
মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলায় মো. সাগর হোসেন (১৪) নামক এক অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রের নিখোঁজ হওয়ার ৯দিন পর তার অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
স্থানীয়দের সূত্রে জানা যায়, গতকাল শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) উপজেলার খলশী ইউনিয়নের পারমাস্তল গ্রামের নদীর পাড়ে সাগরের মৃতদেহ দেখতে পায় স্থানীয়রা। পরে তারা পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ এসে সাগরের মরাদেহ উদ্ধার করে।
নিহত সাগরের বাড়ি দৌলতপুর উপজেলার ছোট শ্যামপুর এলাকায়। নিহত সাগর হোসেন ঐ এলাকার মো. মামুদ আলীর ছেলে। সাগর পারমাস্তল মুন্সি বন্দে আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্র ছিল।
শনিবার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুরে শিক্ষার্থীর বাবা মো. মামুদ আলী বাদি হয়ে দৌলতপুর থানায় এই বিষয়ে ৪ থেকে ৫ জনের নাম উল্লেখ হত্যা মামলা দায়ের করেছে।
মামলার আসামিরা হলেন, উপজেলার ছোট শ্যামপুর গ্রামের শায়নালের স্ত্রী শেফালী বেগম (৪০), শায়নালের মেয়ে রিমা বেগম (২২) ও তার মেয়ের জামাতা ইকবাল (২৮) সহ অজ্ঞাত আরো কয়েক জন।
মামলার এজাহারে থেকে জানা যায়, বাদী ও বিবাদীদের মাঝে জমিজমা নিয়ে বেশ কয়েক মাস ধরে বিরোধ চলছিল। বিবাদীরা প্রকাশ্যে বাদীদের পরিবারের সদস্যদের খুন করার হুমকি দিয়ে আসছিল। এর জের ধরে গত ২১ ডিসেম্বর রাতে ঘিওর উপজেলায় অনুষ্ঠিত বিজয় মেলায় বাদীর ছেলে সাগর আসার পর সেখান থেকে তাকে অজ্ঞাতনামা কয়েক জনকে সঙ্গে নিয়ে গিয়ে হত্যা করে আসামিরা। পরে পারমাস্তর গ্রামের নদীর পাড়ে লাশ পুঁতে রাখা হয়।
দৌলতপুর থানার ওসি মো. জাকারিয়া হোসেন বলেন, গত ২১ ডিসেম্বর রাতে সাগর মেলায় যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়। এর পর থেকেই সে নিখোঁজ হয়। ২২ ডিসেম্বর সাগর নিখোঁজে বলে থানায় একটি জিডি করে তার পরিবার। গত শুক্রবার নদীর পারে সাগরের মরাদেহ দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়, পরে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। নিহতের বাবা এই বিষয়ে আজ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। আসামিদের মধ্যে শায়নালের স্ত্রী শেফালী বেগম ও তার মেয়ে রিমা বেগমকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।