আজঃ শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪
শিরোনাম

মার্কিন মধ্যবর্তী নির্বাচন গুরুত্বপূর্ণ কেন?

প্রকাশিত:বুধবার ০৯ নভেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:বুধবার ০৯ নভেম্বর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

মার্কিন সংসদের মধ্যবর্তী নির্বাচন হোয়াইট হাউসে ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট এবং তার দলের ভাগ্য নির্ধারণের পাশাপাশি গোটা জাতির দিকনির্দেশনার ওপর এক বিরাট প্রভাব ফেলতে যাচ্ছে। মঙ্গলবারের এই নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ওপর কোনও ব্যালট হচ্ছে না। তবে প্রেসিডেন্টের মেয়াদের মাঝামাঝি এই নির্বাচনে সিদ্ধান্ত হবে কংগ্রেসের পাশাপাশি বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে আইনসভা এবং গভর্নরের অফিস কে নিয়ন্ত্রণ করবে। তবে এই নির্বাচন প্রেসিডেন্টের কর্মকাণ্ড এবং দেশের বর্তমান হালচাল সম্পর্কে পরোক্ষভাবে ভোটারদের মতামত প্রকাশের সুযোগ এনে দেয়। মার্কিন অর্থনীতির বর্তমান সমস্যা এবং অপরাধ ও অবৈধ অভিবাসন নিয়ে ভোটাররা যখন উদ্বিগ্ন, তার মধ্যে নির্বাচনের এই রায় বর্তমান প্রেসিডেন্টের জন্য বেশ কঠোর হতে পারে।

এছাড়া এই ফলাফল ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে ভোটের প্রচারণার ক্ষেত্রকে নানাভাবে প্রভাবিত করবে, বিশেষভাবে সেখানে যদি ডোনাল্ড ট্রাম্পের আবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কোনও সম্ভাবনা তৈরি হয়।

এবারের এই নির্বাচন কেন এত গুরুত্বপূর্ণ?

গর্ভপাতের অধিকার বা বিধিনিষেধ: মার্কিন কংগ্রেসের আকারে পরিবর্তন ঘটলে তা সারাদেশে আমেরিকানদের দৈনন্দিন জীবনকে সরাসরিভাবে প্রভাবিত করতে পারে। এর একটি ভাল উদাহরণ হলো নারীদের গর্ভপাতের অধিকার। গত জুন মাসে যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট সাংবিধানিকভাবে সুরক্ষিত নারীদের গর্ভপাতের অধিকার সংক্রান্ত আইনটিকে বাতিল ঘোষণা করে। মধ্যবর্তী মেয়াদের এই নির্বাচনে কংগ্রেসের নিয়ন্ত্রণ হাতে নিতে পারলে ক্ষমতাসীন ডেমোক্র্যাট এবং বিরোধী রিপাবলিকান পার্টি এ নিয়ে দেশব্যাপী নতুন আইন তৈরি করবে বলে প্রস্তাব করেছে। ডেমোক্র্যাটরা নারীদের গর্ভপাতের অধিকার বজায় রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। অন্যদিকে, রিপাবলিকানরা নারীর ১৫ সপ্তাহের গর্ভাবস্থার পর গর্ভপাতের বিরুদ্ধে জাতীয় নিষেধাজ্ঞার প্রস্তাব দিয়েছে।

রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে, পেনসিলভেনিয়া, উইসকনসিন এবং মিশিগানের মতো ভোটের চিরাচরিত রাজনৈতিক লড়াইয়ের ময়দানে গুরুত্বপূর্ণ গভর্নর এবং স্থানীয় প্রতিদ্বন্দ্বিতায় যে ফলাফল উঠে আসতে পারে তার ফলে সেখানে গর্ভপাতের আরও কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হতে পারে। কংগ্রেসের নিয়ন্ত্রণ কোন দলের হাতে যাবে এবং অঙ্গরাজ্যগুলোতে কোন দল ক্ষমতা লাভ করবে তা গর্ভপাতের ইস্যুটি ছাড়াও অন্যান্য নীতিগুলোকে প্রভাবিত করবে। যদি রিপাবলিকানরা বিজয়ী হয়, তাহলে অভিবাসন, ধর্মীয় অধিকার এবং সহিংস অপরাধ মোকাবিলাকে অগ্রাধিকার দেওয়ার প্রত্যাশা করা যেতে পারে। অন্যদিকে, ডেমোক্র্যাটরা বিজয়ী হলে, পরিবেশ, স্বাস্থ্যসেবা, ভোটের অধিকার এবং আগ্নেয়াস্ত্রের নিয়ন্ত্রণের মতো ইস্যুগুলো তাদের এজেন্ডায় ওপরের দিকে থাকবে।

রিপাবলিকানদের হাতে ডেমোক্র্যাটদের তদন্ত করার পালা: এবারের সংসদীয় নির্বাচন বিভিন্ন নীতির বাইরের কিছু বিষয়ের ওপরও প্রভাব ফেলবে। কংগ্রেসের নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করতে সফল হলে বিভিন্ন বিষয়ে সংসদীয় তদন্ত কমিটি তৈরির ক্ষমতা হাতে চলে আসবে। গত দুবছর ধরে, হোয়াইট হাউস যে পরিমাণ যাচাই-বাছাইয়ের মুখোমুখি হওয়ার প্রয়োজন ছিল ডেমোক্র্যাটরা তা সীমিত করে রেখেছে এবং তারা ২০২১ সালে মার্কিন কংগ্রেস ভবন ক্যাপিটলের ওপর ৬ জানুয়ারির হামলাকে তাদের প্রাথমিক ফোকাসে পরিণত করেছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ক্ষমতাসীন থাকার সময় ওই আক্রমণ সম্পর্কে হোয়াইট হাউস আগে থেকে কী জানত এবং কীভাবে তারা ওই ঘটনায় প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিল তা খুঁজে বের করতে ডেমোক্র্যাটরা শত শত লোকের সাক্ষাৎকার নিয়েছে এবং ওই দিন ঠিক কী ঘটেছিল সে সম্পর্কে তাদের শুনানি প্রাইম টাইম টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচার করেছে। চলতি বছর শেষ হওয়ার আগেই তারা এ সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

কিন্তু এই সবকিছু বদলে যেতে পারে। রিপাবলিকানরা ইতোমধ্যে কংগ্রেসের নিম্ন-কক্ষ হাউস অফ রেপ্রেজেনটেটিভ বা প্রতিনিধি পরিষদের নিয়ন্ত্রণের প্রত্যাশা করছে। তারা বলছে, ৬ জানুয়ারির তদন্ত কমিটি তারা বন্ধ করে দেবে এবং এর পরিবর্তে জো বাইডেনের ছেলে হান্টার বাইডেনের সাথে চীনের কী ধরনের ব্যবসায়িক সম্পর্ক রয়েছে তা নিয়ে তদন্ত শুরু করবে। তারা একই সঙ্গে বাইডেন প্রশাসনের অভিবাসন নীতি, আফগানিস্তান থেকে মার্কিন প্রত্যাহার এবং চীনে করোনাভাইরাস মহামারির উৎসের দিকেও নজর দেবে। আর যদি রিপাবলিকানরা মার্কিন সংসদের উচ্চ কক্ষ সিনেটের নিয়ন্ত্রণ নিতে পারে, তবে আশা করতে পারেন যে ফেডারেল আদালতে কাজ করার জন্য বাছাই করা লোকদের নিয়োগ নিশ্চিত করা এবং গুরুত্বপূর্ণ সরকারি সংস্থাগুলোতে নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থবির হয়ে পড়বে।

