বৃষ্টিময় শীতল আবহাওয়ায় হঠাৎ করেই শীতল
এক যুদ্ধ চলছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অন্যতম জনপ্রিয় প্ল্যটফরম ফেসবুকে। দেশের অন্যতম
জনপ্রিয় দুই চলচ্চিত্র তারকার মধ্যে চলছে কথার লড়াই। একজন পরীমনি, অপরজন বুবলী। বুধবার
(২০ মার্চ) রাত থেকেই চলছে দুই নায়িকার ফেসবুক যুদ্ধ। চলছে পাল্টাপাল্টি পোস্ট।
ঘটনার সূত্রপাত বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ)
চিত্রনায়িকা শবনম বুবলীর একমাত্র সন্তান শেহজাদ খান বীরের জন্মদিনকে ঘিরে। ছেলের জন্মদিন
উপলক্ষে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি ভিডিও প্রকাশ করেছেন তিনি। প্রায় পাঁচ
মিনিটের সেই ভিডিওতে ছেলেকে নিয়ে আবেগঘন বার্তা দিতে দেখা গেছে তাকে।
তবে বিপত্তি বাধে সেই ভিডিও নিয়েই। বুবলীর
সেই ভিডিও প্রকাশের পরপরই মধ্যরাতে নিজের ফেসবুকে তাকে খোঁচা দিয়ে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন
পরীমনি। কিন্তু পুরো স্ট্যাটাসে কোথাও বুবলীর নাম মেনশন করেননি তিনি। তবে কারো বুঝতে
বাকি নেই যে পোস্টটি বুবলীকে ইঙ্গিত করে করা! নিজের স্ট্যাটাসে পরীমনির দাবি, প্রায়
ছয় মাস আগে তার সন্তান পুণ্যকে নিয়ে বানানো ভিডিওকে ‘কপি’ করেই বানানো
হয়েছে বুবলীর সন্তানের সেই ভিডিও।
অবশ্য পরীমনির পোস্টের পর বুবলীও আলাদা
করে পরীকে ইঙ্গিত করে পোস্ট করেছেন। তার দাবি, কাছাকাছি মেলে, একদম মেলে- এ রকম বহু
বহু জিনিস হচ্ছে দুনিয়াতে। কিন্তু এসবে পৃথিবীর কারো কোনো অসুবিধা নাই। শুধু এক ধরনের
সিন্ডিকেটের অবস্থা দেখলে মনে হয় যে এরাই শুধু মা হয়েছে, আর কেউ মা হয়নি। এ ছাড়া
অভিনেত্রী বিভিন্ন ইঙ্গিতমূলক কথা লেখেন নিজের স্ট্যাটাসে।
এরপর বুবলীর সেই পোস্টকে ঘিরেও নতুন করে
পোস্ট দেন পরীমনি। সেটিকে গরুর রচনার সঙ্গে তুলনা করেন তিনি। পাল্টা পোস্ট দিয়ে লেখেন,
‘হিহিহি একটি শিক্ষিত
বকরির গরুর রচনা!’ সেই সঙ্গে বুবলীকে ‘বেচারি’ উল্লেখ করে খোঁচাও
মারেন পরী মনি। এটাও লেখেন যে বুবলী নিজেও জানে না সে কী লিখছে! নিজের লেখা সে নিজেও
বুঝতে পারবে না।
এদিকে পরীমনি-বুবলীর মধ্যে ভার্চুয়াল লড়াই
যখন চলছে, এরই মধ্যে সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট দিলেন অপু বিশ্বাস। বৃহস্পতিবার
(২১ মার্চ) রাত ৮টায় ফেসবুক অ্যাকাউন্টে লিখেছেন— ‘উফ কী সুন্দর
ওয়েদার। বলার ভাষা নেই, আবেগ নেই, মিউজিক নেই, শুধু ছবিটাই আছে।’
অপু বিশ্বাসের এ স্ট্যাটাসের অর্থ অবশ্য
বুঝতে বাকি নেই নেটিজেনদের। তারা বলছেন, বুবলীকে এবার অপু বিশ্বাসও খোঁচা দিলেন। সামাজিক
মাধ্যমে যা নিয়ে চলছে এখন নানা সমালোচনা। তিন তারকার ভক্তরাও সামাজিক মাধ্যমে বিভ্রান্ত
হচ্ছেন তাদের একে অপরকে ইঙ্গিত করে চলা এই তর্কযুদ্ধে। অনেকেই অনুরোধ করছেন এই তর্কযুদ্ধ
থামাতে। এখন দেখার বিষয়, অপুর ইঙ্গিতের পর এই লড়াই কোন দিকে মোড় নেয়!