আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

মালয়েশিয়ায় ছাড়া পেলেন সাবেক হাই কমিশনার খায়রুজ্জামান

প্রকাশিত:বুধবার ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২২ | হালনাগাদ:বুধবার ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

মালয়েশিয়ার আদালতের নির্দেশে পুলিশ হেফাজত থেকে মুক্তি পেলেন বাংলাদেশের সাবেক হাই কমিশনার খায়রুজ্জামান। মালয়েশিয়াভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ফ্রি মালয়েশিয়া টুডে বুধবার এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, স্থানীয় সময় আজ দুপুর একটায় আইনজীবীদেরকে খায়রুজ্জামানের মুক্তির বিষয়টি জানানো হয়। পরে আইনজীবীরা গিয়ে তাকে নিয়ে আসেন।

গত সপ্তাহে মালয়েশিয়ার সেলাঙ্গর প্রদেশের আমপাং থেকে খায়রুজ্জামানকে গ্রেপ্তার করে দেশটির অভিবাসন পুলিশ। খায়রুজ্জামানের আইনজীবী এক প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছেন, খায়রুজ্জামানকে মুক্তির সময় কোনো শর্ত দেওয়া হয়নি। এখন তিনি স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে পারবেন।

মুক্তির পর ফোনে ফ্রি মালয়েশিয়া টুডেকে খায়রুজ্জামান বলেন, বাংলাদেশ সরকারের মিথ্যা অভিযোগের কারণে হয়রানি ও বিব্রতকর পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে।

তিনি দাবি করেন, তার কাছে জেলহত্যার ঘটনার পর্যাপ্ত সরকারি রেকর্ড ও ডকুমেন্ট আছে। এসব তিনি প্রকাশ্যে আনবেন। যাতে প্রমাণ হবে তিনি কোনো অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিলেন না।

খায়রুজ্জামানের স্ত্রী যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক। তিনি সেখানেই আছেন। তবে স্ত্রীর কাছে যেতে খায়রুজ্জামান যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক হওয়ার আবেদন করলেও মালয়েশিয়া পুলিশের ভেরিফিকেশনের কারণে তা আটকে আছে।

খায়রুজ্জামানকে মালয়েশিয়ায় একজন রাজনৈতিক শরণার্থী উল্লেখ করে তার আইনজীবী এ এস ঢালিওয়াল বলেন, তিনি জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) কার্ডধারী। তাকে আটক করা বেআইনি। তার ভ্রমণের বৈধ কাগজ আছে। তিনি অভিবাসন আইন লঙ্ঘন করেননি। তাকে বহিষ্কার করার অধিকার নেই মালয়েশিয়ার।

খায়রুজ্জামানকে বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তরে স্থগিতাদেশ দিয়ে মঙ্গলবার রায় দেন দেশটির হাইকোর্ট। হস্তান্তরের ওপর স্থগিতাদেশ চেয়ে খায়রুজ্জামানের করা আবেদনের প্রেক্ষিতে তা মঞ্জুর করেন বিচারপতি মোহাম্মদ জাইনি মাজলান।

খায়রুজ্জামানের পক্ষে করা আবেদনের শুনানির জন্য মালয়েশিয়ার হাইকোর্ট আগামী ২০ মে পরবর্তী তারিখ ধার্য করেছেন।

সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর মোহাম্মদ খায়রুজ্জামান ১৯৭৫ সালের জেল হত্যা মামলায় অভিযুক্ত ছিলেন এবং পরে খালাস পান। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৭ সালে তিনি মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার নিযুক্ত হন। পরে ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে তাকে দেশে ফিরতে বলা হয়। তখন থেকেই তিনি জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআরের শরণার্থী কার্ড নিয়ে মালয়েশিয়ায় অবস্থান করছেন।


