দেশে প্রায় ৩০ ধরনের মাদকের সেবন চলে, যার মধ্যে কোকেনের বাজারমূল্য অনেক বেশি, তাই চাহিদা ও বেচাকেনা কম। সরকারের জিরো টলারেন্স ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর জোর তৎপরতা সত্ত্বেও এসব মাদক পাচারের রুট হিসেবে বাংলাদেশকে ব্যবহার করছে আন্তর্জাতিক মাদক চোরাচালান চক্র।
গত বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) রাতে রাজধানীর উত্তরার একটি আবাসিক হোটেলে অভিযান চালিয়ে ২০০ গ্রাম কোকেনসহ তানজানিয়ার মোহাম্মদি আলী (৫৫) নামের এক নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয়। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি) ও বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) একটি দল তাদের ডগ স্কোয়াডের সহায়তায় এ অভিযান চালায়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, দেশে যত মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়, এর চেয়ে অনেক বেশি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে সেবনকারীদের হাতে পৌঁছে যায়। দেশে মাদকদ্রব্য আসা রোধে আকাশ ও নৌপথ এবং স্থল সীমান্তে নজরদারি বাড়ানো জরুরি।
এ বিষয়ে বিমানবন্দর এপিবিএনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জিয়াউল হক জানান, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে এপিবিএন ও ডিএনসির যৌথ দল উত্তরার হোটেল এফোর্ড ইনে অভিযান চালায়। হোটেলে অবস্থান করা মোহাম্মদি আলীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি মাদক থাকার কথা অস্বীকার করেন।
এর আগে গত বুধবার (২৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ঢাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে আট কেজি ৩০০ গ্রাম কোকেন জব্দসহ পূর্ব আফ্রিকার দেশ মালাবির নোমথেনডাজো তাওয়েরা সোকো (৩৫) নামের এক নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ডিএনসি জানায়, নোমথেনডাজো তাওয়েরা সোকো মালাবির নাগরিক এবং সেখানের একটি হাসপাতালে সেবিকা হিসেবে চাকরি করেন। তিনি বাংলাদেশি কারো কাছে ওই কোকেন পৌঁছে দিতে এসেছিলেন। কোকেন চোরাচালানে আন্তর্জাতিক চক্র বাংলাদেশকে ট্রানজিট হিসেবে ব্যবহার করতে সোকোর মাধ্যমে এই চালান এনেছিল।
পর পর দু’দিনের অভিযানে শতকোটি টাকার বেশি কোকেনসহ দুই বিদেশি নাগরিককে গ্রেপ্তারের পর এসব তথ্য জানান সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। তবে কার মাধ্যমে কোন দেশে এসব কোকেন পাচার করা হচ্ছিল, তা জানতে তদন্ত করছে সংশ্লিষ্ট আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী।