আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

মানিকগঞ্জে অবৈধভাবে তেল মজুদ করায় ১ লাখ জরিমানা

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৩ মে ২০২২ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৩ মে ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
Image

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি:

বাজারে সরবরাহ না করে অবৈধভাবে তেল মজুদ করে সংকট সৃষ্টির অপরাধে মানিকগঞ্জ শহর বাজারের তীর তেলের পরিবেশক প্রতিষ্ঠান মেসার্স কালিপদ এন্ড সন্স কে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী ১,০০,০০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

শুক্রবার (১৩ মে) সকালে ভোক্তা অধিকার মানিকগঞ্জের পরিচালনায় এ অভিযান পরিচালিত হয়। এসময় অভিযুক্ত  প্রতিষ্ঠানে ১৩০০ লিটারের অধিক তেল পাওয়া যায়।

ভোক্তা অধিকার মানিকগঞ্জের সহকারী পরিচালকের তত্ত্বাবধায়নে অভিযান চলাকালে জেলা ক্যাব ও ভিজিএফ আইসহ পুলিশের একটি টিম সহযোগিতা করে।

ভোক্তা অধিকার মানিকগঞ্জের সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান রুমেল বলেন, বাজারে সয়াবিন তেলের বেশ চাহিদা রয়েছে। এরপরও ওই ডিলার বাজারে তেল বিক্রি না করে অবৈধভাবে মজুত করে খোলাবাজারে বিক্রি করে আসছিলেন। কৃত্রিম সংকট তৈরি না করতে এবং তেলে সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে ওই বাজারের ব্যবসায়ীদের সতর্ক করা হয়েছে। অভিযানের পরে মজুত করা তেল ক্রেতাদের মাঝে ন্যায্যমূল্যে বিক্রি করা হয়। তিনি আরো জানান ভোক্তা অধিকার নিশ্চিত করতে জেলা প্রশাসক আবদুল লতিফ এর নির্দেশে তাদের অভিযান পরিচালনা অব্যাহত থাকবে।

উল্লেখ্য দেশের মাঝে তেল ব্যাবসায়ীদের কৃত্রিম সংকট তৈরির ক্ষেত্রে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে প্রাতিষ্ঠানিক অভিযান চালিয়ে সারা দেশের মাঝে ভোক্তা অধিকার কাজ করে যাচ্ছে, যার ধারাবাহিকতায় মানিকগঞ্জে গেল কয়েক দিন ধরে ভোক্তা অধিকার মানিকগঞ্জের অভিযান লক্ষ্য করা গেছে।


আরও খবর



ফেব্রুয়ারিতে ৫৮৩ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৫৪৪

প্রকাশিত:বুধবার ১৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ফেব্রুয়ারি মাসে দেশে ৫৮৩টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৫৪৪ জন নিহত ও ৮৬৭ জন আহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ৭৯ জন নারী ও ৮২ শিশু রয়েছেন।

বুধবার (১৩ মার্চ) রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। জাতীয় দৈনিক, অনলাইন নিউজ পোর্টাল এবং ইলেকট্রনিক গণমাধ্যমের তথ্যের ভিত্তিতে এ প্রতিবেদন তৈরি করেছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন।

রোড সেফটি ফাউন্ডেশন জানায়, ফেব্রুয়ারি মাসের দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে ১৮৭টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ২০৬ জন নিহত হয়েছেন, যা মোট নিহতের ৩৭ দশমিক ৮৬ শতাংশ। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার হার ৩২ দশমিক শূন্য সাত শতাংশ।

ফেব্রুয়ারি মাসের দুর্ঘটনায় ১০৯ জন পথচারী নিহত হয়েছেন, যা মোট নিহতের ২০ দশমিক শূন্য তিন শতাংশ। যানবাহনের চালক ও সহকারী নিহত হয়েছেন ৭৪ জন, যা মোট নিহতের ১৩ দশমিক ৬০ শতাংশ।

এই সময়ে চারটি নৌ-দুর্ঘটনায় ছয়জন নিহত এবং দুজন আহত হয়েছেন। ৩৪টি রেলপথ দুর্ঘটনায় ২৮ জন নিহত এবং ৬৬ জন আহত হয়েছেন।

রোড সেফটি ফাউন্ডেশন জাতীয় দৈনিক, অনলাইন নিউজ পোর্টাল এবং ইলেক্টনিক গণমাধ্যমের তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করে বুধবার (১৩ মার্চ) গণমাধ্যমে পাঠিয়েছে প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে।


আরও খবর



আজ বিশ্ব পানি দিবস

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আজ বিশ্ব পানি দিবস। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ওয়াটার ফর পিস বা শান্তির জন্য পানি। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও দিবসটি পালনে সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন পরিবেশবাদী সংগঠন পানি দিবস নিয়ে বিভিন্ন সেমিনার ও কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।