আরও খবর



ইচ্ছাকৃত খেলাপিদের ওপর বিদেশ ভ্রমণসহ নানা নিষেধাজ্ঞা

প্রকাশিত:বুধবার ১৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিদের বিরুদ্ধে কঠোর নীতিমালা জারি করল বাংলাদেশ ব্যাংক। এখন থেকে কেউ ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি হলে তার বিভিন্ন ধরনের নাগরিক সুবিধায় নিষেধাজ্ঞা দিতে পারবে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর মধ্যে বিদেশে ভ্রমণ, ট্রেড লাইসেন্স ও কোম্পানি নিবন্ধনের মতো নিষেধাজ্ঞায় পড়বেন ঋণখেলাপিরা। এছাড়া কোনো ধরনের রাষ্ট্রীয় পুরস্কার বা সম্মাননার জন্য যোগ্য হবেন না এসব ব্যক্তি। এ ধরনের ঋণখেলাপি শনাক্তে ব্যাংকগুলোর প্রধান কার্যালয়ে পৃথক ইউনিট খুলতে হবে। মঙ্গলবার (১২ মার্চ) বাংলাদেশ ব্যাংক সংশোধিত ব্যাংক কোম্পানির আলোকে এ সংক্রান্ত একটি নীতিমালা জারি করেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, ইচ্ছাকৃত খেলাপি ঋণ গ্রহীতা চিহ্নিত এবং তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিলে ব্যাংক খাতের খেলাপি ঋণ কমে আসবে। পাশাপাশি ঋণ শৃঙ্খলা বজায় রাখা এবং ব্যাংকিং খাতের দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধি করা সম্ভব হবে।

সার্কুলারে বলা হয়, ইচ্ছাকৃত খেলাপি ঋণ গ্রহীতার ওপর বিদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা, ট্রেড লাইসেন্স ইস্যুতে নিষেধাজ্ঞা এবং বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন ও রেজিস্ট্রার অব জয়েন্ট স্টক কোম্পানিজ অ্যান্ড ফার্মসের (আরজেএসসি) কাছে কোম্পানি নিবন্ধনে নিষেধাজ্ঞার জন্য সংশ্লিষ্ট সংস্থায় এ ধরনের খেলাপির তালিকা পাঠাবে বাংলাদেশ ব্যাংক। এছাড়া গাড়ি, জমি, বাড়ি, ফ্ল্যাট ইত্যাদির নিবন্ধন কর্তৃপক্ষের কাছে তালিকা পাঠানো হবে। তালিকার আলোকে এসব সংস্থা বিদ্যমান আইনের আওতায় যথাযথ কার্যব্যবস্থা নিতে পারবে। এছাড়া ইচ্ছাকৃত খেলাপি রাষ্ট্রীয় পুরস্কার বা সম্মাননা পাবে না। আবার কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ইচ্ছাকৃত খেলাপির তালিকায় কারও নাম এলে ঋণ পরিশোধ করে তালিকা থেকে অব্যহতির ৫ বছরের মধ্যে কোনো ব্যাংকের পরিচালক হতে পারবেন না। আর যদি কোনো পরিচালক ইচ্ছাকৃত খেলাপি হয়ে পড়েন তবে তার পরিচালক পদ বাতিল হবে। ইচ্ছাকৃত খেলাপি ঋণ গ্রহীতা সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রতি ত্রৈমাসিকে ব্যাংকের অডিট কমিটির সভায় উপস্থাপন করতে হবে।

এতে আরও বলা হয়, ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপির আরোপিত বা অনারোপিত কোনো সুদ মওকুফ করা যাবে না এবং পুনঃতফসিলও করা যাবে না। আবার ইচ্ছাকৃত খেলাপি ঋণ গ্রহীতার ঋণ হিসাবটি অন্য কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান অধিগ্রহণ করা যাবে না। এছাড়া ঋণ সম্পূর্ণ আদায় বা পরিশোধ না হওয়া পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট ঋণ গ্রহীতা ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি হিসেবে চিহ্নিত থাকবে। কেউ ইচ্ছাকৃত খেলাপি হওয়ার পর তালিকার বিরুদ্ধে আপিল না করলে বা আপিল করার পর না মঞ্জুর হলে তাকে ২ মাসের মধ্যে অর্থ পরিশোধের জন্য নোটিশ দেওয়া হবে। এই সময়ের মধ্যে অর্থ পরিশোধে ব্যর্থ হলে পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদন ক্রমে খেলাপির বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের করবে ব্যাংক। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট ঋণ, অগ্রিম বা পাওনা আদায়ের ক্ষেত্রে অর্থঋণ আদালতের কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হবে না।

যারা ইচ্ছাকৃত খেলাপি বিবেচিত হবেন: কোনো খেলাপি ঋণ গ্রহীতা ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানি নিজের, তার পরিবারের সদস্যের, স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানির অনুকূলে কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে গৃহীত ঋণ, অগ্রিম, বিনিয়োগ বা আরোপিত সুদ বা মুনাফা তার সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও পরিশোধ না করলে তিনি ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি হিসেবে বিবেচিত হবেন। এছাড়া জালিয়াতি, প্রতারণা বা মিথ্যা তথ্য প্রদানের মাধ্যমে বা যে উদ্দেশ্যে নেওয়া হয়েছে সে সে উদ্দেশ্য ব্যতীত অন্য কোনো খাতে ব্যবহার করলে অথবা অন্য কোনো ব্যাংকের জামানতকৃত সম্পদ অনুমতি ছাড়া নতুন ঋণে জামানত হিসেবে দেখালে তাকে ইচ্ছাকৃত খেলাপি হিসেবে বিবেচনা করা হবে।

সার্কুলারে আরও বলা হয়, ইচ্ছাকৃত খেলাপিদের চিহ্নিত করতে ব্যাংকের এমডি ও সিইওর দুই ধাপ নিচের কর্মকর্তার অধীনে প্রধান কার্যলয়ে ইচ্ছাকৃত খেলাপি ঋণ গ্রহীতা শনাক্তকরণ ইউনিট’ নামে একটি পৃথক ইউনিট আগামী ৯ এপ্রিলের মধ্যে গঠন করতে হবে। তারা ব্যাংক কোম্পানি আইন অনুযায়ী, কারা ইচ্ছাকৃত খেলাপি তা শনাক্ত করবেন। ইচ্ছাকৃত খেলাপি শনাক্ত হওয়ার পর শনাক্তকরণের কারণ উল্লেখ করে ইচ্ছাকৃত খেলাপিকে তার বক্তব্য প্রদানের জন্য ১৪ কর্মদিবস সময় দিতে হবে। ওই সময়ের মধ্যে বক্তব্য প্রদানে ব্যর্থ হলে অথবা তার বক্তব্য যথাযথ বিবেচিত না হলে ইচ্ছাকৃত খেলাপি ঋণ গ্রহীতা শনাক্তকরণ ইউনিট’ কর্তৃক এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের জন্য ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার অনুমোদন গ্রহণ করতে হবে। ইচ্ছাকৃত খেলাপি ঋণ গ্রহীতা হিসেবে চূড়ান্তকরণের পর সংশ্লিষ্ট ঋণ গ্রহীতাকে ৭ কর্মদিবসের মধ্যে লিখিতভাবে অবহিত করতে হবে।

কোনো ব্যাংক এসব নির্দেশনা লঙ্ঘন করলে ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১-এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে সংশ্লিষ্ট ব্যাংককে কমপক্ষে ৫০ লাখ টাকা এবং অনধিক ১ কোটি টাকা জরিমানা আরোপ করা হবে। যদি উক্ত লঙ্ঘন অব্যহত থাকে, তাহলে প্রত্যেক দিনের জন্য অতিরিক্ত অনূর্ধ্ব ১ লাখ টাকা জরিমানা আরোপিত হবে।


আরও খবর



রাজধানীর ‍বিভিন্ন রেস্তোরাঁয় অভিযান, আটক ৩৮১

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার রেস্তরাঁয় অভিযান চালিয়ে অন্তত ৩৮১ জনকে আটক করেছে পুলিশ। সোমবার (৪ মার্চ) ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) সূত্রে এসব তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।

জানা যায়, আটক ব্যক্তিদের বেশির ভাগই রেস্টুরেন্টের ম্যানেজার। তাদের কাছে রেস্টুরেন্ট পরিচালনার বৈধ সব ডকুমেন্টস চাওয়া হয়েছে। এসব ডকুমেন্টস দেখে যাচাই-বাছাই করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এদিকে আজ সোমবার বিকেলে রাজধানীর ওয়ারীর র‍্যানকিন স্ট্রিটের ১৪টি রেস্তোরাঁয় অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে ব্যবস্থাপকসহ ১৬ জনকে আটক করেছে পুলিশ।