জো বাইডেনের ভবিষ্যৎ: মধ্য মেয়াদী এই নির্বাচনকে সাধারণত প্রেসিডেন্টের মেয়াদের প্রথম দুবছরের ওপর গণভোট হিসাবে বিবেচনা করা হয়, যাতে ক্ষমতাসীন দলটি প্রায়ই মার খায়। গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে জনমত জরিপে বাইডেনের রেটিং বেশ খারাপ ছিল। যদিও গ্রীষ্মকালে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির সৌভাগ্য কিছুটা ফিরে এসেছে বলে মনে হচ্ছে। কিন্তু এই নির্বাচনের প্রচারের চূড়ান্ত পর্বে মুদ্রাস্ফীতির উঁচু হার এবং অর্থনীতি নিয়ে শঙ্কা আবার ফিরে এসেছে। এর ফলে কংগ্রেসের উভয় কক্ষতে ক্ষমতা ধরে রাখা ডেমোক্র্যাটদের জন্য একটি কঠিন লড়াইয়ে পরিণত হয়েছে। প্রেসিডেন্ট হিসেবে তার প্রথম দুবছরে, কংগ্রেসে তার সামান্য সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকার পরও বাইডেন জলবায়ু পরিবর্তন, আগ্নেয়াস্ত্র-নিয়ন্ত্রণ, অবকাঠামো খাতে বিনিয়োগ এবং দরিদ্র শিশুদের জন্য নতুন আইন চালু করতে পেরেছেন।

যদি মার্কিন সংসদের দুটি কক্ষের মধ্যে কোন একটি রিপাবলিকানদের হাতে চলে যায়, তাহলে ডেমোক্র্যাটদের আনা বিলগুলো কংগ্রেসে পাস হওয়া তারা ঠেকিয়ে দেয়ার ক্ষমতা অর্জন করবে। এর ফলে জটিলতা তৈরি হবে। ডেমোক্র্যাটদের জন্য এই নির্বাচনের একটি খারাপ রাতকে বাইডেনের রাজনৈতিক দুর্বলতার লক্ষণ হিসাবে ব্যাখ্যা করা হবে। ২০২৪ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারের মৌসুম শুরু হলে অন্য ডেমোক্র্যাট প্রার্থীর স্বার্থে বাইডেনকে সরে দাঁড়ানোর আহ্বান নতুন করে উঠতে পারে। প্রেসিডেন্ট এবং তার উপদেষ্টারা জোর দিয়ে বলছেন যে তিনি পুনঃনির্বাচনে লড়বেন। তবে কোনও কোওন প্রাইমারি নির্বাচন যেখানে একই দলের প্রার্থীরা মনোনয়নের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন তার মাধ্যমে একজন ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্টকে অপসারণ করার ঘটনা যুক্তরাষ্ট্রের আধুনিক রাজনৈতিক ইতিহাসে শুধুমাত্র একবারই ঘটেছে।

