লক্ষ্মীপুরে নাহিম নামে এক মাদ্রাসা শিক্ষকের
বিরুদ্ধে ছাত্রদের যৌন নিপীড়নের অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে এক ভুক্তভোগীসহ
অভিভাবককে হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ করা হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে জেলা শহরের উত্তর তেমুহনী
এলাকায় অবস্থিত আল মুঈন ইসলামী একাডেমীতে। রবিবার (৯ জুলাই) ভুক্তভোগী ছাত্রের বাবা
এ বিষয়ে সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন বলে জানান।
মাদ্রাসার সহকারি শিক্ষক মো. নাহিমের বিরুদ্ধে
এ অভিযোগ হেফজ বিভাগের শিক্ষার্থী ও তার অভিভাবকের। এছাড়া অন্যান্য ছাত্রকেও যৌন নিপীড়নের
অভিযোগ উঠেছে একই শিক্ষকের বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন<< পায়রা বন্দরে ভিড়লো কয়লাবাহী চতুর্থ জাহাজ সুমিত
জানা যায়, স্থানীয় আল মঈন ইসলামী একাডেমী
মাদ্রাসার সহকারি শিক্ষক মো. নাহিম দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন সময়ে রাতের বেলা ছাত্রদের
তার কক্ষে ডেকে নিয়ে যৌন নিপীড়ন করে আসছেন। তার হুমকির ভয়ে কোনো ছাত্র মুখ খুলতে সাহস
পায়না। সম্প্রতি কমলনগর উপজেলার চর জাঙ্গালিয়া গ্রামের বাসিন্দা সাকায়েত উল্যার ছেলেকে
ওই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক নাহিম তার কক্ষে ডেকে নিয়ে যৌন নিপীড়নের চেষ্টা করেন। এসময়
তার চিৎকারে অন্যান্য ছাত্ররা চলে এলে মারুফকে ছেড়ে দিয়ে এ ঘটনা কাউকে জানাতে নিষেধ
করেন তিনি। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে অভিভাবকরা প্রতিষ্ঠান প্রধানকে অবহিত করেন। কিন্তু
উল্টো তাদের এ বিষয়ে বাড়াবাড়ি করলে প্রাণে হত্যার হুমকি দেয়া হয় বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন<< হাসপাতালে কিশোরীকে ধর্ষণ: সেই ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার
ঘটনার শিকার ভুক্তভোগী জানান, সহকারি শিক্ষক
নাহিম প্রায়ই রাতের বেলা অন্যান্য ছাত্রদের বিভিন্ন অজুহাতে তার কক্ষে নিয়ে যৌন নিপীড়ন
(বলাৎকার) করে আসছেন। তাকেও তার কক্ষে নিয়ে বলাৎকারের চেষ্টা করেন। ভয়ে তাই মাদ্রাসায়
যেতে অনাগ্রহ তার। এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত শিক্ষক নাহিম কোনো বক্তব্য না দিয়ে
তার মুখ ঢেকে ফেলেন।
মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক বশির আহমেদ জানান,
অভিযোগ পেলে প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত
কর্মকর্তা মো. মোসলেহ উদ্দিন বলেন, এ বিষয়ে এ পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে
আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।