আজঃ শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪
শিরোনাম

মাঝ আকাশে বিমানে বিপত্তি, দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেলেন মমতা

প্রকাশিত:শনিবার ০৫ মার্চ ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ০৫ মার্চ ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

অল্পের জন্য বিমান দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী। শুক্রবার (৪ মার্চ) দেশটির উত্তরপ্রদেশে বারানসি শহর থেকে ফেরার সময় কলকাতায় নামার কিছুক্ষণ আগেই এই ঘটনা ঘটে।

ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকার তথ্য মতে, মমতার ভাড়া করা বিমানের সামনে হঠাৎ করে অন্য একটি বড় বিমান এসে পড়লে পাইলট দ্রুত বিমানটিকে ৭ হাজার ফুট থেকে দুই হাজার ফুট নামিয়ে দেন। সেই সঙ্গে বিমানটি দুলতেও থাকে। এ ঘটনায় কোমরে বেশ ব্যথা পেয়েছেন মমতা। আগে থেকেই তার কোমরে ব্যথা থাকায় বেশি সমস্যায় পড়েন। দুর্যোগ কেটে যাওয়ার চার মিনিট পর মমতার বিমানটি কলকাতার মাটি স্পর্শ করে। এ ঘটনা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে জানা গেছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, নিয়ম অনুযায়ী পাইলট ঘটনার প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন। তাতে তিনি উল্লেখ করেছেন, কলকাতা বিমানবন্দর থেকে ৫০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিম আকাশে যখন সাত হাজার ফুট উচ্চতা থেকে ছয় হাজার ফুটে নামছিলেন, তখন হঠাৎ করে সামনে বিপদজনক মেঘ দেখতে পান। সে কথা তিনি কলকাতা বিমানবন্দরের এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলকে (এটিসি) জানান। এটিসি তাকে দুই হাজার ফুট উচ্চতায় নেমে আসতে বলে। তিনি সেই মতো নেমে আসেন।

বিমানবন্দরের একটি সূত্র জানিয়েছে, পাইলটের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে তদন্তে নামবে ডিজিসিএ। তবে পাইলটের রিপোর্টে দ্বিতীয় কোনো বিমানের অস্তিত্ব ছিল কি না তা জানা যায়নি। 


আরও খবর



আগামীকাল থেকে ভারতের লোকসভা নির্বাচন শুরু

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ভারতে ৭ দফার লোকসভা নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোটগ্রহণ আগামীকাল শুক্রবার অনুষ্ঠিত হবে। এ দফায় উত্তরপ্রদেশে আটটি আসন, বিহারের চারটি আসন ও পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের তিন আসনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

দক্ষিণ ভারতের তামিলনাড়ুর ৩৯ আসনের সব কটিতে ভোট হয়ে যাচ্ছে প্রথম দফায়। এরপর রয়েছে বিজেপিশাসিত রাজস্থান, সেখানে ২৫ আসনের অর্ধেক অর্থাৎ ১২টি আসনে এদিন নির্বাচন হবে।

উত্তর প্রদেশের ৮০টি আসনের মধ্যে ভোট হবে ৮টিতে এবং পূর্ব ভারতে প্রায় প্রতিটি রাজ্যেই। পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে অরুণাচল প্রদেশ, আসাম, মেঘালয়, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড, সিকিম, ত্রিপুরা ও পশ্চিমবঙ্গ। এ ছাড়া উত্তর-পূর্ব ভারতের সংঘাতবিধ্বস্ত মণিপুরের দুটি আসনেই ভোট হবে আগামীকাল।

এদিকে ৫৪৩ আসনের লোকসভায় বিজেপি এবার দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই করার ঘোষণা দিয়েছে। ক্ষমতাসীন এনডিএ জোটের নেতা ভারতীয় জনতা পার্টি এককভাবে এবার ৩৭০ আসনের টার্গেট নিয়ে এগোচ্ছে। আর জোটগতভাবে তাদের লক্ষ্য ৪০০ আসন। গেলবার বিজেপি-এনডিএ জোট ৩০৩ আসন পেয়েছিল, যেখানে লক্ষ্য ছিল ৩০০ আসন। অর্থাৎ ২০১৯ সালের চেয়ে এবার ১০০টি আসন বেশি পেতে চাইছে জোট।

