রোজার মাসকে সামনে রেখে প্রবাসীরা চলতি
বছরের মার্চ মাসে ১৮৬ কোটি ডলার দেশে পাঠিয়েছেন, যা গত আট মাসের মধ্যে পরিমাণের দিক
থেকে সবচেয়ে বেশি। আর গত বছরের জুলাই মাসের পরে এটাই সর্বোচ্চ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে প্রবাসীরা পাঠিয়েছেন ১৪৯ কোটি ডলার, যা মার্চ মাসের চেয়ে ৩৭
কোটি ডলার কম। গত বছরের জুলাই মাসে প্রবাসীরা ১ দশমিক ৮৭ বিলিয়ন ডলার দেশে ঠিয়েছেন।
বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠাতে প্রবাসীদের
উৎসাহী করতে সরকার প্রণোদনার পরিমাণ দুই শতাংশ থেকে বাড়িয়ে দুই দশমিক পাঁচ শতাংশ করেছে।
২০২০ সালের মার্চে করোনা মহামারি শুরুর পর টানা এক বছরেরও বেশি সময় বৈধপথে রেমিট্যান্স
বেড়েছিল।
অর্থবছরভিত্তিক রেমিট্যান্স:
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২০-২১
অর্থবছরে প্রবাসীরা রেকর্ড পরিমাণ ২৪ দশমিক ৭৭ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন।
এর আগে ২০১৯-২০ অর্থবছরে ১ হাজার ৮২০ কোটি ৩০ লাখ মার্কিন ডলার, ২০১৮-১৯ অর্থবছরের
১ হাজার ৬৩১ কোটি ডলার, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ১ হাজার ৪৯৮ কোটি ডলার, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে
১ হাজার ২৭৬ কোটি ৯৪ লাখ ডলার, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ১ হাজার ৪৯৩ কোটি ডলার এবং ২০১৪-১৫
অর্থবছরে দেশে রেমিট্যান্স আসে ১ হাজার ৫৩১ কোটি ৬৯ লাখ ডলার।
পঞ্জিকা বছর হিসাবে রেমিট্যান্স:
২০২১ সালে করোনার মধ্যেও প্রবাসীরা অতিথের
সব রেকর্ড ভেঙে রেমিট্যান্স পাঠান ২ হাজার ২০৭ কোটি ৮৫ লাখ ডলার। এর আগে, ২০২০ সালে
প্রবাসীরা ২ হাজার ১৭৪ কোটি ১৮ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। এছাড়া ২০১৯ সালে ১
হাজার ৮৩৩ কোটি মার্কিন ডলার, ২০১৮ সালে ১ হাজার ৫৫৩ কোটি ৭৮ লাখ ডলার, ২০১৭ সালে ১
হাজার ৩৫৩ কোটি ডলার, ২০১৬ সালে ১ হাজার ৩৬১ কোটি ডলার এবং ২০১৫ সালে ১ হাজার ৫৩১ কোটি
মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স আসে দেশে।
তবে গত ছয়মাস সেই ধারার পতন হলেও আবারও
রোজার ঈদকে সামনে রেখে প্রবাসীরা বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠাতে শুরু করেছেন বলে জানিয়েছেন
বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা।