আজঃ বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

মাদক কিনতে গিয়ে প্রাণ গেল বুয়েট শিক্ষার্থীর!

প্রকাশিত:শুক্রবার ১১ নভেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১১ নভেম্বর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

বুয়েট ছাত্র ফারদিন নূর পরশ হত্যাকাণ্ডের তদন্ত নতুন মোড় নিচ্ছে। প্রযুক্তিগত তদন্ত ও সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের সূত্রে জানা যায়, পেশাদার মাদক কারবারিদের হাতে খুন হয়েছেন ফারদিন।

সূত্র জানায়, নিখোঁজ হওয়ার রাতে ফারদিন কেরানীগঞ্জ, পুরান ঢাকার জনসন রোড, নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ ও ডেমরাসংলগ্ন চনপাড়া এলাকায় অবস্থান করছিলেন। রাত দুইটা ৩৫ মিনিটে ছিলেন চনপাড়া এলাকায় তিনি।

প্রযুক্তিগত তদন্তে বলা হয়েছে, ওই রাতে ফারদিন তার বান্ধবী আমাতুল্লাহ বুশরাকে রামপুরায় নামিয়ে দেয়ার পর আরেক বান্ধবীর সঙ্গে মেসেঞ্জারে যোগাযোগ করেন। ওই বান্ধবীর সঙ্গে রাত একটা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত মেসেঞ্জারে কথা বলেছেন ফারদিন।

মূলত মাদক কেনার জন্য ফারদিন কেরানীগঞ্জ ও জনসন রোডে যান। কয়েকটি জায়গায় কিনতে না পেরে শেষমেশ তিনি যান ডেমরা সংলগ্ন চনপাড়ায় পূর্বপরিচিতদের কাছে। সেখানে ফেনসিডিল কেনার চেষ্টা করেন তিনি। ফেনসিডিলের দরদাম নিয়ে চনপাড়া এলাকার চিহ্নিত মাদক কারবারি শাহীন ওরফে সিটি শাহীন ও তার লোকজনের সঙ্গে ফারদিনের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে আট-দশজন মিলে ফারদিনকে বেধড়ক পেটায়। পরে ওই রাতেই শাহীন ও তার লোকজন ফারদিনের নিথর দেহ নদীতে ভাসিয়ে দেয়।

র‍্যাব জানায়, বৃহস্পতিবার রাতে চনপাড়ায় মাদকের স্পটে র‌্যাব-১ এর একটি দল অভিযান চালায়। এ সময় মাদক কারবারিরা র‌্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে। র‌্যাবও পাল্টা গুলি চালায়। এ সময় সিটি শাহীন নামে এক মাদকের গডফাদার গুলিবিদ্ধ হয় এবং পরে চিকিৎধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেলে মারা যায়।

আরেকটি দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, হত্যার সঙ্গে মাদক কারবারিদের যোগসূত্রের বিষয়টি সামনে আসার পর শাহীন ও তার লোকজনকে গ্রেপ্তারে একাধিক সংস্থা মাঠে নামে।

এর আগে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রাথমিক ধারণা ছিলো, হত্যার পর ফারদিনের লাশ কেরানীগঞ্জসংলগ্ন কোনো নদীতে ফেলা হয়েছে। তবে প্রযুক্তিগত তদন্তে ফারদিনের সর্বশেষ অবস্থান চনপাড়া এলাকায় নিশ্চিত হওয়ার পর গোয়েন্দা সংস্থার ধারণা, চনপাড়াসংলগ্ন শীতলক্ষ্যা নদীতে বুয়েট ছাত্রের লাশ ফেলা হয়। সর্বশেষ যে মাদক স্পটে ফারদিনের অবস্থান দেখা যায়, শীতলক্ষ্যা থেকে সেই স্থানের দূরত্ব সামান্যই।


আরও খবর



বিদ্যুতের মিটার চুরি করে রেখে যায় ফোন নম্বর, টাকা দিলে ফেরত

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নাটোর প্রতিনিধি

Image

প্রথমে রাতের অন্ধকারে বিদ্যুতের মিটার চুরি। পরে ওই স্থানে ঝুলিয়ে দেওয়া হয় একটি কাগজ। কাগজে লেখা থাকে মুঠোফোন নম্বর। পরে ওই নম্বরে বিকাশের মাধ্যমে চাহিদামতো টাকা পাঠানো হলে চুরি হওয়া মিটারটি আবার মালিকের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

নাটোরে লালপুরে অভিনব কায়দায় রাতের আঁধারে দশটি বৈদ্যুতিক মিটার চুরি করেছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় তারা যোগাযোগের জন্য চিরকুটে মোবাইল নম্বর লিখে রেখে গেছে। ওই নম্বরে যোগাযোগ করলে ভুক্তভোগীদের কাছে টাকা দাবি করেছে তারা।

মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) ভোরের দিকে লালপুর উপজেলার কলসনগর, সাতপুকুরিয়া, চাঁদপুর, ভবানীপুর, কালুপাড়া ও বিভাগ গ্রামে এঘটনা ঘটে।এভাবে চুরির ঘটনায় জনমনে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।

ভুক্তভোগী আমিরুল ও বাচ্চু বিশ্বাস জানান, ভুক্তভোগীদের রাইস মিল ও কাঠ মিল থেকে রিডিং মিটার রাতের অন্ধকারে চুরি করে নিয়ে যায় দুর্বত্তরা। এবং প্রত্যেকের চুরি হওয়া মিটারের ফাঁকা জায়গায় একটি চিটকুটে লিখে যায়। সেখানে লেখা ছিল- এই মিটার নিতে হলে এই নম্বরে ফোন দিয়ে যোগাযোগ করতে। সকালে মিটার চুরি হয়ে যাওয়ার স্থান থেকে প্রাপ্ত মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করা হলে ওই মিটারের জন্য ৮ হাজার টাকা বিকাশ করলে মিটার ফেরত দেয়ার কথা জানায় দুর্বৃত্তরা।

এবিষয়ে কথা বলতে নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ লালপুর জোনাল অফিসের উপমহাব্যবস্থাপক রেজাউল করিম খানকে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

এবিষয়ে লালপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাছিম আহম্মেদ বলেন, মিটার চুরির অভিযোগ আসেনি আমার কাছে। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’


আরও খবর



ঈদের চাঁদ দেখা নিয়ে যা জানালো আবহাওয়া অধিদপ্তর

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

রমজান মাস শেষে শাওয়ালের প্রথম দিন মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে। কবে ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে সেই সিদ্ধান্ত দেবে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি। তবে এর আগে চাঁদের স্থানাঙ্ক জানায় বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।

গত ২৫ মার্চ বাংলাদেশের আকাশে ১৪৪৫ হিজরি সনের শাওয়াল মাসের নতুন চাঁদের স্থানাঙ্ক বিবরণী প্রকাশ করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এবার রমজান মাস ২৯ দিনে শেষ হলে ঈদুল ফিতর হবে ১০ এপ্রিল (বুধবার)। আর রমজান মাসের ৩০ দিন পূর্ণ হলে ঈদ হবে ১১ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার)। তবে রমজান মাস ৩০ দিন ধরে ছুটি নির্ধারণ করে রেখেছে সরকার। ঈদুল ফিতর উদযাপনের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে আগামী ৯ এপ্রিল সভায় বসবে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি।

আবহাওয়াবিদ সাঈদ আহমদ চৌধুরী স্বাক্ষরিত শাওয়াল মাসের চাঁদের স্থানাঙ্ক বিবরণীতে বলা হয়েছে, আগামী ৯ এপ্রিল বাংলাদেশ মান সময় রাত ১২টা ২১ মিনিটে অমাবস্যা শেষ হয়ে ১৪৪৫ হিজরি সনের শাওয়াল মাসের নতুন চাঁদের জন্ম হবে, ওই দিন সূর্যাস্তের সময় চাঁদের বয়স হবে ০.৭৪৮০ দিন এবং সূর্যাস্তের ২২ মিনিট ৭ সেকেন্ড পর পর চন্দ্রাস্ত ঘটবে। ওই দিনই রাত ৯টা ১ মিনিটে প্রতিপদ (প্রথমা) শেষ হয়ে দ্বিতীয়া শুরু হবে।

৯ এপ্রিল চাঁদ দেখার নির্ধারিত সময় ৬টা ৩৮ মিনিট থেকে ৭টা ৫ মিনিট পর্যন্ত বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। অন্যদিকে ১০ এপ্রিল সূর্যাস্তের সময় চাঁদের বয়স হবে ১ দশমিক ৭৪৮৩ দিন এবং সান্ধ্যকালীন গোধুলি শেষ হওয়ার ১ ঘন্টা ২৮ মিনিট ৬ সেকেন্ড পর চন্দ্রাস্ত ঘটবে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের একজন আবহাওয়াবিদ নাম প্রকাশ না করে বলেন, ৯ এপ্রিল চাঁদের বয়স থাকবে এক দিনেরও কম। চাঁদ দিগন্তের সঙ্গে মাত্র ৯ ডিগ্রি কোণে উচ্চতায় থাকবে। আকাশে অবস্থানও করবে স্বল্প সময়ের জন্য। তাই খালি চোখে চাঁদ দেখার সম্ভাবনা খুবই কম।

