আজঃ শনিবার ১৮ মে ২০২৪
শিরোনাম

লোভনীয় প্রস্তাবেও কর্মী মিলছে না ইউরোপে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৫ জুলাই ২০২২ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৫ জুলাই ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

শীর্ষস্থানীয় ইউরোপীয় বিভিন্ন হোটেল চেইন অভিজ্ঞতা ছাড়াই, এমনকি জীবনবৃত্তান্ত ছাড়াই কর্মীদের নিয়োগ দিচ্ছে। বছরের পর বছর ধরে কম বেতন দেওয়ায় কর্মীরা চাকরি ছেড়ে চলে যাচ্ছেন। পুরোনো কর্মীরা চলে যাওয়ায় করোনাভাইরাস মহামারি পরবর্তী ভ্রমণের চাহিদা মেটাতে পারছে না হোটেলগুলো। যে কারণে নতুন করে কর্মীর সংকটে পড়ে বিজ্ঞাপন দিয়ে অভিজ্ঞতা এবং জীবনবৃত্তান্ত ছাড়াই নিয়োগের প্রস্তাব দিচ্ছে।

ইউরোপের বৃহত্তম হোটেল কোম্পানি অ্যাকর (এসিসিপি.পিএ) এই পদ্ধতিতে জনবল নিয়োগের জন্য পরীক্ষামূলক উদ্যোগ শুরু করেছে। এসিসিপি.পিএর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) সেবাস্তিয়ান বাজিন বলেছেন, যারা আগে আতিথেয়তা শিল্পে কাজ করেননি, তাদেরও নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে।  বিশ্বের ১১০টিরও বেশি দেশে মারকিউর, ইবিস এবং ফেয়ারমন্টের মতো ব্র্যান্ডের হোটেল পরিচালনা করছে অ্যাকর। বিশ্বজুড়ে তাদের এই ব্যবসা পরিচালনার জন্য ৩৫ হাজার কর্মী প্রয়োজন। আমরা দশ দিন আগে লিয়ন এবং বোর্দোতে চেষ্টা করেছি। এই সপ্তাহে আমরা কোনও ধরনের জীবনবৃত্তান্ত, এমনকি চাকরির অভিজ্ঞতা নেই; এমন লোকজনের সাক্ষাৎকার নিচ্ছি। মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়।

সেবা সীমিত হয়ে পড়ায় অ্যাকর স্বল্পমেয়াদে ফ্রান্সে তরুণ এবং অভিবাসীদের নিয়োগ দিচ্ছে। তিনি বলেন, উত্তর আফ্রিকা থেকে শিক্ষার্থী এবং অন্যান্য লোকজন আসছে। বর্তমানে দুপুরের খাবারের জন্য রেস্তোরাঁ বন্ধ রাখা অথবা সপ্তাহে মাত্র পাঁচ দিন সেগুলো খোলা রাখা হচ্ছে। অন্য কোনও সমাধান নেই। নতুন নিয়োগপ্রাপ্তদের ছয় ঘণ্টার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এই সময় তাদের কী ধরনের কাজ করতে হবে; সেই বিষয়ে শেখানো হয়। কর্মী ঘাটতি বিশেষ করে স্পেন এবং পর্তুগালে হোটেল পরিচালনায় সংকট তৈরি করেছে। করোনাভাইরাস মহামারির আগে এই দুই দেশের অর্থনীতিতে পর্যটন খাতের অবদান ছিল যথাক্রমে ১৩ এবং ১৫ শতাংশ। কর্মী সংকট ভয়াবহ আকার ধারণ করায় দেশ দুটিতে হোটেল মালিকরা উচ্চ বেতন, বিনামূল্যে থাকার ব্যবস্থা, বোনাস এবং স্বাস্থ্য বীমার মতো সুযোগ-সুবিধার প্রস্তাব দিচ্ছে।

স্প্যানিশ হোটেল কোম্পানি মেলিয়ার (এমইএল.এমসি) সিইও গ্যাব্রিয়েল এসকারার মাদ্রিদে সাংবাদিকদের বলেছেন, অনেক কর্মচারী অন্য সেক্টরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ জন্য আমরা একেবারে প্রাথমিক স্তর থেকে এই শিল্পের শুরু করছি এবং মেধাবীদের পাওয়ার জন্য আমাদের বেগ পেতে হবে। কর্মীদের আকৃষ্ট করার জন্য তার কোম্পানি রিসোর্টের কাছাকাছি এলাকায় ভাড়া বাসার ঘাটতি দেখা দেওয়ায় হোটেল কক্ষেই কর্মীদের আবাসনের ব্যবস্থা করেছে বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে ছোট ছোট হোটেল মালিকরা একই ধরনের ব্যবস্থা করতে গিয়ে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে।

লিসবনের অন্যতম আইকনিক হোটেল হোটেল মুন্ডিয়াল। এই হোটেলের অপারেশন ডিরেক্টর বলেছেন, তারা বর্তমানে ৫৯ জন কর্মী নিয়োগের চেষ্টা করছে। পর্যাপ্ত কর্মী পাওয়া না গেলে কিছু হোটেলে অতিথির সংখ্যা এবং সুযোগ-সুবিধা কমিয়ে দেওয়া হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি। আমরা যদি নিয়োগ দিতে না পারি, তাহলে আমাদের পরিষেবায় কাটছাঁট করতে হবে। গত দুই বছর ধরে রাজস্ব আহরণ করতে না পারা একটি শিল্পের জন্য এটি দুঃখজনক এবং নাটকীয় ঘটনা। স্পেন এবং পর্তুগালে কর্মী সংকট ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। দেশ দুটির জাতীয় আতিথেয়তা সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, স্পেনের ক্যাটারিং শিল্পে ২ লাখ কর্মী ঘাটতি রয়েছে। এছাড়া পর্তুগিজ হোটেলগুলোতে ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে কমপক্ষে ১৫ হাজার কর্মী প্রয়োজন।

ক্যাটারিং সার্ভিস খাতের একটি সংস্থার কর্মকর্তা জোসে লুইস ইজুয়েল বলেছেন, এই সংকটের সমাধান অবশ্যই আরও বেশি মূল্য পরিশোধের মাধ্যমে করতে হবে। তবে লোভনীয় প্রস্তাবের মাধ্যমে কর্মীদের ফেরানোর চেষ্টাও চলছে। স্পেনের সরকারি তথ্য অনুযায়ী, দেশটির বার এবং রেস্তোরাঁগুলো এক বছর আগের তুলনায় প্রথম ত্রৈমাসিকে শ্রমিকদের মজুরি প্রায় ৬০ শতাংশ বাড়িয়েছে। কিন্তু পর্যটন শিল্প এখনও এমন খাত রয়ে গেছে, যেখানে কর্মীদের সবচেয়ে কম বেতন দেওয়া হয়। দেশটিতে একজন কর্মী প্রতি মাসে প্রায় এক হাজার ২০০ ডলার (বাংলাদেশি প্রায় ১ লাখ ১২ হাজার ১২৭ টাকার বেশি) মজুরি পান।

প্রতিবেশী পর্তুগালের কেন্দ্রীয় ব্যাংক এবং জাতীয় পরিসংখ্যান ইনস্টিটিউটের এক জরিপে বলা হয়েছে, আতিথেয়তা শিল্পের কর্মীদের বেতন চলতি বছর ৭ শতাংশ বৃদ্ধি করা হতে পারে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। তবে দেশটিতে বর্তমানে এই খাতের কর্মীরা ৮৮১ ইউরো বেতন পান; যা সর্বনিম্ন ৭০৫ ইউরোর কিছু বেশি।