ট্রাম্প যদি আবার দৌড়ে যোগদান করেন: সাম্প্রতিক কালে অন্যসব পরাজিত প্রেসিডেন্ট রাজনীতি ছেড়ে দিয়েছেন। কিন্তু ট্রাম্প তেমনটা করেননি। তিনি এখনও ২০২৪ সালের নির্বাচনের মাধ্যমে হোয়াইট হাউসে ফিরে আসার ব্যাপারে আগ্রহী বলে দৃশ্যত মনে হচ্ছে। ফলে সংসদের এই মধ্যমেয়াদী নির্বাচন তার হাতকে হয় শক্তিশালী করবে বা তার সব আশা গুঁড়িয়ে দিতে পারে। যদিও এই নির্বাচনে তার ওপর কোন ভোট হচ্ছে না, কিন্তু তার নির্বাচিত কয়েক ডজন প্রার্থী যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে গুরুত্বপূর্ণ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। প্রবীণ রিপাবলিকান নেতাদের আপত্তি সত্ত্বেও প্রথাগত রিপাবলিকান রাজনীতিবিদদের বাদ দিয়ে সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জিয়ার সাবেক রাগবি খেলোয়াড় হার্শেল ওয়াকার, পেনসিলভেনিয়ায় টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব ডা. মেহমেত ওজ এবং ওহাইওর জনপ্রিয় লেখক জেডি ভ্যান্সের মতো কিছু সিনেট পদপ্রার্থীর প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন। নির্বাচনে তারা জয়লাভ করলে এটা প্রমাণিত হবে যে তার রাজনৈতিক সহজাত প্রবৃত্তি বেশ সুতীক্ষ্ণ এবং জাতীয় পর্যায়ে তার তৈরি রক্ষণশীল রাজনীতির ব্র্যান্ডের একটা আবেদন রয়েছে। কিন্তু যদি কংগ্রেসে রিপাবলিকানদের সংখ্যা কমে যায় এবং যদি এটি ঘটে ট্রাম্পের হাতে গড়া প্রার্থীদের ব্যর্থতার কারণে তাহলে সব দোষ গিয়ে পড়বে ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘাড়ে। এই ধরনের ফলাফল দলের মধ্যে ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীদের মনে আশা বাড়িয়ে তুলবে। ফ্লোরিডার গভর্নর রন ডিস্যান্টিস এবং টেক্সাসের গভর্নর গ্রেগ অ্যাবট দুজনেই নভেম্বরে পুনঃনির্বাচনের জন্য প্রস্তুত এবং ২০২৪ সালে রিপাবলিকান মনোনয়ন জয়ের জন্য তাদের নিজস্ব প্রচারণায় তারা এই ফলাফলকে একটা স্প্রিংবোর্ড হিসাবে ব্যবহার করতে পারেন।

নির্বাচনের ফলাফল অস্বীকারকারীরা কী ভোটে অংশ নেবে: মার্কিন ক্যাপিটলে ৬ জানুয়ারির হামলা যেটিতে ট্রাম্প সমর্থকরা জো বাইডেনের নির্বাচনী বিজয়কে কংগ্রেসের অনুমোদন আটকে দেয়ার চেষ্টা করেছিল; তার পর এবারের সংসদীয় নির্বাচন হবে প্রথম কোনও ফেডারেল নির্বাচন। ওই দাঙ্গার পর চুপ থাকা তো দূরের কথা ট্রাম্প অনবরত নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এবং সক্রিয়ভাবে সেই সব রিপাবলিকান প্রার্থীর প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন। যারা বলেছেন যে চুরি করে ট্রাম্পের বিজয় ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। এই প্রার্থীদের মধ্যে অনেকেই যেমন, অ্যারিজোনায় রাজ্য মনোনীত সেক্রেটারি মার্ক ফিনচেম এবং নেভাডায় জিম মার্চেন্ট এবং পেনসিলভেনিয়ার গভর্নর পদপ্রার্থী ডগ মাস্ট্রিয়ানো, এমন সব পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন যেখানে ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট প্রতিদ্বন্দ্বিতার সময় তাদের রাজ্যের নির্বাচনী ব্যবস্থার ওপর তাদের কিছুটা নিয়ন্ত্রণ থাকবে। নির্বাচিত হলে এই রাজনীতিবিদরা একটি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচনে তাদের রাজ্যের নির্বাচনী ফলাফল প্রত্যয়িত করতে অস্বীকার করতে পারেন।

নির্বাচনে দুর্নীতির অভিযোগে স্থানীয়দের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় তারা যোগ দিতে পারেন। ডাক কিংবা ব্যালট ড্রপ বাক্স পদ্ধতির মতো ভোটের কিছু সুনির্দিষ্ট কিছু পদ্ধতি বদলে দিয়ে এরা নতুন নিয়ম ও আইন তৈরি করতে পারেন। ২০২০ সালের নির্বাচনে কিছু ফলাফল উল্টে দেয়ার জন্য ট্রাম্পের চাপ থাকা সত্ত্বেও একাধিক রাজ্যের রিপাবলিকান নির্বাচনী কর্মকর্তারা তার দাবির কাছে নতি স্বীকার করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন। এখন থেকে দুবছর পর একইভাবে কোনও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন হলে, এ ধরনের চ্যালেঞ্জের ফলাফল সম্পূর্ণ ভিন্ন হতে পারে।


