আজঃ সোমবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

লোগো পদ্ধতি ধান চাষে ফলন বাড়ে

প্রকাশিত:সোমবার ২৩ জানুয়ারী 20২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৩ জানুয়ারী 20২৩ | অনলাইন সংস্করণ
কৃষি ডেস্ক

Image

লোগো পদ্ধতি ধান চাষের নতুন একটি প্রযুক্তি। এ পদ্ধতিতে ধান চাষ করলে পোকামাকড়ের আক্রমণ কমে যায়, আগাছা দমন হয় ও সঠিকভাবে সার প্রয়োগ করতে সহজ হয়। পাশাপাশি ধানের ফলনও বাড়ে বলে জানিয়েছে কৃষি তথ্য সার্ভিস।

লোগো পদ্ধতি কী: ধানের চারা রোপণের সময় প্রতি ১০ সারির পরে একটি সারি বাদ দেওয়া বা ফাঁকা রাখাই হলো লোগো পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে প্রতি ১০ সারি পরে ১২-১৬ ইঞ্চি ফাঁকা রাখা উত্তম। ধানের চারা রোপণের সময় প্রতি ১০ সারির পরে একটি লাইনে ধানের চারা লাগানো বাদ রেখে অন্য লাইনে চারা লাগাতে হবে। এই পদ্ধতিতে সম্পূর্ণ জমিতে ধানের চারা রোপণ শেষ করতে হবে।

লোগো পদ্ধতির সুবিধা

১. বাদামি ঘাসফড়িং ও মাজরা পোকা ধান গাছে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করে থাকে। ছায়াযুক্ত স্থানে সাধারণত এ ধরনের পোকার আক্রমণ বেশি হয়ে থাকে। লোগো পদ্ধতিতে ধান চাষ করলে ধান গাছ পর্যাপ্ত আলো ও বাতাস পাওয়ায় পোকার আক্রমণ কমে যায়, বিশেষ করে বাদামি ঘাসফড়িংয়ের আক্রমণ কমে যায়।

২. জমিতে এ পদ্ধতি ব্যবহারের ফলে আগাছা দমন, সঠিকভাবে সার প্রয়োগসহ ইত্যাদি পরিচর্যা অনেকটাই সহজ হয়ে যায়। এছাড়া আগাছা পরিষ্কারের সময় লোগোর লাইনে বা সারিতে তা পুঁতে রাখলে ভালো জৈব সার হয়। ৩. এই ধরনের জমিতে ইঁদুরের আক্রমণ কম হয়ে থাকে। ৪. সঠিকভাবে চাষ করলে বিঘা প্রতি ফলন চার থেকে পাঁচ মণ বাড়তে পারে।

এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে নিকটস্থ উপজেলা কৃষি কার্যালয় বা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। এছাড়া সরকারি কৃষি কল সেন্টার (১৬১২৩) নম্বরে ফোন করে তথ্য জানার জন্য পরামর্শ দিয়েছে কৃষি তথ্য সার্ভিস।


আরও খবর



ধামরাইয়ে শাপলা বেঁচে জীবিকা নির্বাহ

প্রকাশিত:শনিবার ৩১ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ৩১ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ধামরাই প্রতিনিধি

Image

ঢাকা জেলার ধামরাই উপজেলার নান্নার ইউনিয়নের রঘুনাথপুর বিলজুড়ে শুষ্ক মৌসুমে আবাদ হয় ধান ও নানা ধরনের সবজি। আর যেখানে পানি থাকে সেখানে মেলে মাছ। তবে মানুষগুলো বিপদে পড়েন বর্ষা মৌসুমে। পুরো বিল পানির নিচে থাকায় বেকার হয়ে পড়ে নিম্নআয়ের পরিবারগুলো। বর্ষার থৈ-থৈ পানিতে জন্মানো শাপলায় মনোহারী হয়ে ওঠে পুরো বিল। এই শাপলাই এখন হয়ে উঠেছে কর্মহীনদের জীবিকার অবলম্বন। বিলের শাপলা তুলে তা বিক্রি করে চলছে কয়েকটি পরিবার। স্থানীয় হাটের পাশাপাশি ঢাকার বিভিন্ন বাজারে প্রাইকারি ও খুচরা বিক্রি হচ্ছে এ শাপলা।

উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের পানিতে তলিয়ে যাওয়া চক ও বিভিন্ন বিল ঘুরে দেখা যায়, কৃষি জমি,খাল-বিলগুলোয়ও শাপলা জন্মে থাকে। আষাঢ় থেকে শুরু করে ভাদ্র মাস পর্যন্ত পাওয়া যায় শাপলা। শাপলা তুলতে প্রতিদিন ভোর থেকেই বিলে নেমে পড়েন কিশোর-তরুণ থেকে শুরু করে বৃদ্ধরাও। ছোট ছোট ডিঙি ও কোষা নৌকায় বিলজুড়ে ছুটে বেড়ান তারা।বিভিন্ন গ্রামের চক ও বিলে ব্যস্ত থাকেন শাপলা তুলতে। দুপুর ও বিকেল বেলায় নৌকাভর্তি শাপলা নিয়ে ফেরেন তারা। এর পর বিভিন্ন গ্রামের রাস্তার পাশে স্তূপ করে রাখা হয়। পাইকাররা সেখান থেকে কিনে ট্রাক ও পিকআপে ঢাকার বিভিন্ন বাজারে নিয়ে যান। সবজি হিসেবে শাপলার জুড়ি মেলা ভার। শুধু বর্ষায় মেলে বলে চাহিদাও থাকে বেশি। রঘুনাথপুর বিলের শাপলার কদর বেশি।

স্থানীয়রা জানান, কোনো পুঁজির প্রয়োজন না হওয়ায় বর্ষাকালে বিভিন্ন বয়সের অনেক মানুষ এ কাজে যুক্ত হন। আষাঢ় থেকে শুরু করে ভাদ্র মাস পর্যন্ত পাওয়া যায় শাপলা। শাপলা সংগ্রহকারীরা নৌকা নিয়ে ডুবে যাওয়া জমিতে ও বিলের মধ্যে ঘুরে ঘুরে শাপলা তুলতে থাকেন। বিস্তীর্ণ এলাকায় বর্ষা মৌসুমে অনেক শাপলা হয়ে থাকে। শাপলা বিক্রি করে একজন ব্যক্তি দিনে ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা আয় করতে পারে ।

কয়েকজন শাপলা সংগ্রহকারী জানান, এ সময়ে একেকজন কমপক্ষে ৫০ থেকে সর্বোচ্চ ৭০ মোঠা শাপলা সংগ্রহ করতে পারে। পাইকারেরা আবার এসব শাপলা সংগ্রহকারীর কাছ থেকে কিনে একত্র করেন। দিন শেষে একেক জন ব্যক্তি সংগৃহীত শাপলা বিক্রি করে সাতশো থেকে একহাজার টাকা আয় করে থাকেন।

উপজেলার নান্নার ইউনিয়নের রঘুনাথপুর বিল থেকে শাপলা সংগ্রহকারী মোঃ জসিম বলেন, শুকনাকালে ইট বালুর ট্রাকে কাজ করে সংসার চালান আর বর্ষাকালে আমাদের চারপাশে পানি থাকে। কোথাও কোনো কাজ থাকে না। বেকার বসে থাকেতে হয়। তাই এই সময় বসে না থেকে বিল থেকে আমি আর আমার ভাই দুই জন মিলে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত শাপলা তুলে মোঠা বেধে বাইপাইল বাজারে পাইকার বিক্রি করি, প্রতিদিন তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকা বিক্রি করি , গাড়ি ভাড়া ৫০০ টাকা বাদে আমরা দুজনেই ভাগ করে নেই, আর সেই টাকা দিয়েই সংসার চালাই।

একই গ্রামের দিনমজুর মো. মিরাজ বলেন, বর্ষায় একদম বেকার হয়ে পড়েন। তবে শাপলা তুলে সংসার চালানোর পাশাপাশি কিছু সঞ্চয়ও করতে পারছেন। প্রতিদিন তিনি ৭০০ থেকে হাজার টাকা রোজগার করেন।

পাইকার আয়নাল হক জানান, স্থানীয়দের কাছে শাপলা কিনে তিনি পিকআপে করে ঢাকার বিভিন্ন বাজারে সরবরাহ করেন। প্রতি আঁটি শাপলা কেনেন খুচরা ১৪ থেকে ১৬ টাকায় আর ঢাকায় নিয়ে বিক্রি করেন ২০ থেকে ২৫ টাকায় । 

ধামরাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আরিফুর রহমান বলেন, উপজেলার ১৬টি ইউনিয়নের মধ্যে প্রাকৃতিকভাবে মৌসুমে শাপলা উৎপাদন হয়ে থাকে। এসময় বেকার ও নিম্ন আয়ের মানুষ শাপলা বেচা কেনার সঙ্গে জড়িত। শাপলা একটি অত্যন্ত পুষ্টিকর সবজি, শাপলায় প্রচুর পরিমাণ খনিজ পদার্থ থাকে। এছাড়াও শর্করা, ক্যালসিয়াম, আমিষ পাওয়া যায় শাপলা থেকে। শাপলা তরকারি হিসাবেও খুবই মজাদার।


আরও খবর



২১ বছর পর ব্যালন ডি’অরের সংক্ষিপ্ত তালিকায় নেই মেসি-রোনালদো

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

ব্যালন ডিঅর বিশ্ব ফুটবলের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ ব্যক্তিগত পুরস্কার। প্রতি বছর এ পুরস্কার দিয়ে থাকে ফ্রান্স ফুটবল সাময়িকী। প্রতিবারের মতো এবারও ব্যালন ডিঅরের সংক্ষিপ্ত তালিকা প্রকাশ করেছে ফরাসি সাময়িকী ফ্রান্স ফুটবল। অথচ সেখানে নেই দুই ফুটবল মহাতারকা লিওনেল মেসি ও ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর নাম! ব্যাপারটা ফুটবল প্রেমীদের কাছে অবাক করার মতোই। গত ১৬ বছরের মধ্যে যে ১৩ বারই পুরস্কারটি গেছে এই দুজনের দখলে! সেখানেই নেই এই দুই মহাতারকার নাম।

বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাতে ফরাসি সাময়িকী ফ্রান্স ফুটবল- এর পুরস্কার ব্যালন ডিঅরের ২০২৪ এর ৩০ জনের সংক্ষিপ্ত তালিকা প্রকাশ করা হয়। ২০০৩ সালের পর প্রথমবার ব্যালন ডিঅরের সংক্ষিপ্ত তালিকায় নেই মেসি ও রোনালদোর কেউই।

মেসি ব্যালন ডিঅর জিতেছেন রেকর্ড আটবার, দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পাঁচবার রোনালদো। ২০০৮ সাল থেকে এখন পর্যন্ত মাত্র দুইবার এ দুজনের হাতে ওঠেনি ব্যালন ডিঅর। ২০১৮ সালে লুকা মদ্রিচ ও ২০২২ সালে করিম বেনজেমা জিতেছিলেন এ পুরস্কার। ২০২০ সালে কোভিডের কারণে পুরস্কারটি দেয়া হয়নি। সেই সময় হয়তো ফুরিয়েছে। মেসি ও রোনালদোকে ছাড়াই নতুন ফুটবল বিশ্বের পদযাত্রা শুরু হলো এবারের সংক্ষিপ্ত তালিকার মধ্য দিয়ে। এ বছর নতুন কারো হাতে উঠবে সোনালী গোলকটি।

রোনালদো ও মেসি ইউরোপিয়ান ফুটবলের পাঠ চুকিয়েছেন আগেই। সৌদি আরবের ক্লাব আল নাসরের হয়ে গত মৌসুমটা ব্যক্তিগতভাবে অবশ্য দারুণ কাটে রোনালদোর। সৌদি প্রো লিগে ৩১ ম্যাচে তিনি গোল করেন ৩৫টি। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ক্লাবের হয়ে ৪৫ ম্যাচে ৪৪ গোল করেন ৩৯ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড।

এদিকে, আর্জেন্টিনা কোপা আমেরিকা জিতলেও, ব্যক্তিগতভাবে আসরে ভালো করতে পারেননি ফুটবল মহাতারকা মেসি। ফাইনালে অ্যাঙ্কেলে চোট পেয়ে এখনও মাঠের বাইরে আছেন তিনি। ক্লাব ইন্টার মায়ামির হয়ে তিনি খুব একটা খারাপ করেননি। তবে ব্যালন ডিঅরের লড়াইয়ে জায়গা পাওয়ার জন্য তা যথেষ্ট হয়নি।

ফিফার বর্ষসেরা পুরস্কার আর ফ্রান্স ফুটবলের ব্যালন ডিঅর একীভূত হয়েছিল ২০১০ সালে। ফিফার সঙ্গে চুক্তি শেষ হয়ে যাওয়ায় ২০১৬ সাল থেকে আবার একাই ব্যালন ডিঅর দেয়া শুরু করে ফ্রান্স ফুটবল। তবে এই বছর থেকে ইউরোপিয়ান ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা উয়েফার সঙ্গে একীভূত হয়ে ব্যালন ডিঅর দেয়ার ঘোষণা দেয় তারা। তাদের সঙ্গে চুক্তির ফলে নিজেদের দেয়া বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার বাতিল করে দেয় উয়েফা।

ব্যালন ডিঅরের জন্য ৩০ জনের সংক্ষিপ্ত তালিকা: জুড বেলিংহ্যাম (রিয়াল মাদ্রিদ), রুবেন দিয়াস (ম্যানচেস্টার সিটি), ফিল ফোডেন (ম্যানচেস্টার সিটি), ফেদেরিকো ভালভার্দে (রিয়াল মাদ্রিদ), এমিলিয়ানো মার্টিনেজ (অ্যাস্টন ভিলা), আর্লিং হাল্যান্ড (ম্যানচেস্টার সিটি), নিকো উইলিয়ামস (অ্যাথুলেটিক বিলবাও), গ্রানিত জাকা (বায়ার লেভারকুজেন), আর্তেম দোভিক (জিরোনা/রোমা), টনি ক্রুস (রিয়াল মাদ্রিদ), ভিনিসিয়াস জুনিয়র (রিয়াল মাদ্রিদ), দানি ওলমো (লাইপজিগ/বার্সেলোনা), ফ্লোরিয়ান ভিরৎজ (বায়ার লেভারকুজেন), মার্টিন ওডেগার্ড (আর্সেনাল), মাটস হুমেলস (বরুশিয়া ডর্টমুন্ড), রদ্রি (ম্যানচেস্টার সিটি), হ্যারি কেইন (বায়ার্ন মিউনিখ), ডেকলান রাইস (আর্সেনাল), ভিতিনহা (পিএসজি), কোল পালমার (চেলসি), দানি কারভাহাল (রিয়াল মাদ্রিদ), লামিনে ইয়ামাল (বার্সেলোনা), বুকায়ো সাকা (আর্সেনাল), হাকান কালহানোগলু (ইন্টার মিলান), উইলিয়াম সালিবা (আর্সেনাল), কিলিয়ান এমবাপ্পে (পিএসজি/রিয়াল মাদ্রিদ), লাউতারো মার্টিনেজ (ইন্টার মিলান), অ্যাডেমোলা লুকম্যান (আতালান্তা), আন্টোনিও রুডিগার (রিয়াল মাদ্রিদ), আলেক্স গ্রিমাল্দো (বায়ারলেভারকুজেন)।


আরও খবর



অস্ট্রেলিয়ায় দ্বিতীয় জয়ের দেখা পেল আকবররা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৫ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

অস্ট্রেলিয়া সফরে আবারও জয়ের দেখা পেল বিসিবি হাই পারফরম্যান্স (এইচপি) দল। ডারউইনে আজ অস্ট্রেলিয়ান ক্যাপিটাল টেরিটোরিকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে আকবর আলীর দল। টপ এন্ড সিরিজে নিজেদের প্রথম ম্যাচে জয়ের এর আগে টানা দুই ম্যাচ হেরেছিল তারা।

বৃহস্পতিবার টসে জিতে আগে ব্যাটিং করা অস্ট্রেলিয়ান ক্যাপিটাল টেরিটোরি তুলেছিল ২০ ওভারে মাত্র ১২৪ রান। ১২৫ রানের ছোট লক্ষ্য ৬ উইকেট আর ২০ বল হাতে রেখেই লক্ষ্য টপকে যায় এইচপি।

৯ দলের টপ এন্ড সিরিজে নিজেদের প্রথম ম্যাচে জয়ের পর টানা দুই ম্যাচে হেরেছিল এইচপি। দ্বিতীয় ম্যাচে তাসমানিয়া টাইগার্সের বিপক্ষে ৫ উইকেটে হারের পর গতকাল অ্যাডিলেড স্ট্রাইকার্সের কাছে আকবর আলীর দল হেরেছিল ৮ উইকেটে। সেখান থেকে আজকের এই জয়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছে তারা।

বৃহস্পতিবার অস্ট্রেলিয়ান ক্যাপিটাল টেরিটোরিকে মাত্র ১২৪ রানে আটকে দেয় এইচপির বোলারা। যে কারণে ব্যাটসম্যানদের জন্য কাজটা সহজ হয়ে যায়। ৪ ওভারে ২৬ রানে ৩ উইকেট নেন রিপন মণ্ডল। একই রান খরচে আবু হায়দার নেন ২ উইকেট।

জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে এইচপির দুই ওপেনার তানজিদ হাসান ও জিশান আলম ৫১ রানের জুটি গড়েন। এই জুটিতেই ম্যাচের ফল অনেকটা নির্ধারণ হয়ে যায়। জাতীয় দলের নিয়মিত সদস্য তানজিদ ১৫ বলে ১৮ রান করে আউট হলেও ফিফটির দেখা পেয়েছেন জিশান। ৩৬ বলে ৫০ রান করে আউট হন তিনি। তাঁর ইনিংসে ছিল ১ চার ও ২ ছক্কা। এরপর পারভেজ হোসেনের ২৩ রান ও আফিফ হোসেনের ১৭ রানে সহজ জয় পায় এইচপি।

পাকিস্তান দলের বিপক্ষে শুক্রবার নিজেদের পঞ্চম ম্যাচে মুখোমুখি হবে এইচপি দল।


আরও খবর



টিপু মুনশি ৪ দিনের রিমান্ডে

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৯ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৯ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর বাড্ডায় ফুজি টাওয়ারের সামনে সুমন সিকদার হত্যা মামলায় সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আলী হায়দার শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। আদালতে তার ৮ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেছিল পুলিশ।

এর আগে আজ সকালে সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের এ মামলায় ৫ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।

গতকাল বুধবার দিবাগত রাত সোয়া ১টার দিকে গুলশান-১-এর ১২৩ নম্বর রোডের এম অ্যান্ড জে গ্রুপের কর্ণধার সালাউদ্দিন আহমেদের বাসা থেকে টিপু মুনশিকে আটক করে র্যাব।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত ১৯ জুলাই বাড্ডা ফুজি টাওয়ারের উত্তর পাশে প্রগতি স্মরণী রাস্তার ওপর গুলিতে নিহত হন মো. সুমন সিকদার। এ ঘটনায় তার মা মাসুমা বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেন। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৭৯ জনকে আসামি করা হয়।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থী ও শ্রমিক নিহতের ঘটনায় ঢাকার বাইরে গাজীপুর ও রংপুরে হত্যা মামলা রয়েছে টিপু মুনশির বিরুদ্ধে।


আরও খবর



বাংলাদেশ প্রসঙ্গে ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৬ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৬ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

বাংলাদেশে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর গঠিত হয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। জুলাই মাস থেকে যে অশান্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, তা এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। তবে তা এখনো পুরোপুরি স্বাভাবিক নয়। এমতাবস্থায় বাংলাদেশের পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে যুক্তরাষ্ট্র। পরিস্থিতি নিয়ে যোগাযোগ রাখছে ভারত-সহ একাধিক দেশের সঙ্গে। বাংলাদেশ প্রসঙ্গে এ কথা জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরেরর সহকারী মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল।

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস ইতিমধ্যেই হিংসা থামানোর জন্য বার্তা দিয়েছেন। তার সেই বার্তাকে স্বাগত জানিয়েছেন বেদান্ত। তিনি বলেন, সাধারণ মানুষ ও সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশের নয়া সরকারের উদ্যোগকে স্বাগত জানাচ্ছি।

বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার অভিযোগের আঁচ পড়েছে যুক্তরাষ্ট্রেও। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমেরিকা যাতে পদক্ষেপ নেয়, সে বিষয়ে একটি সংগঠনের তরফে আর্জি গিয়েছে হোয়াইট হাউসে। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন কেন চুপ, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিল ওই সংগঠন। এ সবের মধ্যেই আমেরিকার এই বার্তা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে কূটনৈতিক মহল।

জুলাই মাস থেকে বাংলাদেশে দুদফার আন্দোলনে কমপক্ষে ৪০০ জনের মৃত্যু হয়েছে। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে চলে যায় যে দেড় দশকের আওয়ামী লীগের সরকারের পতন হয়। কিন্তু এর পরেও ঢাকা-সহ বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তে থানায় হামলা, অগ্নিসংযোগের অভিযোগ উঠে এসেছিল।

বৃহস্পতিবার সকালেও স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে বক্তৃতার সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মুখে উঠে এসেছে সংখ্যালঘুদের প্রসঙ্গ। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত ১৪০ কোটি ভারতবাসী। এর আগে বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর শুভেচ্ছাবার্তাতেও ইউনূসকে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার অনুরোধ করেছিলেন মোদী।


আরও খবর
উত্তরপ্রদেশে ভবন ধসে নিহত ৮, আহত ২৮

রবিবার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