আজঃ বুধবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

মালদ্বীপে প্রেসিডেন্ট হওয়ার পথে মোহাম্মদ মুইজ্জো

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ভারত মহাসাগরের দেশ মালদ্বীপের নতুন প্রেসিডেন্ট হওয়ার পথে এগিয়ে আছেন মোহাম্মদ মুইজ্জো। দেশটির বিরোধী দলীয় এ নেতাকে ভারত বিরোধী হিসেবে দেখা হয়।

শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) মালদ্বীপে রান-অফ প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে লড়াই করেছেন মোহাম্মদ মুইজ্জো ও বর্তমান প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মোহাম্মদ সোলিহ। ভোট শেষে প্রাথমিক ফলাফলে দেখা গেছে মোহাম্মদ মুইজ্জো নির্বাচিত হওয়ার পথে এগিয়ে আছেন।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা স্থানীয় সংবাদমাধ্যম দাহুরুর বরাতে জানিয়েছে, রানঅফ নির্বাচনে মোট ৫৮৬টি ব্যালট বাক্স ব্যবহার করা হয়েছে। ২৫ শতাংশ (১৫৮টি) ব্যালটের ভোট গণনা শেষে দেখা গেছে, মোহাম্মদ মুইজ্জো পেয়েছেন ৫১ দশমিক ৬৮ শতাংশ ভোট। অপরদিকে ইব্রাহিম সোলিহ পেয়েছেন ৪৮ দশমিক ৩২ শতাংশ ভোট। গত ৯ সেপ্টেম্বর মালদ্বীপে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হয়। তবে সেদিন এককভাবে কোনো প্রার্থী ৫০ শতাংশের বেশি ভোট পাননি। ফলে এ নির্বাচন রানঅফে গড়ায়।

নির্বাচনের আগে মোহাম্মদ মুইজ্জো প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট হতে পারলে মালদ্বীপে ভারতের প্রভাব কমাবেন। এছাড়া দেশটিতে যে অল্প সংখ্যক ভারতীয় সেনা মোতায়েন আছেন তাদের বের করে দেবেন।

৩৯ বছর বয়সী মোহাম্মদ মুইজ্জোর রাজনৈতিক দল প্রোগ্রেসিভি পার্টি অব দ্য মালদ্বীপের (পিপিএম) নেতৃত্বাধীন জোট ২০১৩ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত যখন ক্ষমতায় ছিল  তখন চীনের সঙ্গে গভীর সম্পর্ক গড়ে তুলেছিল মালদ্বীপ। ওই সময় চীনের রোড অ্যান্ড বেল্ট ইনেশিয়েটিভে যোগ দিয়েছিল দেশটি এবং বড় অবকাঠামো নির্মাণের জন্য বেইজিংয়ের কাছ থেকে বিপুল ঋণ আদায় করে নিয়েছিল।

মালদ্বীপের এবারের নির্বাচনটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ। কারণ যদি মুইজ্জো শেষ পর্যন্ত জয় লাভ করেন তাহলে দেশটিতে ভারতের প্রভাব কমে যাবে। অপরদিকে চীনের প্রভাব বৃদ্ধি পাবে। বর্তমান প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মোহাম্মদ সোলিহ ক্ষমতা হারাবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। ২০১৮ সালে সর্বশেষ নির্বাচনে জয় লাভ করে প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন ইব্রাহিম মোহাম্মদ সোলিহ। তাকে ভারতপন্থি হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

এদিকে ভোট আদায় শেষে নির্বাচন কর্মকর্তারা জানান, এই রানঅফ নির্বাচনে ৮৫ শতাংশ (২ লাখ ৪২ হাজার) ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন।


আরও খবর



কূটনীতিকদের রাজনৈতিক দল গঠন করতে বললেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

যেসব বিদেশি নির্বাচন নিয়ে কথাবার্তা বলেন, তাদের একটি রাজনৈতিক দল গঠন করার পরামর্শ দিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।

রোববার (১৯ নভেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে স্কটল্যান্ডের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক করেন মন্ত্রী।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যেসব বিদেশি নির্বাচন নিয়ে কথাবার্তা বলেন, তারা একটি রাজনৈতিক দল গঠন করুন, এটা হচ্ছে দ্য অ্যাম্বাসেডর পার্টি বা অন্যকিছু। আর একটা অঙ্গীকার করুন। যারা তাদের ভোট দেবে, তাদের নিজেদের দেশের নাগরিক করে নিয়ে যাবেন। দেখবেন, অনেকেই তাদের ভোট দেবে। তাদের সেই নিশ্চয়তা দেওয়া উচিত, যারা তাদের ভোট দেবে, তাদের নিজ দেশের নাগরিক করে নেবেন।

যারা শ্রমিকদের অধিকার হরণ করবে, তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হবে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তারা নিষেধাজ্ঞার দেশ, তারা দিতে পারে, তারা বড়লোক। আমরা আমাদের মতো কাজ করবো। আমাদের বাস্তবতার নিরীখে কাজ করবো। আমরা-তো একদিনে আমেরিকা হতে পারবো না। আমাদের ইচ্ছা, তাদের মতো ভালো করবো। তবে সত্যি একদিনে পারবো না। আর তারা যাদের টাকা দিয়ে রাখেন, তারা মনে করেন, একদিনে তারা আমেরিকা হয়ে যাবে। আমেরিকার এই অবস্থায় আসতে ২৫০ বছর সময় লেগেছে। আমেরিকায় শ্রমিকরা একসময় দাস ছিল। তাদের দাসত্ব বহু বছর ধরে ছিল। মাত্র ১৮৮২ খ্রিস্টাব্দে দাসত্বটা আব্রাহাম লিংকনের কারণে বাদ পড়েছে। এটা বাদ পড়ায় আমেরিকায় গৃহযুদ্ধ হয়েছে। তবে দাসত্ব বাদ দেওয়ায় আব্রাহাম লিংকনকে আমি অভিনন্দন জানাই।

মন্ত্রী বলেন, ১৯ শতকের শুরুতে আমেরিকার শ্রমিককে ১৮ ঘণ্টার মতো কাজ করতো ২০ সেন্ট মজুরিতে। আমেরিকার উন্নয়নের কথা আমরা জানি। কেমন অত্যাচারিত হয়েছে সেখানকার শ্রমিকরা। কিন্তু আমাদের এখানের শ্রমিকরা আমেরিকার তুলনায় অনেক ভালো। আমেরিকায় জনপ্রতি আয় প্রায় ৬৫ হাজার ডলার। আর আমাদের দেশে ২ হাজার ৮০০ ডলার। সে তুলনায় আমাদের দেশের শ্রমিকরা অনেক ভালো আছে। আমেরিকায় মাত্র কয়েকদিন আগে নারীরা ভোট দেওয়ার অধিকার পেয়েছে। সেখানকার কৃষ্ণাঙ্গরা বাসে উঠতে পারতেন না। আমরা মার্টিন লুথার কিংয়ের কথা জানি।

ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে হুমকি দেওয়া নিয়ে ম্যাথু মিলার কথা বলেছেন। এ বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা বলা উচিত না। কিন্তু আপনি যদি রাজনীতিবিদ হন, তাহলে একদল না-একদল আপনাকে নিয়ে বক্তব্য দেবেই। আর রাজনীতি থেকে সরে থাকলে কেউ আপনাকে নিয়ে তিরস্কার করবে না। আর কে কী বলেছে, সে তথ্যপ্রমাণ আমাদের দেননি। আমাদের প্রমাণ দরকার।

মন্ত্রী আরও বলেন, আমাদের দেশে আমরা মুক্তচিন্তা, বাকস্বাধীনতায় বিশ্বাস করি। এগুলো আমরা কারও মুখে আঠা দিয়ে বন্ধ করে দিতে পারি না। তবে কেউ গর্হিত কাজ করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা সব কূটনীতিকদের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিচ্ছি। আমরা ভিয়েনা কনভেনশন অক্ষরে অক্ষরে পালন করি। কাজেই বন্ধু দেশগুলোকেও তা মেনে চলার অনুরোধ করবো। ভিয়েনা কনভেনশন লঙ্ঘন করে আপনারা বড় বড় কথা বলবেন না।

এসময় হাসতে হাসতে বলেন মন্ত্রী বলেন, দুনিয়ার এত দেশে নির্বাচন হয়, তাতে আমেরিকা মাথা ঘামায় না। আর আপনাদের (সাংবাদিক) কারণে আমেরিকা প্রতিদিন আমাদের নির্বাচন নিয়ে মাথা ঘামায়। আপনারা আমেরিকাকে বাংলাদেশের রাজনীতিতে ডেকে নিয়েছেন।


আরও খবর
শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকে জাপার ৩ নেতা

মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩




শ ম রেজাউল করিম বলেছেন

‘শেখ হাসিনার কল্যাণে পিরোজপুর আজ সমৃদ্ধ জনপদে পরিণত হয়েছে’

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
মশিউর রাহাত (পিরোজপুর)

Image
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কল্যাণে পিরোজপুর আজ সমৃদ্ধ জনপদে পরিণত হয়েছে। মানুষ প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়নে খুশি।

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পিরোজপুর-১ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, পিরোজপুর-১ আসন ছিল অবহেলিত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কল্যাণে পিরোজপুর আজ সমৃদ্ধ জনপদে পরিণত হয়েছে। মানুষ প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়নে খুশি। আমার বিশ্বাস, পিরোজপুরের মানুষ অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে ৭ জানুয়ারি নৌকা মার্কায় ভোট দেয়ার জন্য। নৌকা পিরোজপুর-১ আসনে বিপুল ভোটে জয়লাভ করবে ইনশাল্লাহ।

