আজঃ বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4
শিরোনাম

লোহাগড়ায় পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহককে হয়রানির প্রতিবাদে মানববন্ধন

প্রকাশিত:শনিবার ০২ সেপ্টেম্বর 2০২3 | হালনাগাদ:শনিবার ০২ সেপ্টেম্বর 2০২3 | অনলাইন সংস্করণ
এস এম সালাউদ্দিন, নড়াইল প্রতিনিধি

Image

নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার লক্ষীপাশা পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের লাইনম্যান ও কর্মকর্তারা কর্তৃক গ্রাহক হয়রানি এবং ঝিকিরা গ্রামের প্রতিবন্ধী খাইরুজ্জামানকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর হুমকির প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগী পরিবারের আয়োজনে শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে লোহাগড়া উপজেলার ঝিকিরা বাজার এলাকায় এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় বক্তব্য রাখেন-বাঁশগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক মেম্বার সেকেন্দার আলী, ব্যবসায়ী তহিদুর রহমান, ভুক্তভোগী মিজানুর রহমান, প্রতিবন্ধী খায়রুজ্জামান, জাহানারা বেগম, আলেয়া বেগমসহ অনেকে।

বক্তারা বলেন, যশোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর অধীন লক্ষীপাশা জোনাল অফিসের লাইনম্যান ও কর্মকর্তারা কোনো কারণ ছাড়াই গ্রাহকদের সীমাহীন হয়রানি করছেন। নতুন মিটার সংযোগ দিতে গেলে ৮ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা দাবি করেন তারা। মিটার ও লাইনে কোনো সমস্যা হলে ৫০০ টাকা না দিলে সেই সমস্যার সমাধান করা হয় না। অফিসে বসে ইচ্ছেমত মাসের বিল করেন। অতিরিক্ত বিল লেখেন। এছাড়া গ্রাহকরা লাইনম্যান ও কর্মকর্তাদের কাছে কোনো সমস্যার কথা বলতে গেলে উল্টোপাল্টা কথা বলেন। হঠাৎ করে গ্রাহকদের ওপর ক্ষেপে যান।

এরই ধারাবাহিকতায় গত ৩১ আগস্ট দুপুরে ঝিকিরা গ্রামের ভুক্তভোগী প্রতিবন্ধী খাইরুজ্জামানের বাড়ির বিদ্যুৎ লাইন ঠিক করতে এসে ৫০০ টাকা দাবি করেন দুজন লাইনম্যান। এ টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে খাইরুজ্জামানের সঙ্গে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন ওই লাইনম্যানরা। বিদ্যুৎ অফিসে ফোন দিয়ে লক্ষীপাশা জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) এটিএম তারিকুল ইসলামসহ আরো লোকজন জড়ো করেন তারা। এক পর্যায়ে বিদ্যুত অফিসের লোকজন খাইরুজ্জামানের বিদ্যুতের মিটার খুলে নিয়ে যায়। এছাড়া তাকে মিথ্যা মামলার ফাঁসানোর হুমকি দেয়। এছাড়া তার বড় ভাই রবিউল ইসলামের বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করার পর ওইদিন রাত সাড়ে ১০টায় আবার সংযোগ দেয়া হয়েছে।

প্রতিবন্ধী খাইরুজ্জামান বলেন, ৫০০ টাকা পরিশোধ না করায় আমার বাড়ির বিদ্যুৎ লাইনের সমস্যার সমাধান না করে উল্টো মিটার খুলে নিয়ে গেছে। বিদ্যুৎ লাইনের লুস সংযোগ ঠিক করতে বলাই আমার কাছে ৫০০ টাকা দাবি করা হয়। গত দুদিন ধরে বাড়িতে বিদ্যুত না থাকায় আমার ১০৫ বছর বয়সী বৃদ্ধ বাবাসহ পরিবারের লোকজন অনেক কষ্টে দিনযাপন করছেন। ফ্রিজের মালামাল নষ্ট হয়ে গেছে। 

এসব অভিযোগের বিষয়ে পল্লী বিদ্যুত লক্ষীপাশা জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) এটিএম তারিকুল ইসলাম বলেন, গ্রাহক খাইরুজ্জামান বিদ্যুত অফিসের লোকজনের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছেন। লাইনম্যানদের গায়ে হাত তুলেছেন। আর লাইনম্যানরা টাকা চাইলে অফিসে অভিযোগ করতে পারতেন। তাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করতে হবে কেন?

যশোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) আব্দুল লতিফ বলেন, গ্রাহকের সমস্যা হলে টাকা দাবি করার কোনো সুযোগ নেই। গ্রাহক খাইরুজ্জামানসহ ভুক্তভোগীদের এসব অভিযোগের বিষয়ে খোঁজ খবর নেয়া হচ্ছে।


আরও খবর



চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা উঠল ৪১ দশমিক ৩ ডিগ্রিতে

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

Image

তীব্র তাপপ্রবাহে পুড়ছে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সীমান্তবর্তী জেলা চুয়াডাঙ্গা। তীব্র গরমে নাভিশ্বাস উঠছে জনপদে। মানুষের পাশাপাশি হাঁসফাঁস অবস্থা পশু-পাখিরও। ঘরে-বাইরে কোথাও স্বস্তি নেই রোদ আর গরমে। প্রখর রোদে পথ-ঘাট সবকিছুই উত্তপ্ত। রোদে অতিপ্রয়োজন ছাড়া কেউ বাইরে বের হচ্ছেন না।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় চুয়াডাঙ্গায় ৪১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। বাতাসে আদ্রতা ছিল ১৭ শতাংশ। যা চলতি মৌসুমে জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।

এর আগে বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) চুয়াডাঙ্গায় ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি, বুধবার (১৭ এপ্রিল) ৪০ দশমিক ৮ ডিগ্রি ও মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল। যা ছিল সারা দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।

এদিকে দেশের ওপর দিয়ে চলমান তাপপ্রবাহ শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে বলে সতর্কবার্তা জারি করেছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। এছাড়া তাপমাত্রা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে। জলীয়বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বৃদ্ধি পেতে পারে বলেও জানায় সংস্থাটি।

চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান বলেন, শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় চুয়াডাঙ্গায় ৪১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। জেলার ওপর দিতে তীব্র তাপ প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। বৃষ্টির তেমন আভাস নেই। তাপমাত্রা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে। এটি দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা কিনা তা সন্ধ্যা ৬টায় নিশ্চিত হওয়া যাবে।


আরও খবর



৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা শুরু

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

শুরু হয়েছে ৪৬তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষা। ২০০ নম্বরের এ পরীক্ষা আজ শুক্রবার সকাল ১০টায় শুরু হয়, যা চলবে দুপুর ১২টা পর্যন্ত।

দেশের আট বিভাগীয় শহরে একযোগে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

গত ৯ মার্চ ৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা নেওয়ার কথা থাকলেও সিটি করপোরেশন নির্বাচনের কারণে তারিখ পরিবর্তন করা হয়।

বিভাগীয় শহর ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, রংপুর ও ময়মনসিংহে মোট তিন লাখ ৩৮ হাজার প্রার্থী প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন।

২০২৩ সালের ৩০ নভেম্বর ৪৬তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এ বিসিএসে তিন হাজার ১৪০ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। সবচেয়ে বেশি নেওয়া হবে স্বাস্থ্য ক্যাডারে। এতে সহকারী সার্জন নেওয়া হবে এক হাজার ৬৮২ জন, আর সহকারী ডেন্টাল সার্জন নেওয়া হবে ১৬ জন।

শিক্ষা ক্যাডারে ৫২০, প্রশাসন ক্যাডারে ২৭৪, পররাষ্ট্রে ১০, পুলিশে ৮০, আনসারে ১৪, মৎস্যে ২৬ ও গণপূর্তে ৬৫ জন নেওয়া হবে।

প্রিলিমিনারি পরীক্ষা পেছানোয় যে ক্ষতি হয়েছে, তা পুষিয়ে নিতে দ্রুত সময়ের মধ্যে ফল প্রকাশ ও লিখিত পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)।


