আজঃ সোমবার ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

মাহফুজ-অপির ‘অদৃশ্য’র ট্রেলার প্রকাশ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

গতকালপ্রকাশিত হলো মাহফুজ আহমেদ ও অপি করিম অভিনীত অদৃশ্য সিরিজের ট্রেলার। ২ মিনিট ১৫ সেকেন্ডের ট্রেলারটিতে আভাস মিলল জমজমাট এক গল্পের। মাঝখানের কয়েকটা বছর মাহফুজ আহমেদ প্রায় অদৃশ্যই ছিলেন। খুব একটা দেখা মেলেনি অপি করিমেরও। এ বছর প্রহেলিকা সিনেমা দিয়ে সরব হয়েছেন মাহফুজ। অভিনয় করছেন টিভি, ওটিটিসহ প্রায় সব মাধ্যমে।

সঙ্গে পাচ্ছেন পুরোনো দিনের সহকর্মী-বন্ধুদের। আগামী ৫ অক্টোবর হইচইয়ে মুক্তি পাচ্ছে মাহফুজ আহমেদ ও অপি করিম অভিনীত শাফায়েত মনসুর রানা পরিচালিত ওয়েব সিরিজ অদৃশ্য। প্রায় পাঁচ বছর পর পর্দায় একসঙ্গে জুটি বাঁধলেন মাহফুজ-অপি। শেষবার এ জুটিকে দেখা গেছে সাগর জাহানের নীল গ্রহ নামের নাটকে।

গতকাল প্রকাশিত অদৃশ্যর ট্রেলারে দেখা গেল, বিজনেস আইকন আনিস (মাহফুজ) স্ত্রী রেজওয়ানার (অপি করিম) মতের বিরুদ্ধে রাজনীতিতে যোগ দেয়। গণজাগরণ পার্টি থেকে এমপি পদে নমিনেশন পাওয়ার পর পাল্টে যায় তার জীবন। হঠাৎ একদিন অপহরণ করা হয় আনিসকে। একটি বদ্ধ পরিত্যক্ত ঘরে নিজেকে আবিষ্কার করে আনিস। 

আরও পড়ুন>> বিয়ের প্রথম ছবি শেয়ার করে উচ্ছ্বসিত পরিণীতি

অন্যদিকে, পরিচিত সব জায়গায় খোঁজার পরও সন্ধান না পেয়ে দুশ্চিন্তায় পড়ে আনিসের পরিবার। হন্যে হয়ে স্বামীকে খুঁজতে থাকে রেজওয়ানা। ট্রেলারে এ ঘটনার ফাঁকে ফাঁকে ফুটে উঠেছে আনিসের পরিবার, স্ত্রী-সন্তান, লালসা, রাজনীতি ও ব্যবসায়িক জগতের সাফল্য-দ্বন্দ্ব ইত্যাদি। শেষ পর্যন্ত আনিস কি মুক্তি পাবে? আর কেই-বা তাকে অপহরণ করেছেসব উত্তর পাওয়া যাবে সিরিজটি মুক্তি পাওয়ার পর।

সিরিজটি নিয়ে নির্মাতা শাফায়েত মনসুর রানা বলেন, এটি আমার প্রথম ওয়েব সিরিজ। সাসপেন্স আর ড্রামার মিশ্রণে রোমাঞ্চকর একটি গল্প উপভোগ করবে দর্শক। আমাদের এই জার্নিতে দর্শকেরা নতুন অভিজ্ঞতার স্বাদ পাবেএমনটাই আশা করছি। মাহফুজ আহমেদ বলেন, দর্শক আমাকে একেবারেই নতুন রূপে দেখতে পাবে। এমন চরিত্রে আগে অভিনয় করিনি। গল্পটা বেঁচে থাকার লড়াইয়ের। এই লড়াইয়ে আমার আনিস চরিত্রটি নানা ধরনের বাস্তবতার মুখোমুখি দাঁড় করাবে দর্শকদের। দারুণ একটা গল্প।

অপি করিম বলেন, অনেক দিন পর ওয়েব কনটেন্টে কাজ করলাম। সিরিজে বেশ কয়েকজন প্রতিভাবান অভিনেতা আছেন যাঁদের আমি খুব পছন্দ করি। রহস্যে ভরপুর গল্পের সিরিজটিতে কী ঘটতে চলেছে, ট্রেলারটি তার একটি ঝলক মাত্র। মাহফুজ-অপি ছাড়া এতে আরও অভিনয় করেছেন শহীদুজ্জামান সেলিম, শম্পা রেজা. তানিয়া আহমেদ, শাহাদাত হোসেন, সুমন আনোয়ার, আহমেদ রেজা রুবেল, নিশাত প্রিয়ম প্রমুখ। প্রযোজনায় আলফা আই।


আরও খবর



সুষ্ঠু ভোট নিশ্চিতে ইসির তৎপরতা শুরু

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

তফশিল ঘোষণার পর এবার ভোটগ্রহণ পর্যন্ত প্রতিটি ধাপ নির্বিঘ্ন করতে পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার তিনটি চিঠি ও দুটি পরিপত্র এবং একটি নোটিশ জারি করা হয়েছে। ছয় চিঠি, পরিপত্র ও নোটিশে দেওয়া হয়েছে নানা নির্দেশনা।

সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, রাজনৈতিক দল, রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন মহলে এসব নির্দেশনা পাঠানো হয়। এবার প্রথমবারের মতো তিনশ আসনের জন্য পৃথক নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটি গঠন করেছে ইসি। এসব কমিটি নির্বাচনি অপরাধ ও আচরণবিধি লঙ্ঘনের ঘটনা তদন্ত করবে। ইসির অনুমোদন ছাড়া প্রশাসন ও পুলিশের মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তা বদলি না করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। নির্বাচন উপলক্ষ্যে সম্ভাব্য প্রার্থীরা আগাম প্রচারসামগ্রী সাঁটিয়েছেন সেগুলো অপসারণের উদ্যোগ নিতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এছাড়া মাঠপর্যায়ে পাঠানো নির্র্বাচনিসামগ্রীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ইসির কর্মকর্তাদের বলা হয়েছে। ইসি সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বুধবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফশিল ঘোষণা করেন। ঘোষিত তফশিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ৩০ নভেম্বর। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৭ ডিসেম্বর। প্রচার শুরু ১৮ ডিসেম্বর। আর ভোটগ্রহণ ৭ জানুয়ারি। তফশিল ঘোষণার পরই বুধবার রাতেই রিটার্নিং ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে কমিশন। বৃহস্পতিবার রিটার্নিং কর্মকর্তাদের ভোটকেন্দ্র চূড়ান্ত করা ও ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করতে নির্দেশনা দিয়ে পরিপত্র জারি করেছে। ওই পরিপত্রেই পুলিশ ও প্রশাসনের মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার ১৫ দিন পর্যন্ত বদলির বিধান জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিভাগীয় কমিশনার, মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার এবং তাদের অধীন কর্মকর্তাদের বদলির বিষয়টি এর আওতায় পড়বে।

এ বিষয়ে ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের বলেন, বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক, পুলিশ কমিশনারসহ তাদের অধস্তনদের বদলির ক্ষেত্রে কমিশনের অনুমোদন নিতে হবে। তিনি বলেন, সুতরাং প্রশাসন ও পুলিশ কমিশনের আওতায় চলে আসবে, অধীনে চলে আসবে আইনে এভাবে বলা নেই। বলা আছে তাদের বদলি করতে কমিশনের পূর্ব অনুমোদন নিতে হবে।

পদত্যাগ করতে হবে চেয়ারম্যান ও মেয়রদের : ইসি সূত্র জানায়, লাভজনক পদে যারা আছেন তারা প্রার্থী হতে হলে স্বপদ থেকে পদত্যাগ করতে হবে। অর্থাৎ উপজেলা চেয়ারম্যান ও পৌরসভার মেয়ররা নির্বাচন করতে চাইলে তাদের পদত্যাগ করতে হবে। নির্বাচনে অনেক স্থানীয় সরকারের জনপ্রতিনিধি সংসদ-সদস্য পদে প্রার্থী হয়ে থাকেন। তাদের পদত্যাগ নিয়ে অনেক ক্ষেত্রে জটিলতা তৈরি হয়। এবার মনোনয়নপত্র দাখিল ও বাছাই কার্যক্রমে এসব জটিলতা যাতে না হয় সেজন্য স্থানীয় সরকারের জনপ্রতিনিধিরা কার কাছে পদত্যাগ করবেন তা স্পষ্ট করতে বলা হয়েছে।

এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার ইসি সচিব বলেন, স্থানীয় সরকারের মেয়র চেয়ারম্যান কার কাছে পদত্যাগ করবেন সেটা আইনে বলা আছে। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় এটা সংশ্লিষ্টদের জানিয়ে দেবে।

