খুব একটা দাপুটে
ফুটবল না খেললেও পুরো ম্যাচজুড়েই মেক্সিকোর সঙ্গে সমানে সমান লড়েছে পোল্যান্ড। প্রথমার্ধে
তেমন কোনো বড় সুযোগ না পেলেও বিরতির পর দারুণ সুযোগ এসেছিল দলটির সামনে। কিন্তু সে
সুযোগ হেলায় হারিয়েছেন দলটির তারকা স্ট্রাইকার রবার্ট লেভান্ডোভস্কি। অন্যদিকে, আক্রমণ
ও বল দখলের লড়াইয়ে এগিয়ে থেকেও জালভেদ করতে ব্যর্থ মেক্সিকান ফরোয়ার্ডরা। আর তাতে নিজেদের
প্রথম ম্যাচে ড্র নিয়েই তৃপ্ত থাকতে হচ্ছে দুদলকে।
দোহার স্টেডিয়াম
৯৭৪-এ মঙ্গলবার দিনের তৃতীয় খেলায় গোলশূন্য ড্র করেছে মেক্সিকো-পোল্যান্ড।
ম্যাচের প্রথম
২৫ মিনিট কোনো দলই গোলমুখে শট নিতে পারেনি। ম্যাচের ২৬ মিনিটে ভেগারের বাড়ানো ক্রসে
হেরেরার শট গোলবারের সামান্য বাইরে দিয়ে চলে গেলে গোলবঞ্চিত হয় মেক্সিকো। পুরো স্টেডিয়ামে
মেক্সিকান সমর্থকদের অবস্থান ছিল চোখে পড়ার মতো। কিন্তু বল পায়ে এগিয়ে থাকলেও গোলমুখে
শট নিতে পারেনি তারা।
জেরার্ডো টাটা
মার্টিনোর দল এর আগের শেষ ৮টি বিশ্বকাপের প্রত্যেকটিতেই দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠেছিল। দ্বিতীয়ার্ধে
খেলার ধার আরও বাড়ায় দুই দল। ম্যাচের ৫২ মিনিটে লোজানোর শট দুর্দান্ত ভঙ্গিমায় রুখে
দেন সিজনি। এরপরই আসে ম্যাচের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত।
৫৫ মিনিটে মরেনো
ডিবক্সের ভেতর লেভেন্ডোস্কির জার্সি টেনে ধরে ফেলে দিলে রেফারি ভারের সহায়তায় পেনাল্টির
সিদ্ধান্ত দেন। কিন্তু সেখানেও কপাল ফেরেনি পোল্যান্ডের। টানা পঞ্চম বিশ্বকাপে মেক্সিকোর
গোলবারের ত্রাতা হয়ে আবির্ভূত হওয়া ওচোয়া লেভেণ্ডোস্কির পেনাল্টি রুখে দেন বাম পাশে
ঝাঁপিয়ে পড়ে।
৬৪ মিনিটে আবারো
পোল্যান্ডের ম্যাচে রাখেন গোলরক্ষক সিজনি। এবার মার্টিনের শট আলভারেজের মাথা ছুঁয়ে
গোলমুখে যেতেই সিজনি ঝাঁপিয়ে পড়ে কর্নারের বিনিময়ে দলকে রক্ষা করেন। ম্যাচের শেষ দিকে
পোল্যান্ড গোলের চেষ্টা করলেও গোল মুখে শট নিতে ব্যর্থ হয়। এতে করে দুই দল এক পয়েন্ট
নিয়ে মাঠ ছাড়ে।