তিনি আরও বলেন, এখন গ্রীষ্মকাল আকাশ মেঘমুক্ত পাওয়াও মুশকিল। ওইদিন যেটুকু চাঁদ দেখার সম্ভাবনা রয়েছে পশ্চিম আকাশ পরিস্কার মেঘমুক্ত না থাকলে সেটাও কাজে আসবে না। ১০ এপ্রিল চাঁদ দেখার সম্ভাবনা বেশি এবং ১১ এপ্রিল পবিত্র ঈদুল ফিতর হতে পারে।

ঈদুল ফিতর উদযাপনের তারিখ নির্ধারণে আগামী ৯ এপ্রিল রাজধানীর বায়তুল মোকাররমে সভায় বসছে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি। তবে ইসলামী শরিয়ত অনুযায়ী, চান্দ্র মাস শুরু হাওয়ার ক্ষেত্রে খালি চোখে চাঁদ দেখার শর্ত রয়েছে।

জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি, ৬৪ জেলায় জেলা প্রশাসকদের নেতৃত্বে থাকা জেলা চাঁদ দেখা কমিটির কাছ থেকে তথ্য নেওয়ার পর চাঁদ দেখার সিদ্ধান্ত জানিয়ে থাকে। জেলা চাঁদ দেখা কমিটিতে সদস্য সচিব থাকেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তারা। ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তারা জেলা কমিটির মিটিংয়ের সিদ্ধান্ত জাতীয় কমিটিকে ফোন করে জানিয়ে দেন। জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভাপতি ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রী।


আরও খবর
কুরবানি ঈদ কবে, জানাল আরব আমিরাত

মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪

শুক্রবারের বিশেষ ৪ আমল

শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪




ময়মনসিংহে সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের তিনজনসহ নিহত ৮

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ময়মনসিংহে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের তিনজনসহ ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) ময়মনসিংহ সদর, ত্রিশাল ও তারাকান্দা উপজেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় এসব প্রাণহানি ঘটে।

দুপুরে সদর উপজেলার ল্যাংড়াবাজার এলাকায় টাঙ্গাইলগামী বাসের ধাক্কায় মাহেন্দ্র থ্রি হুইলারের তিন যাত্রী নিহত হয়। তারা তিনজনই একই পরিবারের। নিহতরা হলেন, লুৎফর রহমান (৩০) তার স্ত্রী শাহনাজ (২৫) এবং শিশু সন্তান মাহিত (২)। ঘটনাস্থলে শিশু মাহিত এবং ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বাকি দুইজন মারা যান। আহত অবস্থায় আরও একজন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।

ময়মনসিংহ কোতোয়ালি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাঈন উদ্দিন জানান, নিহতরা শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার দিঘীরপাড় এলাকার বাসিন্দা। স্বামী-স্ত্রী ভালুকার মাস্টার বাড়ি এলাকায় একটি গার্মেন্টসে চাকরি করতেন। ঈদের ছুটিতে সন্তানসহ তারা বাড়ি ফিরছিলেন। পথিমধ্যে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে হতাহতদের উদ্ধার করে।

এছাড়াও ত্রিশালের ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে মাদানি সিএনজি পাম্পের সামনে একটি যাত্রীবাহী পিকআপ ইউটার্ন নেওয়ার সময় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি বাসের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই দুজনের মৃত্যু হয়। এদের মধ্যে মারুফের (১৮) বাড়ি ঈশ্বরগঞ্জ এবং আপেল মিয়ার (৩০) বাড়ি নান্দাইল উপজেলায়।

এছাড়া ত্রিশালের বালিপাড়ায় ত্রিশাল-নান্দাইল সড়কে আরেকটি দুর্ঘটনায় বাসের ধাক্কায় ২ অটোরিকশাযাত্রীর মৃত্যু হয়। এদের একজন নাসিমা (৩৫), তার বাড়ি একই উপজেলার কাজিরকান্দা গ্রামে এবং অপর আরেকজনের পরিচয় সনাক্তকরণে কাজ চলছে বলে জানান, ত্রিশাল থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) মো. চাঁদ মিয়া।

অপরদিকে, একই দিন সকালে তারাকান্দা উপজেলায় বাসের ধাক্কায় আবুল বাশার (৬০) নামে এক পথচারীর মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন তারাকান্দা উপজেলার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওয়াজেদ আলী।


