট নিরসন করা, সড়ক নিরাপত্তা অডিট করা, স্টার মানের সড়ক করিডোর গড়ে তোলা এবং দেশে সড়কে হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু ঠেকাতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিআরটিএ’র চলমান গতানুগতিক কার্যক্রম অডিট করে প্রাতিষ্ঠানিক দুর্বলতা চিহ্নিত করা, প্রাতিষ্ঠানিক অকার্যকারিতা জরুরি ভিত্তিতে সংস্কার করা।


আরও খবর
প্রধানমন্ত্রী দেশে ফিরছেন আজ

সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪




আজও দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রায় পুড়ছে চুয়াডাঙ্গা

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সীমান্তবর্তী জেলা চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে টানা তীব্রতাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। শনিবার (২৭ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় চুয়াডাঙ্গায় ৪২.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে, যা দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৪৮ শতাংশ।

গতকাল শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪২ ডিগ্রি ৭ সেলসিয়াস, যা চলতি মৌসুমে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।

চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান বলেন, আজ চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। আগামী তিন দিন আরও তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে। ৪৩-৪৪ ডিগ্রি পর্যন্ত উঠতে পারে তাপমাত্রা। সবাইকে সতর্ক থাকার অনুরোধ করছি।

তীব্র গরমে ভোগান্তিতে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ। এ ছাড়া গরমে জেলা সদর হাসপাতালে বেড়েছে ডায়রিয়া ও শিশু রোগীর সংখ্যা। ফলে ওয়ার্ডের মেঝেতে রেখে চিকিৎসা দিতে হচ্ছে। বহির্বিভাগেও রয়েছে রোগীদের চাপ। প্রতিদিন গড়ে গরমজনিত কারণে ৭০০-৮০০ রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মোহা. আতাউর রহমান।

এদিকে তীব্র গরমের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে লোডশেডিং। এতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে চুয়াডাঙ্গার জনজীবন। সব থেকে বেশি কষ্ট পাচ্ছে শিশু ও বয়োবৃদ্ধরা। দিনে বাসায় থাকা দায় হয়ে পড়েছে। এর মধ্যে রয়েছে রাতে মশার যন্ত্রণা। গরমের সঙ্গে ঘন ঘন লোডশেডিং হওয়ায় সারা রাত নির্ঘুম কাটাতে হচ্ছে।

মেহেরপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির চুয়াডাঙ্গা জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) আবু হাসান বলেন, জেলায় গরমে বিদ্যুতের চাহিদা বেড়েছে। পল্লী বিদ্যুতের আওতাধীন এলাকায় প্রতিদিন প্রায় ১০৫ মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে। কিন্তু সেখানে আমরা পাচ্ছি ৯০-৯২ মেগাওয়াট। তাই ঘাটতি পূরণ করতেই লোডশেডিং চলছে।

এদিকে তীব্র গরমে জেলাবাসী অতিষ্ঠ হয়ে বৃষ্টি প্রার্থনা করলেও কৃষকরা এখনই বৃষ্টি চাচ্ছেন না। কয়েকজন কৃষক বলেন, তীব্র গরমে আমরাও অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছি। তবে এখন ধান কাটার মৌসুম চলছে। এ সময় বৃষ্টি হলে কৃষকরা অনেক ক্ষতির সম্মুখীন হবেন।


আরও খবর



সিসিইউতে নিবিড় পর্যবেক্ষণে খালেদা জিয়া

প্রকাশিত:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নিয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ডের নিবিড় পর্যবেক্ষণে আছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। রোববার (৩১ মার্চ) তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন এ কথা জানান।

তিনি বলেন, ম্যাডামের শরীর ভালো যাচ্ছিল না বলেই গভীর রাতে হাসপাতালে দ্রুত এনে ভর্তি করতে হয়েছে। এখন সিসিইউতে নিবিড় পর্যবেক্ষণে তার চিকিৎসা চলছে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সমন্বয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ড তার চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত রয়েছেন।

এজেডএম জাহিদ হোসেন জানান, রাতে হাসপাতালে আনার পরপরই কয়েকটি টেস্ট করা হয়। মেডিকেল বোর্ড পরীক্ষাসমূহ দেখে চিকিৎসার ওষুধপত্র প্রদান করেন। তিনি সিসিইউতে আছেন। মেডিকেল বোর্ড সার্বক্ষণিক তার শারীরিক অবস্থা মনিটরিং করে ব্যবস্থা নিচ্ছেন।

এর আগে শনিবার (৩০ মার্চ) রাতে আড়াইটায় গুলশানের বাসা ফিরোজায় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন খালেদা জিয়া। গত কয়েকদিন ধরে তার অবস্থা ভালো যাচ্ছিল না। এভারকেয়ার হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা বিএনপি চেয়ারপারসনের বাসায় নিবিড় মনিটরিংয়ে তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। কিন্তু গত রাতে অবস্থার অবনতি হলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

উল্লেখ্য, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস ছাড়াও হৃদরোগ, কিডনি ও ফুসফুস জটিলতাসহ নানা রোগে ভুগছেন।


আরও খবর
প্রধানমন্ত্রী দেশে ফিরছেন আজ

সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪




ইসরায়েলের কোনও দূতাবাস নিরাপদ নয়: ইরান

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইরানের সর্বোচ্চ নেতার একজন উপদেষ্টা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, গত সপ্তাহে সিরিয়ার রাজধানীতে ইসরায়েলের হামলায় ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পসের সাত সদস্য নিহত হওয়ার পর কোনো ইসরায়েলি দূতাবাস আর নিরাপদ নয়’।

খবর অনুসারে, ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা ইয়াহিয়া রহিম সাফাভি বলেন, ইহুদিবাদী সরকারের দূতাবাসগুলো এখন আর নিরাপদ নয়।

ইরানের বার্তা সংস্থাটি একটি গ্রাফিকসও প্রকাশ করেছে যাতে দাবি করা হয়েছে, নয় ধরণের ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে যা ইসরায়েলে আঘাত হানতে সক্ষম।

গত সোমবার সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে অবস্থিত ইরানি কনস্যুলেটে ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান থেকে একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়। এই হামলায় ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পসের (আইআরজিসি) জ্যেষ্ঠ কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ রেজা জাহেদি ছাড়াও ছয়জন নিহত হন। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ইরানের আরেক জেনারেল আছেন।

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি বলেছেন, কূটনৈতিক মিশনে দিবালোকের এই হামলার জন্য ইসরায়েলকে অনুশোচনা’ করিয়ে ছাড়বে তেহরান।


আরও খবর



মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এলেন আরও ১৩ বিজিপি সদস্য

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মোহাম্মদ ফারুক, কক্সবাজার

Image

মিয়ানমারে চলমান যুদ্ধের জেরে দেশটির সেনা ও বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) আরও ১৩ সদস্য বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছে। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) ভোরে টেকনাফের নাফ নদ দিয়ে তারা বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়।

বিজিবি সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো.শরীফুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করে জানান, নতুন করে বিজিপির আরও ১৩ সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। পরে তাদের বিজিবির নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়নের ১১ বিজিবিতে হস্তান্তর করা হয়।

বর্তমানে সেখানে মিয়ানমারের মোট ২৭৪ জন আশ্রয় রয়েছে। তিনি আরও জানান, নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়ন ১১ বিজিবির অধীনে থাকা ২৭৪ জনের মধ্যে বিজিপি ছাড়াও সেনা সদস্যও রয়েছে।

এর মধ্যে মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে ৪৬ জন পালিয়ে আসে। মঙ্গলবার দিনে প্রবেশ করেছিল ১৮ জন। তার আগের দিন সোমবার দুপুরে নাইক্ষ্যংছড়ির বাইশফাঁড়ি সীমান্ত দিয়ে দুই সেনা সদস্য পালিয়ে আসে। এর আগে রবিবার টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে পালিয়ে আসে বিজিপির আরও ১৪ সদস্য। তারও আগে ওখানে মিয়ানমারের ১৮০ জন আশ্রয়রত ছিল। যাদের মধ্যে ৩০ মার্চ মিয়ানমার সেনাবাহিনীর তিন সদস্য নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়।

এর আগে ১১ মার্চ আশ্রয় নেয় আরও ১৭৭ বিজিপি ও সেনা সদস্য। গত ফেব্রুয়ারির শুরুতে কয়েক দফায় বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছিল আরও ৩৩০ জন। যাদের ১৫ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়েছিল।


আরও খবর