জানা গেছে, জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের গৃহীত এক প্রস্তাব অনুযায়ী প্রতি বছর ২২ মার্চ বিশ্ব পানি দিবস পালন করা হয়। ১৯৯২ সালে ব্রাজিলের রিওতে এ প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়। সেখানে পানিসম্পদের জন্য একটি বিশেষ দিন ঘোষণার দাবি তোলা হয়। ১৯৯৩ সালে প্রথম বিশ্ব পানি দিবস পালিত হয় এবং এরপর থেকে এ দিবস পালনের গুরুত্ব ক্রমে বৃদ্ধি পেতে থাকে।

পানি দিবস উপলক্ষে এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পানির প্রতিটি ফোঁটার সর্বোত্তম ব্যবহারই নিশ্চিত করতে পারে পানির সর্বজনীন ন্যায়ভিত্তিক বণ্টন ও ব্যবস্থাপনা। পানি দিবসের এ বছরের প্রতিপাদ্য ওয়াটার ফর পিস সময়োপযোগী হয়েছে বলে তিনি মনে করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, পানি শান্তি কিংবা সংঘাত ঘটাতে পারে। পানির অসম বণ্টন বা দুষ্প্রাপ্যতা উত্তেজনা ও সংঘাত সৃষ্টি করে। সুষম পানি ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে জনস্বাস্থ্যের সমৃদ্ধি, খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং অর্থনৈতিক উন্নয়ন সহজতর হলে বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় তা সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।

প্রতি বছর বিশ্ব পানি দিবস ঘিরে জাতিসংঘের বিশ্ব পানি উন্নয়ন প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এতে প্রত্যেকের পানি এবং পয়োনিষ্কাশনের অধিকার ও প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেওয়া হয়। দিবস পালনের মধ্যদিয়ে নিরাপদ পানির সংকট তুলে ধরা হয় এবং দীর্ঘস্থায়ীভাবে নিরাপদ পানি সংরক্ষণের জন্য মানুষকে উদ্বুদ্ধ করা হয়।


আরও খবর
আজ আন্তর্জাতিক নদী কৃত্য দিবস

বৃহস্পতিবার ১৪ মার্চ ২০২৪




হঠাৎ ডায়রিয়া রোগীর ভিড় জয়পুরহাটের হাসপাতালে

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সুজন কুমার মন্ডল, জয়পুরহাট

Image

জয়পুরহাটে হঠাৎ ডায়রিয়ার প্রকোপ দেখা দিয়েছে। ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে জেলা ও উপজেলার হাসপাতালগুলোতে ভিড় করছেন রোগীরা। আক্রান্তদের মধ্যে শিশু ও বৃদ্ধ বেশি। রোগীরা শয্যা না পেয়ে হাসপাতালের মেঝেতে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

রবিবার (১৭ মার্চ) ও সোমবার (১৮ মার্চ) জয়পুরহাট ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে গিয়ে এ চিত্র দেখা গেছে।

সরেজমিন দেখা যায়, হাসপাতালের উত্তর পাশের নিচতলায় ডায়রিয়া ওয়ার্ডের শয্যায় এবং মেঝেতে রোগীর ভিড়। গত তিন দিনে এখানে শিশুসহ দুই শতাধিক রোগী ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। রোববার দুপুর পর্যন্ত ৭০ জন রোগী ভর্তি রয়েছেন।

হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন জেলার মঙ্গলবাড়ি গ্রামের ১৯ মাস বয়সের শিশু হোসাইন, ২২ মাস বয়সের ছিরাইয়া রানী, ক্ষেতলাল উপজেলার দাশড়া গ্রামের ৮ মাস বয়সের নুশরাত বেগম ডায়রিয়ায় আক্রান্ত। শিশুদের মায়েরা জানান, হঠাৎ করে গত দুই-তিন দিন আগে থেকে পানির মতো বারবার পাতলা পায়খানা হচ্ছে। সঙ্গে দু-একবার বমি হওয়ায় সন্তানদের হাসপাতালে নিয়ে এসে ভর্তি করান তারা।

সদর উপজেলার হেলকুন্ডা গ্রামের কৃষক আইয়ুব আলী, শহরের সবুজ নগর মহল্লার মাহফুজ রায়হান বলেন, হঠাৎ করে পাতলা পায়থানা ও বমি এবং এতে শরীর নিস্তেজ হয়ে পড়েছে। এসে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি।

জয়পুরহাট ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালের মেডিকেল কর্মকর্তা এবং ডায়রিয়া ওয়ার্ডে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. ফাতেমা বেগম বলেন, গত কয়েক দিন থেকে ডায়রিয়ার রোগী বেশ বেড়েছে। শিশু ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হলে মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানো কখনোই বন্ধ করা যাবে না। খাবার স্যালাইন খাওয়াতে হবে। প্রয়োজনে দ্রুত হাসপাতালে নিতে হবে। সাবান দিয়ে হাত পরিষ্কার করে শিশুদের খাবার দেওয়ার পরামর্শ দেন এ চিকিৎসক।

আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণে শিশুদের ডায়রিয়া হয় বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক সরদার রাশেদ মোবারক বলেন, হঠাৎ করে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগী বাড়ছে। শয্যার তুলনায় রোগী অনেক বেশি হওয়ায় মেঝেতে রেখে চিকিৎসা সেবা দিতে হচ্ছে। সাধ্যের মধ্যে সবচেয়ে ভালো সেবা দিচ্ছেন বলে তিনি দাবি করেন।


আরও খবর



আত্মসমর্পণের বিকল্প নেই সোমালি জলদস্যুদের: পান্টল্যান্ড পুলিশ

প্রকাশিত:শনিবার ২৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ জিম্মিকারী সোমালি জলদস্যুদের আত্মসমর্পণ ছাড়া উপায় নেই বলে জানিয়েছে মালিয়ার পান্টল্যান্ড পুলিশ।

যে জলদস্যু দল সাগরে থাকা বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ নিয়ন্ত্রণ করছে, তাদের সঙ্গে ভূমির যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করতে অভিযান শুরু করা হয়েছে। সোমালিয়ার স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল পান্টল্যান্ডের নুগাল পুলিশ বিভাগের কমান্ডারের বরাত দিয়ে বিবিসি সোমালি শুক্রবার (২২ মার্চ) এ খবর দিয়েছে।

পুলিশ কমান্ডার মোহাম্মদ আলী আহমেদ মারদুউফ বলছেন, এমভি আবদুল্লাহ এখন আছে জিফলের উপকূলীয় এলাকায়।

তিনি বলেন, জলদস্যুদের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করার জন্য আমরা পূর্বাঞ্চলে একটি অভিযান শুরু করেছি, যাতে তারা এই এলাকার ভূমি থেকে আর কোনো সহযোগিতা না পায়। আমরা এখন তীরে আছি। আমাদের পরিকল্পনা হল, জলদস্যুরা যাতে নিজেদের সংগঠিত করতে না পারে এবং এমভি আবদুল্লাহ জাহাজে যারা আছে, তারা যাতে তীর থেকে আর কোনো সাহায্য না পায়। সমুদ্রের অংশে তারা আন্তর্জাতিক বাহিনীর ঘোরওয়ের মধ্যে আছে। তাই সেদিক থেকেও তারা বিচ্ছিন্ন।’

পুলিশ কমান্ডার মারদুউফ আরও বলেন, জাহাজে থাকা জলদস্যুদের হাতে এখন দুটি বিকল্প আছে। হয় তাদের পান্টল্যান্ড কর্তৃপক্ষের কাছে আত্মসমর্পণ করে কৃতকর্মের জন্য শাস্তি ভোগ করবে, অথবা আগের জাহাজ, অর্থাৎ বিদেশি বাহিনী যেমন এমভি রুয়েন থেকে জলদস্যুদের ধরে নিয়ে গেছে, সেই পরিণতি ভোগ করতে হবে।’

গত বছরের নভেম্বর থেকে ভারত মহাসাগরে সোমালি জলদস্যুর যে প্রায় দুই ডজন জাহাজে হামলা করেছে, তার মধ্যে সর্বশেষ দস্যুদের হাতে জিম্মি হয়েছে বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ।

মোজাম্বিক থেকে ৫৫ হাজার টন কয়লা নিয়ে আরব আমিরাত যাওয়ার পথে গত ১২ মার্চ ভারত মহাসাগরের সোমালি জলদস্যুদের কবলে পড়ে এমভি আবদুল্লাহ। জলদস্যুরা জাহাজটির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ২৩ নাবিকের সবাইকে জিম্মি করে। নাবিকরা সবাই বাংলাদেশি।

নুগাল পুলিশ প্রধান মারদুউফ বলেন, জাহাজ ও ক্রুদের বাঁচাতে যেকোনও অভিযানে অংশ নিতে তারা প্রস্তুত।

বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানায়, পান্টল্যান্ড পুলিশ কয়েক দিন আগে একটি নৌযান জব্দ করে, যাতে করে আবদুল্লাহ জাহাজে থাকা জলদস্যুতের জন্য খাত’ নামের এক ধরনের মাদক সরবরাহ করা হচ্ছিল।

জলদস্যুদের যে দলটি আবদুল্লাহকে দখল করে রেখেছে, সেই দলের সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগে দু’জনকে গ্রেফতারও করেছে স্থানীয় পুলিশ।

বিবিসি সোমালি জানিয়েছে, পান্টল্যান্ড কর্তৃপক্ষ নিজেদের উপকূল জলদস্যুমুক্ত করার প্রতিজ্ঞা নিয়ে মাঠে নেমেছ।

এদিকে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে সোমালিয়া উপকূলে জলদস্যুদের হাতে জিম্মি এমভি আবদুল্লাহর কাছেই একটি যুদ্ধজাহাজ মোতায়েনের কথা জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন নেভাল ফোর্স-ইইউএনএভিএফওআর এর আটলান্টা অপারেশন।

ইউরোপীয় এই বাহিনী বৃহস্পতিবার রাতে এক বার্তায় বলেছে, ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে দস্যুতার একাধিক ঘটনা ঘটেছে। তিনটি বাণিজ্যিক শহর জাহাজে হামলা হয়েছে। যার মধ্যে একটি এমভি আবদুল্লাহ এখনও জলদস্যুদের নিয়ন্ত্রণে আছে। ওই এলাকায় আটলান্টা অপারেশনের যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন আছে।’

মাইক্রোব্লগিং সাইট এক্স এ ইইউএনএভিএফওআরের পোস্টের সঙ্গে যুক্ত একটি সংক্ষিপ্ত ভিডিওতে এমভি আবদুল্লাহর অদূরে অপারেশন আটলান্টার যুদ্ধ জাহাজটি অবস্থান করতে দেখা গেছে। এছাড়া আবদুল্লাহর কাছাকাছি চক্কর দিচ্ছিল একটি হেলিকপ্টার।


আরও খবর



যৌন হয়রানির অভিযোগে পদত্যাগ করলেন জাপানের মেয়র

প্রকাশিত:শনিবার ০২ মার্চ 2০২4 | হালনাগাদ:শনিবার ০২ মার্চ 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

যৌন হয়রানির ৯৯টি অভিযোগ উঠার পর পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন জাপানের মধ্যাঞ্চলের গিফু এলাকার এক শহরের মেয়র হিদিও কোজিমা। তবে তার বিরুদ্ধে আসা সবগুলো অভিযোগই তিনি অস্বীকার করেছেন। আর পদত্যাগের ঘোষণা দিতে সংবাদ সম্মেলনে এসে কেঁদে ফেলেন মেয়র।

ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্যা গার্ডিয়ান বলছে, মেয়র হিদিও কোজিমার বিরুদ্ধে তারই এক সহকর্মীর বুক এবং নিতম্ব স্পর্শ করাসহ নানাভাবে যৌন হয়রানি করার অভিযোগ রয়েছে। পরে একটি সরকারি তদন্তে এসবের প্রমাণও পাওয়া গেছে। এই পরিস্থিতে ৭৪ বছর বয়সী মেয়র বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের সামনে এসে চোখের পানি মুছতে মুছতে পদত্যাগের ঘোষণা দেন।

এ সময় তিনি বলেন, এর একদিন পরেই তিনি পদত্যাগ করবেন। কারণ তার ভাই তাকে তিরস্কার করেছেন!

একটি স্বাধীন কমিটির তদন্ত প্রতিবেদনে অভিযোগের বিস্তারিত উঠে এলেও কিছু অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মেয়র। নারী কর্মীদের জড়িয়ে ধরার ঘটনা অন্য কর্মীরা নিজ চোখে দেখেছেনএমন কিছু অভিযোগ তিনি অস্বীকার করেছেন।

টেলিভিশনে এক সাক্ষাৎকারে মেয়র বলেন, আমি এসব করিনি। আমার অঙ্গভঙ্গিগুলো হয়তো তাদের কাছে আলিঙ্গনের মতো মনে হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদনে নিরপেক্ষতার অভাব রয়েছে। আমি চাই তারা আরও সতর্কতার সঙ্গে তদন্ত করুক।

সম্প্রচার মাধ্যম এনএইচকেতে কোজিমা বলেন, তিনি পুরো প্রতিবেদন পড়েননি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তার হাত ফরসা এবং মসৃণএই বলে তিনি নারী কর্মীদের তার হাত স্পর্শ করতে বাধ্য করতেন। এ ছাড়া ট্রাউজার গুটিয়ে পা দেখাতেন এবং স্পর্শ করতে বলতেন। এদিকে তদন্ত কমিটি কোজিমার পৌরসভার ১৯৩ জন কর্মচারীর মধ্যে সমীক্ষা চালিয়েছে। যাদের ১৬১ জনের মধ্যে প্রায় ৫৩ শতাংশ পুরুষ এবং ৫৮ শতাংশ নারী বলেছেন, মেয়র এমন কিছু করেছেন যা তাদের জন্য অস্বস্তিকর ছিল।


আরও খবর