তবে জনমত জরিপগুলো বলছে, বিজেপি ও এর মিত্ররা তৃতীয়বারের মতো নির্বাচনে জয়ী হবে। জনমত জরিপে ন্যূনতম ৩৭৩টি আসনে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটের জয়ের আভাস দিয়েছে এবিপি নিউজ। আর পশ্চিমবঙ্গে ৪২টির মধ্যে ২১টি আসনে তৃণমূল কংগ্রেসের জয়ের ইঙ্গিত দিয়েছে টিভি-নাইনের জনমত জরিপ।

ভারতজুড়ে বিভিন্ন স্থানে ৭ দফায় ভোট গ্রহণ চলবে। প্রথম দফায় ভোট শুরু হচ্ছে ১৯ এপ্রিল। এরপর ২৬ এপ্রিল, ৭ মে, ১৩ মে, ২০ মে, ২৫ মে ও ১ জুন সর্বশেষ দফায় ভোট হবে। ফল ঘোষণা হবে ৪ জুন।


আরও খবর



৯৬ হাজার শিক্ষক নিয়োগ আবেদন শুরু, যেভাবে করবেন আবেদন

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) বেসরকারি স্কুল, কলেজ, মাদরাসায় শিক্ষক নিয়োগের লক্ষ্যে পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে সম্প্রতি। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ৯৬ হাজার ৭৩৬ পদে শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হবে। এদের মধ্য স্কুল অ্যান্ড কলেজে ৪৩ হাজার ২৮৬ পদে এবং মাদরাসা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠানে ৫৩ হাজার ৪৫০ পদে শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হবে।

বুধবার দুপুর ১২টা থেকে অনলাইনে শিক্ষক নিয়োগের আবেদন শুরু হবে। আবেদন গ্রহণ চলবে আগামী ৯ মে পর্যন্ত। ১০ মে রাত ১২টা পর্যন্ত আবেদনের ফি জমা দিতে পারবেন আবেদনকারীরা।

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ এবং কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ থেকে জারি করা সর্বশেষ জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা অনুযায়ী আবেদনকারীকে কাম্য শিক্ষাগত যোগ্যতাসম্পন্ন হতে হবে। প্রার্থীকে আবশ্যিকভাবে কেবল তার শিক্ষক নিবন্ধন সনদে উল্লিখিত বিষয় সংশ্লিষ্ট পদ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আবেদন করতে হবে। আবেদনকারী মিথ্যা তথ্য প্রদান করলে চূড়ান্ত সুপারিশ বাতিলসহ তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আবেদনকারীর বয়স-

আবেদনকারী প্রার্থীর বয়স ১ জানুয়ারি ২০২৪এ ৩৫ বছর বা তার কম হতে হবে। ৪০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পছন্দক্রম দিতে পারবেন আবেদনকারী।

প্রত্যেক আবেদনকারী নিবন্ধন সনদ অনুযায়ী একই পর্যায়ে (স্কুল/কলেজ) একটি মাত্র আবেদন করতে পারবেন। একজন প্রার্থী শূন্য পদের তালিকা থেকে তার আবেদনে সর্বোচ্চ ৪০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পছন্দ দিতে পারবেন। পছন্দ প্রদানের পর কোনো প্রার্থী যদি তার পছন্দ-বহির্ভূত দেশের যেকোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চাকরি করতে ইচ্ছুক হন, তবে তাকে e-Application ফরমে প্রদর্শিত Other Option নামের বক্সে Yes Click করতে হবে। যদি ইচ্ছুক না হন, তবে No Click করতে হবে। প্রতিষ্ঠান choice প্রদানের ক্ষেত্রে প্রার্থীকে সতর্কতা অবলম্বন করার পরামর্শ দিয়েছে এনটিআরসিএ।

যেসব প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্ট শূন্য পদের বিপরীতে কাম্যসংখ্যক শিক্ষার্থী নেই, সেসব প্রতিষ্ঠানের এমপিও পরবর্তী সময়/ ভবিষ্যতে বাতিল হতে পারে বিধায় বিভিন্ন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে প্রাপ্ত যেসব এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানে শূন্য পদের বিপরীতে কাম্যসংখ্যক শিক্ষার্থী নেই, সেসব পদে পরবর্তী সময়/ ভবিষ্যতে নিয়োগ সুপারিশ প্রদান করা যাবে না।

