বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনী ক্ষমতার অপব্যবহার করছে বলে সম্প্রতি এমন একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, মার্কিন প্রতিবেদনে তথ্যের গরমিল রয়েছে। বুধবার (১৩ এপ্রিল) সচিবালয়ে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মার্কিন প্রতিবেদনে ২০২১ সালে যে পরিমাণ গুম-খুনের কথা বলা হয়েছে আমাদের রেকর্ডে কিন্তু সে পরিমাণ নেই। তাই মনে হচ্ছে এটা ২০২১ সালের নয়।
তিনি বলেন,
নিরাপত্তা বাহিনীর দ্বারা যদি কেউ বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন, নিরাপত্তা বাহিনী আত্মরক্ষায়
যদি গুলিও করেন তাহলে প্রত্যেক ঘটনায় একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তদন্ত করেন। এতে
যদি ঘটনার সত্যতা প্রমাণ হয় তাহলেই সেই বিষয়টি আমরা ক্লোজ করে দেই। যদি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট
মনে করেন এখানে ঘটনাটি অন্যায় বা অসতর্কতায় হয়েছে, সেটা আমরা বিচার বিভাগে পাঠিয়ে দেই।
তিনি আরও বলেন,
আপনারা নিশ্চই জানেন, জেলখানায় আমাদের নিরাপত্তা বাহিনীর যথেষ্ট পরিমাণ, ইন্সপেক্টর
লেভেল থেকে ডিআইজি লেভেল পর্যন্ত কর্তকর্তা রয়েছেন। এটাই শুধু নয়, র্যাবেরও অনেক সদস্য
রয়েছেন। এর অর্থ কেউই বিচারের ঊর্ধ্বে নয়। এখানে যিনি অন্যায় করবেন তাকেই বিচারের মুখোমুখি
হতে হয়। তারা (যুক্তরাষ্ট্র) যেটা করেছে, তাদের তথ্যবিভ্রাট হয়েছে বলে আমি মনে করি।
নিরাপত্তা বাহিনী
রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার হচ্ছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, এ বিষয়ে জানতে
চাইলে মন্ত্রী বলেন, এটা হতো তখন যখন বিএনপি ক্ষমতায় ছিল। পেছনের কথা যদি তারা বলে,
এটা আমার জানা নেই। যখন থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের দায়িত্ব নিয়েছেন, তখন
থেকে কোনো ধরনের অন্যায়-অত্যাচার নিরাপত্তা বাহিনী করলে তাকে কিন্তু আইনের মুখোমুখি
আনা হচ্ছে। আমি সেটাই বারবার স্পষ্ট করে বলছি।
গুম-খুনের বিষয়ে
মার্কিন প্রতিবেদনে যে তথ্য দেওয়া হয়েছে সে বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, এগুলো প্রায়ই অনুসন্ধান
করে আমরা দেখেছি। তারা অনেকেই হয়তো আত্মগোপন করে গুম বলে চালিয়ে দিচ্ছে। হয়তো ব্যবসায়ে
লস করে নিজেই কোথাও চলে গেছেন। এই কিছুদিন আগেও আপনারা দেখেছেন, এক লোক আড়াই বছর পর
বলেছে ইচ্ছা করেই গুম হয়েছিল।