আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

মাদকাসক্ত ছেলের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে মা খুন

প্রকাশিত:শনিবার ০৩ এপ্রিল ২০২১ | হালনাগাদ:শনিবার ০৩ এপ্রিল ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

পঞ্চগড় শহরের পশ্চিম মিঠাপুকুর এলাকায় মাদকাসক্ত ছেলের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে এক নারীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (৩ এপ্রিল) দুপুরে ওই এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত জয়তুন বেগম (৫০) শহরের পশ্চিম মিঠাপুকুর এলাকার আব্দুল মজিদের স্ত্রী।

স্থানীয়রা জানায়, পঞ্চগড় শহরের পশ্চিম মিঠাপুকুর এলাকার আব্দুল মজিদের ছেলে শহিদুল ইসলাম এলাকায় মাদকাসক্ত হিসেবে পরিচিত। মাদকের টাকা না পেয়ে প্রায় শহিদুল বাবা-মাসহ পরিবারের অন্য সদস্যদের মারধর করতেন। শহিদুলের এ ধরনের আচরণে স্ত্রী বাবার বাড়ি চলে যায়। বেশ কয়েক মাস আগে পরিবারের সদস্যরা তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেন। পরে জেল থেকে বের হয় আবারও বাসায় অত্যাচার শুরু করেন তিনি।

আজ শনিবার (৩ এপ্রিল) দুপুরে চিৎকার শুনে এলাকাবাসীরা বাড়ির টিউবওয়েলের পাশে রক্তাক্ত জয়তুন বেগমের মরদেহ দেখতে পান। পরে মাকে এ অবস্থায় রেখে সেখান থেকে পালিয়ে যান মাদকাসক্ত ছেলে শহিদুল। এলাকাবাসী জয়তুনকে উদ্ধার করে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এই বিষয়ে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এস. এম. শফিকুল ইসলাম বলেন, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, মাদকাসক্ত ছেলের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে তার মৃত্যু হতে পারে। আর অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

নিউজ ট্যাগ: ছুরিকাঘাতে খুন

আরও খবর



বিশ্ববাজারে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে স্বর্ণের দাম

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

আন্তর্জাতিক বাজারে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে স্বর্ণের দাম। সোমবারও (৪ মার্চ) আরেক দফা বেড়েছে নিরাপদ আশ্রয় ধাতুটির দর। এতে তা গত ৩ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ স্তরে উঠেছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে।

তাতে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি নমনীয় হয়েছে। ফলে আগামী জুনে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভের (ফেড) সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা জেগেছে। পরিপ্রেক্ষিতে মার্কিন মুদ্রা ডলারের মান কমেছে। সঙ্গত কারণে বুলিয়ন বাজার চাঙা রয়েছে।

অবশ্য আলোচ্য কার্যদিবসে স্পট মার্কেটে বৈশ্বিক বেঞ্চমার্ক স্বর্ণের দাম সামান্য কমেছে। প্রতি আউন্সের দর স্থির হয়েছে ২০৮১ ডলার ৩৪ সেন্টে। তবে তা এখনও গত ২ মাসের মধ্যে সর্বাধিক শিখরে রয়েছে। একই কর্মদিবসে ফিউচার মার্কেটে যুক্তরাষ্ট্রের বেঞ্চমার্ক স্বর্ণের মূল্যও হালকা হ্রাস পেয়েছে। আউন্সপ্রতি দাম নিষ্পত্তি হয়েছে ২০৯০ ডলার ১০ সেন্টে। কিন্তু গত ২৮ ডিসেম্বরের পর তা প্রায় সবচেয়ে বেশি।

বিশ্বখ্যাত আর্থিক প্রতিষ্ঠান মারেক্সের বিশ্লেষক এডওয়ার্ড মেয়ের বলেন, চলতি বছরের মাঝামাঝিতে সুদের হার কমাতে পারে ফেড। সেই প্রত্যাশায় ডলারের অবমূল্যায়ন ঘটছে। ফলে স্বর্ণের দর বৃদ্ধি পাচ্ছে। শুধু গত সপ্তাহেই আউন্সে দরপতন ঘটেছে ৫০ ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় সাড়ে ৫ হাজার টাকা। এর মধ্যে গত ২ দিনেই তা ব্যাপক ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। যার পরিমাণ প্রায় ৪০ ডলার।

কারণ, যুক্তরাষ্ট্রে উৎপাদন ও নির্মাণ খরচ কমেছে। ফলে মনে করা হচ্ছে, বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতিতে মূল্যস্ফীতি নিম্নমুখী হয়েছে। ফলে আগামী জুনেই ফেডের সুদের হার কমানোর আশা সঞ্চার হয়েছে।স্বাভাবিকভাবেই বিনিয়োগকারীদের কাছে স্বর্ণের আকর্ষণ বেড়েছে। এছাড়া বিশ্বজুড়ে বৃহৎ কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো মূল্যবান ধাতুটি কেনা বাড়িয়েছে। সবমিলিয়ে হু হু করে স্বর্ণের দর বাড়ছে।


আরও খবর
দেশে এলো এক হাজার টন আলু

বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪




যে যুগে ওজন কমাতে ফিতা কৃমি খেতেন নারীরা

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

যুগে যুগে ওজন কমানোর জন্য বিভিন্ন অদ্ভুত ডায়েট অনুসরণ করেন নারীরা। তেমনি একটি হলো টেপওয়ার্ম ডায়েট বা ফিতা কৃমির ডায়েট! উনিশ শতকের শুরুতে এই ডায়েট নিয়ে বিজ্ঞাপনও প্রচার করা হতো।

এই ডায়েটে ফিতা কৃমির ডিম ভর্তি একটি বড়ি খাওয়া হতো। এই ডায়েটের তত্ত্ব ছিল, পেটে গিয়ে ডিমগুলো ফুটে কৃমি জন্মাবে। অন্ত্রের ভেতর থেকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি নিয়ে ধীরে ধীরে বড় হবে কৃমিগুলো, একপর্যায়ে বংশ বিস্তারও করবে। আর যারা এই ডায়েটে রয়েছেন তাঁরা যত খুশি খেতে পারবেন, কিন্তু মোটা হবেন না। এই ডায়েট করলে ওজন কমতো, কিন্তু ডায়রিয়া ও প্রচুর বমি হতো।

তখনকার নারীরা কাঙ্ক্ষিত ওজনে পৌঁছে গেলে কৃমিনাশক ওষুধ খেতেন। কিন্তু তার আগেই পেট ও মলদ্বারের ক্ষতি হয়ে যেত, ফলে পরবর্তীতে নানা জটিলতা দেখা দিত।

এই ডায়েট অনেক দিক দিয়েই ঝুঁকিপূর্ণ। একটি ফিতা কৃমি দৈর্ঘ্যে ৩০ ফুট (৯ মিটার) পর্যন্ত বাড়তে পারে। এই ডায়েট মাথাব্যথা, চোখের সমস্যা, মেনিনজাইটিস, মৃগীরোগ এবং ডিমেনশিয়া (স্মৃতিভ্রষ্ট)সহ অনেক অসুস্থতার কারণ হতে পারে।

এই কৃমি মস্তিষ্কে পৌঁছে গেলে স্মৃতি ও দৃষ্টিশক্তির ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে। এমনকি মৃত্যুও। কৃমির কারণে মস্তিষ্কে পানিও জমতে পারে ও সিস্ট (জলকোষ) হতে পারে। সিস্ট হলে অপারেশনও করতে হতে পারে। এই ধরনের পরিস্থিতিতে শুধু কৃমিনাশক ওষুধ খেয়ে কাজ হয় না। প্রদাহ বা খিঁচুনি কমানোর ওষুধও দিতে হয়।

এ ছাড়া কৃমি হলে কিছু মানুষের কার্বোহাইড্রেট (শর্করা) আসক্তি অনেক বেড়ে যায়। অন্ত্রের কৃমিগুলোর জন্য পুষ্টি সরবরাহ করার পরও প্রচুর শর্করা উদ্বৃত্ত থাকে। ফলে ওজন বাড়ে।

খাদ্য ইতিহাসবিদ অ্যানি গ্রে বলেন, উনিশ শতকের সময় ডায়েটিং একটি বড় বাণিজ্যে পরিণত হয়েছিল। ব্যাপক বিজ্ঞাপন ডায়েট পণ্যকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলছিল। প্রচুর ডায়েট পণ্য বিক্রি হচ্ছিল। সেলিব্রিটি ও গণমাধ্যমের প্রসার সেসময় ডায়েট শিল্পের উন্নতিতে ভূমিকা রাখে।

অনেক বছর পর বিশ শতকের জনপ্রিয় মার্কিন অপেরা গায়িকা মারিয়া ক্যালাস ওজন কমানোর জন্য এ ধরনের পরজীবী খেয়েছিলেন। যদিও পরবর্তীতে অনেকে বলেছেন, এটি শুধুই গুজব!

মেঝে থেকে ভাঙা কাচের টুকরো পরিষ্কারের সহজ উপায়

কাচের কোনো জিনিস মেঝেতে পড়ে গেলে টুকরো টুকরো হয়ে ছড়িয়ে যায়। এসব ছোট ছোট টুকরো খালি চোখে দেখতে পাওয়া কঠিন। এগুলো পুরোপুরি সরিয়ে না ফেললে পায়ের তালুতে বিঁধে যেতে পারে। শিশুদের গায়েও বিঁধতে পারে। টর্চ জ্বালিয়ে খুব সহজেই এই ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কাচের টুকরাগুলো শনাক্ত করে সরিয়ে ফেলা যায়।

কাচের টুকরো শনাক্তে টর্চ

কাচের জিনিস মেঝেতে পড়ে ভেঙে গেলে সাবধানে নড়াচড়া করতে হবে। ঘরে অন্য কাউকে প্রবেশ করতে না দেওয়াই ভালো। এরপর প্রথমে ঘরটিকে অন্ধকার করতে হবে। অন্ধকার করার পর মেঝের দিকে টর্চ তাক করলে কাচের টুকরাগুলো জ্বলজ্বল করবে। সেই সঙ্গে মেঝেতে টুকরোগুলোর বিপরীতে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ছায়া পড়বে। কাচের টুকরাগুলো ভালোমতো দেখতে সাবধানতার সঙ্গে মেঝের দিকে যতটা সম্ভব ঝুঁকতে হবে।

ভাঙা কাচের টুকরো নিরাপদে পরিষ্কার করতে

হাতে রাবার অথবা মোটা চামড়ার গ্লাভস পরে নিতে হবে। টর্চ ব্যবহার করে ছোট ছোট কাচের টুকরো শনাক্ত করার আগে সাবধানে বড় টুকরোগুলো সরিয়ে ফেলতে হবে। ঝাড়ু ব্যবহার না করাই ভালো। এতে সূক্ষ্ম সূক্ষ্ম টুকরোগুলো ঝাড়ুতে লেগে যাবে এবং পরে ঝাড়ুটি ব্যবহারের সময় মেঝেতে আবার কাচের টুকরা ছড়িয়ে যাবে।

তাই সাবধানতার সঙ্গে বড় টুকরোগুলো হাত দিয়ে সরিয়ে ফেলাই ভালো। এরপর বাকি ক্ষুদ্র টুকরোগুলো শনাক্ত করে সরিয়ে ফেলতে হবে।

পাউরুটি ব্যবহার করে

পাউরুটির একটি স্লাইস ব্যবহার করে সূক্ষ্ম সূক্ষ্ম কাচগুলো পরিষ্কার করা যায়। এ জন্য টর্চ জ্বালায়ে রাখা অবস্থায় হাতে গ্লাভস পরে কাচের টুকরোগুলোর ওপরে পাউরুটির টুকরো চেপে ধরতে হবে। এতে পাউরুটিতে কাচের টুকরোগুলো লেগে যাবে।

আলু ব্যবহার করে

ঘরে পাউরুটি না থাকলে বড় আকারের আলু ব্যবহার করেও কাচের টুকরো পরিষ্কার করা যায়। এ জন্য একটি আলু অর্ধেক করে কাটতে হবে। সেই আলুর অর্ধেক কাটা অংশ কাচের ওপরে চেপে ধরতে হবে। এতে কাচগুলো আলুর সঙ্গে উঠে যাবে।

ভেজা টিস্যু

টাওয়েল বা টয়লেট টিস্যু ভিজিয়ে কাচের টুকরোগুলোর ওপর রাখলে সেগুলো টিস্যুতে লেগে যাবে। আর এভাবে কাচের টুকরোগুলো সহজেই পরিষ্কার করা যাবে।

টেপ ও লিন্ট রোলার

টেপ (স্কচ টেপও হতে পারে) ও লিন্ট রোলার ব্যবহার করেও মেঝে থেকে কাচের টুকরো পরিষ্কার করা যায়। লিন্ট রোলার হলো একধরনের আঠালো টুল যা বিভিন্ন স্থানে ঝরে পড়া পোষা প্রাণীর লোম পরিষ্কারে ব্যবহার করা হয়।

এসব পদ্ধতি ব্যবহার করার পরেও দ্বিতীয়বার টর্চ জ্বালিয়ে নিশ্চিত হতে হবে, যেন কোনো কাচের টুকরো বাদ না পড়ে।

সতর্কতা: এসব পদ্ধতি ব্যবহার করার সময় অবশ্যই পায়ে জুতা বা স্যান্ডেল ও হাতে গ্লাভস পরতে হবে। আর কাচসহ পাউরুটি বা আলুর টুকরাগুলো এমন স্থানে ফেলতে হবে যেন শিশু ও পোষা প্রাণীর নাগালের বাইরে থাকে।


নিউজ ট্যাগ: ফিতা কৃমি

আরও খবর
রোজায় ত্বক ভালো রাখতে যা করবেন

বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪




মালয়েশিয়ায় পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে বাংলাদেশিসহ নিহত ৩

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১২ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

মালয়েশিয়ার পাহাং রাজ্যের কুয়ান্তানের জালান পেকান-কুয়ান্টানে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে বাংলাদেশিসহ ৩ বিদেশি নাগরিক নিহত হয়েছে। মঙ্গলবার (১২ মার্চ) পাহাং কন্টিনজেন্ট পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে (আইপিকে) এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম বার্নামা ও স্টার অনলাইন এ খবর জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গত সোমবার মধ্যরাতে মালয়েশিয়ার পাহাং রাজ্যের কুয়ান্তানের জালান পেকান-কুয়ান্তানে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে তিন বিদেশি ডাকাত নিহত হয়। এদের মধ্যে রয়েছে এক বাংলাদেশি নাগরিক। নিহতরা দেশটিতে বেশ কয়েকটি সোনার দোকানে ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত সেন্ট্রো গ্যাং-এর সদস্য বলে সন্দেহ পুলিশের।

নিহতদের মধ্যে দুজন ভিয়েতনামের নাগরিক বলে প্রাথমিকভাবে জানিয়েছে মালয়েশিয়ান পুলিশ। তাদের আনুমানিক বয়স ৩৪ থেকে ৪৪ বছর। আরেকজন বাংলাদেশের নাগরিক, যার বয়স ৩৮। তবে তাদের নাম-পরিচয় বিস্তারিত প্রকাশ করা হয়নি।

ভিয়েতনামের দুই নাগরিক ভ্রমণ ভিসায় মালয়েশিয়া এসেছেন মর্মে নথিপত্র পাওয়া গেছে। এছাড়া বাংলাদেশি নাগরিকের কাছে মালয়েশিয়ান ড্রাইভিং লাইসেন্স ছিলো। গাড়িটি তার নামেই রেজিস্ট্রেশন করা ছিল বলে জানিয়েছেন পাহাং ইয়াহইয়া ওথমান।

গত বছরের জুন থেকে সক্রিয় ছিল উল্লেখ করে পাহাং পুলিশ প্রধান দাতুক সেরি ইয়াহইয়া ওথমান সংবাদ সম্মেলনে বলেন, সপ্তাহান্তে এবং সরকারি ছুটির দিনে যখন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো সাধারণত বন্ধ থাকে তখন তারা সেসব প্রতিষ্ঠানের প্রতিরক্ষা ভেঙে প্রবেশ করে।’

ইয়াহইয়া বলেন, আমরা দুটি গ্রাইন্ডার মেশিন, দুটি ড্রিল, দুটি প্যারাং, একটি কর্ডলেস ড্রিল সহ একটি বাক্স, একটি ক্রোবার, হাতুড়ি, স্ক্রু ড্রাইভার, গ্লাভস এবং একটি টুল ব্যাগ পেয়েছি। দুটি সেট ভুয়া গাড়ির রেজিস্ট্রেশন প্লেট উদ্ধার করা হয়েছে।’

পাহাং পুলিশ প্রধান দাতুক সেরি ইয়াহইয়া ওথমান বলেছেন, সেলাঙ্গর এবং পাহাং অপরাধ তদন্ত বিভাগের সদস্যদের একটি দল সোমবার যৌথ অভিযানে নামে। সে সময় সন্দেহভাজন গাড়িটি পুলিশের গাড়ির পেছনে ধাক্কা দেয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গাড়িটি তল্লাশি করতে গেলে সন্দেহভাজনরা তাদের লক্ষ্য করে বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি চালায়। পুলিশও আত্মরক্ষার জন্য পাল্টা গুলি চালালে তারা নিহত হন।’

