আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

মাদারীপুরে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনা, নিহত ৪

প্রকাশিত:শনিবার ২৯ জানুয়ারী ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ২৯ জানুয়ারী ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

মাদারীপুর জেলার শিবচরের ভাঙ্গা-ঢাকা এক্সপ্রেসওয়ের হাজী শরিয়তউল্লাহ সেতু সংলগ্ন সড়কে ঢাকাগামী একটি প্রাইভেটকারের সঙ্গে পরিবহনের একটি বাসের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে স্থানীয়রা দ্রুত এগিয়ে গিয়ে দুর্ঘটনাকবলিত প্রাইভেটকার থেকে যাত্রীদের উদ্ধার করার সময় ঢাকাগামী অপর একটি যাত্রীবাহী বাস উদ্ধাররত স্থানীয়দের ওপর উঠিয়ে দিলে ঘটনাস্থলেই তিনজনের মৃত্যু হয়।

শনিবার (২৯ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৭টার দিকে শিবচরের এক্সপ্রেসওয়ের হাজী শরিয়তউল্লাহ সেতু সংলগ্ন মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ সময় আহত হন কমপক্ষে ৫ জন। এদের মধ্যে দুইজনকে গুরুতর অবস্থায় ফরিদপুর মেডিক্যালে পাঠানো হয়েছে।

স্থানীয়রা জানায়, সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে এক্সপ্রেসওয়ের বাঁচামারা এলাকায় মাদারীপুর থেকে ঢাকাগামী একটি প্রাইভেটকারকে পেছন দিক থেকে গ্রামীণ পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস ধাক্কা দেয়। এসময় প্রাইভেটকারটি দুমড়ে-মুচড়ে গেলে ঘটনাস্থলেই মো. খলিল মাতুব্বর (৫৮) নামে মাদারীপুর সদর উপজেলার শিরখাড়া এলাকার এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে স্থানীয়রা দ্রুত এগিয়ে গিয়ে তাদের উদ্ধার করে। এমন সময় গোপালগঞ্জ থেকে আসা একটি যাত্রীবাহী পরিবহন স্থানীয়দের ওপর উঠিয়ে দিলে ঘটনাস্থলেই বাঁচামারা এলাকার মোস্তফা শিকদার (৫৮), রোকেয়া বেগম (৪০) ও ভ্যানচালক মো. লিটু মারা যান। 

গুরুতর আহত হন আশিকুর রহমান, শিরিয়া বেগম নামের প্রাইভেটকারের যাত্রীরা। তাদের উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিক্যালে পাঠানো হয়েছে।

শিবচর হাইওয়ে পুলিশ জানায়, প্রাইভেটকারের সঙ্গে গ্রামীণ পরিবহনের বাসের দুর্ঘটনাটি প্রথম ঘটে। স্থানীয়রা উদ্ধার করতে এলে তাদের অন্য একটি বাস চাপা দেয়। গ্রামীণ পরিবহনের বাসটি আটক করা হলেও অপর যাত্রীবাহী বাসটি আটক করা সম্ভব হয়নি।

শিবচর হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাখাওয়াত হোসেন জানান, খবর পেয়েই হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। দুর্ঘটনায় ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।


আরও খবর



রমজানে গাজায় ত্রাণ পাঠাল বাংলাদেশসহ ৯ দেশ

প্রকাশিত:বুধবার ১৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষ্যে মিসরের বিখ্যাত আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ভিত্তিক সংস্থা আল আজহার জাকাত অ্যান্ড চ্যারিটি হাউসের মাধ্যমে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার বাসিন্দাদের জন্য ত্রাণ হিসেবে ২ হাজার টন খাদ্য ও চিকিৎসা সামগ্রী পাঠিয়েছে বাংলাদেশসহ ৯ দেশ।