অভিযানের সময় পুলিশের ওয়ারী ডিভিশনের ডিসি ইকবাল হোসাইন বলেন, আমরা রেনকিন স্ট্রিটের ভবনগুলোতে অভিযান পরিচালনা করছি। আবাসিক ভবনে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান খুলে বসেছে। সেগুলোতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেই। র‍্যানকিন স্ট্রিটের সব ভবনের রেস্তোরাঁগুলোয় অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে অগ্নিকাণ্ডে ৪৬ জন প্রাণ হারান। ভবনটিতে বেশ কয়েকটি রেস্টুরেন্ট ছিল। দুর্ঘটনার পর ভবনের ও রেস্টুরেন্টগুলোর নানা অনিয়ম সামনে চলে আসে। পরে অভিযানে নামে পুলিশ।


আরও খবর



কুড়িগ্রামে ইয়াবাসহ শেরপুরের তিন মাদক কারবারি গ্রেফতার

প্রকাশিত:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মোঃ মাসুদ রানা, কুড়িগ্রাম

Image

কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলায় মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযানে ২৫০ পিস ইয়াবাসহ তিনজন মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

গ্রেফতারকৃতরা হলো, শেরপুর জেলার শেরপুর থানা এলাকার মাদক কারবারি মোঃ জয়নাল মিয়া (২৫), মোঃ মামুন মিয়া (৩৫) ও মোঃ আব্দুল মালেক (৩৫)।

রবিবার (১০ মার্চ) দুপুর ২টার দিকে এসব তথ্য জানিয়েছে কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশ।

পুলিশ জানায়, শনিবার (৯ মার্চ) দিবাগত রাত ৭টার দিকে রৌমারী থানা পুলিশের একটি দল উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের খেওয়ারচর গ্রামে মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযান চালায়। অভিযানে ওই এলাকা হতে ২৫০ পিস ইয়াবাসহ শেরপুর জেলার শেরপুর থানা এলাকার মাদক কারবারি মোঃ জয়নাল মিয়া, মোঃ মামুন মিয়া ও মোঃ আব্দুল মালেককে গ্রেফতার করে। এসময় মাদক ব্যবসায় ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়।

কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশের মিডিয়া মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ রুহুল আমীন বলেন, গ্রেফতারকৃত তিনজন মাদক কারবারির বিরুদ্ধে রৌমারী থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। কুড়িগ্রাম জেলায় মাদক নির্মূলে আমাদের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।


আরও খবর



ঈদের পর বিএনপির নতুন কর্মসূচি আসছে : মঈন খান

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৫ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, দেশকে বাঁচাতে হলে সুষ্ঠু নির্বাচনের বিকল্প নেই। জনগণের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত রাজপথে থাকবে বিএনপি। ঈদের পর বিএনপির নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

মঙ্গলবার (৫ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর পল্লবীতে সদ্য কারামুক্ত ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হকের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে তিনি এ কথা বলেন।

প্রতিহিংসা বাদ দিয়ে শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক সহ-অবস্থানের জন্য আওয়ামী লীগের প্রতি আহ্বান জানান মঈন খান। তিনি বলেন, বাংলাদেশে প্রতিহিংসার রাজনীতি চলছে। বিএনপি মহাসচিব থেকে তৃণমূলের নেতাকর্মী কেউই এ প্রতিহিংসার হাত থেকে বাদ যায়নি।

একটি দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে এতো মামলা, যেটা পৃথিবীর কোথাও নেই। এসব মিথ্যা মামলা। বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর হাফিজের মতো মুক্তিযোদ্ধাকে কারাগারে প্রেরণ করা সরকারের জন্য লজ্জার বলেও মন্তব্য করেন ড. আব্দুল মঈন খান।


আরও খবর



মঙ্গলবার থেকে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতিতে নৌযান শ্রমিকরা

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিভিন্ন দাবিতে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন। আগামী মঙ্গলবার (সোমবার দিবাগত রাত ১২টা) থেকে নৌযান শ্রমিকরা কর্মবিরতি শুরু করবেন। সংগঠনটির ১১টি দাবির মধ্যে রয়েছে, নৌযান শ্রমিকদের সামাজিক নিরাপত্তা, নৌপথে সন্ত্রাস-চাঁদাবাজি বন্ধ, ভারতগামী শ্রমিকদের ল্যান্ডিং পাস প্রভৃতি।