ঘটনাস্থল থেকে প্রোটন ওয়াজা টাইপের গাড়িটি জব্দ করা হয়েছে। গাড়ি থেকে সাত রাউন্ড গুলিসহ একটি গ্লক-১৭ টাইপ পিস্তল জব্দ করা হয়। এছাড়া ঘটনাস্থল থেকে চুরির কাজে ব্যবহৃত আরও কিছু সরঞ্জাম পাওয়া গেছে। যার মধ্যে দুটি ম্যাচেট ব্লেড রয়েছে। নিহত ব্যক্তিরা পেকান এলাকায় অপরাধ করার পরিকল্পনা করছিল বলে ধারণা করেছে পুলিশ।


আরও খবর



বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ড

বার্ন ইনস্টিটিউট থেকে বাড়ি ফিরলেন আরও দুইজন

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর বেইলি রোডে আগুনের ঘটনায় আহতদের মধ্যে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউট থেকে ছাড়পত্র পেয়ে বাসায় ফিরেছেন আরও দুইজন। এ নিয়ে ১৪ জনের মধ্যে হাসপাতালের ছাড়পত্র পেলেন ১১ জন। এখনো ভর্তি আছেন তিনজন।

আজ রবিবার ভর্তি রোগীদের সবশেষ শারীরিক অবস্থা জানাতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন তরিকুল ইসলাম।

তিনি বলেন, শ্বাসকষ্টসহ নানা জটিলতায় ভর্তি থাকা ৩ জন রোগীকে হাসপাতালে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে, তবে তারাও সুস্থতার দিকে। পুরোপুরি সুস্থ হলে তাদের ছাড়পত্র দেয়া হবে। তবে এখনই তাদের শঙ্কামুক্ত বলা যাচ্ছে না।

এদিকে, বেইলি রোডের গ্রিন কেজি কটেজেআগুনের ঘটনায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন দুজন। গত ২৯ ফেব্রুয়ারি ভয়াবহ ওই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে ৪৪ জনের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে পরিবারের কাছে। বাকি দুইজনের মরদেহ ঢাকা মেডিকেলে রয়েছে। গতকাল তাদের ডিএনএ নমুনা নেয়া হয়েছে।


আরও খবর



১০ বিশিষ্টজনের হাতে স্বাধীনতা পুরস্কার তুলে দিলেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

জাতীয় পর্যায়ে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ১০ বিশিষ্ট ব্যক্তি পেলেন 'স্বাধীনতা পুরস্কার ২০২৪'। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত থেকে পদকপ্রাপ্ত ব্যক্তি বা তার প্রতিনিধিরা পুরস্কার গ্রহণ করেন।

সোমবার (২৫ মার্চ) সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে স্বাধীনতা পুরস্কার-২০২৪ অনুষ্ঠানে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।   

পুরস্কারপ্রাপ্তরা হলেনস্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে কাজী আব্দুস সাত্তার, বীর মুক্তিযোদ্ধা ফ্লাইট সার্জেন্ট মো. ফজলুল হক (মরণোত্তর) ও বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ আবু নঈম মো. নজিব উদ্দীন খাঁন (খুররম) (মরণোত্তর), বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে ড. মোবারক আহমদ খান, চিকিৎসাবিদ্যায় ডা. হরিশংকর দাশ, সংস্কৃতিতে মোহাম্মদ রফিকউজ্জামান, ক্রীড়ায় ফিরোজা খাতুন, সমাজ বা জনসেবায় অরন্য চিরান, বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ডা. মোল্লা ওবায়েদুল্লাহ বাকী ও এসএম আব্রাহাম লিংকন।

গত ১৫ মার্চ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক বিজ্ঞপ্তিতে স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য মনোনীতদের তালিকা প্রকাশ করা হয়।

এটি দেশের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পুরস্কার। ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে সরকার ১৯৭৭ সাল থেকে প্রতি বছর এ পুরস্কার দিয়ে আসছে। পুরস্কারপ্রাপ্ত প্রত্যেককে পাঁচ লাখ টাকা, ১৮ ক্যারেটের ৫০ গ্রাম ওজনের স্বর্ণের পদক, পদকের একটি রেপ্লিকা ও একটি সম্মাননাপত্র দেওয়া হয়।


আরও খবর