আজঃ শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪
শিরোনাম

লক্ষ্য স্থির রেখে আমরা এগিয়ে যাবো: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:রবিবার ০৪ ডিসেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:রবিবার ০৪ ডিসেম্বর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। আমাদের আজকের নবীন অফিসাররাই হবে ৪১-এর সৈনিক, যারা বাংলাদেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তুলবে। লক্ষ্য স্থির রেখে আমরা এগিয়ে যাবো, এটাই চাই।

রবিবার (৪ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে চট্টগ্রামের ভাটিয়ারীর বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমিতে (বিএমএ) তিনি এ কথা বলেন। এর আগে মিলিটারি একাডেমিতে ৮৩তম বিএমএ দীর্ঘ মেয়াদি কোর্সের রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে আরও উপস্থিত ছিলেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ।

শেখ হাসিনা বলেন, দেশ স্বাধীনের পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যখন দায়িত্ব নেন। তার একটাই লক্ষ্য ছিল, আমাদের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রতীক সশস্ত্র বাহিনী, এই বাহিনীকে তিনি আরও পেশাদার ও শক্তিশারী হিসেবে গড়ে তুলবেন। ১৯৭৪ সালে কুমিল্লা সেনানিবাসে মিলিটারি একাডেমির শুভ উদ্বোধন করেন বঙ্গবন্ধু। ১৯৭৫ সালের ১১ জানুয়ারি বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমি প্রথম ব্যাচের প্রশিক্ষণ সমাপনী অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নবীন সামরিক অফিসারদের পেশাগত দক্ষতা, নৈতিক গুণাবলী সম্পন্ন এবং দেশপ্রেমের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে নিজেদের গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছিলেন।

তিনি আরও বলেন, দীর্ঘ ২১ বছর পর (১৯৯৬ সাল) আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে। আমরা সরকার গঠনের পরই ১৯৭৫ সালের পর আমাদের যে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস হারিয়ে যেতে বসেছিল বা বিকৃত করা হয়েছিল, তা পরিবর্তন করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় এবং আদর্শে যাতে আমাদের সশস্ত্র বাহিনী গড়ে ওঠে, আমরা সেই পদক্ষেপ নিই। সামরিক বাহিনীকে আধুনিক করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিই।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, যুদ্ধবিদ্ধস্ত দেশ জাতির পিতা যখন গড়ে তুলছেন, রিজার্ভ মানি ছিল না এক টাকাও। তার সাথে সাথে কারেন্সি নোট ছিল না। তখনও সেনা বাহিনীর জন্য তিনি ট্যাংক কিনে আনেন এবং অন্যান্য সমরাস্ত্র ক্রয় করে অনেক শক্তিশালী সেনাবাহিনী গড়ে তোলার পদেক্ষপ নেন। তার পদাঙ্ক অনুসরণ করেই আমরা সেনাবাহিনীকে আরও যুগোপযোগী করার জন্য আমি ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজ (এনডিসি) প্রতিষ্ঠা করে দিই। সেনাবাহিনীতে ২০০০ সালে প্রথম দীর্ঘ মেয়াদি কোর্সে নারীদের অংশগ্রহণের সুযোগ করে দিই।

তিনি বলেন, ২০০৯ সালে দ্বিতীয়বার যখন সরকার গঠন করি, তখনই আমরা জাতির পিতা ১৯৭৪ সালে প্রতিরক্ষা নীতিমালা প্রণয়ন করে দিয়েছিলেন, তারই ভিত্তিতে ফোর্সেস গোল-২০৩০ প্রণয়ন করে তা বাস্তবায়নের কাজ শুরু করি। ২০১৬ সালে বাংলাদেশ পিস বিল্ডিং সেন্টার (বিপিসি) প্রতিষ্ঠা করি।একই সাথে ২০১৮ সালে জাতীয় প্রতিরক্ষা নীতি প্রণয়ন করি।

শেখ হাসিনা বলেন, আজকে আমি অন্তত এটুকু বলতে পারি, আমরা দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর যে ফোর্সেস গোল বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি, সেই সাথে সাথে বাংলাদেশের জনগণের আর্থসামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্য স্থির করে আমাদের সুবর্ণজয়ন্তী পালন করেছি, ২০২০ সালে জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী পালন করেছি। আমাদের সৌভাগ্য, ২০২১ সালে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে, আমরা উন্নীত হয়েছি। আমি সেই সাথে সাথে বলতে চাই, আমরা যেহেতু ২০২১ সালে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছি।

সশস্ত্র বাহিনীকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের দুর্যোগ-দুর্বিপাক সব ক্ষেত্রেই সেনাবাহিনী যথাযথ ভূমিকা পালন করে। সশস্ত্র বাহিনীর সব সদস্যকে আমার আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম নগরের পলোগ্রাউন্ড মাঠে দুপুরে জনসভায় যোগ দেবেন আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জনসভা থেকে চট্টগ্রামের ৩০টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন। দুপুর আড়াইটার দিকে চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় তার পৌঁছানোর কথা রয়েছে। ৩টায় প্রধানমন্ত্রী জনসভায় ভাষণ দেবেন বলে দলীয় নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন।


আরও খবর



বানিয়ে ফেলুন আমের কাশ্মিরি আচার

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

আমের আঁটি শক্ত হয়ে গেলেই বানিয়ে ফেলা যায় দারুণ মজার কাশ্মিরি আচার। সারা বছর সংরক্ষণ করে খাওয়া যায় মিষ্টি স্বাদের এই আচার। জেনে নিন কীভাবে বানাবেন এই আচার।

শক্ত কাঁচা আমের খোসা ছাড়িয়ে ফালি করে কাটুন। ফালি করে কাটা আম লবণ মাখিয়ে রেখে দিন ৩০ মিনিট। আম থেকে টক পানি বের হলে ফেলে দিয়ে আবারও কিছুটা লবণ মেখে রাখুন। কিছুক্ষণ পর ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন। চুলায় একটি পাত্রে পরিমাণ মতো পানি বসান। পানি ফুটে উঠলে চিনি দিয়ে দিন স্বাদ মতো। কয়েকটি লবঙ্গ ও এলাচ দিয়ে নাড়ুন। সিরা তৈরি হলে এর মধ্যে পানি ঝরিয়ে রাখা আমের ফালি দিয়ে দিন। জ্বাল দিন আম স্বচ্ছ না হওয়া পর্যন্ত। আম স্বচ্ছ হয়ে গেলে শুকনা মরিচের কুচি, ১ টেবিল চামচ আদা কুচি ও আধা কাপ সিরকা দিন। পছন্দ মতো ঘনত্ব থাকা অবস্থায় নামিয়ে নিন। ঠান্ডা হলে সিরা আরেকটি টেনে যাবে। এলাচ ও লবঙ্গ উঠিয়ে কাচের বয়ামে ভরে রাখুন।


আরও খবর



কমানোর একদিন পরই বাড়ল সোনার দাম

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

সোনার দাম সামান্য কমানোর একদিন পর আবারও বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। ভালো মানের সোনার ভরিতে ৬৩০ টাকা বাড়ানো হয়েছে।

এখন ভালো মানের অর্থাৎ ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম বেড়ে দাঁড়াচ্ছে ১ লাখ ১৯ হাজার ৪২৮ টাকা। এর আগে দাম ছিল ১ লাখ ১৮ হাজার ৭৯৮ টাকা।

রোববার (২১ এপ্রিল) বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

বাজুস জানায়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার দাম বেড়েছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। আজ বিকেল সাড়ে ৩টা থেকেই নতুন দাম কার্যকর করা হবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

এদিকে অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে রুপার দাম। ক্যাটাগরি অনুযায়ী, বর্তমানে ২২ ক্যারেটে প্রতি ভরি রুপার দাম ২ হাজার ১০০ টাকা, ২১ ক্যারেটের দাম ২ হাজার ৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটের দাম ১৭১৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রুপার দাম ১ হাজার ২৮৩ টাকা।


আরও খবর



গরু বিতর্কের জবাব দিলেন আশনা হাবিব ভাবনা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

মাঝেমেধ্যেই বিভিন্ন বিষয়ে নিজের মতামত জানান অভিনেত্রী আশনা হাবিব ভাবনা। এই তো গত শুক্রবার ফেসবুকে একটি ছবি পোস্ট করে নিজের আবেগ উপচে দিয়েছেন তিনি। ছবিতে দেখা যায়, একটি ট্রাকে কিছু গরু রয়েছে। একটি গরুর চোখ ছলছল। সেই ছবির ক্যাপশনে ভাবনা লিখেছেন, আমার কান্নার শব্দ কি শোনা যায় তোমার শহরে। ওমনি ভাইরাল হয়ে যায় পোস্টটি।

মাসখানেক পরই ঈদুল আজহা। এ কারণেই ওই ছবির ক্যাপশন পড়ে ভাবনার ওপর চটেছেন নেটিজেনরা। তাদের একাংশ ভেবে নিয়েছেন, গরুর প্রতি মায়া দেখিয়ে ভাবনা হয়তো ঈদে পশু কেরাবানির বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছেন। যদিও ভাবনার পোস্টে কোরবানি দেওয়া কিংবা না দেওয়ার পক্ষে-বিপক্ষে কোনো বক্তব্যই ছিল না।

হয়তো পোস্ট করার পর কমেন্ট অপশন বন্ধ করে দিয়েছিলেন এই অভিনেত্রী। তাই তো দেড় হাজার শেয়ার হওয়া পোস্টে কমেন্ট মোটে তিনটি। ওই পোস্টে বয়ে গেছে হা-হা রিয়েক্টের বন্যা। মন্তব্যের ঘর খোলা না পেয়ে পোস্ট শেয়ার করেই ভাবনাকে এক হাত নিয়েছেন নেটিজেনরা। অভিনেত্রীর এই পোস্টটি গত কয়েকদিন ধরেই আছে তুমুল আলোচনায়। শেষমেশ মঙ্গলবার রাতে নাতিদীর্ঘ আরেকটি পোস্ট করে গরুর ছবিতে ওই ক্যাপশন দেওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করেছেন অভিনেত্রী।

ভাবনা তার পোস্টে জানিয়েছেন, ছবি তুলতে পছন্দ করেন তিনি। যেই ছবি তাকে ভাবায়, সেটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেন অভিনেত্রী। গরুর ছবিটি যেদিন তুলেছিলেন, সেদিন ছিল তীব্র তাপদাহ। দীর্ঘসময় গরমে থাকায় ভীষণ কাঁদছিল গরুটি। অবলা প্রাণীর কান্না ভাবনার সমস্ত চৈতন্যকে স্পর্শ করেছিল। সেই অনুভূতিই প্রকাশ করেছেন ছবির ক্যাপশনে।

গরুর বিষয়ক পোস্ট শেয়ার করে অনেকেই বেশ বাজে কথা শুনিয়েছেন অভিনেত্রীকে। কেউ কেউ ইঙ্গিতপূর্ণ ভাষায় আক্রমণ করেছেন ভাবনাকে। তাকে কেউ-কেউ গাভীর সঙ্গে তুলনা করেছেন। এমনকি অভিনেত্রীকে দেশছাড়া করার আহ্বানও জানিয়েছেন নেটিজেনদের কেউ কেউ। এ ছাড়া কবে কোথায় ভাবনা গরুর মাংস খেয়েছেন ও রেঁধেছেন, সেসব পুরোনো পোস্টও খুঁজে-খুঁজে বের করে পোস্ট করেছেন অনেকে।

সেসবের উত্তরে ভাবনা তার পোস্টে জানিয়েছেন, তিনি কোথাও লেখেননি যে তিনি গরুর মাংস খান না। এমনকি কাউকে গরুর মাংস না খেতেও উৎসাহিত করেননি এই অভেনেত্রী। ভাবনার ভাষ্য, একটি প্রাণীর কান্না দেখে যে কেউ কেঁদে উঠতে পারেন, এটাই স্বাভাবিক।

ভাবনা আরও জানান, তিনি প্রকৃতিপ্রেমী নাকি প্রাণীপ্রেমী, সেটার প্রমাণ কোথাও দিতে রাজি নন। এ ছাড়া ফেসবুকের একটি পোস্টেই তো আর কোনো বিষয়ে তার অবস্থানের প্রমাণ হয় না। তবে গরুর ছবিটি নিয়ে তিনি আরও লিখবেন। নিজের কবিতা, গল্পে কিংবা চিত্রে পরবর্তী গরুর বিষয়টি তুলে আনবেন তিনি। কেননা, ভাবনা মনে করেন, শিল্পীর বেদনা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। তাই তার দিকে ছুঁড়ে দেওয়া সব তীর সাদরে গ্রহণ করে নিজের পোস্টের ইতি টেনেছেন অভিনেত্রী।


আরও খবর



আচরণ বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ চেয়ারম্যান প্রার্থীকে শোকজ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মামুন হোসেন, পাবনা

Image

ঈশ্বরদী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আচরণ বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে আনারস প্রতিকের চেয়ারম্যান প্রার্থী এমদাদুল হক রানা সরদারকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও ঈশ্বরদী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার  আব্দুল্লাহ আল মামুন।

গত ১৪ মে রিটার্নিং অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন প্রেরিত কারণ দর্শানোর নোটিশ সূত্রে জানা যায়, আগামী ২৯ মে অনুষ্ঠিতব্য ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ঈশ্বরদীতে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন এমদাদুল হক রানা সরদার। গত ১৩ মে সকালে তাঁকে আনারস প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়। এই নির্বাচনে অন্য প্রতিদ্বন্দ্বি চেয়ারম্যান প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ মিন্টু ১৪ মে আচরণ বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে এমদাদুল হক রানা সরদারের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। তাঁর দাখিলকৃত অভিযোগপত্র ও অনলাইন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সূত্রে জানা যায় যে, ১৩ মে আনারস প্রতীকের সমর্থনে শোডাউন ও মিছিল করা হয়েছে যা উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা সুষ্ট লঙ্ঘনের সামিল।

নোটিশে নির্বাচন বিধিমালা, ২০১৬ এর ১১ (২) ও ১৩ (ক) ধারার লঙ্ঘনের অভিযোগে এমদাদুল হক রানা সরদারকে আগামী তিন দিনের মধ্যে প্রার্থীকে স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে কারণ দর্শানো পত্রের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

এ বিষয়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী এমদাদুল হক রানা সরদার বলেন, রিটার্নিং অফিসারের কারণ দর্শানোর চিঠি পেয়েছি। এ নিয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।


আরও খবর



উপজেলা নির্বাচন সংসদ নির্বাচনের চেয়েও ভালো হবে: ইসি আলমগীর

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

সংসদ নির্বাচনের চেয়ে উপজেলা নির্বাচন আরও ভালো হবে বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর। তিনি বলেছেন, সংসদ সদস্য ও মন্ত্রীর স্বজনদের উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী না হওয়ার নির্দেশনা রাজনৈতিক দলের সিদ্ধান্ত। এ নিয়ে নির্বাচন কমিশনের কোনো মতামত নেই। তবে নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করার যে কোন সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই।

শনিবার দুপুরে (২০এপ্রিল) মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও দুটি উপজেলার প্রার্থীদের সঙ্গে দুটি পৃথক মতবিনিময় সভা করেন ইসি আলমগীর। এসময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মো. আলমগীর এসব কথা বলেন।

ইসি মো. আলমগীর বলেন, একটা হচ্ছে দলীয় সিদ্ধান্ত। আরেকটা হলো নির্বাচন কমিশনের আইন। নির্বাচন কমিশনের আইনে আত্মীয় অনাত্মীয় কোনো সম্পর্ক নেই। তাই এমপি-মন্ত্রীর স্বজনদের প্রার্থী না হওয়ার নির্দেশনা তাদের দলীয় সিদ্ধান্ত, তাদের পলিসি। তবে যে কোনো দল অথবা যে কেউ বলুক না কেন যেটা করলে নির্বাচন সুষ্ঠু এবং শান্তিপূর্ণ হবে, সেটাকে আমরা ওয়েলকাম জানাই।

তিনি আরও বলেন, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট সম্পন্ন করতে নির্বাচন কমিশন সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। যেখানেই প্রভাব বিস্তার অথবা প্রার্থীর বিরুদ্ধে অভিযোগ আসছে, সেখানেই ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

বিএনপির ভোট বর্জনের ডাকের বিষয়ে জানতে চাইলে মো. আলমগীর বলেন, জাতীয় নির্বাচনেও ভোট বর্জনের ঘোষণা দেয়া হয়েছিল। তারপরও সবার সহযোগিতায় একটি ভালো নির্বাচন হয়েছে। সংসদ নির্বাচনের চেয়েও উপজেলা নির্বাচন আরও ভালো হবে।

অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক রেহেনা আকতার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. তরিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুজন সরকার, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আমিনুর রহমান মিঞা সহ সিংগাইর ও হরিরামপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

নিউজ ট্যাগ: মো. আলমগীর

আরও খবর