আজঃ মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

মা-মেয়েকে ধর্ষণের ঘটনায় ‘জিনের বাদশার’ যাবজ্জীবন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ নভেম্বর ২০২১ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ নভেম্বর ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image
সাজাপ্রাপ্ত ৩ জনই ‘জিনের বাদশা’ প্রতারক চক্রের সদস্য। তারা গুপ্তধন পাইয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে টাকা হাতিয়ে নেন এবং মা ও মেয়েকে ধর্ষণ করে

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে মা ও মেয়েকে ধর্ষণ মামলার রায়ে জিনের বাদশা প্রতারক চক্রের ৩ সদস্যকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১ লাখ করে টাকা জরিমানা করেছেন আদালত। এ ছাড়া এই মামলায় আদালত ২ জনকে খালাস দিয়েছেন।

মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) দুপুরে গাইবান্ধার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক মোহাম্মদ আবদুর রহমান এ রায় প্রদান করেন। রায় প্রদানের সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

সাজাপ্রাপ্ত ৩ আসামি হলেন, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার গোসাইপুর গ্রামের মমতাজ উদ্দিনের ছেলে বেলাল হোসেন (৪০), একই গ্রামের বদিউজ্জামানের ছেলে এমদাদুল হক (৪০) ও পার্শ্ববর্তী শ্যামপুর পার্বতীপুর গ্রামের দুদু মিয়ার ছেলে খাজা মিয়া (৩৮)।

খালাসপ্রাপ্তরা হলেন, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা আসাদুল ইসলাম (২৫) ও আজিজুল ইসলাম (৩৫)।

মঙ্গলবার বিকেলে রায় প্রদানের বিষয়টি নিশ্চিত করে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মহিবুল হক সরকার জানান, খাজা মিয়াকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা ছাড়াও তাকে আরও ৮ বছর কারাদণ্ড দেন আদালত।

তিনি আরও বলেন, সাজাপ্রাপ্ত ৩ জনই জিনের বাদশা প্রতারক চক্রের সদস্য। তারা গুপ্তধন পাইয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে টাকা হাতিয়ে নেন এবং মা ও মেয়েকে ধর্ষণ করে।

আইনজীবী মহিবুল হক সরকার মামলার বিবরণের বরাত দিয়ে জানান, দীর্ঘদিন আগে খাজা মিয়া গভীর রাতে জিনের বাদশার পরিচয় দিয়ে জামালপুর জেলার বাসিন্দা এক মা ও তার মেয়েকে ৩টি নম্বর থেকে ফোন দেয়। গুপ্তধন পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে তাদের কাছ থেকে ৪ দফায় বিকাশের মাধ্যমে প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। সর্বশেষ গুপ্তধন বুঝিয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ২০১৮ সালের ৬ মে দুপুরে ফোন দিয়ে মা ও মেয়েকে গোবিন্দগঞ্জে মাজারে আসতে বলেন। তাদের কথামত একই সালের ১১ মে তারা গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার দরবস্ত ইউনিয়নের বালুয়া বাজারে আসেন। জিনের বাদশা প্রতারক চক্রের সদস্যরা ওইদিন রাতেই তাদেরকে জনৈক এক মাজারে নিয়ে যাবার জন্য মোটরসাইকেলে তোলেন। তারপর ভোররাতে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে গিয়ে জ্বীনের বাদশা প্রতারক চক্রের সদস্যরা মা ও মেয়েকে পালা করে ধর্ষণ করে। পরে টাকা-পয়সা কেড়ে নিয়ে মা ও মেয়েকে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা শহরে নামিয়ে দিয়ে তারা পালিয়ে যায়। এই ঘটনায় ধর্ষণের শিকার মা বাদি হয়ে একই সালের ১২ মে অজ্ঞাত কয়েকজন আসামি করে গোবিন্দগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। পুলিশ মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে খাজা মিয়াকে গ্রেফতার করে। পরে গ্রেফতারকৃত খাজা মিয়ার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী বেলাল হোসেন ও এমদাদুল হককে গ্রেফতার করা হয়। পরে আসাদুল ও আজিজুলকে সন্দেহজনকভাবে গ্রেফতার করা হয়।

এদিকে আসামি পক্ষের আইনজীবী সিরাজুল ইসলাম বাবু বলেন, তারা এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাবেন।

নিউজ ট্যাগ: গাইবান্ধা

আরও খবর
দাম কমলো সোনার

মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪

হাইব্রিডে বিপ্লব এনেছে হীরা ধান

সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪




যৌনপল্লীতে বিক্রি করে দেওয়া দুই তরুণী উদ্ধার, আটক এক

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

ভালো বেতনের চাকরির প্রলোভনে ফরিদপুরের যৌনপল্লীতে বিক্রি করে দেওয়া দুই তরুণীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় পাচার চক্রের দুই নারী ও দুই যুবককে আসামি করে মামলা রুজু হয়। পরে পুলিশ পাচার চক্রের এক নারীকে গ্রেফতার করেছে।

বুধবার (২৭ মার্চ) রাতে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান ফরিদপুরের কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাসানুজ্জামান। গ্রেফতার পারুল বেগম ওরফে পারু (৪৮) আসাদ শেখের স্ত্রী ও রথখোলা যৌনপল্লীর বাসিন্দা। মামলার অন্য আসামিরা পলাতক রয়েছেন।

পুলিশ জানায়, পার্লারে ভালো বেতনের চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে চাঁদপুরের কচুয়া থানার কড়ইশ এলাকা থেকে ওই তরুণীকে গত ১০ মার্চ ঢাকায় নিয়ে আসেন আপন (৩০) নামে এক যুবক। এরপর দুইদিন ঢাকায় রেখে ১২ মার্চ তাকে ৩ জন ব্যক্তির হাতে তুলে দেন। এরপর তারা ওইদিন সন্ধ্যায় ফরিদপুরে এনে রথখোলার পারুর কাছে দেড় লাখ টাকায় বিক্রি করে দেন।

পরদিন একটি সাদা কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে পারু তাকে জানান, এখন থেকে তিনি রথখোলা যৌনপল্লীর লাইসেন্সধারী সদস্য। এরপর পারু তার বাসায় রেখে শহরের গোয়ালচামট খোদাবক্স রোডের বাসিন্দা ইলিয়াস কসাইয়ের স্ত্রী যৌনকর্মী সর্দারনী ববি (৩৮) ও অন্যান্যদের সহায়তায় তাকে জোরপূর্বক খরিদ্দারদের কাছে পাঠাতে থাকেন।

তবে মেয়েটি একজন খরিদ্দারকে তার ছোটবোনের মোবাইল নম্বর দেওয়ার পর ওই খরিদ্দার তার ছোটবোনকে ফোন করে মেয়েটিকে যৌনপল্লীতে আটকে রাখার বিষয়টি জানান। এ খবর পেয়ে মেয়েটির মা তার এক ফুফাতো ভাইকে সঙ্গে নিয়ে ২২ মার্চ তারিখ সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে রথখোলা যৌনপল্লীতে এসে তার মেয়েকে দেখতে পান। এরপর কোতোয়ালি থানা পুলিশের সহায়তায় তাকে উদ্ধার করা হয়।

এদিকে চাঁদপুরের মেয়েটিকে উদ্ধারের সময় চাকরির কথা বলে যৌনপল্লীতে বিক্রি করে দেওয়া ফেনীর পূর্ব ছাগলনাইয়ার আরেকটি মেয়ে পুলিশের কাছে সাহায্য চাইলে পুলিশ তাকেও উদ্ধার করে।

ফেনীর ওই মেয়েটি জানান, তাকে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে জহির (৩০) নামে এক যুবক ফেনী থেকে এনে প্রথমে ঢাকার মিরপুর এলাকায় অজ্ঞাতনামা বাসায় এক রাত রাখেন। পরে তাকে রথখোলা যৌনপল্লীতে এনে পারুর কাছে বিক্রি করে অর্থের বিনিময়ে যৌন ব্যবসা করান।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসানুজ্জামান বলেন, এ ঘটনায় চাঁদপুরের ওই মেয়েটির মা রথখোলা যৌনপল্লীর পারুল বেগম ওরফে পারু, আপন, জহির ও ববিকে আসামি করে কোতোয়ালি থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন। ওই এজাহারের ভিত্তিতে একটি মামলা রুজু করে উপপরিদর্শক (এসআই) ফাহিম ফয়সাল তরফদারকে মামলার তদন্তভার দেওয়া হয়।

ওসি জানান, উপপরিদর্শক (এসআই) ফাহিম ফয়সাল তরফদার অভিযান চালিয়ে ২৪ মার্চ মামলার মূল আসামি পারুল বেগম ওরফে পারুকে গ্রেফতার করেন। এ ঘটনায় মানবপাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে কোতোয়ালি থানায় একটি এফআইআর নং-৫৪ দায়ের করা হয়েছে। মামলার দুই আসামি আপন ও জহিরের পূর্ণাঙ্গ ঠিকানা পাওয়া যায়নি। তাদের অবস্থান শনাক্ত করতে পুলিশের তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।


আরও খবর



ইরানের সঙ্গে উত্তেজনার মধ্যেই পূর্ব লেবাননে হামলা ইসরায়েলের

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইরানের সঙ্গে উত্তেজনার মধ্যেই পূর্ব লেবাননে হিজবুল্লাহর শক্তিশালী অবস্থান লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। রবিবার (৭ এপ্রিল) ভোরের এ হামলায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

গত সপ্তাহে সিরিয়ায় ইরানের কনস্যুলেট মিসাইল হামলায় অন্তত ১৩ জন নিহত হওয়ার পর ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েছে। এমন অবস্থায় যেকোনো সময় ইরানের দিক থেকে হামলার আশঙ্কা করছে ইসরায়েল।

লেবাননের পূর্বে বালবেক অঞ্চলে সূত্রটি এএফপিকে জানিয়েছে, ইসরায়েলের হামলায় বেকা উপত্যকার দু’টি এলাকা, জান্তা এবং সিফ্রি লক্ষ্যস্থল করা হয়েছে।’

জান্তা সিরিয়ার সীমান্তের কাছাকাছি একটি শুষ্ক, পার্বত্য অঞ্চল এবং সিফ্রি বেকা উপত্যকার কেন্দ্রে রয়েছে। লেবাননের বেসামরিক প্রতিরক্ষা বিভাগের একটি সূত্র জানিয়েছে, হামলায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে বলেছে, রবিবার ভোরে ইসরায়েল পূর্ব লেবাননের বেকা উপত্যকায় বিমান হামলা চালিয়েছে বলে দেশটির দু’টি নিরাপত্তা সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে। লেবাননে একটি ইসরায়েলি ড্রোন ভূপাতিত করার কয়েক ঘণ্টা পর এ হামলার ঘটনা ঘটল।

ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস গত ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে হামলা চালানোর পরে গাজা যুদ্ধের শুরু থকে ইসরায়েল এবং হিজবুল্লাহ প্রায় প্রতিদিনই আন্তঃসীমান্ত গুলি বিনিময় করেছে। হিজবুল্লাহ সীমান্তের কাছাকাছি ইসরায়েলি অবস্থানগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করে, ইসরায়েল লেবাননের ভূখণ্ডের গভীরে গিয়ে ইসলামি গোষ্ঠীর কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে হামলা চালায়।

শনিবার সন্ধ্যায় হিজবুল্লাহ লেবাননের ভূখণ্ডে একটি ইসরায়েলি হার্মিস ৪৫০ ড্রোন ভূপাতিত করার ঘোষণা দেওয়ার পরে পূর্ব লেবাননে সর্বশেষ এই হামলা হয়।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী নিশ্চিত করেছে যে লেবানিজ আকাশসীমায় পরিচালিত একটি ড্রোনকে গুলি করে ভূপাতিত করা হয়েছিল’। এটি ভূমি থেকে আকাশে ছোঁড়া ক্ষেপণাস্ত্রের মাধ্যমে ভূপাতিত করা হয়। এটি লেবানন ভূখণ্ডে পতিত হয়।

শুক্রবার একটি টেলিভিশন ভাষণে হিজবুল্লাহ নেতা হাসান নাসরুল্লাহ বলেছেন, তার আন্দোলন এখনও তার প্রধান’ অস্ত্র ব্যবহার করেনি এবং পুনর্ব্যক্ত করেছেন যে, গাজার যুদ্ধ শেষ হলেই হিজবুল্লাহ তাদের আক্রমণ বন্ধ করবে।

এএফপির তথ্য অনুযায়ী, আন্তঃসীমান্ত যুদ্ধে লেবাননে কমপক্ষে ৩৪৯ জন নিহত হয়েছে, যাদের বেশিরভাগই হিজবুল্লাহ যোদ্ধা, তবে কমপক্ষে ৬৮ জন বেসামরিক নাগরিকও রয়েছেন।

যুদ্ধ দক্ষিণ লেবানন এবং উত্তর ইসরায়েলে কয়েক হাজার লোককে বাস্তুচ্যুত করেছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলেছে, তাদের ১০ সৈন্য এবং আটজন বেসামরিক লোক নিহত হয়েছে।


আরও খবর



ইসরায়েলি সেনারা এবার রাফায় অভিযানের প্রস্তুতি নিচ্ছে: নেতানিয়াহু

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইসরায়েলের সেনাবাহিনী ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার ঘনবসতিপূর্ণ রাফা শহরে ঢোকার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।