নিজ খরচে প্রচারসামগ্রী অপসারণের নির্দেশ : স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিবকে দেওয়া চিঠিতে নির্বাচনের আগাম প্রচারসামগ্রী অপসারণে পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে। চিঠিতে বলা হয়েছে, সম্ভাব্য প্রার্থীদের পোস্টার, ব্যানার, দেওয়াল লিখন, বিলবোর্ড, গেট, তোরণসহ বিভিন্ন ধরনের প্রচারসামগ্রী অপসারণের নির্দেশনা দিয়েছে কমিশন। সম্ভাব্য প্রার্থীদের কারও এসব প্রচারসামগ্রী থাকলে তাকে নিজ খরচে তা অপসারণ করতে বলা হয়েছে। সিটি করপোরেশন, পৌরসভাসহ স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে।

তিনশ আসনে অনুসন্ধান কমিটি : সংসদ নির্বাচনের অপরাধ তদন্ত করে আমলে নেওয়ার জন্য ৩০০টি বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি। কমিটি ভোটের ফলাফল গেজেট আকারে প্রকাশ করা পর্যন্ত তারা দায়িত্ব পালন করবে। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে আইন মন্ত্রণালয়ে নির্দেশনা দিয়েছে ইসি।

আইন ও বিচার বিভাগের সচিবকে পাঠানো ইসির নির্দেশনায় নির্বাচন-পূর্ব অনিয়ম প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে ৩০০টি সংসদীয় আসনে একজন যুগ্ম জেলা জজ বা প্রয়োজনবোধে সিনিয়র সহকারী জজ বিশিষ্ট ৩০০টি নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটি গঠনের কথা বলা হয়েছে।

জোটের প্রতীকে নির্বাচন : নির্বাচনে জোটের প্রতীকে নির্বাচন করতে চাইলে শনিবারের মধ্যে ইসির কাছে আবেদন করতে অনুরোধ জানিয়েছে ইসি। গতকাল এক নোটিশে এ অনুরোধ জানানো হয়। এতে বলা হয়, নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে ইচ্ছুক একাধিক নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল মিলে নির্বাচনি জোট গঠন করা হলে, এ জোটের যে কোনো একটি দলের প্রতীক জোটভুক্ত দলগুলোর প্রার্থীদের বরাদ্দ করা যাবে। এরূপ প্রতীক পেতে হলে জোটকে নির্বাচনি তফশিল ঘোষণার পরবর্তী ৩ দিনের মধ্যে নির্বাচন কমিশন বরাবর দরখাস্ত দাখিলের বিধান রয়েছে।

ভোটার প্রতি ১০ টাকা ব্যয় করতে পারবেন প্রার্থীরা : এ নির্বাচনে ভোটার প্রতি প্রার্থীর ব্যয় ১০ টাকা নির্ধারণ করেছে ইসি। একটি আসনে মোট ২৫ লাখ টাকার বেশি টাকা খরচ করতে পারবেন না প্রার্থীরা। বৃহস্পতিবার ইসির ওয়েবসাইটে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করা হয়েছে। এতে বলা হয়, নির্বাচন কমিশন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিটি নির্বাচনি এলাকায় ভোটারপ্রতি নির্বাচনি ব্যয় ১০ টাকা নির্ধারণ করেছে। এ নির্বাচনি এলাকার ব্যয় সর্বোচ্চ ২৫ লাখ টাকার বেশি হবে না বলেও প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়।

নির্বাচনসামগ্রীর নিরাপত্তা : ইসি সূত্র জানায়, নির্বাচনে ভোটগ্রহণের জন্য ব্যালট বাক্স, অফিশিয়াল সিল, ব্যাগ, গালাসহ ১২ ধরনের মালামাল জেলা পর্যায়ে ইতোমধ্যে পাঠানো হয়েছে। ওইসব নির্বাচনিসামগ্রী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ট্রেজারি শাখায় সংরক্ষণ করতে আগেই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার আবারও চিঠি দিয়ে ওইসব সামগ্রীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তাগাদা দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে কমিশনকে নির্দিষ্ট প্রতিবেদনে নিরাপত্তার বিষয়টি অবহিত করতে বৃহস্পতিবার চিঠি দেওয়া হয়েছে।


আরও খবর



পদত্যাগপত্র জমা দিলেন টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হওয়ায় গতবারের মতো এবারও মন্ত্রিসভার টেকনোক্র্যাট (সংসদ সদস্য নন) মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। এরমধ্যে দুজন মন্ত্রী ও একজন প্রতিমন্ত্রী রোববার (১৯ নভেম্বর) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পদত্যাগপত্র জমা দেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