রোববার (৩ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেয় সংগঠনটি।

লিখিত বক্তব্যে চৌধুরী আশিকুল আলম বলেন, নদীমাতৃক দেশের অর্থনীতিতে নৌপরিবহন শিল্প অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। প্রায় শতভাগ ব্যক্তিমালিকানায় পরিচালিত এই শিল্প স্বল্পব্যয়ে যাত্রী ও পণ্য পরিবহনের মাধ্যমে দেশের উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। দেশের আমদানি ও রফতানি পণ্য পরিবহন অনেকাংশেই নৌপরিবহনের ওপর নির্ভরশীল। অথচ নৌযান শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়ন ও নিরাপত্তার বিষয় সব সময় উপেক্ষিত থেকেছে।

তিনি বলেন, আমরা এসব সমস্যার স্থায়ী সমাধানের লক্ষ্যে বছরের পর বছর দাবি জানিয়ে ও সংগ্রাম করে আসছি। সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের আন্দোলনের মুখে দাবি মেনে নিয়ে কিছু কিছু কার্যকর করলেও অধিকাংশ সিদ্ধান্তই উপেক্ষিত বছরের পর বছর। এ কারণে ১১ দাবি নিয়ে আমাদের এই কর্মবিরতির ঘোষণা।

নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের দাবি

>> নৌযান শ্রমিকদের সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নাবিক কল্যাণ তহবিল ও ট্রাস্টি বোর্ডের মাধ্যমে কন্টিবিউটরি প্রভিডেন্ট ফান্ড গঠন।

>> সব মালিক সমিতিসমূহকে এক প্লাটফর্মে এনে এককেন্দ্রিক সিরিয়ালে আনা।

>> মালিক সমিতিন সঙ্গে গেজেট বহির্ভূত দ্বিপাক্ষিক চুক্তিভুক্ত অমীমাংসিত দাবি পুনর্র্নিধারণ করে চুক্তি সম্পাদন।

>> চট্টগ্রাম বন্দরে নিরাপদে জাহাজ রাখার জন্য শঙ্খ নদীকে পোতাশ্রয়ের উপযোগী করা, নদীর নাব্য রক্ষা, নৌপথ, নদী ও সব সমুদ্র বন্দরে পর্যাপ্ত সংখ্যক মার্কা-বয়া-বাতি স্থাপন, চ্যানেলে জাল পাতা বন্ধ এবং প্রয়োজন অনুযায়ী পাইলট সরবরাহ নিশ্চিত করা।

>> চট্টগ্রাম চরপাড়া-জালিয়াপাড়া পর্যন্ত নাবিকদের নিরাপদে ওঠানামার জন্য কমপক্ষে ৫টি ইজারামুক্ত ঘাট ও মেরিন ড্রাইভ সড়কের চরপাড়া ও জালিয়াপাড়া এলাকায় ২টি ফুটওভার ব্রিজ স্থাপন।

>> ভারতগামী শ্রমিকদের ল্যান্ডিং পাস নিশ্চিত করা।

>> পরীক্ষায় অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধ, মালিক কর্তৃক নিশ্চিত হয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া।

>> বালুবাহী নৌযানে কর্মরত শ্রমিকদের ওপর পুলিশি হয়রানি ও চাঁদাবাজি বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া।

>> আদালতের সিদ্ধান্ত ছাড়া মাস্টার-ড্রাইভার সনদ বাতিলের কর্মকাণ্ড বন্ধ করা।

>> সামুদ্রিক মৎস্য শিকারি জাহাজ শ্রমিকদের গেজেটের পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন এবং অন্য সব দাবি অবিলম্বে মেনে নিতে হবে।

>> নৌপথে সন্ত্রাস-চাঁদাবাজি-কালোবাজারি-জাহাজ ছিনতাই বন্ধ করা।

সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি মো. শাহ আলম, সহ-সভাপতি সৈয়দ শাহাদাত হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী আশিকুল আলমসহ সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর