আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

মানসিকভাবে শতভাগ ফিট নন লরিস

প্রকাশিত:রবিবার ২২ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২২ জানুয়ারী ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

বিশ্বকাপের উন্মাদনা শেষে এখন পুরোদমে চলছে ক্লাব ফুটবল। বিশ্ব মঞ্চে জাতীয় দলের হয়ে প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির অনুভূতি পেছনে ফেলে ফুটবলাররা ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন ক্লাব ফুটবলে। তবে কাতার থেকে ফেরার পর থেকে ঠিক যেন চেনা যাচ্ছে না হুগো লরিসকে।

টটেনহ্যামের হটস্পারের হয়ে এই সময়ে করেছেন কয়েকটি বড় ভুল। এর পেছনে বিশ্বকাপের ক্লান্তিকে বড় করে দেখছেন সাবেক ফরাসি গোলরক্ষক। ২০১৮ সালে বিশ্বকাপজয়ী এই ফুটবলার মনে করেন, এবারের বিশ্বকাপে একদম শেষ পর্যন্ত খেলার পর এখনও মানসিকভাবে ফিট হতে পারেননি তিনি।

বিশ্বকাপে ফ্রান্সের সাতটি ম্যাচের ছয়টিতে খেলেন লরিস। আর্জেন্টিনার বিপক্ষে টাইব্রেকারে হেরে যাওয়া ফাইনালে পুরোটা সময় জুড়েই মাঠে ছিলেন তিনি।

বিশ্বকাপ শেষ আন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায় জানান লরিস। গত ১ জানুয়ারি টটেনহ্যামের হয়ে মাঠে ফেরেন তিনি। এরপর থেকে চারটি ম্যাচে এমন কিছু ভুল করেছেন ৩৬ বছর বয়সী এই খেলোয়াড়, যা তার মাপের একজন গোলরক্ষকের কাছ থেকে অপ্রত্যাশিত।

সবশেষ প্রিমিয়ার লিগে ম্যানচেস্টার সিটির কাছে গত বৃহস্পতিবার ৪-২ গোলে হেরে যায় টটেনহ্যাম। সিটির হয়ে তৃতীয় গোলটি করেন রিয়াদ মাহরেজ, গোলটিতে খুব সহজেই পরাস্ত হন লরিস। এর আগে অ্যাস্টন ভিলা ও আর্সেনালের বিপক্ষেও দৃষ্টিকটু ভুল করেন তিনি।

ক্রীড়ার তথ্য-উপাত্ত সংরক্ষণকারী প্রতিষ্ঠান অপটার তথ্য অনুযায়ী, লরিসের ভুল থেকে তার দল চারটি গোল হজম করেছে। ইউরোপের শীর্ষ পাঁচটি লিগের গোলরক্ষকদের মধ্যে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়েই চলতি মৌসুমে যা সর্বোচ্চ।

নিজের দায় স্বীকার করে লরিস বললেন মানসিক ক্লান্তির কথা। ইভিনিং স্ট্যান্ডার্ডকে গত শুক্রবার দেওয়া এক সাক্ষাৎকার তিনি বলেন, বিশ্বকাপের পর প্রাণশক্তি ফিরে পেতে লড়তে হচ্ছে তাকে।

তিনি বলেন, ভুলগুলোর বিষয়ে আমি মেনে নিচ্ছি। একজন পেশাদার খেলোয়াড় হিসেবে আমাকে একটা ছন্দ ধরে এগোতে হবে। জাতীয় দলে যোগ দিয়ে এবং বিশ্বকাপের শেষ দিন পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাওয়ার পর ক্লাবে ফিরে মানসিক সতেজতা খুঁজে ফেরা স্বাভাবিকই। কিন্তু কক্ষপথে ফিরে আসতেই হবে।

লরিস মনে করেন, যদি আর্সেনাল গোলের দিকে তাকান, তাহলে দেখবেন যে আমি ভালো অবস্থানে থাকতে পারতাম, কিন্তু একজনের গায়ে লেগে বলটি আমার বুকে আঘাত করে এবং স্পিন করে গোললাইন পেরিয়ে যায়। এটা এমন কিছু যা আমি ইচ্ছাকৃতভাবে করতে চাইলেও পারতাম না। এমনকি বৃহস্পতিবার, আমরা যদি (সিটির) তৃতীয় গোলটি দেখি, সেখানে একজনের গায়ে লাগার কারণে বলটি আমার হাঁটুর ওপর দিয়ে চলে যায়।

