আজঃ রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

মাদকসেবীদের অভয়ারণ্য সোনারগাঁও বন বিভাগের কার্যালয়

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২০ জুলাই ২০23 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২০ জুলাই ২০23 | অনলাইন সংস্করণ
সোনারগাঁও (নারায়নগঞ্জ) প্রতিনিধি

Image

দুপুর ১২ টা বেজে ১৫ মিনিট প্রবেশমুখে দেখা গেলো প্রধান ফটকের সামনে থাকা কলাসিবল গেট তালাবদ্ধ। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করায় ভেতর থেকে এক নিরাপত্তা কর্মী বের হয়ে চাবি নিয়ে তালাটি খুলে দেন। ভেতরের প্রবেশ করেই দেখা যায় চারদিকে সুনসান নীরবতা। ওই নিরাপত্তা কর্মী ছাড়া ভেতরে আর কোনো মানুষের সন্ধান পাওয়া গেলো না। একাধিকবার সরেজমিনে গিয়ে সোনারগাঁও উপজেলা বনবিভাগের এমনই চিত্রই চোখে পড়ে। 

জানা যায়, সোনারগাঁওয়ের মোঘরাপাড়া এলাকায় অবস্থিত প্রায় ২ একর জায়গার উপরে সামাজিক বনায়ন নার্সারী, বাগান ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র হিসেবে এই বন বিভাগ প্রতিষ্ঠিত হলেও গুরুত্বপূর্ণ এই প্রতিষ্ঠানটি দীর্ঘদিন অরক্ষিত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। অযত্ন-অবহেলায় নষ্ট হচ্ছে বন বিভাগের সুন্দর পরিবেশ। এইসব অনিয়ম সমাধান করা তো দূরের কথা দেখারও নেই পর্যাপ্ত জনবল। জনবল সংকটে দীর্ঘদিন ধরে মুখ থুবড়ে পড়েছে বন বিভাগের কার্যক্রম।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মাত্র চারজন নিয়ে চলছে সোনারগাঁও উপজেলা বন বিভাগের বর্তমান কার্যক্রম। চারজনের মধ্যে একজন বন কর্মকর্তা হিসেবে, একজন বন বিভাগের নিরাপত্তা দায়িত্বে এবং বাকী দুজন মালী হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। অর্থাৎ ১৭১ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের সোনারগাঁওয়ের জন্য মাত্র একজন বন কর্মকর্তা নিযুক্ত রয়েছেন। বিভিন্ন কাজে তার কোথাও যাওয়া হলে বনবিভাগে সেবা নিতে অধিকাংশ মানুষ সেবা থেকে বঞ্চিত হন।

 স্থানীয়দের অভিযোগ, পর্যাপ্ত জনবল না থাকায় বন বিভাগের পরিবেশ এখন ভূতুড়ে পরিবেশে পরিণত হয়েছে। এর ফলে মাদকসেবীদের নিরাপদ অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে বন বিভাগটি। বন বিভাগটির চারদিকে সুরক্ষিত দেয়াল থাকলে কয়েকদিকে নষ্ট হয়ে যাওয়ার কারণে বাহিরের লোকজন এসে এখানে নানা অপকর্ম করার সুযোগ পাচ্ছে। স্থানটি নির্জন হওয়ায় বিকালের পর থেকেই এখানে এখন মাদকসেবীদের আড্ডা বসে।   

 এদিকে বর্তমানে বন বিভাগের কিছু অংশজুড়ে শতাধিক চারাগাছ রয়েছে। আর কর্মকর্তাদের থাকার জন্য নির্মাণ করা কোয়ার্টারগুলোর কিছু জানালা-দরজা চুরি হয়ে যাওয়ায় ভেতরে প্রবেশ করে অপরাধীরা নিরাপদে অপরাধ করার সুযোগ পাচ্ছে। এর ফলে বন বিভাগে ফলদ, বনজ ও ওষুধি বিভিন্ন গাছের চারা উৎপাদন ও প্রশিক্ষণ দেওয়ার কথা থাকলেও এর কোনো সেবাই পাচ্ছে না সোনারগাঁওবাসী। এছাড়া বন বিভাগের সামনে অসংখ্য অবৈধ দোকানপাট নির্মাণ হওয়ায় বুঝার কোনো উপায় নেই এখানে একটি বন-বিভাগের কার্যালয় রয়েছে। 

রাসেদুল ইসলাম রাজু নামের এক স্থানীয় বাসিন্দা জানান, বিভিন্ন কাজে বন বিভাগে এসে কখনো কোনো কর্মকর্তাকে পাওয়া যায় না। তাই এই বন বিভাগ আমাদের কোনো কাজে আসছে না। বরং এটি যেভাবে অরক্ষিত অবস্থায় পড়ে রয়েছে এটি এখন আমাদের জন্য মাথাব্যাথার অন্যতম প্রধান কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

রফিকুল ইসলাম নামের এক বেসরকারি কলেজের শিক্ষক জানান, জনবল সংকটের সুযোগে অনেকেই নির্বিচারে গাছ কেটে ফেলছেন। এছাড়া আগের মতো সোনারগাঁওয়ে চারাগাছ লাগানোর বড় বড় কোনো উদ্যোগও চোখে পড়ে না। তাই বন বিভাগের দিকে সরকারের সুনজর কামনা করছি।

পরিবেশ রক্ষা ও উন্নয়ন সোসাইটির সভাপতি মো. হোসাইন জানান, সরকারের নিকট সোনারগাঁও বন বিভাগে জনবল বাড়ানোর অনুরোধ জানাচ্ছি। পাশাপাশি যে উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের জন্য এই বন বিভাগ করা হয়েছিল সেটির দিকেও যেনো সরকার নজর দেন। এছাড়া জনবল সংকটের ফলে বন বিভাগের চারাগাছগুলো বিক্রি করে সরকার লাভবান হচ্ছে না। এর বিপরীতে সরকারকে ভর্তুকি দিয়ে যেতে হচ্ছে। তাছাড়া সোনারগাঁওয়ের অনেক স্থানে নির্বিচারে গাছ কাটা হচ্ছে তা নিয়ে বন বিভাগ গুরুত্বপূর্ণ কোনো ভূমিকা পালন করতে পারছে না। আর মাদকসেবীরা যেনো এখানে কোনো অপরাধ করতে না পারে সেজন্য বন বিভাগের কর্মকর্তা থেকে শুরু করে প্রশাসনকে বিষয়টি দেখার অনুরোধ জানাচ্ছি।

বন বিভাগের নিরাপত্তা কর্মী সাইফুল ইসলাম বলেন, কিছু অংশে সুরক্ষিত দেয়াল ভেঙ্গে যাওয়ায় মাদকসেবীরা এখানে প্রবেশ করতে পারে। আমি একা হওয়ায় তাদেরকে ভয়ে কিছু বলতে পারি না। প্রায় সময় দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে আমার আতঙ্কে থাকতে হয়।

সোনারগাঁও উপজেলা বন কর্মকর্তা আব্দুল মুমিন জানান, নতুন করে সুরক্ষিত দেয়াল নির্মাণ করা এবং জনবল বাড়ানোর বিষয়টি ঊর্ধ্বতন মহলকে জানিয়েছি। আশা করছি খুব শিগগিরই প্রয়োজনীয় প্রদক্ষেপ নেওয়া হবে।

কার্যালয়ে না থাকার বিষয়ে তিনি বলেন, পুরো উপজেলায় আমার সেবা দিতে হয়। প্রায় সময় বিভিন্ন স্পটে আমার যেতে হয়। এর ফলে সবসময় বন বিভাগের কার্যালয়ে থাকা সম্ভব হয় না। তবে আমার সাধ্যমতো আমি সবাইকে সেবা দেওয়ার চেষ্টা করি।

নিউজ ট্যাগ: সোনারগাঁও

আরও খবর



৭০ বছর পর পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে শয়তান ধূমকেতু

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক

Image

৭০ বছর পর পৃথিবীর আকাশের দিকে ধেয়ে আসছে একটি ধূমকেতু, যা মাউন্ট এভারেস্টের সমান বড়। ধূমকেতুটির নাম ১২পি/পনস-ব্রুকস যা ডেভিল কমেট বা শয়তান ধূমকেতু নামে বেশি পরিচিত।

সংবাদ মাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, আগামী ৮ এপ্রিল পূর্ণ সূর্যগ্রহণের সময় বিরল চেহারা দেখাবে শয়তান ধূমকেতু। আর ২১ এপ্রিল ধূমকেতুটি সূর্যের খুব কাছাকাছি পৌঁছাবে। এ সময় সূর্য থেকে এর দূরত্ব থাকবে ৭ কোটি ৪৪ লাখ মাইল। এ ছাড়া আগামী ২ জুন এটি পৃথিবীর খুব কাছাকাছি আসবে। এ সময় পৃথিবী থেকে এর দূরত্ব হবে প্রায় ১৪ কোটি মাইল।