কোনো প্রার্থীর যদি স্কুল ও কলেজ উভয় পর্যায়ের সনদ থাকে এবং তিনি যদি উভয় পর্যায়ের পদে আবেদন করেন, তবে প্রথমে তাকে কলেজ পর্যায়ে বিবেচনা করা হবে। কলেজ পর্যায়ে নির্বাচিত না হলে স্কুল পর্যায়ে বিবেচনা করা হবে। কলেজ পর্যায়ে নির্বাচিত হলে স্কুল পর্যায়ে বিবেচনা করা হবে না।

আবেদন ফি-

সব আবেদনের জন্য আবেদনকারীকে নির্ধারিত ১০০০ (এক হাজার) টাকা ফি প্রদান করতে হবে। নির্ধারিত ফি পরিশোধ না করলে আবেদনটি বাতিল বলে গণ্য হবে।

তবে একবার সুপারিশপ্রাপ্ত হওয়ার পর দেশের কোনো স্কুলে কর্মরতদের (এমপিওভুক্ত/ইনডেক্সধারী) সমপদে আবেদন করার সুযোগ নেই। তবে স্কুল পর্যায়ে যদি কোনো নিবন্ধন সনদধারী (এমপিওভুক্ত/ইনডেক্সধারী) প্রাপ্ত প্রার্থীর কলেজ পর্যায়ের শিক্ষক নিবন্ধন সনদ থাকে এবং তিনি যদি কলেজ পর্যায়ে এমপিওভুক্ত না হন, তবে তার শিক্ষক নিবন্ধন সনদে উল্লিখিত কলেজ পর্যায়ের পদে ও প্রতিষ্ঠানে আবেদন করতে পারবেন।

বিপরীতক্রমে কলেজ পর্যায়ে নিবন্ধন সনদধারী এমপিওভুক্ত প্রার্থীর যদি স্কুল পর্যায়ের শিক্ষক নিবন্ধন সনদ থাকে এবং তিনি যদি স্কুল পর্যায়ে এমপিওভুক্ত না হন, তবে তার নিবন্ধন সনদে উল্লিখিত স্কুল পর্যায়ের পদে ও প্রতিষ্ঠানে আবেদন করতে পারবেন। তবে আবেদন করা প্রতিষ্ঠানে নির্বাচিত হলে আগের প্রতিষ্ঠানের সুপারিশ বাতিল বলে গণ্য হবে।

যেভাবে আবেদন করা যাবে

অনলাইনে আবেদন ফি দেওয়া সংক্রান্ত নিয়ম টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের ওয়েবসাইটে এবং এনটিআরসিএর ওয়েবসাইটে দেওয়া হয়েছে। আবেদন এবং ফি দেওয়ার নিয়মের বিষয়ে ভিডিও টিউটোরিয়াল নমুনা (ডেমো) টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।


আরও খবর



সদকাতুল ফিতর কখন কার ওপর ওয়াজিব

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ধর্ম ও জীবন

Image

পবিত্র রমজানের ইবাদতের মধ্যে সদকাতুল ফিতর আদায় করা অন্যতম একটি ইবাদত। রমজানের সিয়াম সাধনা শেষে আসে পবিত্র ঈদুল ফিতর। ঈদের আনন্দ ধনী-গরিব সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে এবং এ আনন্দে যেন মুসলিম জাতির প্রতিটি সদস্য শরিক হতে পারে এ জন্য ওয়াজিব করা হয়েছে সদকাতুল ফিতর। রমজানের রোজার ত্রুটি-বিচ্যুতি পরিপূর্ণতার জন্যই আবশ্যক করা হয়েছে এটি।

ইমাম ওয়াকি ইবনুল জাররাহ বলেন, রমজান মাসের জাকাতুল ফিতর নামাজের সিজদায়ে সাহুর সমতুল্য। অর্থাৎ নামাজে ত্রুটি-বিচ্যুতি হলে যেমন সিজদায়ে সাহু দিলে এটা পূর্ণ হয়ে যায় তেমনি রোজার মধ্যে ত্রুটি-বিচ্যুতি হলে সাদকাতুল ফিতর দিয়ে এর প্রতিকার হয়। তাছাড়া ধনী-গরিব উভয়ে যেন অন্তত ঈদের দিন উত্তম পোশাক ও উন্নতমানের খাবার খেতে পারে এ জন্যই ফিতরার ব্যবস্থা।