এই মৌসুমে ইংল্যান্ডের শীর্ষ লিগে এখন পর্যন্ত ২০ ম্যাচে ৩১টি গোল হজম করেছে টটেনহ্যাম, ২০০৭-০৮ মৌসুমের পর যা ক্লাবটির সর্বোচ্চ (৩৬ গোল)।  লিগে নিজেদের সবশেষ চার ম্যাচের তিনটিতে হারা টটেনহ্যামের পরের ম্যাচ আগামী সোমবার, ফুলহ্যামের বিপক্ষে। ২০ ম্যাচে ৩৩ পয়েন্ট টেবিলে পঞ্চম স্থানে আছে আন্তোনিও কন্তের দল।

নিউজ ট্যাগ: হুগো লরিস

আরও খবর
ডি মারিয়াকে হত্যার হুমকিদাতা গ্রেফতার

বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪




শহিদ মিনারে নেওয়া হবে না সাদি মহম্মদের মরদেহ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৪ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

কিংবদন্তি রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী সাদি মহম্মদের মরদেহ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ধানমন্ডির আল মারকাজুল ইসলামীতে নেওয়া হয়েছে। বুধবার (১৩ মার্চ) রাত সাড়ে ১১টার দিকে মরদেহ সেখানে নিয়ে যাওয়া হয়।

গায়কের পরিবারের একটি সূত্র জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) বাদ জোহর মোহাম্মদপুর জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে সাদি মহম্মদের। এরপর মোহাম্মদপুর জামে মসজিদ কবরস্থানে মরদেহ দাফন করা হবে। আর গায়কের মরদেহ শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে নেওয়া হবে না বলেও জানানো হয়েছে।

এর আগে বুধবার (১৩ মার্চ) সন্ধ্যা ৭টার দিকে সাদি মহম্মদের মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। মৃত্যুর বিষয়টি সংবাদমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন তার ছোট ভাই নৃত্যশিল্পী শিবলী মহম্মদ।

তিনি বলেন, আজও তানপুরা নিয়ে সংগীত চর্চা করেছেন সাদি। কিন্তু সন্ধ্যার পর হঠাৎ ঘরের দরজা বন্ধ দেখতে পাই। ঘরের দরজা বন্ধ পাওয়ায় আমরা দরজা ভাঙি। পরে তার ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পাই।

গত বছরের ৮ জুলাই সংগীতশিল্পী সাদির মা জেবুন্নেছা সলিমউল্লাহ (৯৬) মারা গেছেন। বার্ধক্যজনিত রোগে মায়ের মৃত্যুর পর থেকেই ট্রমার মধ্যে ছিলেন ছেলে সাদি। মানসিকভাবেও ঠিক স্বাভাবিক ছিলেন না তিনি। সংগীতশিল্পী সাদি মহম্মদ বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রবীন্দ্রসংগীতের ওপর স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নেন।

প্রসঙ্গত, ২০০৭ সালে আমাকে খুঁজে পাবে ভোরের শিশিরে অ্যালবামের মাধ্যমে সুরকার হিসেবে অভিষেক হয় সাদি মহম্মদের। এরপর ২০০৯ সালে শ্রাবণ আকাশে ও ২০১২ সালে সার্থক জনম আমার অ্যালবাম প্রকাশ হয় তার।

সাদি মহম্মদের বাবা সলিমউল্লাহকে ১৯৭১ সালে হত্যা করে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি। আর তার বাবার নামেই ঢাকার মোহাম্মদপুরের সলিমউল্লাহ রোডের নামকরণ করা হয়েছে।


আরও খবর
বাংলাদেশে আসছেন আতিফ আসলাম

শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪




ঢামেকে র‌্যাবের অভিযান, দালাল চক্রের ৫৮ জন আটক(ভিডিও)