বৃহস্পতিবার জেলা রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহেদুর রহমানের কাছে মনোনয়নপত্র জমা শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

এ সময় তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ সভাপতি আমাকে পিরোজপুর-১ আসন থেকে দ্বিতীয়বার মনোনয়ন দিয়েছেন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জনগণ আমাকে ভোট দিয়ে সংসদে পাঠিয়েছেন। এবারও ইনশাআল্লাহ জনগণ আমাকে এমপি নির্বাচিত করবেন।

তিনি আরো বলেন, পিরোজপুরবাসীর প্রত্যাশিত প্রার্থী আমি ছিলাম। শেখ হাসিনা জনগণের মনের ভাষা বুঝতে পেরেছেন। তিনি বুঝতে পেরেছেন বলেই আমাকে মনোনয়ন দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর সম্মান রক্ষার দায়িত্ব আমাদের। আমরা নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে পিরোজপুর-১ আসন উপহার দেব। এর আগে তিনি দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে উৎসবমুখর পরিবেশে মনোনয়নপত্র জমা দেন।


আরও খবর



রেমিট্যান্সের ডলারে ১১৫ টাকার বেশি দর নয়

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

এখন থেকে প্রবাসী আয়ে ব্যাংকের নিজস্ব প্রণোদনাসহ ডলারের দর কোনোভাবেই ১১৫ টাকার বেশি দেওয়া যাবে না। রেমিট্যান্সের ক্ষেত্রে প্রতি ডলারের বিপরীতে ১২২ টাকার বেশি দর দেওয়ার তথ্য প্রকাশের পর জরুরি এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বুধবার সন্ধ্যায় ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের সংগঠন এবিবি ও বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনকারী ব্যাংকের সংগঠন বাফেদার যৌথ সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। জানা গেছে, এবিবি-বাফেদার বৈঠকটি সাড়ে ৬টায় শুরু হয়ে পৌনে ৭টার দিকে শেষ হয়। সংক্ষিপ্ত এ বৈঠকে শরীয়াহভিত্তিক একটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ব্যাংকারদের গণমাধ্যমে কোনো বক্তব্য না দেওয়ার প্রস্তাব করেন। যদিও এর পক্ষে-বিপক্ষে কেউ কিছু বলেননি।

নানা উদ্যোগ নেওয়ার পরও ডলার সংকট কমছে না, বরং বাড়ছে। ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের সংগঠন এবিবি ও বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনকারী ব্যাংকের সংগঠন বাফেদা গত ১ সেপ্টেম্বর প্রতি ডলারে ৫০ পয়সা বাড়িয়ে রপ্তানি ও রেমিট্যান্সে ১১০ টাকা ৫০ পয়সায় নির্ধারণ করে। এর সঙ্গে রেমিট্যান্সে ব্যাংকগুলো নিজেদের মতো করে প্রণোদনা দিতে পারবে বলে জানানো হয়। তবে বেশিরভাগ ব্যাংক এ দরে ডলার পাচ্ছে না। এখন ১২২ টাকা ৫০ পয়সা পর্যন্ত দরে ডলার কিনছে অনেক ব্যাংক।

করোনার পর অর্থনীতিতে বাড়তি চাহিদা, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং অর্থপাচার ব্যাপক বেড়ে যাওয়ায় হুন্ডিতে ডলারের চাহিদা বেড়েছে। এতে করে ডলারের দর হুহু করে বেড়ে গত বছরের মাঝামাঝি ১১৪ টাকায় ওঠে। এরপর বাংলাদেশ ব্যাংকের মধ্যস্ততায় গত বছরের ১১ সেপ্টেম্বর থেকে ডলারের দর ঠিক করে আসছে ব্যাংকগুলো। এ প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে শুরুতে ডলারের দর রেমিট্যান্সে ১০৮ এবং রপ্তানিতে ৯৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়। পর্যায়ক্রমে উভয় ক্ষেত্রে ডলার কেনার দর অভিন্ন করা হয়।


আরও খবর
চার মাসে রাজস্ব আয় বেড়েছে ১৪.৩৬ শতাংশ

মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩




ভোটের ব্যালট জেলায় যাবে চার দিন আগে: ইসি সচিব

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটের ব্যালট পেপার ছাপানো হবে প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দেওয়ার পর। আর নির্বাচনের তিন-চারদিন আগে জেলা পর্যায়ে ব্যালট পেপার চলে যাবে।

বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) আগারগাঁওয়ে কমিশন ভবনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম এ তথ্য জানিয়েছেন।