আরও খবর



ঘরে বসেই করা যাবে ডেঙ্গু পরীক্ষা, দাম পড়বে ১২০ টাকা

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
স্বাস্থ্য ডেস্ক

Image

ঘরে বসেই ডেঙ্গু শনাক্তের জন্য দেশেই তৈরি হচ্ছে ডেঙ্গু টেস্ট কিট। বাংলাদেশ রেফারেন্স ইনস্টিটিউট ফর কেমিক্যাল মেজারমেন্টস্-বিআরআইসিএম ডেঙ্গু র‍্যাপিড অ্যান্টিজেন কিটটি তৈরি করেছে। যা ডেঙ্গুর সব ধরনের সেরোটাইপ শনাক্ত করতে সক্ষম।

সংস্থাটি বলেছে, কোনো সরকারি বা বেসরকারি সংস্থার কাছ থেকে অর্ডার পেলেই তারা কিট উৎপাদন শুরু করতে পারে।

গত জানুয়ারিতে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর (ডিজিডিএ) কিটটির বাণিজ্যিক উৎপাদনের অনুমোদন দেয়।

ডিজিডিএর উপ-পরিচালক মো. আব্দুল মালেক জানান, সবকিছু যাচাই-বাছাই করার পর, আমরা বিআরআইসিএমকে ড্রাগ লাইসেন্স দিয়েছি। এই বছরের ১৫ জানুয়ারি থেকে কিট উৎপাদন শুরু করার অনুমোদন দিয়েছি।

বাংলাদেশ সরকারকে বৈদেশিক মুদ্রা খরচ করে বিদেশ থেকে বিপুল সংখ্যক টেস্ট কিট আমদানি করতে হয়। কর্মকর্তারা বলেছেন, যদি সরকারি হাসপাতালগুলো স্থানীয় পরীক্ষার কিট ব্যবহার করে তবে এটি ফরেক্সের ওপর চাপ কমিয়ে দেবে।

বিআরআইসিএম-এর মহাপরিচালক মালা খান জানান, ২০২১ সাল থেকে যখন দেশে ডেঙ্গু বাড়তে শুরু করে তখন থেকে আমরা কিট তৈরির কাজ করি। প্রোটোকলটি তৈরির পর ২০২২ সালের মার্চ মাসে এটি বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিল (বিএমআরসি) এর কাছে জমা দেই। পরে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ল্যাবরেটরি মেডিসিন অ্যান্ড রেফারেল সেন্টারে ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২৩ সালের আগস্ট মধ্যে কিটটির ক্লিনিকাল ট্রায়াল হয়। আমরা যে কিট তৈরি করেছি সব করসহ এর দাম হবে ১২০ টাকা, যা আমদানি করা কিটের চেয়ে সস্তা।

মালা খানের নেতৃত্বে মামুদুল হাসান রাজু, রাইসুল ইসলাম রাব্বি, জাবেদ বিন আহমেদ, খন্দকার শরীফ ইমাম, মো রাহাত, নাফিসা চৌধুরী এবং মো. সোহেলসহ একদল বিজ্ঞানী কিটটি তৈরি করেন। মালা বলেন, 'জিকা, চিকুনগুনিয়া এবং কোভিড-১৯ এর মতো অন্যান্য ধরনের ভাইরাসের সঙ্গে কিটটির কোনো ক্রস-রিয়েকশন নেই।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম জানান, এটি খুবই ভালো খবর। যে কোনো পণ্য কেনার জন্য আমাদের পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে। আমরা আমাদের স্থানীয় পণ্যের প্রচার করতে চাই। সবগুলো মানদণ্ড পূরণ হলে আমরা অবশ্যই কিটটি কিনব।