বাজিন বলেছেন, হোটেলগুলোতে ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ পর্যটক হলেও কর্মী সংকট মোকাবিলা করতে পারবেন তারা। কিন্তু যখন পুরোপুরি হোটেল বুক হয়ে যাবে, তখন সেটি করা সম্ভব হবে না। সমস্যাটি হলো জুলাই এবং আগস্টের শেষ পর্যন্ত যখন হোটেলগুলো শতভাগ অতিথিতে পরিপূর্ণ থাকবে, তখন কী আমি সবাইকে সেবা দিতে পারবো? বাজিন বলেছেন, অতীতে এই শিল্পের কর্মীদের যথাযথ মজুরি অথবা জীবনমানের উন্নয়নে মনোযোগ দেওয়া হয়নি। আমরা অন্ধ হয়ে গেছি। আমরা অনেক মানুষের দিকে মনোযোগ দিতে পারিনি। সম্ভবত অনেক দিন ধরে কিছু মানুষকে কম বেতন দিচ্ছি। সুতরাং এটি জেগে ওঠার এক আহ্বান।

নিউজ ট্যাগ: করোনাভাইরাস

আরও খবর



চট্টগ্রামে পূর্ণাঙ্গ কৃষি সংস্কৃতি গড়ে তুলছে গ্রীন হার্ভেস্ট এগ্রো: আব্দুর রহমান

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

Image

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান এমপি বলেছেন, চট্টগ্রামে একটি পূর্ণাঙ্গ কৃষি সংস্কৃতি গড়ে তুলছে গ্রীন হার্ভেস্ট এগ্রো। নতুন প্রজন্ম যেভাবে দেশের প্রাণিসম্পদ খাতে এগিয়ে আসছে, তা খুবই আশাপ্রদ। শিক্ষিত তরুণরা যেন কেবল চাকরির পেছনে না ছুটে নিজে ও দেশকে স্বাবলম্বী করে তোলার জন্য উদ্যোগী হয়ে ওঠে, তার অনুপ্রেরণা যোগাচ্ছে এই খামার।

রবিবার (৫ মে) সকালে চট্টগ্রামের দুই নম্বর গেটস্থ মেয়র গলিতে অবস্থিত গ্রীন হার্ভেস্ট এগ্রো পরিদর্শনে এসে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। এসময় তাকে বরণ করে নেন এগ্রোর স্বত্বাধিকারী বোরহানুল হাসান চৌধুরী সালেহীন। তিনি এগ্রোর সবদিকে ঘুরিয়ে দেখান।  এগ্রোতে থাকা প্রাণীসমূহের পরিচর্যায় ব্যবহৃত খাবার ও অন্যান্য সামগ্রীগুলোর মান নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন মৎস্য মন্ত্রী। পরে গ্রীন হার্ভেস্ট এগ্রোর দুগ্ধজাত নানান পদের খাবারও মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রীর হাতে তুলে দেন বোরহানুল হাসান চৌধুরী সালেহীন।

তিনি বলেন, চট্টগ্রামের অন্যতম খ্যাতনামা পরিবারের সন্তান বোরহানুল হাসান চৌধুরী সালেহীন ইংল্যান্ড থেকে পড়াশোনা করেন। দেশে বড় বড় শিল্পে যোগ দিতে পারতেন। কিন্তু তিনি খামারী হয়ে উঠেছেন, তার জ্ঞান ও মেধাকে কৃষি ও পশুপালন ক্ষেত্রে কাজে লাগিয়ে দেশকে স্বাবলম্বী করে তোলার জন্য কাজ করছেন। পশুদের প্রতি তার প্রেম আমাকে মুগ্ধ করেছে। তার এ দৃষ্টান্ত দেশের তরুণদের অনুপ্রাণিত করবে। এতে দেশ উপকৃত হবে।

এগ্রোর স্বত্বাধিকারী বোরহানুল হাসান চৌধুরী সালেহীন বলেন, চট্টগ্রামসহ সারাদেশে তরুণরা বর্তমানে কৃষি ও পশুপালনে এগিয়ে আসছে। কিন্তু একটি পূর্ণাঙ্গ কৃষি সংস্কৃতি গড়ে না ওঠায় দেশবাসী ও খামারীরা এর সুফল পুরোপুরি পাচ্ছে না। গ্রীন হার্ভেস্ট এগ্রো এক্ষেত্রে সচেষ্ট। আমাদের খামার একইসাথে পশু মোটাতাজাকরণ এবং পুষ্টিগুণ ও মানসম্মত দুগ্ধজাত পণ্য তৈরিতে সমান গুরুত্ব আরোপ করেছে। চট্টগ্রামের নানান এতিমখানায় সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের পুষ্টি নিশ্চিত করতে বিনামূল্যে দুধ বিতরণ করছি আমরা।


আরও খবর



আচরণ বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ চেয়ারম্যান প্রার্থীকে শোকজ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মামুন হোসেন, পাবনা

Image

ঈশ্বরদী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আচরণ বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে আনারস প্রতিকের চেয়ারম্যান প্রার্থী এমদাদুল হক রানা সরদারকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও ঈশ্বরদী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার  আব্দুল্লাহ আল মামুন।

গত ১৪ মে রিটার্নিং অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন প্রেরিত কারণ দর্শানোর নোটিশ সূত্রে জানা যায়, আগামী ২৯ মে অনুষ্ঠিতব্য ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ঈশ্বরদীতে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন এমদাদুল হক রানা সরদার। গত ১৩ মে সকালে তাঁকে আনারস প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়। এই নির্বাচনে অন্য প্রতিদ্বন্দ্বি চেয়ারম্যান প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ মিন্টু ১৪ মে আচরণ বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে এমদাদুল হক রানা সরদারের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। তাঁর দাখিলকৃত অভিযোগপত্র ও অনলাইন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সূত্রে জানা যায় যে, ১৩ মে আনারস প্রতীকের সমর্থনে শোডাউন ও মিছিল করা হয়েছে যা উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা সুষ্ট লঙ্ঘনের সামিল।

নোটিশে নির্বাচন বিধিমালা, ২০১৬ এর ১১ (২) ও ১৩ (ক) ধারার লঙ্ঘনের অভিযোগে এমদাদুল হক রানা সরদারকে আগামী তিন দিনের মধ্যে প্রার্থীকে স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে কারণ দর্শানো পত্রের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

এ বিষয়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী এমদাদুল হক রানা সরদার বলেন, রিটার্নিং অফিসারের কারণ দর্শানোর চিঠি পেয়েছি। এ নিয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।


আরও খবর



গরুর দাম কোটি টাকা, কারণ 'বংশমর্যাদা'

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর আগারগাঁওয়ের পুরোনো বাণিজ্য মেলা মাঠে অনুষ্ঠিত প্রাণিসম্পদ মেলায় নানা জাতের গরু নিয়ে হাজির হয়েছিল সাদিক এগ্রো। এর মধ্যে আমেরিকার ব্রাহামা জাতের একটি গরুর দাম হাঁকানো হয় এক কোটি টাকা। ১ হাজার ৩০০ কেজি ওজনের গরুটি দেখতে ভিড় করেন দর্শনার্থীরা।

গরুর দাম এত বেশি কেন জানতে চাইলে প্রতিষ্ঠানটির মালিক ইমরান হোসেন বলেন, গরুটির বংশমর্যাদার জন্য দাম বেশি। এই গরুটার বাবা, দাদা, দাদার বাবার পরিচয় আছে।

মেলার আকর্ষণ রোজু নামের গরুটির রং সাদার ওপর হালকা কালো শেড ছাপ ছাপ, ছোট শিং, নাকে নথ। গলায় স্বর্ণের আদলে তৈরি চেইনের সঙ্গে লকেট। গরুটি প্রতিপালনে মাসে ২৫ হাজার টাকা খরচ হয় বলে জানান ইমরান হোসেন।

তিনি বলেন, গরুটার দাম এক কোটি চাওয়া হচ্ছে, এটার অনেক কারণ আছে। এক নম্বর হচ্ছে- এই গরুটার ১১০ বছরের পেডিগ্রি (বংশ পরম্পরা) আছে। আরেকটা বড় কারণ হচ্ছে, এই গরুটার বাবা ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়ন ব্লাড লাইন। এটা হচ্ছে আমেরিকান ভিয়েট ল্যাঞ্চের নোবেল সিরিজ, ওদের সবচেয়ে বেস্ট সিরিজ এটা। এই জাতের গরু কম খাদ্য খেয়ে দ্রুত বড় হতে পারে। মাংস কিংবা ওজনের চিন্তা করে না বরং এটা বংশমর্যাদাপূর্ণ গরু। এর জন্যই দাম বেশি। গরুটি প্রতিপালনে মাসে ২৫ হাজার টাকা খরচ হয় বলেও জানান ইমরান হোসেন।

সাদিক এগ্রোর মালিক আরও বলেন, মেলায় আমরা গরু, ছাগল, উট, দুম্বা, ভেড়াসহ অনেক প্রাণি নিয়ে এসেছি। শুধু যে বেচাকেনা করার জন্য এনেছি সেটি নয়, অনেক প্রাণি আছে মানুষ দেখেনি, তাই নিয়ে আসা। আজকে যেসব বাচ্চারা আসছে, এরা অনেকেই হয়তো উট দেখেনি, আজ দেখতে পারবে। আমরা মনে করি, এটা আমাদের মেলার একটা অর্জন। এই প্রাণিগুলোর সঙ্গে আগামী প্রজন্মকে পরিচয় করিয়ে দেওয়াটাও আমাদের একটা লক্ষ্য।

এ ছাড়া সাদিক এগ্রোর আরেক কর্মকর্তা সৌরভ জানান, মেলা উপলক্ষে প্রায় ২৫ থেকে ৩০টি গরু, ৪টি ছাগল, ৫টি দুম্বা, ৭টি ভুট্টি গরু মেলায় প্রদর্শন করছে। একেকটি দুম্বা ৪ লাখ করে আর ভুট্টি জাতের গরু ২ লাখ ৫০ হাজার থেকে তিন লাখ টাকা দাম চাওয়া হচ্ছে।


আরও খবর



কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যানকে ডিবিতে তলব

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান আলী আকবর খানকে আগামীকাল মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। তথ্য-উপাত্ত পেলে তাকে গ্রেপ্তার করা হতে পারে।

সোমবার (২২ এপ্রিল) বেলা ১২টায় রাজধানীর মিন্টো রোড ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, গতকাল চেয়ারম্যান আলী আকবর খানকে ওএসডি করা হয়েছে। মঙ্গলবার তাকে ডিবি অফিসে ডাকা হয়েছে, তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এতে তার সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে গ্রেপ্তার করা হবে। এছাড়া এ ঘটনায় যাদের নাম এসেছে সবাইকে পর্যায়ক্রমে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

গত ১ এপ্রিল কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের সনদ জালিয়াতির অভিযোগে প্রথমে গ্রেপ্তার হন সিস্টেম অ্যানালিস্ট প্রকৌশলী এ কে এম শামসুজ্জামান। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে একে একে উঠে আসে এ জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত বোর্ড সংশ্লিষ্ট অনেক ছোট-বড় কর্মকর্তা ও দেশের কয়েকটি কারিগরি স্কুল ও কলেজের প্রধান আর অধ্যক্ষদের নাম।

সবশেষ গত শনিবার শামসুজ্জামানকে জিজ্ঞাসাবাদের পর বোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রী শেহেলা পারভীনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে গ্রেপ্তারের পরদিন রোববার চেয়ারম্যানকে ওএসডি করে প্রজ্ঞাপন জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

ডিবি সূত্র জানিয়েছে, শামসুজ্জামানকে জিজ্ঞাসাবাদে শেহেলা পারভীনের নাম উঠে আসে। এছাড়া গত ৪ এপ্রিল এক সংবাদ সন্মেলনে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের লালবাগ বিভাগের ডিসি মশিউর রহমান শামসুজ্জামানকে জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে বলেন, সনদ বাণিজ্যের নানা প্রক্রিয়ায় তার কাছে গ্রাহক নিয়ে আসতেন দেশের আনাচে-কানাচে গড়ে ওঠা কারিগরি স্কুল ও কলেজের প্রধান শিক্ষক ও প্রিন্সিপালরা।

যেসব প্রধান শিক্ষক ও প্রিন্সিপাল মধ্যস্থতা করে গ্রাহক নিয়ে আসতেন, তাদের নামের দীর্ঘ তালিকা গোয়েন্দা পুলিশের হাতে এসেছে। এছাড়া বোর্ডের ছোট-বড় সব কর্তারাই সনদ বাণিজ্যের বিষয়ে জানতেন।


আরও খবর



ঘরে বসেই করা যাবে ডেঙ্গু পরীক্ষা, দাম পড়বে ১২০ টাকা

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
স্বাস্থ্য ডেস্ক

Image

ঘরে বসেই ডেঙ্গু শনাক্তের জন্য দেশেই তৈরি হচ্ছে ডেঙ্গু টেস্ট কিট। বাংলাদেশ রেফারেন্স ইনস্টিটিউট ফর কেমিক্যাল মেজারমেন্টস্-বিআরআইসিএম ডেঙ্গু র‍্যাপিড অ্যান্টিজেন কিটটি তৈরি করেছে। যা ডেঙ্গুর সব ধরনের সেরোটাইপ শনাক্ত করতে সক্ষম।

সংস্থাটি বলেছে, কোনো সরকারি বা বেসরকারি সংস্থার কাছ থেকে অর্ডার পেলেই তারা কিট উৎপাদন শুরু করতে পারে।

গত জানুয়ারিতে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর (ডিজিডিএ) কিটটির বাণিজ্যিক উৎপাদনের অনুমোদন দেয়।

ডিজিডিএর উপ-পরিচালক মো. আব্দুল মালেক জানান, সবকিছু যাচাই-বাছাই করার পর, আমরা বিআরআইসিএমকে ড্রাগ লাইসেন্স দিয়েছি। এই বছরের ১৫ জানুয়ারি থেকে কিট উৎপাদন শুরু করার অনুমোদন দিয়েছি।

বাংলাদেশ সরকারকে বৈদেশিক মুদ্রা খরচ করে বিদেশ থেকে বিপুল সংখ্যক টেস্ট কিট আমদানি করতে হয়। কর্মকর্তারা বলেছেন, যদি সরকারি হাসপাতালগুলো স্থানীয় পরীক্ষার কিট ব্যবহার করে তবে এটি ফরেক্সের ওপর চাপ কমিয়ে দেবে।

বিআরআইসিএম-এর মহাপরিচালক মালা খান জানান, ২০২১ সাল থেকে যখন দেশে ডেঙ্গু বাড়তে শুরু করে তখন থেকে আমরা কিট তৈরির কাজ করি। প্রোটোকলটি তৈরির পর ২০২২ সালের মার্চ মাসে এটি বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিল (বিএমআরসি) এর কাছে জমা দেই। পরে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ল্যাবরেটরি মেডিসিন অ্যান্ড রেফারেল সেন্টারে ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২৩ সালের আগস্ট মধ্যে কিটটির ক্লিনিকাল ট্রায়াল হয়। আমরা যে কিট তৈরি করেছি সব করসহ এর দাম হবে ১২০ টাকা, যা আমদানি করা কিটের চেয়ে সস্তা।

মালা খানের নেতৃত্বে মামুদুল হাসান রাজু, রাইসুল ইসলাম রাব্বি, জাবেদ বিন আহমেদ, খন্দকার শরীফ ইমাম, মো রাহাত, নাফিসা চৌধুরী এবং মো. সোহেলসহ একদল বিজ্ঞানী কিটটি তৈরি করেন। মালা বলেন, 'জিকা, চিকুনগুনিয়া এবং কোভিড-১৯ এর মতো অন্যান্য ধরনের ভাইরাসের সঙ্গে কিটটির কোনো ক্রস-রিয়েকশন নেই।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম জানান, এটি খুবই ভালো খবর। যে কোনো পণ্য কেনার জন্য আমাদের পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে। আমরা আমাদের স্থানীয় পণ্যের প্রচার করতে চাই। সবগুলো মানদণ্ড পূরণ হলে আমরা অবশ্যই কিটটি কিনব।


আরও খবর