আরও খবর



ব্যাংকক পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের আমন্ত্রণে ছয় দিনের সরকারি সফরে স্থানীয় সময় বুধবার দুপুর ১টা ০৮ মিনিটের দিকে ব্যাংকক পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এ সময় ব্যাংককের ডন মুয়াং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে থাই উপপ্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনুতিন চার্নভিরাকুল তাকে স্বাগত জানান। বিমানবন্দরে তাকে স্ট্যাটিক গার্ড অব অনার এবং ১৯ বার গান স্যালুট দেওয়া হয়।

থাইল্যান্ডের মিনিস্টার ইন অ্যাটেনডেন্স পুয়াংপেত চুনলাইয়েদ, বাংলাদেশে থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত মাকাওয়াদি সুমিতমোর এবং থাইল্যান্ডে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবদুল হাই বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে, প্রধানমন্ত্রী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে সকাল ১০টা ১৩ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেন।

১৯৭২ সালে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের পর এই প্রথম বাংলাদেশ থেকে থাইল্যান্ডে সরকারের শীর্ষ পর্যায়ে সফর। ২৪ থেকে ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত সফরকালে থাভিসিনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী এবং জাতিসংঘের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (এসকাপ) ৮০তম অধিবেশনে যোগ দেবেন।


আরও খবর



ঈদযাত্রার ১৫ দিনে সড়কে ঝরল ৪০৭ প্রাণ

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

ঈদ এলেই সড়কে দুর্ঘটনা বেড়ে যায়। এবারও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। সদ্য বিদায়ী ঈদে মানুষের যাতায়াতে ৩৯৯টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। এতে ৪০৭ জন মানুষ নিহত হয়েছেন এবং ১ হাজার ৩৯৮ জন আহত হয়েছেন।

এ সময়ে রেলপথে ১৮টি দুর্ঘটনায় ২৪ জন নিহত, ২১ জন আহত হয়েছেন। নৌ-পথে ২টি দুর্ঘটনায় ৭ জন নিহত, ৫ জন আহত হয়েছেন। সড়ক, রেল ও নৌ পথে সর্বমোট ৪১৯টি দুর্ঘটনায় জন ৪৩৮ নিহত ও ১ হাজার ৪২৪ জন আহত হয়েছেন।

শনিবার (২০ এপ্রিল) ঢাকা রিপোর্টর্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক চৌধুরীর এসব তথ্য জানান। সংগঠনটি ঈদযাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষ্যে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।

লিখিত বক্তব্যে মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, ঈদযাত্রা শুরুর দিন ৪ এপ্রিল থেকে ঈদ শেষে কর্মস্থলে ফেরা ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত বিগত ১৫ দিনে ৩৯৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪০৭ জন নিহত ১ হাজার ৩৯৮ জন আহত হয়েছে। গত ২০২৩ সালের ঈদুল ফিতরে ৩০৪টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩২৮ জন নিহত ও ৫৬৫ জন আহত হয়েছিল। বিগত বছরের সঙ্গে তুলনা করলে এবারের ঈদে সড়ক দুর্ঘটনা ৩১.২৫ শতাংশ, প্রাণহানি ২৪.০৮ শতাংশ, আহত ১৪৭.৪৩ শতাংশ বেড়েছে।

প্রতিবেদনে দেখা যায়, বরাবরের মতো এবারও দুর্ঘটনার শীর্ষে রয়েছে মোটরসাইকেল। এবারের ঈদে ১৯৮টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৬৫ জন নিহত ও ২৪০ জন আহত হয়েছেন। যা মোট সড়ক দুর্ঘটনার ৪৯.৬২ শতাংশ, নিহতের ৪০.৫৪ শতাংশ এবং আহতের ৩০.৩৭ শতাংশ প্রায়। বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির সড়ক দুর্ঘটনা মনিটরিং সেলের সদস্যরা বহুল প্রচারিত ও বিশ্বাসযোগ্য জাতীয়ও আঞ্চলিক বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের পাশাপাশি জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন কেন্দ্র (পঙ্গু হাসপাতালে) সড়ক দুর্ঘটনায় আহত। ৬৫৮ জনের মধ্যে যাচাই-বাছাই করে ৬০৮ জন আহত রোগীর তথ্য নিয়ে এ প্রতিবেদন তৈরি করে।

মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, সড়ক, রেল ও নৌ-পথে গত ১৫ বছরে ধারাবাহিক উন্নয়নের ফলে অবকাঠামো ভালো হওয়ায় যানবাহনের গতি বেড়েছে। গতিকে নিরাপদ করার মতো আইনি কাঠামো, দক্ষ চালক, মানসম্মত যানবাহনের অভাব রয়েছে। আইন প্রয়োগে দুর্নীতির কারণে জাতীয় মহাসড়কে ফিটনেসবিহীন যানবাহন, নিষিদ্ধ ত্রি-হুইলার, ইজিবাইকের মতো যানবাহন অবাধে চলছে। এছাড়াও ছোট ছোট যানবাহন মোটরসাইকেল, অটোরিকশা, ইজিবাইকের অস্বাভাবিকহারে বেড়ে যাওয়ার কারণে সড়কে বিশৃঙ্খলার পাশাপাশি পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সড়ক দুর্ঘটনা। তিনি মোটরসাইকেল ও ইজিবাইকের আমদানি বন্ধ করে দেশব্যাপী উন্নতমানের আধুনিক বাস নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি। ফিটনেস বিহীন যানবাহন চলাচল বন্ধ করা, পণ্যবাহী যানবাহনে যাত্রী পরিবহন ঠেকানো, আইন প্রয়োগে অনিয়ম ও দুর্নীতি বন্ধে ডিজিটাল পদ্ধতি প্রয়োগ, চালকের বেতন ও কর্মঘণ্টা সুনির্দিষ্ট করা, অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্য বন্ধ করা, সড়কে চাঁদাবাজি বন্ধে গণপরিবহনগুলোতে নগন অর্থ বন্ধ করে ডিজিটাল লেনদেন চালুর দাবি জানাচ্ছি।

সংগঠনটি দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছে দেশের সড়ক-মহাসড়কে মোটরসাইকেলের অবাধ চলাচল; জাতীয় মহাসড়কে রোড সাইন বা রোড মার্কিং, সড়কবাতি না থাকায় হঠাৎ ঈদে যাতায়াতকারী ব্যক্তিগত যানের চালকদের রাতে এসব জাতীয় সড়কে ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চালানো; জাতীয়, আঞ্চলিক ও ফিডার রোডে টার্নিং চিহ্ন না থাকার ফলে নতুন চালকের এসব সড়কে দুর্ঘটনায় পতিত হয়েছে; মহাসড়কের নির্মাণ ত্রুটি, যানবাহনের ত্রুটি, ট্র্যাফিক আইন অমান্য করার প্রবণতা; উল্টোপথে যানবাহন চালানো, সড়কে চাঁদাবাজি, পণ্যবাহী যানে যাত্রী পরিবহন এবং অদক্ষ চালক, ফিটনেসবিহীন যানবাহন, অতিরিক্ত যাত্রী বহন, বেপরোয়া যানবাহন চালানো এবং একজন চালক অতিরিক্ত সময় ধরে যানবাহন চালানো।

দুর্ঘটনার প্রতিরোধে সুপারিশগুলো হচ্ছে জরুরি ভিত্তিতে মোটরসাইকেল ও ইজিবাইক আমদানি ও নিবন্ধন বন্ধ করা; জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কে রাতের বেলায় অবাধে চলাচলের জন্য আলোকসজ্জার ব্যবস্থা করা; দক্ষ চালক তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ, যানবাহনের ডিজিটাল পদ্ধতিতে ফিটনেস প্রদান; ধীরগতির যান ও দ্রুতগতির যানের জন্য আলাদা লেনের ব্যবস্থা করা; সড়কে চাঁদাবাজি বন্ধ করা, চালকদের বেতন ও কর্মঘণ্টা সুনিশ্চিত করা; মহাসড়কে ফুটপাত ও পথচারী পারাপারের ব্যবস্থা রাখা, রোড সাইন, রোড মার্কিং স্থাপন করা; সড়ক পরিবহন আইন যথাযথভাবে ডিজিটাল পদ্ধতিতে প্রয়োগ করা; উন্নতমানের আধুনিক বাস নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা, নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিআরটিএর সক্ষমতা বৃদ্ধি করা; মানসম্মত সড়ক নির্মাণ ও মেরামত সুনিশ্চিত করা, নিয়মিত রোড সেইফটি অডিট করা এবং মেয়াদোত্তীর্ণ গণপরিবহন ও দীর্ঘদিন যাবৎ ফিটনেসহীন যানবাহন স্ক্র্যাপ করার উদ্যোগ নেওয়া।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য লুৎফুরদ্রোচ্ছা খান, গণপরিবহন বিশেষজ্ঞ আব্দুল হক, যাত্রী কল্যাণ সমিতির সহ-সভাপতি তাওহীদুল হক লিটন, যুগ্ম মহাসচিব মনিরুল হক, প্রচার সম্পাদক মাহমুদুল হাসান রাসেল, মো. মহসিন প্রমুখ।


আরও খবর



টাইমস হায়ার র‌্যাংকিং

এশিয়ার সেরা ৩০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় নেই বাংলাদেশ

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

টাইমস হায়ার এডুকেশন এশিয়া ইউনিভার্সিটি র‍্যাঙ্কিং ২০২৪-এ এশিয়ার সেরা ৩০০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বাংলাদেশের কোনো উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম আসেনি।

যুক্তরাজ্যভিত্তিক টাইমস হায়ার এডুকেশন মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) তাদের ওয়েবসাইটে এই র‍্যাঙ্কিং প্রকাশ করেছে। গতবার এশিয়ার সেরা ২০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ১৮৬ তম এবং ১৯২তম স্থান অর্জন করে দ্বিতীয় স্থানে ছিল নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়।

তালিকায় ৩০১-৩৫০ এর মধ্যে স্থান করে নিয়ে যৌথভাবে দেশসেরা হয়েছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি)। অন্যদিকে, গতবার তালিকায় ১৮৬তম স্থানে অবস্থান করে দেশসেরা হয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি)। এরপর ১৯২তম স্থান অর্জন করে দ্বিতীয় স্থানে ছিল নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়।

কিন্তু এবার তাদের র‍্যাঙ্কিংয়ে পতন হয়েছে দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের। এবার নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় তালিকায় ৩৫১-৪০০ এর মধ্যে এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ৪০১-৫০০ এর মধ্যে অবস্থান করছে। এশিয়ার ৩১টি দেশের মোট ৭৩৯টি বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে এবারের র‍্যাঙ্কিং করা হয়েছে।

এবারের র‍্যাঙ্কিংয়ে এশিয়ার সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ে টানা চতুর্থ বারের মতো শীর্ষে আছে চীনের সিংহুয়া এবং পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেরা দশের মধ্যে চীনের ৫টি, হংকং ও সিঙ্গাপুরের ২টি করে এবং জাপানের একটি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে।

এবার র‍্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের ২১টি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থান হয়েছে। যা গতবার ছিল ১৫টি। ৩০১-৩৫০ এর মধ্যে স্থান করে নিয়ে যৌথভাবে দেশসেরা হয়েছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি)। এরপর ৩৫১-৪০০ এর মধ্যে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে।

৪০১-৫০০ এর মধ্যে অবস্থান করছে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। আর ৫০১-৬০০ এর মধ্যে অবস্থান করছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ও শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।

তাছাড়া তালিকায় আরও ১২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থান হলেও তাদের র‍্যাঙ্কিং প্রকাশ করা হয়নি। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি-বাংলাদেশ; বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়; ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি; ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি; ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ; ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এগ্রিকালচার এন্ড টেকনোলজি; যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়; খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়; ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি; ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ; বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় ও ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ।


আরও খবর