ইসির আরেক কমিশনার মো. আলমগীর জানিয়েছিলেন, ব্যালট পেপার ভোটের দিন সকালে জেলা পর্যায়ে পাঠানোর চিন্তা করা হচ্ছে। কাগজের ব্যালটের নির্বাচনে যেন কোনো রকম অপব্যবহার না হয়, সেজন্য ইসি এ কৌশল অবলম্বন করতে পারে।

তফসিল ঘোষণার পর থেকে নিয়োগ, বদলি ও রাজনৈতিক কোনো চাপ অনুভব করছেন কি না- এ প্রশ্নে তিনি বলেন, আরপিওতে সুস্পষ্টভাবে বলা আছে নির্বাচনকালীন সরকারের কোন কোন বিষয়গুলো পূর্ব অনুমোদন করতে হবে। সেখানে বলা আছে জেলা প্রশাসক, ডিএমপি কমিশনার ও তাদের অধস্তন কর্মকর্তাদের বদলির ক্ষেত্রে ইসির পূর্ব অনুমোদন নিতে হবে। সন্ধ্যা তফসিল ঘোষণা হয়েছে। তার আগ মুহূর্তের কাজ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের। তফসিল ঘোষণার পর আমাদের কাজ ।

নির্বাচনী বিধি মোতাবেক মন্ত্রী-এমপিরা আগের মতো কাজ করতে পারবেন কি না, জানতে চাইলে ইসি সচিব স্পষ্টভাবে কিছু বলেননি।

গতকাল বুধবার (১৫ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায় আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবন থেকে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।

ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসের ৭ তারিখ রোজ রোববার ৩০০ আসনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ৬৬ জন রিটার্নিং অফিসার এবং ৫৯২ জন সহকারী রিটার্নিং অফিসারের নিয়োগ চূড়ান্ত করা হয়েছে।

এছাড়া মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ আগামী ৩০ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র বাছাই আগামী ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর, রিটার্নিং অফিসারের আদেশের বিরুদ্ধে কমিশনে আপিল দায়ের ও নিষ্পত্তি ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বর। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর। রিটার্নিং অফিসাররা প্রতীক বরাদ্দ করবেন ১৮ ডিসেম্বর।

তফসিল অনুযায়ী, নির্বাচনী প্রচারণা চলবে ১৮ ডিসেম্বর থেকে ২০২৪ সালের ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত।


আরও খবর
শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকে জাপার ৩ নেতা

মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩




কোনো আপত্তিকর দৃশ্যে কাজ করতে পারবো না : পূর্ণিমা

প্রকাশিত:রবিবার ১২ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

চলচ্চিত্র অঙ্গনের পলিটিক্সের কারণে অনেক সিনেমা থেকে বাদ পড়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন চিত্রনায়িকা পূর্ণিমা। সম্প্রতি রাজধানীতে একটি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান উদ্বোধন করতে গিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এমনটা বলেন তিনি।

পূর্ণিমা বলেন, এখন তো চলচ্চিত্র অনেক কমে এসেছে। অনেক শিল্পী ঘরে বসে গেছেন। অনেকেই পলিটিক্সের কারণে ছবির কাজ পাচ্ছেন না। আমিও সেই একই পলিটিক্সের শিকার! অনেক ছবি থেকেই কোনো কারণ ছাড়াই বাদ পড়েছি। পলিটিক্স ছিল বলেই এসব হয়েছে। এখন এফডিসিও ছোট হয়ে আসছে।

বড় পর্দায় এখন নিয়মিত নন পূর্ণিমা। কিন্তু কেন? এমন প্রশ্নে নায়িকার ভাষ্য, বর্তমানে বড় পর্দায় যে ছবিগুলো হচ্ছে, সে অনুযায়ী আমি যেমন চরিত্রে অভিনয় করতে চাচ্ছি সেরকম অফার আসছে না। সেজন্যই কাজের পরিমাণ কমে গেছে।

এসময় ওটিটি প্লাটফর্মে কাজ করা প্রসঙ্গে পূর্ণিমা বলেন, কিছু গল্পে আছে, যেখানে হয়তো কিছু আপত্তিকর দৃশ্য অভিনয় করতে হবে। কিন্তু ব্যক্তিগতভাবে আমি কোনো আপত্তিকর দৃশ্যে কাজ করতে পারবো না। ওটিটিতে যেহেতু সেন্সরের কিছু নেই, দেখা গেল ওই গল্পের জন্য দৃশ্যটা খুবই জরুরি ছিল। এমন সব গল্প আমাকে ফিরিয়ে দিতে হচ্ছে। পরে হয়তো আরও ভালো কোনো অভিনেত্রীকে তারা নিয়ে নিচ্ছে। এ কারণে আমি মনে করি, এটা আমারই ব্যক্তিগত সমস্যা।


আরও খবর