ফিতরার নিসাব

যার মালিকানায় নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস ও ঋণ  ছাড়া সাড়ে সাত তোলা স্বর্ণ বা সাড়ে বায়ান্ন তোলা রুপা কিংবা এর সমমূল্য কোন সম্পদ বা টাকা থাকে, তাহলে তার ওপর সদাকাতুল ফিতর ওয়াজিব।

সদকাতুল ফিতর উত্তম হলো ঈদের নামাজের আগে আদায় করে দেয়া। কেননা রাসুল (সা.) ঈদগাহে যাওয়ার আগেই সদকাতুল ফিতর আদায় করার নির্দেশ দিয়েছেন।

জাকাত গ্রহণের উপযুক্ত এমন অভাবী লোকদের সদকাতুল ফিতর দিতে হবে। একজন দরিদ্র মানুষকে একাধিক ফিতর দেওয়া যেমন জায়েজ, তেমনি একটি ফিতরা বণ্টন করে একাধিক মানুষকে দেয়াও জায়েজ।

হজরত আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রা.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন-রাসুলুল্লাহ (সা.) সদকাতুল ফিতর আদায় করাকে আবশ্যক করেছেন। এর পরিমাণ হলো, এক সা যব বা এক সা খেজুর। ছোট-বড়, স্বাধীন-পরাধীন সবার ওপরই এটা আবশ্যক। (বোখারি :  ১৫১২)।

হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) রোজা পালনকারীর জন্য সদকাতুল ফিতর আদায় অপরিহার্য করে দিয়েছেন, যা রোজা পালনকারীর অনর্থক, অশ্লীল কথা ও কাজ পরিশুদ্ধকারী এবং অভাবী মানুষের জন্য আহারের ব্যবস্থা। যে ব্যক্তি ঈদের সালাতের আগে এটা আদায় করবে, তা সদকাতুল ফিতর হিসেবে গ্রহণযোগ্য হবে। আর যে ঈদের সালাতের পর আদায় করবে তা অপরাপর (নফল) সদকা হিসেবে গৃহীত হবে। (আবু দাউদ : ১৬০৯)।

হজরত আবু সাঈদ খুদরি (রা.) বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেন আমরা এক সা পরিমাণ খাদ্য, যব, বা খেজুর অথবা এক সা পরিমাণ পনির বা কিশমিশ দিয়ে সদকায়ে ফিতর আদায় করতাম ৷ (বোখারি : ১৫০৬)।

হাদিস শরিফে এ পাঁচটি দ্রব্যের যে কোনো একটি দ্বারা সদকায়ে ফিতর আদায়ের সুযোগ দেয়া হয়েছে ৷ যেন প্রত্যেকে নিজ নিজ সামর্থ্যানুযায়ী আদায় করতে পারে তবে সবার জন্য সবচেয়ে কম দামের দ্রব্য দিয়ে সদকায়ে ফিতর আদায় করা অনুচিত; বরং যে ব্যক্তি খেজুর, কিশমিশ দিয়ে সদকায়ে ফিতর আদায় করার সামর্থ রাখে, সে তা দিয়েই আদায় করবে ৷

সদকায়ে ফিতর যাদের উপর ওয়াজিব

ঈদের দিন সুবহে সাদেকের সময় যার কাছে যাকাত ওয়াজিব হওয়া পরিমাণ অর্থাৎ অত্যাবশ্যকীয় আসবাব সামগ্রী ব্যবহার্য দ্রব্যাদি, বাসগৃহ ইত্যাদি বাদ দিয়ে সাড়ে ৫২ তোলা রূপা বা সাড়ে সাত তোলা স্বর্ণ অথবা সমমূল্য পরিমান সম্পদ থাকে, তাহলে তার উপর সদকায়ে ফিতর আদায় করা ওয়াজিব।

