অতিমারি করোনার প্রভাবে সোমবার থেকে এক
সপ্তাহের লকডাউন ঘোষণার ফলে ঢাকা ছাড়ার হিড়িক পড়েছে মানুষের মধ্যে। ভেঙে ভেঙে যে যেভাবে
পারছেন ছুটছেন তাদের গন্তব্যে। এতে করে লকডাউনের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ষষ্ঠ দিনেও
শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটের ফেরিতে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। বেলা বাড়ার
সঙ্গে সঙ্গে মানুষের ভিড়ও বৃদ্ধি পাচ্ছে। যাত্রীদের চাপে বিলম্ব হচ্ছে ফেরি ছাড়তে।
এতে যাত্রীদের দুর্ভোগ আরও বেড়েছে।
আজ এ রুটে ১৫টি ফেরি চলছে। যাত্রীদের অতিরিক্ত
চাপ থাকায় পুলিশ দিয়ে যাত্রী সরিয়ে ছেড়ে যাচ্ছে ফেরিগুলো। এ মুহূর্তে শিমুলিয়া ঘাটে
প্রায় কয়েক হাজার যাত্রী ও কয়েক শতাধিক যানবাহন পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে।
তবে সোমবার থেকে কঠোর লকডাউনের কথা থাকলেও
সেটি পরিবর্তন করে আগামী বৃহস্পতিবার থেকে কঠোর লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আর
আগামীকাল সোমবার থেকে সীমিত পরিসরে লকডাউনের ঘোষণা দেয়া হয়েছে। তবে অনেক যাত্রী আগামীকাল
থেকে কঠোর লকডাউনের কথা মাথায় রেখে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিচ্ছেন। যার ফলে সড়কে দেখা
যাচ্ছে যাত্রীদের অতিরিক্ত ভিড়।
সরেজমিনে সকাল থেকে দেখা যায়, নৌরুটের
প্রতিটি ফেরিতেই অল্পসংখ্যক যানবাহনের সঙ্গে যাত্রীদের ভিড়। ঢাকামুখী যাত্রীর সংখ্যা
ছিল কিছুটা বেশি। শুধু পণ্যবাহী ও জরুরি যানবাহন পারাপারের কথা থাকলেও ফেরিতে ব্যক্তিগত
গাড়িও পারাপার হতে দেখা যায়।
ঢাকা থেকে ফরিদপুরের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়া
মিনহাজ বলেন, আমি মনে করেছি আগামীকাল থেকে কঠোর লকডাউন। তাই বাড়ি যাচ্ছি। বৃহস্পতিবারের
কথা জানলে ২ দিন পরেই রওয়ানা দিতাম।
আলম শেখ নামের আরেক যাত্রী বলেন, লকডাউনের
মধ্যে ঢাকায় থেকে কি করবো। কাজ নাই, কর্ম নাই। ঢাকায় থেকে কি না খেয়ে মরবো। বাড়ি গেলে
শাক আর ভাত খেয়ে বাঁচতে পারবো। ঢাকায় আমাদের খাবার দিবে কে?
এ বিষয়ে বিআইডব্লিউটিসি শিমুলিয়া ঘাটের
সহকারী ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) শাফায়েত আহমেদ বলেন, নৌরুটে বর্তমানে ১৫টি ফেরি সচল রয়েছে।
সকাল থেকে যাত্রীদের কিছুটা ভিড় রয়েছে। যাত্রী পারাপারের কথা না থাকলেও তার জোর করে
ফেরি উঠে যাচ্ছে।
মাওয়া ট্রাফিক পুলিশের ইনচার্জ জাকির হোসেন বলেন, লকডাউনের নির্দেশনা মানার জন্য আমরা যাত্রীদের আহ্বান জানাচ্ছি। কিন্ত যাত্রীদের চাপ বেশি থাকায় আমাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। ফেরিতে যাত্রী পারাপারে বিধিনিষেধ থাকলেও তারা হুড়োহুড়ি করে ফেরিতে উঠে যাচ্ছে।