গত ১৫ নভেম্বর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ৭ জানুয়ারি ভোট গ্রহণ করা হবে।

বর্তমান মন্ত্রিসভায় টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী হিসেবে রয়েছেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান, ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম।

বর্তমান মন্ত্রিসভায় প্রধানমন্ত্রী ছাড়া মোট সদস্য ৪৭ জন। এরমধ্যে ২৫ জন মন্ত্রী, ১৯ জন প্রতিমন্ত্রী ও তিনজন উপমন্ত্রী। তিনজনের পদত্যাগপত্র গৃহীত হলে মন্ত্রিসভায় সদস্য সংখ্যা হবে ৪৩ জন। এরমধ্যে ২৩ জন মন্ত্রী, ১৮ জন প্রতিমন্ত্রী ও তিনজন উপমন্ত্রী।

ইয়াফেস ওসমান বলেন, এবারও গতবারের মতো হবে। তিনি এর বেশি কিছু জানাতে রাজি হননি। কখন পদত্যাপপত্র দিচ্ছেন, জানতে চাইলে বলেন, এটি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জেনে নিন।

অন্যদিকে মোস্তাফা জব্বার বলেন, গতবার আমরা যা করেছি, এবারও সেটাই হবে। বাকিটা আপনারা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জেনে নিন।

সংসদ সদস্য নন প্রধানমন্ত্রীর এমন উপদেষ্টারাও পদত্যাগপত্র দিয়েছেন বলেও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জানা গেছে।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে ওই বছরের ৮ নভেম্বর নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়।

নির্বাচনকালীন সরকার গঠনে ২০১৮ সালের ৬ নভেম্বর মন্ত্রিসভা বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টেকনোক্র্যাট মন্ত্রীদের পদত্যাগের নির্দেশ দেন। ওইদিনই বিকেল থেকে সন্ধ্যার মধ্যে চার মন্ত্রী মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পদত্যাগপত্র জমা দেন। তাদের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা হয় এক মাস পর অর্থাৎ নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রচার শুরুর ঠিক আগের দিন।

এর আগে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ২০১৩ সালের ২১ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রীসহ ২৯ সদস্যের নির্বাচনকালীন মন্ত্রিসভা গঠন করা হয়। এরমধ্যে ২১ জন মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ৭ জন। ওই মন্ত্রিসভায় মহাজোট সরকারের ১৬ মন্ত্রী ও ১৪ জন প্রতিমন্ত্রীর বাদ পড়েন। নিয়োগ দেওয়া হয় প্রধানমন্ত্রীর আরও দুই উপদেষ্টা।

নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের জন্য ২০১৩ সালের ১১ নভেম্বর মন্ত্রিসভা বৈঠকের আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে তারিখবিহীন পদত্যাগপত্র জমা দেন মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীরা। রাষ্ট্রপতি যে পদত্যাগপত্রগুলো গ্রহণ করেন তারাই নির্বাচনকালীন সরকারে স্থান পাননি। ওই মন্ত্রিসভায় আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি ও জাসদের ৬ জন মন্ত্রী ও দুজনকে প্রতিমন্ত্রী নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল।


আরও খবর



ইউক্রেনের চারটি ড্রোন ভূপাতিত করল রাশিয়া

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

রাশিয়ার বিমান প্রতিরক্ষা বাহিনী ইউক্রেনের চারটি ড্রোন ভূপাতিত করেছে। দেশটির ব্রায়ানস্ক, তাম্বভ, ওরিওল এবং মস্কো অঞ্চলে এসব ড্রোন ভূপাতিত করা হয় বলে দাবি করেছে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। খবর এএফপির।

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা সংস্থা জানায়, গতকাল রাতে চালকবিহীন আকাশযান ব্যবহার করে রাশিয়ার বিভিন্ন স্থাপনায় কিয়েভ সরকারের হামলার প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়েছে তারা। এ সময় দায়িত্বরত রুশ বিমান প্রতিরক্ষা বাহিনী মস্কো, তাম্বভ, ওরিওল এবং ব্রায়ানস্ক অঞ্চলের আকাশসীমায় উড়ে চলা ইউক্রেনীয় চারটি ড্রোন ধ্বংস করেছে।

আরও পড়ুন>> ৫ দিনের যুদ্ধবিরতিতে ৭০ জিম্মিকে মুক্তি দেবে হামাস

এর আগে মধ্য রাশিয়ার ওরিওল অঞ্চলের গভর্নর আন্দ্রে ক্লিচকভ তার অঞ্চলের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে ইউক্রেনের একটি ড্রোন ভূপাতিত করার খবর জানান।


আরও খবর



কিয়েভে রাশিয়ার সবচেয়ে বড় ড্রোন হামলা

প্রকাশিত:শনিবার ২৫ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ২৫ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে বড় ধরনের হামলা চালিয়েছে রাশিয়ান বাহিনী। শহরটির মেয়র বলেছে্‌ন, যুদ্ধ শুরুর পর কিয়েভে সবচেয়ে বড় ড্রোন হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। আজ শনিবার বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শনিবার ভোরে কিয়েভের বাসিন্দাদের ঘুম ভাঙে বিস্ফোরণের শব্দে। ছয় ঘন্টারও বেশি সময় ধরে কিয়েভের বিমান প্রতিরক্ষা বাহিনী রুশ হামলা ঠেকাতে তৎপরতা চালায়। কিয়েভের উত্তর এবং পূর্বে দফায় দফায় ড্রোন হামলা চালানো হয়।

ইউক্রেনের কর্মকর্তারা বলেছেন, রাজধানীতে ৭৫টির বেশি ইরানি ড্রোন দিয়ে হামলা চালায় রাশিয়া। তবে এর মধ্যে ৭৪টিই ভূপাতিত করা হয়েছে। এতে এখন পর্যন্ত কোনো নিহতের খবর পাওয়া যায়নি। 

আরও পড়ুন>> পাকিস্তানে শপিংমলে অগ্নিকাণ্ড, নিহত ৯

কিয়েভের মেয়র ভিতালি ক্লিতস্কো বলেছেন, 'হামলায় এখন পর্যন্ত কোনো নিহতের খবর পাওয়া যায়নি। তবে এতে অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছে। যার মধ্যে ১১ বছরের এক শিশুও আছে। হামলায় বেশ কয়েকটি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে একটি কিন্ডারগার্টেনও আছে।'

গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের ঘোষণা দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এরপর আজ পর্যন্ত টানা ৬৪০ দিনের মতো চলছে দেশ দুইটির সংঘাত। এতে দুই পক্ষের বহু হতাহতের খবর পাওয়া যাচ্ছে। তবে যুদ্ধ বন্ধে এখন পর্যন্ত কোনো লক্ষণ নেই। উল্টো পূর্ব ইউক্রেনে দেশ দুইটির মধ্যে সংঘাতের পরিমাণ অনেক বেড়েছে।

নিউজ ট্যাগ: ড্রোন হামলা

আরও খবর



আলোচনায় বসছে ইসরাইল ও কাতার, বাড়তে পারে যুদ্ধবিরতি

প্রকাশিত:রবিবার ২৬ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৬ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

কাতারের মধ্যস্থতায় শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) সকাল থেকে শুরু হয়েছে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় চার দিনের সাময়িক যুদ্ধবিরতি। হামাসের কাছে থাকা জিম্মি মুক্তিসহ গাজা উপত্যকায় মানবিক সহায়তা পৌঁছাতে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় দুই পক্ষ।

এদিকে গাজায় চলমান যুদ্ধবিরতির মেয়াদ আরও বাড়ানোর লক্ষ্যে আলোচনা করতে ইসরাইল সফরে গেছেন কাতারের একটি প্রতিনিধিদল। স্থানীয় সময় যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় দিন শনিবার (২৫ নভেম্বর) ইসরাইল সফরে যায় দলটি। খবর টাইমস অব ইসরাইলের।

আরও পড়ুন>> গাজায় ৫০ দিনে অন্তত ৬৭ সাংবাদিক নিহত

প্রতিনিধিদলটি কাতারের মধ্যস্থতায় চুক্তি ও সম্ভাব্য ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা করতে পারে। এদিকে বিভিন্ন গণমাধ্যম জানিয়েছে, জিম্মিদের মুক্তির পথ প্রশস্ত করতে চলমান যুদ্ধবিরতি আরও বাড়াতে একমত হয়েছে দুই পক্ষ।

এ ছাড়া একই কথা বলছে মিশর। আলজাজিরার প্রতিবেদন মতে, দেশটির স্টেট ইনফরমেশন সার্ভিসের (এসআইএস) প্রধান দিয়া রাশওয়ান শনিবার (২৫ নভেম্বর) এক বিবৃতিতে বলেছেন, যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বৃদ্ধির বিষয়টি নিয়ে একটি ঐকমত্যে পৌঁছাতে সব পক্ষের সঙ্গে ব্যাপক আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে কায়রো।


আরও খবর