গাজায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের হাতে বন্দী ইসরায়েলি সেনাদের মুক্ত করা প্রসঙ্গে তাদের স্বজনদের এ কথা জানান নেতানিয়াহু। তিনি বলেন, একমাত্র সামরিক চাপই তাদের মুক্তি নিশ্চিত করবে।’

এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা গাজা উপত্যকার উত্তরাঞ্চল ও খান ইউনিস জয় করেছি। এবার দক্ষিণের রাফায় স্থল অভিযান শুরু হচ্ছে।’

এদিকে ইতিমধ্যে আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) অভিযোগ করেছে, গাজায় সামরিক অভিযান চালানোর মাধ্যমে সেখানে গণহত্যামূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে ইসরায়েল। পাশাপাশি দুটি নতুন পদক্ষেপ নেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন জাতিসংঘের এ সর্বোচ্চ আদালত।


আরও খবর



বাংলাদেশিকে গুলি করে মরদেহ নিয়ে গেল বিএসএফ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ফয়সাল আহম্মেদ, নওগাঁ প্রতিনিধি

Image

নওগাঁর পোরশা সীমান্তে বাংলাদেশি যুবককে গুলি করে হত্যার পর মরদেহ নিয়ে গেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। এছাড়া লালমনিরহাটের আদিতমারীর উপজেলার দুর্গাপুর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে এক যুবক আহত হয়েছেন।

গতকাল সোমবার রাতে আদিতমারীর দূর্গাপুর বিওপি সীমান্তের ৯২৩ নাম্বার পিলারের কাছে ভারতের ৭৫ গজ অভ্যন্তরে ও আজ মঙ্গলবার ভোরে পোরশা সীমান্তের-পিআর ৩১/১০ নং পিলারের কাছে সীমান্তের ওপারে ভারতীয় অংশে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত আলামিন পোরশার বিঞ্চুপুর এলাকার সিদ্দিক মিয়ার ছেলে। আহত লিটন (১৯) আদিতমারী উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের দীঘলটারী এলাকার মোকছেদুল রহমানের ছেলে।

লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য নবিকুল ইসলাম বলেন, দূর্গাপুর বিওপি সীমান্তের ৯২৩ নাম্বার পিলারের কাছে ভারতের ৭৫ গজ অভ্যন্তরে বিএসএফের গুলিতে লিটন নামে এক যুবক আহত হন। পরে তাকে আটক করে নিয়ে গেছে বিএসএফ।

এ দিকে সোমবার সঙ্গীদের নিয়ে গরু আনতে যান আলামিন। গরু নিয়ে ফেরার পথে পোরশা সীমান্তের-পিআর ৩১-১০ পিলারের কাছে দাল্লা সীমান্তের বিএসএফ সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালান। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান আলামিন। এরপর মরদেহ নিয়ে যান বিএসএফ সদস্যরা।

নওগাঁ-১৬ বিজিবির কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার মাহফুজুর রহমান বলেন, ভারতের অভ্যন্তরে একজন মারা গেছেন। এ ব্যাপারে পতাকা বৈঠকের জন্য বিএসএফকে চিঠি দেওয়া হবে।


আরও খবর



ইস্তাম্বুলে নাইটক্লাবে আগুন, নিহত বেড়ে ২৯

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

তুরস্কের বৃহত্তম শহর ইস্তাম্বুলের একটি নাইটক্লাবে আগুন লেগে কমপক্ষে ২৯ জন নিহত হয়েছে। এর আগে এ ঘটনায় ১৫ জন নিহত ও আরও ৮ জন আহত হয়েছে বলে জানানো হয়েছিল।

মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) ১৬ তলা আবাসিক ভবনের বেজমেন্টে অবস্থিত মাস্করাড নাইটক্লাবে আগুন লাগে। অগ্নিকাণ্ডের সময় নাইট ক্লাবটি বন্ধ ছিল এবং সেখানে সংস্কারকাজ চলছিল। পরে অগ্নিনির্বাপক কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে এবং হতাহতদের হাসপাতালে নিয়ে যায়।

এর আগে ইস্তাম্বুলের মেয়র একরেম ইমামোগ্লু বলেন, দিনে সংস্কারকাজ চলাকালীন নাইটক্লাবে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে ১৫ জন নিহত এবং ৮ জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে ৭ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

মেয়র একরেম ইমামোগ্লু আরও বলেন, আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। আহতদের কাছের হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। অগ্নিকাণ্ডের কারণ জানতে তদন্ত শুরু হয়েছে।


আরও খবর