তরুণ প্রকৌশলীদের সরকারি আইন-কানুন, নীতি ও অনুশাসন মেনে কঠোর কর্তব্যপরায়নতা ও সততার সাথে দায়িত্ব পালনের আহবান জানিয়েছেন জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের মহাপরিচালক মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী।
মঙ্গলবার “সবুজ ও নির্মল জ্বালানী: টেকসই বাংলাদেশ” শীর্ষক সেমিনারে ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (ডিপিডিসি) ১৮ ও ১৯তম বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সের ৯০ জন প্রকৌশলীর উদ্দেশ্যে মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী বলেন, বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ার পূর্বে প্রতিটি ভবনের জন্য সোলার প্যানেল স্থাপনের যে বাধ্যবাধকতা রয়েছে, তা অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে। তরুণ প্রকৌশলীদের সারাক্ষণ অফিসকেন্দ্রীক হয়ে গেলে চলবে না। মাঠে নেমে এলাকায় সঠিক বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থাপনাসহ ভবনকেন্দ্রীক সোলার প্যানেল স্থাপনের বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। প্রতিটি ভবনে সোলার প্যানেল স্থাপন করতে পারলে জাতীয় গ্রিডের ওপর চাপ কমবে। এছাড়া মাঠ পর্যায়ে বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদান, মিটার স্থাপন, বিল তৈরি ও বিল পরিশোধ কার্যক্রমে মানুষের জন্য সহজ সেবা নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি বলেন, সরকারের অটোমেশন ও ডিজিটালাইজেশন নীতি বাস্তবায়ন করতে হবে। মাঠ পর্যায়ের অফিসগুলোকে দালালমুক্ত করতে হবে। প্রয়োজনে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় ড্রোন ব্যবহার করে বিদ্যুৎ চুরির ঘটনা উদঘাটন করতে হবে।
মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী বলেন, ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের প্রকৌশলীদের বেতন কাঠামো অনেক উন্নত। এ বেতনে স্বাচ্ছন্দ্যে ও স্বচ্ছলভাবে জীবনযাপন করা সম্ভব। নিজেদেরকে ঘুষ ও দুর্নীতির প্রলোভনমুক্ত রাখতে হবে। মানুষকে সবুজ জ্বালানী ব্যবহারের প্রতি উদ্বুদ্ধ করতে হবে। নিষ্ঠা ও সততার সাথে দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে কোম্পানির সুনাম ধরে রাখতে হবে।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রকৌশলী ত্বহা হোসাইন ও শাফিন ইনতিসার। এছাড়া বক্তব্য প্রদান করেন ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী জনাব মহিউল আলম। সেমিনারে অংশগ্রহণকারীদের বিজ্ঞান জাদুঘরের পক্ষ থেকে স্মারক উপহার সামগ্রী প্রদান করা হয়। পরে সবাই জাদুঘরের নান্দনিক স্থাপনা ও বিভিন্ন গ্যালারি পরিদর্শন করে।