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আসা রোগীদের ভর্তিসহ বিভিন্ন কাজে হয়রানি করে টাকা নেয়া ও ব্যয়বহুল বেসরকারি হাসপাতালে পাঠানোর অভিযোগে দালাল চক্রের অন্তত ৫৮ সদস্যকে আটক করেছে র‍্যাব।

এরপর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে অভিযুক্তদের সর্বোচ্চ একমাসের সাজা দেওয়া হয়েছে। তবে রোগীর কয়েকজন স্বজনকেও আটক করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

সোমবার বেলা ১১টার পরে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন-৩ (র‍্যাব)- এর একটি দল ঢাকা মেডিকেলে অভিযান চালায়। এসময় বহির্বিভাগ, জরুরি বিভাগ, নতুন ভবন এবং বাগান গেটের প্রশাসনিক ব্লকসহ বিভিন্ন জায়গা থেকে দালাল সন্দেহে তাদের ৫৮ জনকে আটক করা হয়।

র‌্যাব-৩ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্ণেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ঢাকা মেডিকেল কলেজের রোগীদের ঘিরে গড়ে ওঠা দালাল চক্রের ৫৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এরা রোগীদের জিম্মি করে বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে পাঠাতো। এছাড়া এই হাসপাতালেই সিট দেয়ার নামে টাকা নিতো চক্রের সদস্যরা।

সব হাসপাতালে দালালদের দৌরাত্ম কমাতে র‍্যাবের অভিযান চলমান থাকবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ঢামেকের দালালদের মধ্যে চতুর্থ শ্রেণিসহ সংশ্লিষ্ট কিছু স্টাফের নাম এসেছে। তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

শুধু ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেই ১৫০ থেকে ২০০ দালাল আছে বলেও জানান র‌্যাবের এক কর্মকর্তা।

দালালচক্রের হাতে নাজেহাল হওয়া ভুক্তভোগীদের করা অভিযোগের ভিত্তিতে, সাদা পোশাকে র‍্যাব সদস্যরা ঢাকা মেডিকেলে রেকি করে। এরপর ভ্রাম্যমাণ নিয়ে অভিযান চালানো হয়।

এর আগে গত বুধবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগর এলাকায় সরকারি চার হাসপাতালের সামনে থেকে দালাল চক্রের ৪১ সদস্যকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত।

ওই চার হাসপাতাল হলো- শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট, জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান এবং ঢাকা শিশু হাসপাতাল।


আরও খবর



লক্ষ্মীপুরে ডাম্পট্রাক-পিকআপের সংঘর্ষে নিহত ১

প্রকাশিত:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি

Image

লক্ষ্মীপুরে ডাম্পট্রাক ও বালুবাহী পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষে আবদুর রহিম (২৫) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় মো. রুবেল (২৭) ও মো. সাগর (২৬) নামে দুইজন আহত হয়।

নিহতের মৃতদেহ উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। আহতদের ওই হাসপাতালে চিকিৎসা দিয়ে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

রোববার (১০ মার্চ) সকালে লক্ষ্মীপুরের মজুচৌধুরীর হাট সড়কের যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত আবদুর রহিম সদর উপজেলার মান্দারী ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামের আবদুল হকের ছেলে। আহত রুবেল ওই ইউনিয়নের রতনপুর গ্রামে নুরুল আমিনের ছেলে এবং সাগর একই এলাকার বাসিন্দা।

এদের মধ্যে নিহত রহিম ও আহত সাগর বালুবাহী পিক-আপের শ্রমিক ছিলেন। আহত রুবেল ওই পিকআপের চালক।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, মজুচৌধুরীর হাট থেকে বালু নিয়ে দ্রুত গতির একটি পিকআপ গাড়ি যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের সামনে আসলে বিপরীত দিক থেকে আসা দ্রুত গতির আরেকটি ডাম্পট্রাকের সাথে সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলে পিকআপে থাকা একজনের মৃত্যু ও দুইজন আহত হয়।

সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক এমএ সালাম সৌরভ বলেন, দুর্ঘটনা কবলিত তিনজনকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। এদের মধ্যে একজনকে মৃত পাওয়া যায়। বাকী দুইজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুদ্দিন আনোয়ার বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আরও খবর