ঈদুল ফিতরের দিন সুবহে সাদিকের সময় এ পরিমাণ মালের মালিক থাকলে, তার উপর সদকায়ে ফিতর ওয়াজিব হবে। যে শিশু-সন্তানটি ঈদুল ফিতরের দিন সুবহে সাদিকের পূর্বে ভূমিষ্ট হবে, তার ফিতরাও আদায় করতে হবে।

অর্থাৎ পরিবারের যতজন সদস্য ততটি ফিতরা হিসেবে) সকলের ফিতরা আদায় করতে হবে। প্রত্যেক মুসলিম নর-নারী তার নিজের পক্ষ থেকে এবং নাবালেগ সন্তানের পক্ষ থেকে সদাকাতুল ফিতর আদায় করবেন।

সদকাতুল ফিতরের পরিমাণ

ইবনে ওমর (রা.) বলেন, রাসূল (সা.) সদকাতুল ফিতর আবশ্যক করেছেন। এর পরিমাণ হলো, এক সা যব বা এক সা খেজুর। ছোট-বড়, স্বাধীন-পরাধীন সবার ওপরই এটা আবশ্যক। (বোখারি  : ১৫১২)।

ইবনে আব্বাস (রা.) একবার রমজানের শেষ দিকে বসরায় খুতবা প্রদান করেন। সেখানে তিনি বলেন, তোমাদের রোজার সদকা আদায় করো। লোকেরা যেন ব্যাপারটা বুঝতে পারে নি।

তখন ইবনে আব্বাস (রা.) বললেন, এখানে মদিনার কে আছে দাঁড়াও। তোমাদের ভাইদেরকে বলো, তারা তো জানে না। বলো যে, রাসূল (সা.) এই সদকা আবশ্যক করেছেন। এক সা খেজুর বা যব অথবা আধা সা গম প্রত্যেক স্বাধীন-দাস, পুরুষ-নারী, ছোট-বড় সবার ওপর ওয়াজিব।  (আবু দাউদ: ১৬২২)।

যারা জাকাত গ্রহণের উপযুক্ত এমন অভাবী লোকদের সদকাতুল ফিতর প্রদান করতে হবে। জাকাতের জন্য সম্পদের বর্ষপূর্তি শর্ত হলেও ফিতরায় এ শর্ত নেই। নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক নিজের পক্ষ থেকে, নিজের প্রাপ্ত এবং অপ্রাপ্ত বয়স্ক সন্তানদের পক্ষ থেকে এবং নিজের সেবক-সেবিকাদের পক্ষ থেকে ফিতরা আদায় করতে হবে। সন্তান বা অধীনস্থরা অমুসলিম হলেও তাদের ফিতরা আদায় করা আবশ্যক।

গম বা আটা, যব, কিশমিশ, খেজুর ও পনির- এ পাঁচটি জিনিস বা তার মূল্য দিয়ে ফিতরা আদায় করা যায়। সামর্থ্যানুসারে সবার উচিত উৎকৃষ্ট জিনিস সদকা করা। রাসূল (সা.)-এর সময়ে সামর্থ্যানুযায়ী সবাই উত্তম পণ্য দিয়ে ফিতরা আদায় করতেন।

সর্বোত্তম দান সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে রাসূল (সা.) ইরশাদ করেন, দাতার কাছে যা সর্বোৎকৃষ্ট এবং যার মূল্যমান সবচেয়ে বেশি। (বোখারি : ১৯৭৪)।

এ বছরের সদকাতুল ফিতরের নির্ধারিত পরিমাণ‌

ইসলামী ফাউন্ডেশনের বাংলাদেশ' এর অনুকরণে নিম্নে এবছরের (১৪৪৫ হিজরী/২০২৪ইং) এর সদকাতুল ফিতরের বাজার মূল্য তুলে ধরা হলো:

১. উন্নতমানের আটা বা গমের ক্ষেত্রে ফিতরা এক কেজি ৬৫০ গ্রাম (অর্ধ সা) বা এর বাজার মূল্য ১১৫ টাকা।

২. যবের ক্ষেত্রে (এক সা) ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য ৪০০ টাকা ফিতরা দিতে হবে।

৩. খেজুরের ক্ষেত্রে ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য দুই হাজার ৪৭৫ টাকা

৪. কিসমিসের ক্ষেত্রে  ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম কিসমিস বা এর বাজার মূল্য দুই হাজার ১৪৫ টাকা দিয়ে ফিতরা আদায় করা যাবে।

