রাস্তার গাইড ওয়াল নির্মাণকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট বিরোধ নিষ্পত্তিকালে থানার ভেতরে দুইপক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছেন। এ সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে থানার ৭ পুলিশসহ কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছেন। এ সময় ১৪ হামলাকারীকে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার হবিগঞ্জের মাধবপুর থানার ভেতরে এ ঘটনা ঘটে।
মাধবপুর উপজেলার মধ্য বেজুড়ার সাবেক মেম্বার রইছ আলীসহ যৌথ মালিকানাধীন একটি পুকুরের পানি শুকিয়ে সরকারী অর্থায়নে গাইড ওয়াল নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। ওই গ্রামের লাল খা মিয়ার ছেলেরা এতে বাধা দেয়। এক পর্যায়ে লাল মিয়ার পক্ষ থেকে ৯৯৯ ফোন করা হয়।
মাধবপুর থানা থেকে পুলিশ গিয়ে অভিযোগ শোনে। অভিযোগটি নিষ্পত্তির লক্ষ্যে স্থানীয় চেয়ারম্যান মেম্বারসহ উভয় পক্ষের লোকজনকে শুক্রবার (১৪ জুলাই) দুপুরে থানার হলরুমে এক সালিশ ডাকা হয়।
বৈঠকে ওসি (তদন্ত) আতিকুল ইসলামের উপস্থিতিতে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও মেম্বারসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। সালিশের এক পর্যায়ে ওয়ার্ড মেম্বার আরজু মিয়া (৫৫) ও মৃত আলফু মিয়ার ছেলে সিরাজ (৪০) এর মাঝে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। এ সময় থানা হলরুমের ভেতরে উভয় পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
এতে জগদীশপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৪নং ওয়ার্ড মেম্বার বেনু মিয়া ও ৬নং ওয়ার্ডের মেম্বার মর্তুজ আলীর মাথা ফেটে যায়। অন্যদিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে ইন্সপেক্টর আতিকুর রহমান, এস আই মানিক কুমার সাহা, এস আই শুভ দে, পুলিশ সদস্য সাইফুল ইসলাম, আশরাফুল ইসলাম, আব্দুল জলিল ও আহসান আলী আহত হয়। আঘাতপ্রাপ্ত ২ মেম্বার ও পুলিশ সদস্যরা উপজেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে বলে জানিয়েছেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।
এ বিষয়ে মাধবপুর থানার অফিসার ইনর্চাজ মুহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক জানান, ৯৯৯’র কলের মাধ্যমে বিরোধের প্রকৃত বিষয়টি শোনার জন্য থানায় ডাকা হয়েছিল। উভয় পক্ষের উচ্ছৃঙ্খল লোকেরা থানা থেকে বের হওয়ার পথে মারামারিতে লিপ্ত হয়। পুলিশ সদস্য আহত হওয়াসহ ১৪জনকে আটক করা হয়েছে বলে স্বীকার করে তিনি জানান, উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ মোতাবেক দাঙ্গাবাজদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।