সাকিবকে টপকে টুর্নামেন্ট সেরার পুরস্কার তামিমের

প্রকাশিত:শনিবার ০২ মার্চ 2০২4 | হালনাগাদ:শনিবার ০২ মার্চ 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আগেই জানিয়েছিলেন বিপিএলের পরেই নিজের ক্যারিয়ার নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল। যদিও একবার অবসরে চলে গিয়েছিলেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে শেষ পর্যন্ত সেই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেন। তবে সেই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেও বিশ্বকাপের ফ্লাইটে চড়া হয়নি। এরপরই তাকে নিয়ে অনেক আলোচনা-সমালোচনার জন্ম হয়। বলা হচ্ছিল তামিম শেষ হয়ে গেছেন, ফুরিয়ে গেছেন। সেই বুড়ো তামিমই কিনা হলেন এবারের বিপিএলের সিরিজ সেরা তারকা।

ফাইনালের আগে দারুণ ছন্দে ছিলেন তামিম। ফরচুন বরিশালের জার্সি গায়ে ১৪ ম্যাচে করেছিলেন ৪৫৩ রান। সেরা ব্যাটারের দৌড়ে তামিমের প্রতিপক্ষ ছিল কুমিল্লার তরুণ ক্রিকেটার তাওহিদ হৃদয়। এ দুজনের মাঝে রানের ব্যবধান ছিল মাত্র ৬। সেখান থেকে হৃদয় আজ ব্যাট হাতে ছিলেন নিষ্প্রভ। ১০ বলে খেলেন ১৫ রানের ইনিংস। তাই খুব বেশিদূর এগুতে পারেননি হৃদয়।

কুমিল্লার দেয়া টার্গেটে ব্যাটিং করতে নেমে ২৬ বলে ৩ ছক্কা ও সমান চারে খেলেন ৩৯ রানের বিস্ফোরক ইনিংস। এতে করে ১৫ ম্যাচ থেকে তামিমের সংগ্রহ গিয়ে দাঁড়ায় ৪৯২ রান। এতে করে হৃদয়কে টপকে হয়ে যান ২০২৪ বিপিএলের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। আর ম্যাচ শেষে পুরো বিপিএলের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার নিজের করে নেন তিনি।

২২ গজে ব্যাট হাতে যে তামিম ফুরিয়ে যাননি বিপিএলের এবারের আসরে সেটা বারবার প্রমাণ করেছেন। বড় ইনিংস নিয়মিত না এলেও দুর্দান্ত ঢাকার বিপক্ষে ৭১ রানের চমৎকার ইনিংস উপহার দেন। টুর্নামেন্টে এরপর আরও দুটি ফিফটির দেখা পান তিনি। এলিমিনেটরে চট্টগ্রামের বিপক্ষে খেলেছিলেন ৪৩ বলে ৫২ রানের অপরাজিত ইনিংস।

বাংলাদেশি ব্যাটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ রান, বিপিএলে সর্বোচ্চ রানসহ প্রায় অনেক রেকর্ডই নিজের করেছেন চট্টগ্রামের এই ওপেনার। আজ ফাইনালে নামার আগে তামিমের সামনে দুটি রেকর্ডের হাতছানি ছিল। তার মধ্যে একটি রেকর্ড নিজের করে নিয়েছেন তিনি।

বিপিএলের প্রথম আসর থেকেই টুর্নামেন্টে খেলে যাচ্ছেন তামিম। ফ্র্যাঞ্চাইজি ভিত্তিক এ টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে তিনি নিয়মিত মুখ। বিপিএলের হয়ে যাওয়া দশটি আসরে আটটি আলাদা দলের হয়ে মাঠ মাতিয়েছেন দেশসেরা এ ওপেনার। বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটার হিসেবে এ ক্রিকেট আসরে দুই সেঞ্চুরির মাইলফলকে পৌঁছেছেন। বিপিএলের ফাইনালেও রয়েছে তার সেঞ্চুরি। ২০১৯ সালে বিপিএলের শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে তার হাঁকানো ১৪১ রানের দাপুটে ইনিংস দেশের ক্রিকেটারদের মধ্যে রেকর্ড।

