ধীরস্থির শুরুর
পর বাংলাদেশ হারিয়ে ফেলেছিল দুই উইকেট। কিছুটা রানের চাপও ছিল। সেগুলো শুরুর তুলনায়
ভালোই সামাল দেন আফিফ হোসেন ও লিটন দাস। লিটন ৪৯ রান তুলে সাজঘরে ফিরলেও ফিফটি তুলে
নেন আফিফ হোসেন। তাতে গায়ানায় তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষটিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে
১৬৪ রানের লক্ষ্য দিয়েছে বাংলাদেশ। ৫ উইকেট হারিয়ে এই রান তুলে তারা।
টস হেরে ব্যাট
করতে নেমে পাওয়ার প্লেতে দেখেশুনে খেলতে থাকেন বিজয় ও লিটন। প্রথম বাউন্ডারি আসে ইনিংসের
তৃতীয় ওভারে। কাইল মেয়ার্সের বলে দলের হয়ে প্রথম বাউন্ডারি হাঁকান লিটন।
এরপর কিছুটা আক্রমণাত্মক
মনোভাব দেখা যায় বিজয়ের মধ্যেও। ওডিন স্মিথের করা ইনিংসের পঞ্চম ওভারের প্রথম বলেই
চারও হাঁকিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু এক বল পরই কিছুটা খাটো লেন্থের বল মিডউইকেটের ওপর
দিয়ে মারতে গিয়ে থার্ড ম্যানে দাঁড়ানো আকিল হোসেনের হাতে ক্যাচ তুলে দেন তিনি। ১১ বলে
১০ রান আসে বিজয়ের ব্যাটে।
এরপর ক্রিজে এসে
প্রথম বলেই বাউন্ডারি হাঁকান সাকিব আল হাসান। ওরকম আক্রমণাত্মক শট খেলতে গিয়েই নিজের
খেলা তৃতীয় বলে উইকেট দেন তিনি। রোমারিও শেফার্ডের বল উড়িয়ে মারতে গিয়ে ঠিকঠাক ব্যাটে
লাগাতে পারেননি সাকিব। দারুণ এক ক্যাচ নেন স্মিথ। ৩ বলে ৫ রান করে আউট হন সাকিব।
তার বিদায়ের পর
আফিফ হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে ৫৭ রানের জুটি গড়েন লিটন। কিন্তু আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে
নিজের ষষ্ঠ হাফ সেঞ্চুরি থেকে এক রান দূরে থেকে হেইডেন ওয়ালশের বলে আউট হন তিনি। ৩
চার ও ২ ছক্কায় ৪১ বলে ৪৯ রান আসে লিটনের ব্যাট থেকে।
এরপর মাহমুদউল্লাহ
রিয়াদের সঙ্গে ৪৯ রানের জুটি গড়েন আফিফ হোসেন। রিয়াদ শুরু থেকেই ছন্দ খুঁজে পাননি।
শেষ অবধি তার ইনিংসটি দলকে ভুগিয়েছেও বলা চলে। নিজের ইনিংসে একটি ফ্রি হিট পেয়েছিলেন,
তারপরও ২ চার ও ১ ছক্কায় ২০ বলে ২২ রানের বেশি করতে পারেননি তিনি।
আফিফ অবশ্য হয়েছেন
রান আউট। নিজের হাফ সেঞ্চুরি পূরণের পর আরও এক রান নিতে দৌড়ান তিনি। নিকোলাস পুরান
ও রভম্যান পাওয়েলের নৈপুন্যে তাকে ফিরতে হয় রান আউট হয়ে। ৬ বল খেলে মোসাদ্দেকের ১০
রানে ১৬০ পেরিয়েছে বাংলাদেশ।