আরও খবর



আনোয়ারায় মাইক্রোবাসের ধাক্কায় বৃদ্ধা নিহত, সড়ক অবরোধ

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মো.আমজাদ হোসেন, আনোয়ারা

Image

চট্টগ্রামের আনোয়ারায় মাইক্রোবাসের ধাক্কায় নুরজাহান বেগম (৬৩) নামে এক নারীর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (১৭ এপ্রিল) সকাল সাড়ে দশটায় দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত নুরজাহান বেগম হাইলধর ইউনিয়নের খাসখামা এলাকার মো. শাহ আলমের স্ত্রী।

নিহতের ফুফাতো ভাই তৌহিদুল হক জানান, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে রাস্তা পার হচ্ছিলেন আমার ফুফি, এমন সময় দ্রুতগতির একটি মাইক্রোবাস এসে তাকে ধাক্কা দিলে গুরুতর আহত হন তিনি। এক পা ভেঙে যায় তার। স্থানীয়রা উদ্ধার করে আমার ফুফিকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে প্রেরণ করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। সেখান থেকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এদিকে একই জায়গায় বার বার দুর্ঘটনা ঘটনার পর কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় উত্তেজিত জনতা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে সড়ক অবরোধ করে রাখেন। কিছুক্ষণ সড়কে যান চলাচল বন্ধ ছিল। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়ে সাধারণ মানুষ। পরে পুলিশ এসে যানচলাচল স্বাভাবিক করে দেন।

জানতে চাইলে আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল আহমদ বলেন, দুর্ঘটনার খবরে তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় পুলিশ। সড়ক দুর্ঘটনায় এক বৃদ্ধা নিহত হয়েছে। দুর্ঘটনার পর পুলিশ মাইক্রোবাস উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। পরবর্তিতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আরও খবর



শ্রীলঙ্কায় রেসিং কারের ধাক্কায় নিহত ৭

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

শ্রীলঙ্কায় কার রেসিং ইভেন্টে রেসিং কারের চাপায় দর্শকসারিতে থাকা ৭ জন নিহত এবং ২১ জন আহত হয়েছে। ইভেন্ট চলাকালীন একটি রেসিং কার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্র্যাক থেকে বেরিয়ে দর্শকদের মধ্যে ঢুকে পড়লে ঘটনাস্থলেই সাতজনের মৃত্যু হয়। দেশটির ফক্স হিল অঞ্চলের সামরিক এলাকা দিয়াতলাওয়ায় রবিবার (২১ এপ্রিল) কার রেস ইভেন্টে এ ঘটনা ঘটে। খবর বিবিসি।

নিহতদের মধ্যে চারজন রেসার ছিলেন। তবে ঘটনার দিন তারা দর্শক হিসেবে ইভেন্টে অংশ নিয়েছিলেন। নিহতদের মধ্যে চার বছরের শিশু এজিনও ছিল।

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সেনাবাহিনীর মালিকানাধীন ট্র্যাকে দুর্ঘটনার বিষয়ে পরিপূর্ণ পুলিশ তদন্ত চলছে।

পুলিশের মুখপাত্র নিহাল তালডুয়া বলেন, গাড়িটি চলমান লেন থেকে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ছিটকে যাওয়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, আরেকটি গাড়ি ট্র্যাকে উল্টে যাওয়ার পর পরই দুর্ঘটনার সূত্রপাত হয়।

কর্মকর্তারা হলুদ বাতি জ্বালিয়ে দর্শক সারির কাছাকাছি চলে আসা গাড়ির গতি কমানোর চেষ্টা করেন। তাদের প্রচেষ্টা সত্ত্বেও গাড়িগুলো দ্রুত গতিতে চলতে থাকলে একটি লাল গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্র্যাকের পাশে দর্শক সারিতে ঢুকে পড়ে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া বেশ কিছু ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, দুর্ঘটনার পর অনেকে চিৎকার করছেন এবং ঘটনাস্থলের দিকে ছুটে যাচ্ছেন।

গাড়ি চাপায় ঘটনাস্থলেই ৫ জন মারা যান। বাকি দুজনকে হাসপাতালে নেয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।

শ্রীলঙ্কা অটোমোবাইল স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশন দ্বারা পরিচালিত ইভেন্টটি ১৯৯৩ সাল থেকে পরিচালিত হয়ে আসছে। তবে দেশটির অর্থনৈতিক সংকট এবং কভিডকালীন বিধিনিষেধের কারণে গত পাঁচ বছরের মধ্যে এটিই ছিল প্রথম রেস।

ইভেন্ট শুরুর আগে আয়োজকরা দর্শকদের জন্য অনুষ্ঠানটি উন্মুক্ত করে দিয়েছিলেন। অনুষ্ঠানে প্রায় ১ লাখ লোক উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর