পর্দায় তিনি আপাদমস্তক
সনাতনী নারী, ‘শ্রীমতী’। বাস্তবে তাঁরই
'পুরুষালি' বেশবাস! স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়। যিনি হারতে শেখেননি! তাঁর অভিযোগ, বিনোদন
দুনিয়ার রাজনীতিতে তিনি নাকি কোণঠাসা। সেই অভিনেত্রীরই নয়া রূপ দেখে চমকে গিয়েছে রবিবাসরীয়
সন্ধ্যা! ‘বিবি’ স্বস্তিকা এ
দিন পোশাকশিল্পী অভিষেক রায়ের সৌজন্যে ‘বাবু’! কী ভাবে? কালো বেনিয়ান পাঞ্জাবি আর দুধসাদা
চুনোট ধুতিতে। পায়ে কোলাপুরি চটি। নাক, গলা, আঙুলে ঝলমলে পাথরের মিনাকারি গয়না। স্বস্তিকা
অনন্যা।
অভিষেক জানিয়েছেন,
লিঙ্গভেদ মোছার বার্তা দিতে চেয়েছেন এ দিন। ইদানীং, পুরুষ অনায়াসে নারীর জন্য তৈরি
বারোহাতি শাড়িতে নিজেকে জড়াচ্ছেন! দাড়ি-গোঁফ শোভিত চেহারাতেই ঘাড়ের কাছে হাতখোঁপা।
তাঁরা পারলে নারী নয় কেন? আর এমন বৈপ্লবিক বার্তা তো স্বস্তিকাই দিতে পারেন! তাই তাঁকেই
মনের মতো করে সাজিয়েছেন 'পুরুষালি' পোশাকে। যদিও এর আগে লিঙ্গসাম্যের কথা একাধিক বার
বলেছেন সাংসদ-অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তীও। নুসরত জাহানও ‘গৌরবের মাস’ (প্রাইড মান্থ)-এ তাঁর ব্যক্তিগত দুই
রূপসজ্জা শিল্পীর (পড়ুন তৃতীয় লিঙ্গের) সমর্থনে বার্তা দিয়েছিলেন। তবে মিমি বা নুসরত
পর্দার ‘শ্রীমতী’র মতো পুরুষবেশ ধারণ করেননি।
অভিষেক নিজে সর্বদা কালো পাঞ্জাবি পরেন। কালো ওঁর প্রিয় রং। তাই কি একই রং স্বস্তিকার পরনেও? শিল্পীর কথায়, বার্তা দেওয়ার একাধিক রঙের মধ্যে কালোও ছিল। সাদা-কালো জুটিও আজীবনের। তাই কালো পাঞ্জাবির সঙ্গে মানানসই চুনোট ধুতির পাড়ে সূক্ষ্ম কালো সুতোর কাজ। তথাকথিত ধাক্কাপাড় নয় কিন্তু।এই সাজে স্বস্তিকা নিন্দিত না নন্দিত? অভিষেকের দাবি, প্রথমে সবাই থমকে গিয়েছিলেন। কিন্তু স্বস্তিকা তো স্বস্তিকাই। তাই নিজের জোরে সবার হাততালি আদায় করে নিয়েছেন। নায়িকা নিজে কী বলছেন? স্বস্তিকার মতে, নারী প্রতি দিনই দেবী। অস্বীকার করার উপায় নেই। বিশ্বাস করুন, আমরা শক্তিশালী। এর জন্য যাচাইয়ের প্রয়োজন নেই।