বিশ্বজুড়ে এখন আতঙ্কের নাম মাঙ্কিপক্স। বাংলাদেশেও ভাইরাসটি প্রবেশ করার আশঙ্কা রয়েছে জানিয়ে সতর্ক করেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ। শনিবার (৩০ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ ডা. মিল্টন হলে মাঙ্কিপক্স নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
উপাচার্য আরও বলেন, ‘‘বাংলাদেশে মাঙ্কিপক্স
এখনো শনাক্ত করা না গেলেও সব প্রবেশপথ দিয়ে বহু দেশের নাগরিক আসছেন। এতে করে শঙ্কা
আছে। তাই বিমানবন্দরের পাশাপাশি স্থলপথের প্রবেশপথে সতর্কতা বাড়াতে হবে যাতে সন্দেহভাজন
কেউ আসলে দ্রুত আইসোলেশনে নেয়া যায়।’’
তিনি বলেন, ‘‘এই ভাইরাসে শুক্রবারও
ব্রাজিলে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। পরিস্থিতি কোনদিকে যায় এখনই বলা যাচ্ছে না। তাই আতঙ্কিত
না হয়ে এখন থেকেই সতর্ক থাকতে হবে।’’
শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘‘এখন পর্যন্ত মাঙ্কিপক্স
প্রতিরোধে গুটি বসন্তের টিকা ৮৫ ভাগ সুরক্ষা দেয়। কিন্তু ১৯৮১ সালের পর থেকে বাংলাদেশে
এই টিকা দেয়া বন্ধ হয়ে যায়। এখন ভাইরাসটির প্রকোপ যদি বেড়ে যায় প্রয়োজনে আবারও সেই
টিকা প্রয়োগ করা হবে। একই সঙ্গে যাদের বাসায় পোষা প্রাণী আছে, তাদের একটু সচেতন হতে
হবে। কারণ এটি প্রাণী থেকে প্রাণী এবং সেখান থেকে মানুষকে সংক্রমিত করে।’’
মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত ৭৪ ভাগ রোগী বহুগামিতায়
অভ্যস্ত জানিয়ে তিনি বলেন, এই ভাইরাসে আক্রান্তদের ৭৪ ভাগ রোগী বহুগামিতায় অভ্যস্ত।