এক বিবৃতিতে আল আজহার জাকাত অ্যান্ড চ্যারিটি হাউস বলেছে, গত ৭ অক্টোবর গাজা উপত্যকায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত গাজায় ত্রাণের যত চালান গেছে, সেসবের মধ্যে এই চালানটি বৃহত্তম। বাংলাদেশ ব্যতীত আরও যে আটটি দেশের ত্রাণ এই চালানে যুক্ত হয়েছে, দেশগুলো হলো ইন্দোনেশিয়া, ভারত, যুক্তরাজ্য, সৌদি আরব, ফ্রান্স, চীন, কানাডা এবং জার্মানি।

মিসরের অনলাইন সংবাদমাধ্যম আরহাম অনলাইনকে আল আজহার জাকাত অ্যান্ড চ্যারিটির মুখপাত্র আবদেল-আলীম কাশতা বলেছেন, ত্রাণ পণ্যবাহী ট্রাকগুলো মিসরের উত্তর সিনাই থেকে রাফাহ সীমান্ত ক্রসিংয়ের মাধ্যমে গাজায় প্রবেশ করবে। 

৭ অক্টোবর গাজায় যুদ্ধ বাঁধার পর থেকে রমজান শুরুর আগ পর্যন্ত মোট ৪ হাজার টন ত্রাণ ও মানবিক সহায়তা পণ্য পাঠিয়েছে আল আজহার জাকাত অ্যান্ড চ্যারিটি। সর্বশেষ গত ডিসেম্বরে ত্রান পাঠানো হয়েছি।

তবে এ পর্যন্ত সেখানে যত ত্রাণের বহর প্রবেশ করেছে, সেসবের মধ্যে এই বহরটি সবচেয়ে বড়। মোট ৮০টি দেশের অনুদানের ভিত্তিতে বহরটি সাজানো হয়েছে। সবচেয়ে বেশি অনুদান দিয়েছে ৯টি দেশইন্দোনেশিয়া, ভারত, বাংলাদেশ, যুক্তরাজ্য, সৌদি আরব, ফ্রান্স, চীন, কানাডা এবং জার্মানি, আরহাম অনলাইনকে বলেন আবদেল-আলীম কাশতা।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ইরেজ সীমান্তে অতর্কিত হামলা চালিয়ে সামরিক-বেসামরিক ইসরায়েলি ও বিদেশি নাগরিকসহ ১ হাজার ২০০ জনেরও বেশি মানুষকে হত্যা করে গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাসের যোদ্ধারা। সেই সঙ্গে জিম্মি হিসেবে ধরে নিয়ে যায় আরও ২৪০ জন ইসরায়েলি এবং অন্যান্য দেশের নাগরিককে।

১৯৪৮ সালে প্রতিষ্ঠার পর গত ৭৫ বছরের ইতিহাসে সেদিন প্রথম একদিনে এতজন মানুষের হত্যা দেখেছে ইসরায়েল। অভূতপূর্ব সেই হামলার জবাবে সেদিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বিমান বাহিনী এবং তার এক সপ্তাহ পর বিমান বাহিনীর সঙ্গে যোগ দেয় স্থল বাহিনীও। অভিযানে এ পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ৩১ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি, আহত হয়েছেন আরও প্রায় ৭২ হাজার। নিহত ও আহতদের মধ্যে একটি বড় অংশই নারী, শিশু, কিশোর-কিশোরী এবং বেসামরিক লোকজন। এছাড়া ইসরায়েলি বাহিনীর বোমায় ঘরবাড়ি হারিয়ে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন লাখ লাখ ফিলিস্তিনি।

এই যুদ্ধের শুরু থেকে হামাস ও ইসরায়েলের সরকারের মধ্যে মধ্যস্থতা করে আসছে যুক্তরাষ্ট্র, কাতার ও মিসর। হামাসের হাতে থাকা অবশিষ্ট জিম্মিদের মুক্ত করতে এই তিন দেশের উদ্যোগে গাজায় রমজান মাস থেকে ছয় সপ্তাহের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব তোলা হয়েছিল, কিন্তু যুদ্ধের দুই পক্ষ হামাস ও ইসরায়েলের সরকারের মধ্যে বনিবনা না হওয়ায় বহু আকাঙ্ক্ষিত যুদ্ধবিরতি আর হয়নি।


আরও খবর



ভারত থেকে আমাদের দেশেও অনেক রোগী আসছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
স্বাস্থ্য ডেস্ক

Image

দেশ থেকে শুধু যে রোগী বাইরে যাচ্ছে এমন নয়, ভারত থেকে আমাদের দেশেও অনেক রোগী আসছে বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।

এ সময় তিনি দেশের চিকিৎসকদের চিকিৎসাসেবার মান বিশ্বের কোনো দেশের চিকিৎসকদের তুলনায় কম নয় বলেও মন্তব্য করেন। উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, হাঙ্গেরি থেকে চিকিৎসক এনে আমরা জোড়া শিশুর অপারেশন করেছি। সে সময় আমি দেখেছি বাচ্চাদের যখন এনেস্থিসিয়া দেওয়া হয়, তখন হাঙ্গেরির চিকিৎসকরা দিতে পারেননি, পেরেছেন দেশের চিকিৎসকরাই।

শনিবার (৯ মার্চ) সকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) এমডি-এমএস ফেইজে ভর্তিকৃত রেসিডেন্টদের ইনডাকশন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

ডা. সামন্ত লাল বলেন, আমাদের চিকিৎসকরা যে মেধাবী, তার অসংখ্য প্রমাণ রয়েছে। ভুটান থেকে রোগী এসে আমাদের এখানে চিকিৎসা নিচ্ছে। দেশ থেকে শুধু যে রোগী বাইরে যাচ্ছে এমন নয়, ভারত থেকে আমাদের দেশেও অনেক রোগী আসছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, যারা এখানে বসে আছেন, সবিনয়ে তাদের কাছে একটা কথা বলবো। আসুন আমরা চিকিৎসকদের মান-সম্মান এমন এক জায়গায় নিয়ে যাই যেন দেশের  মানুষ চিকিৎসকদের দেখলেই মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে যায়। তার জন্য প্রধান কাজ হলো ধৈর্য ধরে রোগীদের কথা শোনা, তাদের সময় দেওয়া এবং ধৈর্য ধরে তাদের চিকিৎসাসেবা দেওয়া।

মন্ত্রী বলেন, চিকিৎসকরাই হলো দেশের ভবিষ্যতের আসল কাণ্ডারি। ডাক্তার-রোগীর সম্পর্ক অনেক কিছুর উপর নির্ভর করে। শুধু ডাক্তারের উপরই নির্ভর করে না। হাসপাতালে ভালো চিকিৎসাসেবা দিতে গেলে হাসপাতাল পরিচালক, নার্স, ওয়ার্ডবয় ও পরিচ্ছন্নতাকর্মীসহ সবার উপরই নির্ভর করে। সবার সমন্বিত প্রয়াসেই চিকিৎসাসেবার সুনাম বৃদ্ধি করে।

তিনি বলেন, আমরা সময়মতো হাসপাতালে যাবো। মানুষের সেবায় নিজেকে উজাড় করে দেবো। আমাদের দেশের মানুষ, যারা হাসপাতালে আসে, তারা কিন্তু খুব বেশি কিছু চায় না। শুধু একটু গায়ে হাত দিয়ে কথা বলা, সুন্দর করে একটু কুশলাদি বিনিময় করলেই কিন্তু তারা খুশি হয়।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, রোগীরা সাধারণত রোগ থেকে মুক্তি পেতে অসহায়ের মতো চিকিৎসকের উপর নির্ভর করে। অনেক ক্ষেত্রে একজন চিকিৎসককে পিতা-মাতা-ভাই-বোনের স্থান দখল করতে হয়। চিকিৎসকরা চাইলেই রোগীদের সঙ্গে একটা সুসম্পর্ক তৈরি করতে পারেন। এতে করে রোগীর আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি পাবার পাশাপাশি ভালো চিকিৎসাসেবা প্রদান করা যাবে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশের বিশাল একটা জনসংখ্যা অল্পশিক্ষিত বা অশিক্ষিত। যখনই কেউ রোগে আক্রান্ত হয়, সামাজিক অবস্থা বিবেচনা করে চিকিৎসকের উচিত তাদের সক্ষমতা ও সীমাবদ্ধতার কথা রোগীকে জানানো এবং সে অনুযায়ী রোগীকে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করা।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ।


আরও খবর



রাফাহ’য় আশ্রয় শিবিরে হামলা, ১১ ফিলিস্তিনি নিহত

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ডের রাফাহ শহরে আশ্রয় শিবিরে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে কমপক্ষে ১১ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। হামলায় আরও অর্ধশত মানুষ আহত হয়েছেন। শনিবার (০৩ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

মূলত ইসরায়েলি হামলার কারণে রাফাহ শহরে লাখ লাখ বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি অবস্থান করছেন। অনেকে আশ্রয়কেন্দ্রে জায়গা না পেয়ে তাঁবু-নির্মিত অস্থায়ী এসব আশ্রয় শিবিরে থাকতে বাধ্য হচ্ছেন।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, রাফাহ শহরের তাল আস-সুলতানের আল-হেলাল আল-ইমিরাতি মাতৃত্ব হাসপাতালের প্রবেশপথের পাশে অবস্থিত তাঁবুতে শনিবারের ড্রোন হামলায় আরও অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন।

মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, হাসপাতালের প্যারামেডিক ইউনিটের প্রধান আবদেল ফাত্তাহ আবু মারহি শনিবারের এই হামলায় নিহত হয়েছেন এবং আহতদের মধ্যে শিশুরাও রয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।

ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ডের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গাজায় ইসরায়েলের আক্রমণের ফলে এখন পর্যন্ত ৩০ হাজার ৩২০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও ৭১ হাজারের বেশি মানুষ।


আরও খবর



সাকিবের বিএনএমে যোগ দেওয়া নিয়ে যা বললেন কাদের

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক সাকিব আল হাসান কিংস পার্টিতে যোগ দিতে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদের বাসায় গিয়েছিলেন। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের (বিএনএম) ফরম পূরণ করে হাফিজের কাছে জমা দিয়েছিলেন সাকিব। এমন একটি ছবি ও খবরে রাজনৈতি অঙ্গনে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, এ নিয়ে কোনো কিছু জানেন না তিনি। 

মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।

সাকিব আল হাসান পরবর্তীতে ইউটার্ন নিয়ে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে নৌকার টিকিট নিয়ে মাগুরা-১ আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হন।

সাকিব আল হাসান বিএনএমের সদস্য হয়ে আওয়ামী লীগ থেকে কীভাবে সংসদ সদস্য হয়েছেনএ বিষয়ে জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, সাকিব আওয়ামী লীগের টিকিটে মাগুরা থেকে ইলেকশন (নির্বাচন) করেছে, জয় লাভ করেছে। পার্টির কাছে নমিনেশন (মনোনয়ন) চাওয়ার সময় সে পার্টির সদস্য। তার আগে তো সাকিব আমাদের পার্টির কেউ ছিল না। নমিনেশন যখন নেয় তখন তাকে তো প্রাইমারি সদস্য পদ নিতে হয়। সে শর্ত পূরণ করা দরকার সেটা সে করেছে। সেভাবেই আমরা মনোনয়ন দিয়েছি। সে এমপি হয়েছে নির্বাচনে। আমি এই বিষয়ে আর কিছু জানি না।

নির্বাচনের আগে সরকার কিংস পার্টি তৈরি করেছে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, সরকারি দল কিংস পার্টি করতে যাবে কেন? নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনীতিতে অনেক ফুল ফুটে। কোনটা কিংস পার্টি, কোনটা প্রজা পার্টি এটা সম্পর্কে আমার জানা নেই। এটার (রাজনৈতিক দলের) রেজিস্ট্রেশন করে স্বাধীন নির্বাচন কমিশন। কোন দল কে রিকগনিশন (স্বীকৃতি) দেয় এটা নির্বাচন কমিশনের বিষয়। এখানে আমাদের কিছু বলার নেই।

জানা গেছে, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদের বাসায় গিয়ে কিংস পার্টিখ্যাত বিএনএমে যোগ দিয়েছিলেন ক্রিকেটার ও বর্তমানে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য সাকিব আল হাসান। নির্বাচনের আগে নতুন এ দলে যোগ দিতে মেজর হাফিজের হাতেই আবেদন ফরম তুলে দিয়েছিলেন ক্রিকেটের বিশ্বসেরা এ অলরাউন্ডার। এ ধরনের একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘুরপাক খাচ্ছে। ফলে ফের রাজনীতিতে আলোচনায় এসেছে কিংসপার্টি।

জানা গেছে, কিংস পার্টিখ্যাত বিএনএমে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ না দিলেও নতুন এই দল গঠনে নেপথ্যের ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ বীরবিক্রম। বহুল আলোচিত বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের (বিএনএম) জন্য নির্বাচন কমিশন থেকে আবেদন ফরম সংগ্রহ করিয়েছেন তিনি। এমনকি দলের নামটিও তার দেওয়া বলে দাবি করেছেন এর নেতারা।

শুধু তাই নয়, নতুন এ দলে যোগ দিতে মেজর হাফিজের হাতেই আবেদন ফরম তুলে দিয়েছিলেন ক্রিকেটের বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। মেজর হাফিজ বিষয়টি অস্বীকার করেন নি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান গণমাধ্যমকে বলেন, এইসব নিউজ পুরনো জিনিস নিয়ে কে আছে?  মন চাইলে করেন (নিউজ), না চাইলে না করেন।


আরও খবর



ওমরাহকারীদের যেসব জিনিস বহনে নিষেধাজ্ঞা দিলো সৌদি আরব

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ওমরাহ করতে আসা মুসল্লিদের নির্দিষ্ট কিছু জিনিস বহন না করার জন্য সতর্কতা দিয়েছে সৌদি আরব। দেশটির হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় বুধবার (২৭ মার্চ) নতুন করে নির্দেশনায় বলেছে, ওমরাহ করতে আসা কেউ সৌদিতে লেজার, আতশবাজি, নকল মুদ্রা এবং অনিবন্ধিত ওষুধ নিয়ে প্রবেশ করতে পারবেন না। এ ব্যাপারে হজ ও ওমরাজ মন্ত্রণালয় বলেছে, আল্লাহর মেহমানরা, সৌদিতে প্রবেশের আগে নিশ্চিত করুন আপনি এসব নিষিদ্ধ জিনিস বহন করছেন না।’

মক্কার পবিত্র কাবা শরীফে ওমরাহ করা হয়। হজ বছরে মাত্র একবার করা গেলেও; ওমরাহ করা যায় বছরের যে কোনো সময়। তবে পবিত্র রমজান মাস আসলে ওমরাহকারীর সংখ্যা অনেক বৃদ্ধি পায়। সৌদির বিভিন্ন অঞ্চল ছাড়াও অন্যান্য দেশ থেকে রমজানে হাজার হাজার মানুষ পবিত্র মক্কা নগরীতে যান।

ওমরাহ করার দুটি প্রধান শর্ত রয়েছে। সেগুলো হলো পবিত্র কাবাকে ঘিরে তাওয়াফ করা ও সাফাহ এবং মারওয়াহ পাহাড়ে সাতবার আসা-যাওয়া করা। এই পাহাড়গুলো কাবা শরীফের পূর্ব দিকে অবস্থিত। রমজানে মুসল্লিদের ভিড় বাড়ায় এবার রমজানে একজনকে শুধুমাত্র একবারই ওমরাহ করার অনুমতি দিচ্ছে সৌদি আরব। মূলত সব মুসল্লিকে ওমরাহ পালনের সুযোগ দিতে এবং ভিড় এড়াতে এমন উদ্যোগ নিয়েছে দেশটি।

গত ১১ মার্চ সৌদি আরবে রমজান মাস শুরু হয়। এরপর রমজানের প্রথম ১০দিনে এক কোটিরও বেশি মুসল্লি কাবা মসজিদে নামাজ আদায় করেন।


আরও খবর