
ভারত মহাসাগরের দেশ মালদ্বীপের নতুন প্রেসিডেন্ট হওয়ার পথে এগিয়ে আছেন মোহাম্মদ মুইজ্জো। দেশটির বিরোধী দলীয় এ নেতাকে ‘ভারত বিরোধী’ হিসেবে দেখা হয়।
শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) মালদ্বীপে রান-অফ প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে লড়াই করেছেন মোহাম্মদ মুইজ্জো ও বর্তমান প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মোহাম্মদ সোলিহ। ভোট শেষে প্রাথমিক ফলাফলে দেখা গেছে মোহাম্মদ মুইজ্জো নির্বাচিত হওয়ার পথে এগিয়ে আছেন।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা স্থানীয় সংবাদমাধ্যম দাহুরুর বরাতে জানিয়েছে, রানঅফ নির্বাচনে মোট ৫৮৬টি ব্যালট বাক্স ব্যবহার করা হয়েছে। ২৫ শতাংশ (১৫৮টি) ব্যালটের ভোট গণনা শেষে দেখা গেছে, মোহাম্মদ মুইজ্জো পেয়েছেন ৫১ দশমিক ৬৮ শতাংশ ভোট। অপরদিকে ইব্রাহিম সোলিহ পেয়েছেন ৪৮ দশমিক ৩২ শতাংশ ভোট। গত ৯ সেপ্টেম্বর মালদ্বীপে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হয়। তবে সেদিন এককভাবে কোনো প্রার্থী ৫০ শতাংশের বেশি ভোট পাননি। ফলে এ নির্বাচন রানঅফে গড়ায়।
নির্বাচনের আগে মোহাম্মদ মুইজ্জো প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট হতে পারলে— মালদ্বীপে ভারতের প্রভাব কমাবেন। এছাড়া দেশটিতে যে অল্প সংখ্যক ভারতীয় সেনা মোতায়েন আছেন তাদের বের করে দেবেন।
৩৯ বছর বয়সী মোহাম্মদ মুইজ্জোর রাজনৈতিক দল প্রোগ্রেসিভি পার্টি অব দ্য মালদ্বীপের (পিপিএম) নেতৃত্বাধীন জোট ২০১৩ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত যখন ক্ষমতায় ছিল— তখন চীনের সঙ্গে গভীর সম্পর্ক গড়ে তুলেছিল মালদ্বীপ। ওই সময় চীনের রোড অ্যান্ড বেল্ট ইনেশিয়েটিভে যোগ দিয়েছিল দেশটি এবং বড় অবকাঠামো নির্মাণের জন্য বেইজিংয়ের কাছ থেকে বিপুল ঋণ আদায় করে নিয়েছিল।
মালদ্বীপের এবারের নির্বাচনটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ। কারণ যদি মুইজ্জো শেষ পর্যন্ত জয় লাভ করেন তাহলে দেশটিতে ভারতের প্রভাব কমে যাবে। অপরদিকে চীনের প্রভাব বৃদ্ধি পাবে। বর্তমান প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মোহাম্মদ সোলিহ ক্ষমতা হারাবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। ২০১৮ সালে সর্বশেষ নির্বাচনে জয় লাভ করে প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন ইব্রাহিম মোহাম্মদ সোলিহ। তাকে ‘ভারতপন্থি’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
এদিকে ভোট আদায় শেষে নির্বাচন কর্মকর্তারা জানান, এই রানঅফ নির্বাচনে ৮৫ শতাংশ (২ লাখ ৪২ হাজার) ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন।