আজঃ শনিবার ০৪ মে ২০২৪
শিরোনাম

মাদারীপুরে বর্ণিল আয়োজনে দৈনিক আজকের দর্পণের ৯ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

প্রকাশিত:শনিবার ২৩ সেপ্টেম্বর 20২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ২৩ সেপ্টেম্বর 20২৩ | অনলাইন সংস্করণ
মীর ইমরান, মাদারীপুর

Image

মাদারীপুর পালিত হলো দৈনিক আজকের দর্পণের ৯ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। বর্ণিল আয়োজনে মধ্য দিয়ে দৈনিক আজকের দর্পণ পত্রিকা ১০ম বছরে পদার্পন করলো। এ উপলক্ষে শুক্রবার বিকেলে মাদারীপুর প্রাণ কেন্দ্রের পানিছত্র চৌরাস্তা মাদারীপুর লিগাল এইড এসোসিয়েশন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের হল রুমে দৈনিক আজকের দর্পণ এর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন, দৈনিক আজকের দর্পণের মাদারীপুর জেলা প্রতিনিধি মীর মফিজুর ইসলাম ইমরান (মীর ইমরান)।

২২শে সেপ্টেম্বর শুক্রবার বৃষ্টি ভেজা সারা দিনের শেষে পরন্ত বিকেলে ৫টা ৪০ মিনিটের সময় আলোচনা সভা শুরু হয়। আলোচনার সভার ও দৈনিক আজকের দর্পণ এর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে মূল থিম ছিল "স্বাস্থ্য সচেতনতায় সাংবাদিকদের ভূমিকা" জুম্মা নামাজের পর থেকেই বিভিন্ন মিডিয়ায় কর্মরত সংবাদকর্মীগণ ও সংগঠনের ফুলের শুভেচ্ছা জানান দৈনিক আজকের দর্পণ পত্রিকার মাদারীপুর জেলা প্রতিনিধি মীর মফিজুর ইসলাম ইমরান (মীর ইমরান) কে। পরে উপস্থিত অতিথিদের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা শেষে সাত পাউন্ডের একটি কেক কেটে দৈনিক আজকের দর্পণের ৯ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করা হয়।

দৈনিক আজকের দর্পণের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে প্রধান অতিথি ছিলেন এ্যাডঃ মোঃ ওবায়দুল রহমান খান (কালু), চেয়ারম্যান মাদারীপুর সদর উপজেলা পরিষদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন মো: সাইফুল ইসলাম, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, মাদারীপুর উপজেলা ভূমি অফিস। মোঃ মীর মামুন উর রশীদ- সদস্য মাদারীপুর জেলা পরিষদ ও প্যানেল চেয়ারম্যান মাদারীপুর জেলা পরিষদ। মোঃ শফিক স্বপন- সাংবাদিক ও সাংগঠনিক ব্যক্তিত্ব।

দৈনিক আজকের দর্পণ এর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে মাদারীপুর জেলা তথ্য অফিসের সহযোগিতায় মাদকের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে এ স্লোগানকে সামনে রেখে একটি প্রামাণ্য চলচ্চিত্র প্রদর্শন করানো হয়। পাশাপাশি "স্থাস্থ্য বিষয়ে শিখনীয়" মাদারীপুর জেলা প‌রিবার প‌রিকল্পনার উদ্যোগে ভ্রাম্যমান চলচ্চিত্র প্রদর্শন করানো হয়।

দৈনিক আজকের দর্পণের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনে আরো উপস্থিত ছিলেন গাজী টিভির মাদারীপুর জেলা প্রতিনিধি মোঃ সিদ্দিকুর রহমান, একুশে টিভি মাদারীপুর জেলা প্রতিনিধি মোঃ নজরুল ইসলাম পলাশ, দৈনিক বর্তমান কথা এর মাদারীপুর জেলা প্রতিনিধি মোঃ মহসিন তালুকদার, দৈনিক প্রথম বেলার মাদারীপুর জেলা প্রতিনিধি মোঃ কামাল হোসেন, বাংলা টিভির মাদারীপুর জেলা প্রতিনিধি মোঃ তানভীর হোসেন, মোহনা টিভির মাদারীপুর জেলা প্রতিনিধি মোঃ আরিফুর রহমান, দৈনিক আজকের পত্রিকা মাদারীপুর জেলা প্রতিনিধি মোঃ এমদাদুল হক মিলন, দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ এর মাদারীপুর জেলা প্রতিনিধি মোঃ জসিম উদ্দিন (জসিম), দৈনিক লাখো কণ্ঠে এর মাদারীপুর জেলা প্রতিনিধি মোঃ রাকিবুল হাসান, মানবজমিনের রাজৈর প্রতিনিধি মোঃ আহসানুল হক লিমন, প্রথম আলো এর জেলা প্রতিনিধি অজয় কুন্ডু , আরো উপস্থিত ছিলেন আদর্শ কল্যাণ ফোরাম মাদারীপুর এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মোঃ এচকান্দার মাতুব্বর,দৈনিক আজকের দর্পণ এর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানে সঞ্চালনা করেন এশিয়ান টিভির প্রতিনিধি মোঃ সাইফুল ইসলাম নয়ন, দৈনিক আজকের দর্পণ পত্রিকার ৯ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন সুশীল সমাজ, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিবর্গসহ আরো অন্যন্যারা।

এসময় বিভিন্ন ক্যাটাগরির বিশেষ অবদান রাখায় ১৮ জন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিকে সম্মাননা প্রদান করে দৈনিক আজকের দর্পণের পক্ষ থেকে মাদারীপুর জেলা প্রতিনিধি মীর মফিজুর ইসলাম ইমরান (মীর ইমরান)। এরা হলেন দেশের প্রথম স্মার্ট উপজেলা হিসাবে ঘোষিত মাদারীপুর -১ আসনের সংসদ সদস্য জাতীয় সংসদের চীফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী লিটন এমপি, জেলা প্রশাসক, মাদারীপুর, মোহাম্মদ মারুফুর রশিদ খান, মাদারীপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুনির চৌধুরী, পুলিশ সুপার, মাদারীপুর, মোঃ মাসুদ আলম বিপিএম (বার) পিপিএম, উপ-সচিব, উপ-পরিচালক স্থানীয় সরকার.মো: নজরুল ইসলাম, মাদারীপুর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ্যাডঃ মোঃ ওবায়দুল রহমান খান (কালু), মাদারীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মাইনউদ্দিন, মাদারীপুর পৌর মেয়র মোঃ খালিদ হোসেন ইয়াদ, শিবচর উপজেলা প্রকৌশলী, কে এম রেজাউল করিম। দত্ত চিকিৎসা সেবায় বিশেষ অবদান রাখায় মোঃ ফারুক হাসান মল্লিক ,বিভিন্ন বিষয়ে বিশেষ অবদান রাখায়, মাদারীপুর জেলা সাংবাদিক সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মোঃ শফিক স্বপন, সাংবাদিকতা বিশেষ অবদানের জন্য খবরপত্র এর জেলা প্রতিনিধি দেবাশীষ অধিকারী,কাদিরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিএম আজাদুল ইসলাম মাসুম,শিবচরের , রোকেয়া মেমোরিয়াল হাসপাতাল ও ডায়গনস্টিক সেন্টার এর প্রতিষ্ঠাতা মোঃ বুলবুল আহমেদ, শিবচর উপজেলা কতুবপুর বাজারে শুকতারা বহুমুখী সমবায় সমিতি লিঃ এর প্রতিষ্ঠাতা মোঃ নজরুল ইসলাম, পদ্মা সেতুর দক্ষিণ পাশে নাওডোবা মোড়ে ফুট এক্সপ্রেস প্রতিষ্ঠাতা মোঃ তরিকুল, পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড, অতিরিক্ত প্রকল্প পরিচালক, মোঃ ইলিয়াস হাওলাদার।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন দৈনিক আজকের দর্পণ এর মাদারীপুরের প্রতিনিধি মীর মফিজুর ইসলাম ইমরান (মীর ইমরান) তিনি বলেন আগামীতে দৈনিক আজকের দর্পণ মাদারীপুর বাসীর হাতে হাতে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা চলছে , সকলের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।


আরও খবর



ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিল জ্যামাইকা

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ক্যারিবিয়ান দ্বীপরাষ্ট্র জ্যামাইকা। গাজায় ইসরায়েলের চলমান হামলা, নির্বিচারে মানুষ হত্যা এবং ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ক্রমবর্ধমান মানবিক সংকট নিয়ে চরম উদ্বেগের প্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত নিল দেশটি।

মঙ্গলবার জ্যামাইকার পররাষ্ট্র ও বৈদেশিক বাণিজ্যমন্ত্রী কামিনা জনসন স্মিথ এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। সূত্র : জ্যামাইকা অবজার্ভার এবং আলজাজিরা

জ্যামাইকার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জ্যামাইকা। সিদ্ধান্তটি জাতিসংঘ সনদের নীতিগুলোর প্রতি জ্যামাইকার দৃঢ় প্রতিশ্রুতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ, যা রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধা এবং শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের পাশাপাশি জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকারের স্বীকৃতি প্রদানকে সমর্থন করে।

জ্যামাইকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তার দেশ সামরিক পদক্ষেপের পরিবর্তে কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতের শান্তিপূর্ণ সমাধান’ দেখতে চায়।

উল্লেখ্য, জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলোর মধ্যে ১৪২তম দেশ হিসেবে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিল জ্যামাইকা।

গত মার্চের শেষ সপ্তাহে বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে এক বৈঠকের পর যৌথ ঘোষণায় ইউরোপের চার দেশ স্পেন, আয়ারল্যান্ড, স্লোভেনিয়া ও মাল্টার প্রধানমন্ত্রীরা জানান, তাদের দেশ স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে প্রস্তুত। তারা সে সময় বলেন, যুদ্ধকবলিত এ অঞ্চলে শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিতের একমাত্র উপায় এটি।


আরও খবর



তীব্র গরমে এসি ছাড়াই ঘর ঠান্ডা রাখতে পারেন যেসব উপায়ে

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

তীব্র গরমে জনজীবন বিপর্যস্ত। হিট অ্যালার্ট জারি হচ্ছে। এ অবস্থায় ঘরে ফিরেও স্বস্তি মিলছে না। একটু শীতলতার খোঁজে মানুষ। যাদের ঘরে এসি আছে, তারা না হয় কিছুটা আরাম পাচ্ছেন। কিন্তু যাদের ঘরে এসি নেই তারা কী করবেন? উপায় আছে। এসি ছাড়াও ঠান্ডা করা যায় ঘর।

১. খোলা জানালার সামনে ভেজা চাদর মেলে রাখতে পারেন। ঘরের ভেতর একটি ভেজা কাঁথা মেলে রাখার ব্যবস্থা করতে পারেন।

২. রাতে টিউবলাইটের পরিবর্তে ভালো মানের এলইডি লাইট ব্যবহার করুন। ঘরের আলো যতটা সম্ভব কমিয়ে রাখুন। ঘুমানোর আগে সম্ভব হলে সব আলো নিভিয়ে দিন। ঘরে আলোর পরিমাণ যত কম থাকবে, ঘর তত বেশি ঠান্ডা থাকবে।

৩. ঘরের পরিবেশ শীতল করার জন্য টেবিল ফ্যানের সামনে বাটি ভর্তি বরফ রাখুন। এছাড়া সিলিং ফ্যানের নিচে বালতি ভর্তি পানি রেখে দিতে পারেন।

৪. রাতে ঘুমানোর আগে ঘরের মেঝে ভেজা-ভেজা করে মুছে নিন। তবে ঘরের মেঝেতে গদি ব্যবহার করতে পারেন। সেক্ষেত্রে বিছানায় হালকা রঙের সুতির চাদর ব্যবহার করুন। সম্ভব হলে শীতলপাটিও ব্যবহার করতে পারেন।

৫. ঘরে বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা করুন। ভেন্টিলেটর নিয়মিত পরিষ্কার করুন।

৬. ঘরের ভেতর ইনডোর প্লান্ট রাখুন। গাছ কার্বন ডাই-অক্সাইড শুষে নেয়। এতে ঘরের তাপমাত্রা তুলনামূলক কমে। ঘরে মানি প্ল্যান্ট, অ্যালোভেরা, অ্যারিকা পাম-জাতীয় গাছ রাখতে পারেন। এগুলো একদিকে ঘরের শোভা যেমন বাড়ায়, অন্যদিকে তাপমাত্রাও নিয়ন্ত্রণ করে।

৭. এসময় তাপ উৎপাদনকারী যন্ত্রের ব্যবহার কমিয়ে আনুন। যেসব যন্ত্র এরকম তাপ উৎপন্ন করে সেগুলোর মধ্যে রয়েছে হেয়ার ড্রায়ার, ওয়াটার হিটার, ডিশ ওয়াশার এবং আয়রন।


আরও খবর
হিট স্ট্রোক হলে কী করবেন?

মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪




জয়পুরহাটে পানির দামে বিক্রি হচ্ছে দুধ!

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সুজন কুমার মন্ডল, জয়পুরহাট

Image

জয়পুরহাটের কালাইয়ে দুধের চাহিদা না থাকায় এক লিটার গরুর দুধ বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকায়। অথচ উপজেলার অনেক বাজারে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের এক লিটার বোতলজাত পানি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়। পানির দামে দুধ বিক্রি হওয়ায় উপজেলার শত শত দুগ্ধ খামারিরা দুঃচিন্তা ও হতাশায় ভুগছেন এবং আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।

কালাই প্রেসক্লাবের মাঠের সামনে সপ্তাহে পাঁচ দিন দুধের বাজার বসে। সেখানে শুক্রবার দুধ বিক্রি করতে আসা কয়েকজন খামারি ও কৃষকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, একজন খামারির ১০ লিটার দুধ উৎপাদনে একটি দুগ্ধবর্তী গাভীর জন্য ভুসি, খৈল, ঘাস, ভিটামিন, বিদ্যুৎ বিল, লবণ, মজুরি, চিকিৎসাসহ খরচ হয় প্রায় ৬০০ থেকে থেকে ৬৫০ টাকা। একজন কৃষকের ১০ লিটার দুধ উৎপাদনে খরচ হয় ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা। এক লিটার দুধ বিক্রি করে প্রায় ৩০ টাকা দুগ্ধ খামারির লোকসান হয় এবং একজন কৃষকের এক লিটার দুধ বিক্রি করে প্রায় ২০ টাকা লোকসান হচ্ছে।

দুধ বিক্রি করতে আসা কৃষক সোহেল, আনোয়ার, নুরনবীসহ আরও অনেকে জানান, সিন্ডিকেটের কারণে দুধের বাজার কমে যায়। তারা প্রশাসনের কাছে সহযোগিতা চান।

দুধ কিনতে আসা জাহিদুল, খন্দকার আরিফ, জামাল ও সোহরাব হোসেন জানান, কিছু দিন আগে ঈদুল ফিতরের সময় প্রচুর পরিমাণ দই ও মিষ্টি বিক্রি হওয়ার কারণে মানুষ দই, মিষ্টি কিনছে না। এ কারণে অল্প দিনের জন্য দুধের বাজার কম।

স্থানীয় খামারির মালিক আব্দুল আলিম সরকার ও শাহারুল জানান, দুধ বিক্রির জন্য নির্ধারিত ক্রয়কেন্দ্র প্রয়োজন। কিন্তু তাদের এখানে নেই। ক্রেতা না পেয়ে লোকসান করেই দুধ বিক্রি করতে হয়। সরকার যদি খামারিদের দিকে নজর না দেয়, তাহলে অনেকেই দুগ্ধ খামারির পেশা থেকে সরে আসবেন।

কালাই প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. হাসান আলী জানান, দুধের বাজার স্বাভাবিক রাখতে জয়পুরহাটে দ্রুতই দুধ সংগ্রহকেন্দ্র স্থাপন করা হবে। এতে করে খামারি ও কৃষকরা ন্যায্য দামে দুধ বিক্রি করতে পারবেন।


আরও খবর



জিবুতি উপকূলে নৌকাডুবি, ৩৮ অভিবাসনপ্রত্যাশীর মৃত্যু

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

পূর্ব আফ্রিকার দেশ জিবুতির উপকূলে নৌকাডুবিতে ৩৮ অভিবাসনপ্রত্যাশী ও শরণার্থীর মৃত্যু হয়েছে। এরই মধ্যে ভুক্তভোগীদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। জাতিসংঘের অভিবাসন সংস্থা এই তথ্য জানিয়েছে।

মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) এক এক্স বার্তায় সংস্থাটি জানায়, এখনো ছয়জন নিখোঁজ রয়েছেন। তাছাড়া উদ্ধার হওয়া ২২ জনকে সহযোগিতা করছে সংস্থার সদস্যরা।

আইওএম জানিয়েছে, ২০১৪ সালের পর পূর্বাঞ্চলীয় ওই পথে এক হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছেন বা নিখোঁজ হয়েছেন।

এর আগে রবিবার (৭ এপ্রিল) তিউনিশিয়ার উপকূল থেকে ১৩ অভিবাসনপ্রত্যাশীর মরদেহ উদ্ধার করে দেশটির কোস্টগার্ড। উপকূলের কাছে ভূমধ্যসাগরে বেশ কয়েকটি অভিযান চালিয়ে এসব মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

উত্তর আফ্রিকার দেশ তিউনিশিয়া থেকে সমুদ্র পাড়ি দিয়ে ইউরোপে পৌঁছানোর চেষ্টায় অভিবাসনপ্রত্যাশীদের হতাহতের ঘটনা নতুন নয়।

গ্রীষ্ম শুরুর এই সময়ে সাগরে অনুকূল পরিস্থিতির সুযোগে ইউরোপ মুখে যাত্রা করা নৌকার সংখ্যা বাড়ছে বলে জানিয়েছে তিউনিশিয়ার ন্যাশনাল গার্ড।


আরও খবর



যেভাবে অপহরণের ৪৮ ঘণ্টা কেটেছে ব্যাংক ম্যানেজারের

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

বান্দরবানের রুমা থেকে অপহৃত সোনালী ব্যাংক ম্যানেজার নেজাম উদ্দিন রাসেলকে উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৭টায় র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) ও নিরাপত্তা বাহিনী বিশেষ অভিযানে উদ্ধার করা হয়েছে। নেজামকে এরইমধ্যে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

শুক্রবার (৫ এপ্রিল) সকালে পার্বত্য জেলা পরিষদ মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‌্যা‌বের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক খন্দকার আল মঈন।

র‌্যাব এবং অপহৃত ম্যানেজার নেজামের দেওয়া তথ্য থেকে জানা যায়, ম্যানেজার নেজাম চাবি দিতে অস্বীকৃতি জানালে, সন্ত্রাসীরা ভোল্ট ভাঙতে চেষ্টা করে। ম্যানেজার তাদের জানায়, ভল্টে আঘাত করলে সেন্সরের মাধ্যমে তাৎক্ষণিক বিষয়টি সোনালী ব্যাংকের হেড অফিস জেনে যাবে। তখন তারা ম্যানেজার নেজাম উদ্দীনকে অপহরণ করে নিয়ে যায় এবং পাহাড়ি এলাকায় পৌঁছানোর পর তার চোখ বেঁধে ফেলে।

দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা তাকে পাহাড়ের ঝিরিপথে হাঁটিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় তার সঙ্গে ১০-১২ জন সশস্ত্র সন্ত্রাসী ছিল বলে র‍্যাবকে জানান নেজাম উদ্দীন। একপর্যায়ে সন্ত্রাসীরা তার চোখের বাঁধন খুলে দেয় এবং অন্ধকারে চলার জন্য তার হাতে একটি বাটন মোবাইল সেট ধরিয়ে দেয়। এভাবে প্রথম রাত কেটে যায়।

অপহরণের দ্বিতীয় দিন সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ম্যানেজারকে নাস্তা খেতে দেওয়া হয় এবং পায়ে হাঁটিয়ে পাহাড়ি ঝিরিতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে অপেক্ষমান ৩০-৩৫ জনের একটি দল ম্যানেজারকে কলা পাতায় করে গরম ভাত, ডাল ও ডিম ভাজি দিয়ে খেতে দেয়। সেখান থেকে হাঁটিয়ে অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়। নতুন অবস্থানে ম্যানেজারকে ১৫-২০ মিনিট বিশ্রাম নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়। সন্ধ্যা ৭ পর্যন্ত সেখানেই তাকে রাখা হয়। রাতে ম্যানেজারকে ডাল ও ডিম ভাজি দিয়ে সদ্য রান্না করা ভাত খেতে দেয়।

অপহৃত ব্যাংক ম্যানেজার নিজাম উদ্দিন সূত্রে জানা গেছে, অপহরণকারীরা নিজেদের মধ্যে বম ভাষায় কথা বললেও ম্যানেজারের সাথে কথা বলার সময় তারা শুদ্ধ বাংলা ভাষা ব্যবহার করতো।

সূত্র জানায়, ২-৩ জন সশস্ত্র সন্ত্রাসী নেজামকে সবসময় ঘিরে রাখতো। এছাড়া ১২-১৩ জনের একটি গ্রুপ তার আশেপাশে অবস্থান করতো। দ্বিতীয় দিন বুধবার রাত ৮ টার দিকে একটি মাচাং ঘরে (টং ঘর) কড়া সশস্ত্র প্রহরায় ম্যানেজারের রাতে ঘুমানোর ব্যবস্থা করা হয়। অপহরণের পর সন্ত্রাসীরা ম্যানেজার নেজামকে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের সুযোগ দেয় এবং তিনি যেন প্রশাসনিক বা আইনি সহায়তা না নেন, সে বিষয়ে পরিবারকে সতর্ক করা হয়।

পরিবারের সাথে অপহৃত ব্যাংক ম্যানেজারের ফোন কলের সূত্র ধরে বিশেষ প্রযুক্তির মাধ্যমে র‌্যাব তাদের অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হয়। এরপর শুরু হয় সন্ত্রাসীদের সাথে র‌্যাবের যোগাযোগ।

এদিকে বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) সকাল থেকে ব্যাংক ম্যানেজারের স্ত্রী মাইসুরা ইসফাত এবং তাদের পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা রুমা উপজেলায় অবস্থান করছিলেন। ব্যাংক ম্যানেজারকে উদ্ধারের পর ব্যাংক ম্যানেজারের সাথে তাদেরকেও র‌্যাবের একটি গাড়িতে চড়িয়ে রাত সোয়া ৯টার দিকে আসা হয় বান্দরবান জেলা সদরের মেঘলা এলাকায় অবস্থিত র‌্যাব ১৫ কার্যালয়ে।


আরও খবর