মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত গণতন্ত্রপন্থি নেত্রী অং সান সু চিকে মুক্তি দিতে সেনাবাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তার ছোট ছেলে কিম অ্যারিস। গতকাল বৃহস্পতিবার (২২ জুন) বিবিসি বার্মাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ আহ্বান জানান। কিম অ্যারিস যুক্তরাজ্যের লন্ডনে বসবাস করছেন।
আরও পড়ুন: দুই মহান বন্ধু ও দুই বড় শক্তি, চিয়ার্স: বাইডেন
তিনি বলেন, ‘গণমাধ্যমের সামনে
আসতে চাইনি। কিন্তু মাকে তো আর কারাগারে তিলে তিলে শেষ হতে দিতে পারি না। বরাবরই মা
আমাকে রাজনীতি থেকে দূরে রেখেছেন। কিন্তু তাকে দীর্ঘ সাজা দেওয়া হয়েছে। সেনাবাহিনী
সরকার মাকে জেলে আটকে রাখার কোনো কারণও দেখাতে পারছে না।
এর আগে ২০২১ সালে একটি অভ্যুত্থানে অং সান সু চির সরকার পতনের পর তাকে ধারাবাহিক বিচারে ৩৩ বছরের সাজা দেয় দেশটির বর্তমান জান্তা সরকার। এর আগে ১৯৮৯ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত প্রায় ১৫ বছর সু চি গৃহবন্দি ছিলেন।
আরও পড়ুন: পায়রা বিদ্যুৎ কেন্দ্র ফের চালু হচ্ছে রোববার
নোবেলজয়ী সু চি সারা বিশ্বে গণতন্ত্রের
প্রতীক ছিলেন। ১৫ বছর গৃহবন্দি থাকার পর ২০১০ সালে তিনি মুক্ত হলে সারাবিশ্ব সেটি আনন্দের
সঙ্গে পালন করে। কিন্তু পরে ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার
আদালতে তিনি মুসলিম রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর প্রতি চালানো নির্যাতনের পক্ষে কথা বলে বিশ্বব্যাপী
ব্যাপক সমালোচিত হন।
রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে মায়ের এসব সমালোচনার বিষয়ে প্রশ্ন করলে কোনো উত্তর দেননি কিম। ১৯৯১ সালে মিয়ানমারে ফেরত আসতে পারবেন কিনা এই দ্বন্দ্ব থেকে তিনি দেশ ছাড়েননি। তখন ১৪ বছর বয়সী কিম তার মায়ের পক্ষে নোবেল পুরস্কার গ্রহণ করেছিলেন।
আরও পড়ুন: ইউক্রেন যুদ্ধে ৪৭৭ শিশুর প্রাণহানি: জাতিসংঘ
২০১০ সালে মুক্তি পাওয়ার পর বহু বছর পর
কিম অ্যারিস তার মায়ের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পান। মাকে দেখে চলে যাওয়ার সময় ইয়াঙ্গুনের
বাজার থেকে কেনা একটি কুকুর উপহার দেন তিনি।