গত বছর এই ধূমকেতুটির ওপর বরফ ও গ্যাসের বিস্ফোরণের কারণে শিং এর মতো আকৃতি তৈরি হয় এরপর এর নামকরণ করা হয় ডেভিল বা শয়তান ধুমকেতু। সূর্যকে প্রদক্ষিণ করতে করতে এই ধূমকেতুটি প্রতি ৭০ বছর পরপর সৌরজগতের ভেতর চলে আসে। ইতিমধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের জ্যোতির্বিদরা বাইনোকুলারের সাহায্যে এটি দেখতে পাচ্ছেন এবং এর ছবি তুলছেন।

১৮১২ সালে প্রথম ধূমকেতুটি আবিষ্কার করেন জ্যোতির্বিজ্ঞানী জ্যঁ-লুইস পনস। এরপর ১৮৮৩ সালে এটি আবার দেখতে পান জ্যোতির্বিজ্ঞানী উইলিয়াম রবার্ট ব্রুকস। তাঁদের নামানুসারে এর নামকরণ করা হয়। এর আগে সর্বশেষ ১৯৫৪ সালে ধূমকেতুটি সূর্যের কাছাকাছি এসেছিল। এরপর ২০৯৫ সালে এটি আবার সূর্যের কাছাকাছি আসতে পারে।

ধূমকেতুটি ২১ এপ্রিল নাগাদ তাওরাস নক্ষত্রপুঞ্জে হাজির হবে। তখন উত্তর গোলার্ধ থেকে সন্ধ্যায় সবচেয়ে ভালোভাবে এটি দৃশ্যমান হবে। এ সময় এটি পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিগন্তের কাছাকাছি প্রদর্শিত হবে।


আরও খবর



তীব্র গরম থেকে রক্ষা পাওয়ার ১০ উপায়

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

এ বছর বাংলা নতুন বছরের প্রথম মাস অর্থাৎ বৈশাখ শুরুর আগেই হয়েছে দাবদাহ। ইতোমধ্যে দেশের কোথাও কোথাও তাপমাত্রার পারদ ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁয়েছে। আবহাওয়া অফিস থেকেও জানানো হয়েছে আগামী দুই দিন বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।

পূর্বাভাস বলছে, চলমান দাবদাহ আরও চার দিন পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। এমন গরমে দীর্ঘ সময় রোদে থাকলে হিটস্ট্রোক হয়ে অসুস্থ হয়ে যেতে পারে লোকজন। শিশু ও বয়স্কদের জন্য এই ঝুঁকি আরও বেশি। তীব্র গরম থেকে রক্ষা পেতে যা করবেন

১. পাতলা ও হালকা রঙের পোশাক পরুন

২. বাড়ির বাইরে থাকার সময় সরাসরি রোদ এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন

৩. শরীরে পানিশূন্যতা এড়াতে অতিরিক্ত পানি ও শরবত পান করতে হবে

৪. স্যালাইন পানিতে থাকা সোডিয়াম, পটাশিয়াম ও চিনি শরীর সজীব রাখতে বিশেষভাবে কার্যকর। দীর্ঘ সময় গরমে থাকলে স্যালাইন পান করুন।

৫. গ্রীষ্মকালীন ফল দিয়ে তৈরি তাজা জুস পান করুন

৬. মাংস এড়িয়ে বেশি করে ফল ও সবজী খান

৭. প্রস্রাবের রঙ খেয়াল করুন। প্রস্রাবের গাঢ় রঙ পানি স্বল্পতার লক্ষণ।

৮. সব সময় ছাতা বা টুপি সাথে রাখুন

৯. ত্বককে সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে রক্ষা করতে সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন

১০. চেষ্টা করুন যেন দিনে কম বাইরে যেতে হয়


আরও খবর



রায়পুরায় দুই গ্রুপের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে একজন নিহত, আহত ১০

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রায়পুরা (নরসিংদী) প্রতিনিধি

Image

নরসিংদীর রায়পুরার নিলক্ষায় বালু ব্যবসা এবং আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছে। এই ঘটনায় দুইজন গুলিবিদ্ধসহ আরও অন্তত ১০ জন আহত হয়।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) সকালে রায়পুরা উপজেলার দুর্গম চরাঞ্চল নিলক্ষায় ইউনিয়নের বীরগাঁও সোনাকান্দি এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। নিহত সাগর মিয়া (২০) নিলক্ষা ইউনিয়নের সোনাকান্দি গ্রামের জয়নাল মিয়ার ছেলে এবং একজন রাজমিস্ত্রি ছিলেন।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, এলাকার আধিপত্য বিস্তারসহ নানা কারণে নিলক্ষা গ্রামের রাজিব সরকারের সঙ্গে একই এলাকার আনোয়ার সকারের দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। দ্বন্দ্বের জের ও হামলা মামলায় দীর্ঘদিন ধরেই এলাকা ছাড়া ছিলেন রাজিব ও তার সমর্থকরা। বুধবার সকালে রাজিবের সমর্থকরা দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে এলাকা দখলের জন্য বীরগাঁও, সোনাকান্দি, আমিরাবাদসহ ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে হামলা চালায়। এ সময় প্রতিরোধ গড়ে তুলতে গেলে বীরগাঁও এলাকার আনোয়ার গ্রুপের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে। দুপক্ষের গোলা-গুলিতে বেশ কয়েকজন আহত হয়। এর মধ্যে নরসিংদী জেলা হাসপাতালে নেয়ার পথেই গুলিবিদ্ধ হয়ে সাগর মিয়ার মৃত্যু হয়। পুলিশি গ্রেপ্তারসহ আইনি জটিলতা এড়াতে আহতদেরকে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়েছেন স্বজনরা।

নরসিংদীর সহকারী পুলিশ সুপার (রায়পুরা সার্কেল) আফসান আল-আলম জানান, সোনাকান্দি এবং আমিরাবাদ গ্রামের পূর্ববিরোধসহ বালু ব্যববসাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে একজন নিহতের পাশাপাশি বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

নিউজ ট্যাগ: নরসিংদী

আরও খবর



বুয়েটে জঙ্গিবাদী গোষ্ঠী তৎপর কি না তদন্ত করা হবে: শিক্ষামন্ত্রী

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) কোনো জঙ্গিবাদী গোষ্ঠী গোপনে কার্যক্রম পরিচালনা করলে তা তদন্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।

তিনি বলেন, কিছুদিন আগেও অনেকে অভিযোগ করেছেন, কিছু জঙ্গিবাদী গোষ্ঠী গোপনে সেখানে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এমন একটি আলোচনা-সমালোচনা ছিল। সে বিষয়ে আমরা আরও গভীরভাবে তদন্ত করবো।

শনিবার (৩০ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে আয়োজিত অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।

শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, ব্যক্তিপর্যায়ে কেউ যদি এমন মানসিকতা রাখেন এবং সেটা যদি মনে হয় যে মৌলবাদী ও জঙ্গবাদী গোষ্ঠীকে প্রশ্রয় দেওয়ার মতো কার্যক্রম হচ্ছে, সেটা অবশ্যই বন্ধ করতে হবে এবং প্রতিহত করতে হবে। এজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী রয়েছে, এসব তদন্ত করছেন তারা, কাউন্টার টেররিজম ইউনিটও বিষয়টি নিয়ে কাজ করবে।

মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, চলমান আন্দোলন নিয়ে শিক্ষার্থীসহ উভয়পক্ষকে আহ্বান জানাবো, সেখানে (বুয়েট) শিক্ষার পরিবেশ যাতে নষ্ট না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।


আরও খবর



শপথ নিলেন আপিল বিভাগে নবনিযুক্ত ৩ বিচারপতি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে নবনিযুক্ত তিন বিচারপতি শপথ নিয়েছেন। তারা হলেন- বিচারপতি মুহাম্মদ আব্দুল হাফিজ, বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলাম ও বিচারপতি কাশেফা হোসেন।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টায় সুপ্রিম কোর্টের জাজেজ লাউঞ্জে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান তাদের শপথবাক্য পাঠ করান। এসময় আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতিরা উপস্থিত ছিলেন। শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. গোলাম রব্বানী।

এর আগে বুধবার সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে তিনজন বিচারপতি নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে তাদের নিয়োগ দিয়ে ওইদিন প্রজ্ঞাপন জারি করে আইন মন্ত্রণালয়।

আইন সচিব মো. গোলাম সারওয়ার স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৯৫(১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের, হাইকোর্ট বিভাগে কর্মরত তিনজন বিচারককে তাদের শপথ গ্রহণের তারিখ হতে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারক নিয়োগ করেছেন।

বর্তমানে প্রধান বিচারপতিসহ আপিল বিভাগে পাঁচজন বিচারপতি রয়েছেন। নতুন তিন বিচারপতি নিয়োগ দেওয়ায় আপিল বিভাগের বিচারপতির সংখ্যা দাঁড়াল আটজনে।


আরও খবর