৫. পনিরের ক্ষেত্রে ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য ২ হাজার ৯৭০ টাকা দিয়ে ফিতরা আদায় করতে হবে।

ফিতরা আদায়ের ক্ষেত্রে আমরা অদ্ভুত মানসিকতার পরিচয় দেই। আমাদের দেশে সাধারণত সর্বনিম্ন পরিমাণ অর্ধ সা গম এর মূল্য হিসেবে জনপ্রতি ১০০ টাকা হিসেবে সবাই আদায় করতে চান।

কোটিপতি হতে মধ্যবর্তী সবাই সর্বনিম্ন টাকা দিয়েই দায়মুক্ত হতে চান। সবচেয়ে কম মূল্যের গমের হিসাবে সবাই সাদকা করার প্রবণতা খুব বেশি। বিষয়টি রাসূল (সা.)-এর শিক্ষার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়।  বরং এটা তো সর্বনিম্ন সম্পদের মালিকের জন্য চলে, কিন্তু আল্লাহ তায়ালা যাদেরকে তাওফিক দিয়েছেন, তাদের অন্যান্য দ্রব্য দিয়ে সর্বোচ্চ সদকায়ে ফিতর আদায় করা উচিত। তাই সামর্থ্যানুযায়ী বেশি মূল্যের পণ্য দিয়ে ফিতরা আদায়ের চেষ্টা করতে হবে।


আরও খবর
কুরবানি ঈদ কবে, জানাল আরব আমিরাত

মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪




নাফ নদীতে বিজিপির গুলিতে দুই বাংলাদেশি জেলে আহত

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মোহাম্মদ ফারুক, কক্সবাজার

Image

কক্সবাজারের টেকনাফের নাফ নদীতে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিপি) গুলিতে বাংলাদেশি দুই জেলে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। রোববার (২১ এপ্রিল) সকালে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপের নাইক্ষ্যংদিয়া সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে।

গুলিবিদ্ধরা হলেন- শাহপরীর দ্বীপের মাঝেরপাড়ার মোহাম্মদ ইসমাইল ও মোহাম্মদ ফারুক। এর মধ্যে ফারুকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। রোববার দুপুর ১টার দিকে আহতদের কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।

টেকনাফের সাবারাং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নূর হোসেন বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।

টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ কর্মকর্তা প্রণয় রুদ্র জানান, আহতদের মধ্যে ফারুকের শরীরে তিনটি গুলি লেগেছে। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

নিউজ ট্যাগ: বিজিপি নাফ নদী

আরও খবর



ডোমারে রেললাইনে কাটা পড়লো নেশাগ্রস্থ যুবক

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
Image

ডোমার (নীলফামারী) প্রতিনিধি:

নীলফামারীর ডোমারে বাড়ির পাশে রেললাইনে বসে মাদক সেবনরত অবস্থায় সাদ্দাম হোসেন(২৩) নামের এক যুবক ট্রেনে কাটা পড়ে নিহত হয়েছে।

মরদেহের পাশে পড়ে রয়েছে নেশার সরঞ্জাম সলিউশন আঠাঁর কৌটা। সাদ্দাম ওই এলাকার তেলিপাড়ার মৃত আবু হানিফার ছেলে।

রবিবার (২১ এপ্রিল) রাত সাড়ে এগারোটার দিকে ডোমার রেল স্টেশনের তিন কিলোমিটার উত্তরে হাজিপাড়া রেলক্রসিং এলাকায় দুর্ঘটনাটি ঘটে।

স্থানীয়রা জানান, রাতে চিলাহাটি হতে খুলনাগামী সীমান্ত ট্রেনে কাটা পড়ে সাদ্দাম হোসেন ঘটনাস্থলে মারা যায়। সে সময় সে রেললাইনে বসে ক্যামিক্যাল আঠা(ডান্ডি) নেশা করেছিল। নেশার কারণে আগে থেকেই মানষিক ভারসাম্যহীন ছিলো সাদ্দাম।

সৈয়দপুর রেলওয়ে থানা ওসি নুরুল ইসলাম জানান, নিহত সাদ্দাম মানষিক ভারমাস্যহীন ছিল। আইনী প্রক্রিয়া শেষে স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।


আরও খবর