আরও খবর



হাইব্রিডে বিপ্লব এনেছে হীরা ধান

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মোঃ মোছাদ্দেক হাওলাদার, বরিশাল প্রতিনিধি

Image

চলতি বোরো মৌসুমে কৃষকদের মাঝে হাইব্রিডে বিপ্লব এনেছে বাংলাদেশের সবচেয়ে মোটা জাতের হীরা-৬ ধান। অন্যান্য জাতের ধানের তুলনায় চাষীরা রোগ ও পোকার আক্রমন বিহীন হীরা-৬ জাতের হাইব্রিড ধান চাষ করে বাম্পার ফলন পেয়েছেন।

সোমবার (২২ এপ্রিল) সকালে গৌরনদী উপজেলার পিঙ্গলাকাঠী মিশন পাড়ার অনুষ্ঠিত হীরা ধানের মেগা মাঠ দিবসের আলোচনা সভায় স্থানীয় কৃষকরা উপস্থিত ছিলেন।

সুপ্রীম সীড কোম্পানীর আয়োজনে হীরা ধানের মেগা মাঠ দিবসে স্থানীয় কৃষক আব্দুল আজিজ মৃধার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন কোম্পানীর জোনাল ম্যানেজার কৃষিবিদ মশিউর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা অনিতা মজুমদার। কোম্পানীর রিজিওনাল ম্যানেজার কৃষিবিদ আসাদুল আলমের সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, স্থানীয় পরিবেশক দুলাল রায়, কৃষক শওকত আকন প্রমুখ।

কৃষক শওকত আকন জানিয়েছেন, তিনি তার ৬০ শতক জমিতে হীরা-৬ জাতের বোরো ধান চাষ করে এবার বাম্পার ফলন পেয়েছেন। আগামীতেও তিনি এ জাতের ধান চাষ করবেন।

তিনি আরও জানান, বাংলাদেশে যেসব হাইব্রিড ধান চাষ হয় হীরা-৬ ধান তার মধ্যে অন্যতম। উচ্চ ফলনশীল হওয়ার কারণে এই ধান তাদের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করছে।

মাঠ দিবসের আলোচনার শুরুতে অতিথিরা কৃষকদের সাথে নিয়ে হীরা-৬ ধানসহ অন্যান্য জাতের চাষ করা কয়েকটি বোরো ক্ষেত পরিদর্শন করে ধানের চারা সংগ্রহ করেন। পরবর্তীতে গণনা করে হীরা-৬ ধানের প্রতিটি শীষে গড়ে ৩০৬ থেকে ৩১০টি ধান পাওয়া গেছে। অন্যান্য জাতের ধানে সর্বোচ্চ ২০০টি ধান পাওয়া যায়।

এরপর অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষিবিদ মশিউর রহমান বলেন, হীরা-৬ বাংলাদেশের সবচেয়ে মোটা হাইব্রিড ধান। এই জাতের ধানে অন্য যেকোন হাইব্রিড ধানের তুলনায় বেশি ফলন হয়। রোগ ও পোকার আক্রমন বিহীন ১৪৫ দিনের জীবন কাল হীরা-৬ ধানের জাতে প্রতি শতকে এক মনের অধিক ধান পাচ্ছেন কৃষক। পাশাপাশি এ ধানের খোসা অত্যন্ত পাতলা হওয়ায় প্রতি ১০০ মন ধানে ৭৩ মনের অধিক চাল পাওয়া যায়। এছাড়াও এ ধানের চাউলের ভাত অন্যান্য জাতের মতো আঠালো হয়না।

সভায় উপস্থিত প্রায় দুই শতাধিক কৃষকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, বোরো চাষের শুরুতে আগে ভাবতে হবে কোন ধানের বীজ বপন করে ভাল ফলন পাওয়া যাবে। কারণ এটা শুধু বীজ নয়; একটি পরিবারের স্বপ্ন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশে যে কয়টি কোম্পানি হাইব্রিড ধানের আমদানির অনুমতি পেয়েছে তাদের মধ্যে একটি সুপ্রীম সিড। কোম্পানিটি বাংলাদেশে প্রথম চীন থেকে বাংলাদেশে হীরা ধানের বীজ এনে বাজারজাত করেন। এরপর তারা নিজস্ব উৎপাদনে যায়। বর্তমানে ৯০ শতাংশ বীজ নিজেরাই উৎপাদন করে বাজারজাত করছেন।

সূত্রে আরও জানা গেছে, হাইব্রিড ধান সাধারণত ৭০-৭৫ শতাংশ পাকলেই কাটতে হয়। কারণ ধান বেশি পাকার ফলে ক্ষেতেই ঝড়ে যায়। তখন হাইব্রিড ধানের বিষয়ে নেতিবাচক প্রচারণা হয়। যে কারণে কৃষকদের সচেতনতার জন্যই মূলত হীরা-৬ ধানের মেগা মাঠ দিবসের আয়োজন করা হয়েছে।


আরও খবর



ছুটির দিনে ‘গ্রহণযোগ্য’ ঢাকার বাতাস

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় আজ ১ মে ৯৬ স্কোর নিয়ে ১৬ নম্বরে অবস্থান করছে ঢাকা। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সে (একিউআই) ঢাকার এ অবস্থান দেখা গেছে। এই স্কোর বাতাসের মানকে মাঝারি বা গ্রহণযোগ্য নির্দেশ করে।

এদিকে, বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় আজ ১৯০ স্কোর নিয়ে শীর্ষে অবস্থান করছে নেপালের কাঠমান্ডু। ১৬৯ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি।

৫১ থেকে ১০০ স্কোর হলে মাঝারি বা গ্রহণযোগ্য মানের বায়ু হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ১০১ থেকে ১৫০ এর মধ্যে হলে বাতাসের মান সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে অস্বাস্থ্যকর বলে মনে করা হয়। ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে খুব অস্বাস্থ্যকর এবং ৩০১+ একিউআই স্কোরকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।

বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের ৫টি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে। সেগুলো হলো- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)। দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।


আরও খবর



স্লোভাকিয়ার প্রধানমন্ত্রীকে গুলি, অবস্থা শঙ্কাজনক

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

স্লোভাকিয়ার প্রধানমন্ত্রী রবার্ট ফিকো গতকাল বুধবার আততায়ীর গুলিতে মারাত্মক আহত হয়েছেন। তার শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক। অন্যদিকে সন্দেহভাজনকে আটক করেছে পুলিশ। খবর বিবিসি।

খবরে বলা হয়, রাজধানীর উত্তর-পূর্বে হ্যান্ডলোভা শহরে একটি সাংস্কৃতিক কমিউনিটি সেন্টারের সামনে এ ঘটনা ঘটে। সেখানে সরকারি বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে- পেট, হাত ও পায়ে গুলি লেগেছে ফিকোর। একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, তিনি তিনটি গুলির শব্দ শুনেছেন।

ফিকোর অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ থেকে, প্রধানমন্ত্রীকে লক্ষ্য করে একাধিক গুলি ছোড়া হয়েছে এবং তার জীবন আশঙ্কাজনক। তাকে হেলিকপ্টারে করে বাঙ্কসা বায়াসত্রিকাতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

ঘটনার সময় দেশটির পার্লামেন্টে অধিবেশন চলছিল। প্রধানমন্ত্রী গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর শোনার পর বিষয়টি সংসদ সদস্যদের অবহিত করেন ডেপুটি স্পিকার লুবোস ব্লাহা।

গুলির ঘটনায় দেশটির বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জুজানা ক্যাপুতোভা বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ওপর নৃশংস ও নির্মম হামলার ঘটনায় তিনি হতবাক। হামলার নিন্দা জানিয়ে ইউরোপিয়ান কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লিয়েন বলেন, আমাদের সমাজে এমন সহিংসতার কোনো স্থান নেই। এটা গণতন্ত্রকে হেয় করে।


আরও খবর



ইউক্রেনে গোপনে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে গোপনে পাওয়া দূরপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে ব্যবহার করতে শুরু করেছে ইউক্রেন। মার্কিন কর্মকর্তারা এই তথ্য জানিয়েছেন বলে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

গত মার্চে ইউক্রেনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এ সংক্রান্ত ৩০০ মিলিয়ন ডলারের সহায়তা প্যাকেজ অনুমোদন করেছিলেন। এ মাসে অস্ত্রের চালান দেশটিতে পৌঁছে।

মার্কিন গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, এসব অস্ত্র ব্যবহার করে অধিকৃত ক্রিমিয়ায় রুশ লক্ষ্যবস্তুতে কমপক্ষে একটি হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন।

সম্প্রতি ইউক্রেনের জন্য ৬১ বিলিয়ন ডলারের আরও একটি সহায়তা প্যাকেজ প্রস্তাবের অনুমোদন দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এর আগে যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনে মধ্যমপাল্লার আর্মি ট্যাকটিকেল মিসাইল সিস্টেম (এটিএসিএমএস) পাঠিয়েছিল। ওই সময় তারা আরও শক্তিশালী অস্ত্রসম্ভার পাঠাতে অনিচ্ছুক বলে জানিয়েছিল। তবে তা সত্ত্বেও গত ফেব্রুয়ারিতে প্রেসিডেন্ট বাইডেন ৩০০ কিলোমিটার দূরত্বের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম এমন দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা ইউক্রেনে পাঠাতে সবুজ সংকেত দিয়েছিলেন।

এ প্রসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল বলেন, আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি, প্রেসিডেন্টের সরাসরি নির্দেশনায় ইউক্রেনে দূরপাল্লার এটিএসিএমএস পাঠানো হয়েছে।  তিনি বলেন, ইউক্রেনের অনুরোধে কৌশলগত নিরাপত্তার কারণে বিষয়টি নিয়ে কোনো ঘোষণা দেওয়া হয়নি।

ঠিক কতগুলো অস্ত্র ইতোমধ্যে ইউক্রেনে পাঠানো হয়েছে তা অবশ্য জানা যায়নি। বিষয়টি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান জানান, ওয়াশিংটন ইউক্রেনে আরও অস্ত্র পাঠানোর পরিকল্পনা করছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক যুক্তরাষ্ট্রের একজন কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, দূরপাল্লার এই ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে অধিকৃত ক্রিমিয়ায় একটি রুশ বিমানঘাঁটিতে হামলা চালানো হয়েছিল। আর নতুর সরবরাহ করা ক্ষেপণাস্ত্রের সাহায্যে গত মঙ্গলবার অধিকৃত বন্দর নগরী বেরদিয়ানস্কে রুশ সৈন্যদের বিরুদ্ধে হামলা চালানো হয়।

সাম্প্রতিক মাসগুলোতে গোলাবারুদ কমে যাওয়ায় এবং রুশ সৈন্যরা ধীরে ধীরে সামনে এগিয়ে আসায় কিয়েভ পশ্চিমা দেশগুলোর প্রতি আরও বেশি করে অস্ত্রশস্ত্র পাঠানোর আহ্বান জানিয়ে আসছে।

২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর যুদ্ধে উভয়পক্ষের ১০ হাজারেরও বেশি লোক নিহত হয়েছে, যাদের অধিকাংশ সেনাসদস্য। এ ছাড়া লাখ লাখ মানুষ তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়েছে।


আরও খবর