বিপিএলের ২০১৬ আসরে চট্টগ্রাম ভাইকিংসের হয়ে তামিমের ব্যাট থেকে এসেছিল ৪৭৬ রান। ২০১৯ সালে চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লার হয়ে পুরো টুর্নামেন্টে দ্যুতি ছড়িয়ে করেন ৪৬৭ রান। এ টুর্নামেন্টের এক মৌসুমে দেশের ব্যাটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকায় তার এই দুই ইনিংস ছিল তিন ও চার নম্বরে। আজকের ফাইনালে সেটাকেই টপকে গেলেন তিনি।

ফাইনাল ম্যাচের আগে ১৪ ম্যাচে তামিমের ছিল ৪৫৩ রান। ফাইনালে ২৬ বলে ৩৯ রান করায় ১৫ ম্যাচে তার সংগ্রহ গিয়ে দাঁড়ায় ৪৯২ রান। যা চলতি আসরে রান সংগ্রাহকদের মধ্যে সর্বোচ্চ। এছাড়া তার ব্যক্তিগত রান সংগ্রহের দিক দিয়ে আট বছরের পুরোনো রান টপকে নতুন রেকর্ড গড়েন। এর মধ্যে বিপিএলে এক মৌসুমে তামিমের ৪৯২ রানেই সর্বোচ্চ। বাংলাদেশি হিসেবে তার সামনে আছেন কেবল নাজমুল হাসান শান্ত। তিনি ২০২৩ সালের নবম আসরে সিলেট স্ট্রাইকার্সের হয়ে ১৫ ম্যাচে ৫১৬ রান সংগ্রহ করেন।

অধিনায়ক হিসেবে প্রথম বিপিএল শিরোপা নিশ্চিতের দিনে সিরিজ সেরার পুরস্কারটাও পেলেন তামিম। বয়স বাড়লেও তামিম যে ফুরিয়ে যাননি তাই যেন প্রমাণ করলেন শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে।


আরও খবর
ডি মারিয়াকে হত্যার হুমকিদাতা গ্রেফতার

বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪




শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় বসেছে প্রায় সাড়ে ১৮ লাখ প্রার্থী

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৫ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা শুক্রবার (১৫ মার্চ) শুরু হয়েছে। দুই শিফটে দেশের ৮টি বিভাগের ২৪ জেলা শহরে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এ পরীক্ষায় অংশ নিতে আবেদন করেছেন ১৮ লাখ ৬৫ হাজার প্রার্থী।

এনটিআরসির তথ্যানুযায়ী, শুক্রবার (১৫ মার্চ) সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বেলা সাড়ে ১০টা পর্যন্ত স্কুল-২ ও স্কুল পর্যায়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর বিকাল সাড়ে ৩টা থেকে সাড়ে ৪টা পর্যন্ত কলেজ পর্যায়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

এনটিআরসিএর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এসএসসি পরীক্ষা, বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষা, সিটি কর্পোরেশন ও উপজেলা নির্বাচনসহ নানা কারণে এবার একদিনে পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

গত বছরের ৪ নভেম্বর ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এনটিআরসিএ। এতে আবেদন করেছেন ১৮ লাখ ৬৫ হাজারের বেশি প্রার্থী।

শুক্রবার প্রার্থীদের ১০০ নম্বরের প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। পরীক্ষার এক ঘণ্টায় মোট ১০০টি প্রশ্নের উত্তর করতে হবে। প্রতিটি শুদ্ধ উত্তরের জন্য বরাদ্ধ ১ নম্বর। ভুল উত্তর দিলে প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য প্রাপ্ত মোট নম্বর থেকে শূন্য দশমিক ২৫ নম্বর কাটা হবে। প্রিলিমিনারি পরীক্ষার পাস নম্বর ৪০।

লিখিত পরীক্ষায় প্রার্থীদের নির্ধারিত স্ব স্ব বিষয়ের ওপর পরীক্ষা দিতে হবে। এ নিবন্ধনের মাধ্যমে প্রার্থীরা বেসরকারি এমপিওভুক্ত বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক পদে চাকরির সুযোগ পাবেন।


আরও খবর