আজঃ শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪
শিরোনাম

লেটস টক : আবারও তরুণদের মুখোমুখি হবেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২২ ডিসেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

তরুণদের কথা মাথায় রেখে স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণের লক্ষ্যে তরুণদের সঙ্গে আরও একবার মুখোমুখি আলোচনা করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এবারের লেটস টকে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ইস্যু, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র নীতি এবং তরুণদের নিয়ে ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা ও নীতি নির্ধারণ বিষয়ে কথা বলবেন প্রধানমন্ত্রী৷

শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) আওয়ামী লীগের গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই) এ তথ্য জানিয়েছে৷

সিআরআই জানিয়েছে, অনুষ্ঠানটি আগামী ২৮ ডিসেম্বর সম্প্রচার করা হবে। 

বাংলাদেশের সর্বশেষ জনশুমারির পরিসংখ্যান বলছে, তারুণ্যের জয়গান চলছে দেশেজুড়ে। মোট জনসংখ্যার ৪ ভাগের ১ ভাগ এখন তরুণ, যাদের বয়স ১৫ থেকে ২৯ বছরের মধ্যে। মোট সংখ্যায় ৪ কোটি ৭৪ লাখের বেশি। জনশুমারি ও গৃহ-গণনার চূড়ান্ত প্রতিবেদন অনুসারে দেশে বর্তমানে কর্মক্ষম জনশক্তির সংখ্যা প্রায় ৬২ শতাংশ। আর এই জনমিতিকে কাজে লাগাতে তরুণদের মতকে প্রাধান্য দিতে হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞ।

মূলত এ কারণেই তরুণদের সঙ্গে দেশের নীতি নির্ধারণী বিষয়ে আলোচনা, তাদের চাওয়া-পাওয়াগুলো সরাসরি জানা এবং দেশের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে আলোচনার জন্য আরও একবার সিআরআই আয়োজিত 'লেটস টক উইথ শেখ হাসিনা' অনুষ্ঠানে আসছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যেখানে অংশগ্রহণ করা প্রায় ২৫০ জনের বেশি তরুণ-তরুণীর বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশ গঠনে এগিয়ে আসা তরুণ, চেঞ্জমেকার, ইনফ্লুয়েন্সার, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধি, ট্রান্সজেন্ডারসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তরুণরা এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করছেন।

সিআরআই জানিয়েছে, এবারের লেটস টক অনুষ্ঠানে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ইস্যু, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র নীতি এবং তরুণদের নিয়ে ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা ও নীতি নির্ধারণ বিষয়ে কথা বলবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই সঙ্গে বিশেষ পর্বে তরুণরা তাদের বিভিন্ন প্রশ্ন ও মতামত জানাবেন সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর কাছে। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত জীবন ও ভাবনা নিয়েও বেশ কিছু নতুন তথ্য মিলবে এবারের লেটস টক অনুষ্ঠানে।

এ বিষয়ে আয়োজক প্রতিষ্ঠান সিআরআই জানায়, ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ তার ইশতেহারে তরুণদের প্রাধান্য দিয়ে সকল কর্মসূচি ঘোষণা করে। যার মধ্যে অন্যতম ছিল ডিজিটাল বাংলাদেশ। বর্তমানে ডিজিটাল বাংলাদেশের বাস্তবতা আমাদের সকলের সামনে। নিম্ন আয়ের দেশ থেকে আমরা মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হচ্ছি। আর এ সবকিছুর কেন্দ্র বিন্দুতে রয়েছে দেশের তরুণ সমাজ। এ কারণেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তরুণদের কাছ থেকে তাদের কথা জানতে চান। তরুণদের নিয়ে তার ভাবনার কথা বলতে চান। এরই অংশ হিসেবে আমরা আরও একবার আয়োজন করেছি 'লেটস টক উইথ শেখ হাসিনা'।


আরও খবর



‘রাজধানীতে কোনো ব্যাটারিচালিত রিকশা চলবে না’

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীতে ব্যাটারি বা যন্ত্রচালিত কোনো রিকশা চলতে না দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। আজ বুধবার রাজধানীর বনানীতে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) ভবনে সড়ক পরিবহন উপদেষ্টা পরিষদের প্রথম সভায় এই নির্দেশ দেন ওবায়দুল কাদের।

সভায় মন্ত্রী বলেন, ঢাকায় কোনো ব্যাটারিচালিত রিকশা চালানো যাবে না। এটা আগে কার্যকর করুন। এ ছাড়া ২২ মহাসড়কে রিকশা ও ইজিবাইক নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সেটা বাস্তবায়ন করুন।

ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ঢাকা সিটিতে ব্যাটারিচালিত রিকশা যাতে না চলে, সেই বিষয়ে শুধু নিষেধাজ্ঞা আরোপ নয়, এগুলো চলতে যাতে না পারে, সেটার ব্যবস্থা করুন।

সারাদেশে মোটরসাইকেল-ইজিবাইকের কারণে দুর্ঘটনা বেশি হচ্ছে বলে জানান সড়ক পরিবহনমন্ত্রী। তিনি বলেন, এগুলো নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। ফিটনেসবিহীন গাড়ি স্ক্র্যাপ (ধ্বংস) করতে হবে। উচ্চ হর্নের বিষয়ে আমাদের সর্তক থাকতে হবে। রাজধানীতে হুটার বাজানো বন্ধ করা দরকার। জরুরি সেবা ছাড়া হুটার বাজানো যাবে না।

এর আগে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের মেয়র শহরের মধ্যে ব্যাটারিচালিত রিকশা-অটোরিকশা বন্ধে সম্মতি জানান।

সভায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, ভয়াবহ ব্যাপার, যখন ব্যাটারিচালিত রিকশার চালকেরা দুই পা ওপরে উঠিয়ে বেপরোয়া গতিতে চালায়। অনেক প্রতিবন্ধী আছেন, যারা চোখে কিছুটা কম দেখেন, তারাও এই রিকশা নিয়ে নেমে পড়েন।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, সিদ্ধান্তে আসা দরকার যে ঢাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশা, অটোরিকশা, ইজিবাইক চলবে না। এটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।

সভায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শাজাহান খান, সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নূরী, বিআরটিএ চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদারসহ আরও অনেকে।


আরও খবর



চুক্তি ছাড়াই শেষ যুদ্ধবিরতি আলোচনা, রাফায় ইসরায়েলের ব্যাপক হামলা

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় সাত মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা ইসরায়েলি হামলা বন্ধে দুপক্ষের যুদ্ধবিরতির আলোচনা চুক্তি ছাড়াই শেষ হয়েছে। চুক্তি ছাড়াই যুদ্ধবিরতি আলোচনা শেষ হওয়ায় ইসরায়েল রাফাতে হামলা চালিয়ে যাওয়ার কথাও জানিয়েছে। তারা রাফা অঞ্চলে নতুন করে ব্যাপক বোমাবর্ষণ করেছে। এতে ওই অঞ্চল থেকে অন্তত ৮০ হাজার মানুষ পালাতে বাধ্য হয়েছে। শুক্রবার (১০ মে) বিবিসি ও বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনী বৃহস্পতিবার রাফা অঞ্চলে বোমাবর্ষণ করেছে বলে ফিলিস্তিনি বাসিন্দারা জানিয়েছেন। অন্যদিকে রাফাতে হামলা করলে ইসরায়েলে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করার যে হুমকি প্রেসিডেন্ট বাইডেন দিয়েছেন তা প্রত্যাখ্যান করেছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।

রয়টার্স বলছে, একজন সিনিয়র ইসরায়েলি কর্মকর্তা বৃহস্পতিবার রাতে বলেছেন, গাজায় সংঘাত থামাতে কায়রোতে চলমান পরোক্ষ আলোচনার সর্বশেষ দফা শেষ হয়েছে এবং ইসরায়েল পরিকল্পনা অনুযায়ী রাফা এবং গাজা উপত্যকার অন্যান্য অংশে তাদের অভিযান চালিয়ে যাবে।

গাজায় আটক বন্দিদের মুক্তির চুক্তির জন্য হামাসের প্রস্তাবের বিষয়ে মধ্যস্থতাকারীদের কাছে ইসরায়েল তার আপত্তি জমা দিয়েছে বলে ওই কর্মকর্তা বলেছেন।

এছাড়া নেতানিয়াহু এক ভিডিও বিবৃতিতে বলেছেন, যদি আমাদের প্রয়োজন হয়, আমরা আমাদের নখ দিয়ে লড়াই করব। কিন্তু আমাদের নখের চেয়ে অনেক বেশি আছে।’

এদিকে বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ইসরায়েলের হামলায় ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার বেশিরভাগই ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে আগেই। এখন বাকি রয়েছে অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডটির রাফা শহর। গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় এই শহরেই এবার হামলা জোরদার করেছে ইসরায়েল। আর এরই জেরে শহরটি ছেড়ে ইতোমধ্যেই পালিয়ে গেছেন ৮০ হাজারেরও বেশি মানুষ। জাতিসংঘ এই তথ্য সামনে এনেছে। ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে গাজার অন্যান্য অংশ থেকে তারা এখানে আশ্রয় নিয়েছিলেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত সোমবার থেকে ৮০ হাজারেরও বেশি মানুষ দক্ষিণ গাজার রাফা শহর থেকে পালিয়ে গেছে বলে জাতিসংঘ জানিয়েছে। এছাড়া রাফার বিভিন্ন অংশে ক্রমাগত বোমাবর্ষণের মধ্যে ইসরায়েলি ট্যাংকগুলি শহরের কাছাকাছি এসে জড়ো হচ্ছে বলে জানা গেছে।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি এই আক্রমণের ফলে গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে প্রায় ৩৫ হাজার লোক নিহত এবং আরও প্রায় ৮০ হাজার মানুষ আহত হয়েছেন।


আরও খবর



কারামুক্ত হলেন মামুনুল হক

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
গাজীপুর প্রতিনিধি

Image

গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন হেফাজতে ইসলামের সাবেক কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক।

শুক্রবার (৩ মে) বেলা ১১টার দিকে তিনি কারাগারের প্রধান ফটক থেকে বের হন। এসময় কারা ফটকের সামনে হেফাজত ইসলামের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা।

তিনি জানান, মাওলানা মামুনুল হক কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে দীর্ঘদিন বন্দি ছিলেন। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ৩৭টি মামলা রয়েছে। সর্বশেষ মামলায় তিনি বৃহস্পতিবার (২ মে) উচ্চ আদালত থেকে জামিন পান। বিকেলে জামিনের কাগজপত্র কারাগারে পৌঁছায়। শুক্রবার সকালে জামিনের সব কাগজপত্র নিয়ে ঢাকায় যোগাযোগ করা হয়। সেখানে কাজ শেষ হলে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়।

উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের রয়েল রিসোর্টে এক নারীর সঙ্গে হেফাজত নেতা মাওলানা মামুনুল হককে অবরুদ্ধ করেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। ১৮ এপ্রিল মোহাম্মদপুরের মাদরাসা থেকে মাওলানা মামুনুল হককে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর তার বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় ৩৭টি মামলা করা হয়। সেই থেকে তিনি কারাগারে ছিলেন।


আরও খবর



তীব্র তাপের মধ্যেও উন্নয়নের নামে বৃক্ষশূন্য করা হচ্ছে ঠাকুরগাঁওকে

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রেদওয়ানুল হক মিলন, ঠাকুরগাঁও

Image

বৈশাখী প্রখর রোদের তেজে তীব্র গা-জ্বলা খরতাপে পুড়ছে জনপদ। ঠাকুরগাঁওয়ে আজকে তাপমাত্রা ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁই ছুঁই। ভয়ংকর  দাবদাহে মানুষ যখন এক প্রকার মরতে বসেছে, সেই সময় আবার বিক্রির জন্য গাছ কেটে সাবাড় করে ফেলেছে বন বিভাগ। তীব্র তাপপ্রবাহ ও কম বৃষ্টিপাতের কারণে গ্রীষ্মকাল দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে। এসবের পরও উন্নয়নের নামে প্রায় বৃক্ষশূন্য করে ফেলা হচ্ছে ঠাকুরগাঁওকে।

গেল বছরে জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার বড়বাড়ী, আমজানখোর ও চাড়োল ইউনিয়নের প্রায় ৪০ কিলোমিটার রাস্তার ৫ হাজার গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। ওই রাস্তাগুলোর মধ্যে ৮ কিলোমিটার রাস্তায় নতুন গাছ লাগালেও বাকি রাস্তাগুলোতে গাছ লাগানোর কোন অগ্রগতি চোখে পড়েনি।

এর মধ্যেই দরপত্রের মাধ্যমে আবারও একই উপজেলার ধনতলা ও পাড়িয়া ইউনিয়নের ৩৭ কিলোমিটার রাস্তার ৪ হাজার গাছ কাটা শুরু হয়েছে। তাপদহের এই দুঃসময়ে গাছ কাটায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে স্থানীয়রা।

বন বিভাগের ভাষ্য, নিয়ম অনুযায়ী আয়তনের তুলনায় ২৫ ভাগ বনভূমি থাকার কথা থাকলেও ঠাকুরগাঁও জেলা রয়েছে ২ ভাগের কম বনভূমি রয়েছে। এসব গাছপালা কেটে ফেলা হলে শূন্যের কোঠায় পৌছাবে বনভূমি। সবকিছু জানার পরেও গেল মাসে ৮ ইউনিয়নে রাস্তায় থাকা অবশিষ্ট গাছগুলো কেটে ফেলার জন্য দরপত্র দিয়েছে বন বিভাগ। এর মধ্যে দুটো ইউনিয়নে শুরু হয়েছে গাছ কাটা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, দরপত্র পাওয়া দিনাজপুরের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ করা শ্রমিকরা রাস্তার গাছ কাটছেন। গত এক সপ্তাহ ধরে এ কার্যক্রম শুরু করেছেন তারা। দরপত্রের কার্যাদেশ অনুযায়ী ৪ হাজার গাছ কাটবেন তারা। এক সপ্তাহে ৩ শতাধিক গাছ কাটা হয়েছে বলে জানান শ্রমিকরা।

বন বিভাগের আহবান করা দরপত্র অনুযায়ী উপজেলার পাড়িয়া ইউনিয়নের লোহাগাড়া হইতে তিলকরা সরাকন্দি পর্যন্ত ৫ কিলোমিটার ও ধনতলা ইউনিয়নের পাঁচপীর থেকে ফুটানী হাট পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার, তিলময় বাবুর বাড়ী হতে এনামুল চেয়ারম্যানের বাড়ী হয়ে বাহার জিলা পর্যন্ত ৫ কিলোমিটার ও সিন্দুরপিন্ডি হইতে খোঁচাবাড়ী হয়ে তীরনই নদীর শেষ সীমানা ও দলুয়া হয়ে পান্তা ভিটা পর্যন্ত ১৫ কিলোমিটারসহ ৩৭ কিলোমিটার রাস্তার পাশের বিশাল আকৃতির গাছগুলোর গায়ে সিরিয়াল নম্বর দেওয়া হয়েছে কাটার জন্য।

মশালডাঙ্গী গ্রামের সমারু মাঠে কাজ করে গাছের ছায়ায় বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। তিনি জানান, রাস্তার ধারে থাকা গাছগুলোর ছায়ায় কৃষক ও শ্রমজীবি শ্রেণির মানুষেরা মাঠে কাজের ফাঁকে একটু বিশ্রাম নেয়। এ তীব্র তাপদাহের মধ্যে এখন রাস্তার দু'পাশের বিশালাকৃতির গাছগুলো কাটা হলে মরুভুমিতে পরিনত হবে এলাকাটি। তাই এলাকাবাসীর দাবি প্রচন্ড তাপদাহের মধ্যে এই মুহূর্তে গাছগুলো না কেটে কিছুদিন পরে কাটলে এলাকাবাসী উপকৃত হতো।

ঠাকুরগাঁওয়ে আবহাওয়া অফিস না থাকলেও রংপুর আবহাওয়া অফিস থেকে জানা গেছে, শুক্রবার ঠাকুরগাঁও জেলায় দুপুরে তাপের প্রখরতা ছিল ৩৭ ডিগ্রী, শনিবার ৩৪ ডিগ্রী ও আজ রবিবার ৩৯ ডিগ্রী ছুইছুই। গরমের তীব্রতায় মানুষের হাঁসফাঁস অবস্থা। জেলার বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টির জন্য ইশতেশকার নামাজ আদায় করেছে মুসল্লিরা। এ অবস্থায় গাছ কাটায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকার লোকজন।

শিক্ষক আমানুল্লাহ জানান, রাস্তার পাশের গাছগুলো এই এই মুহূর্তে যেমন মানুষের জন্য প্রয়োজন, তেমনী পশু-পাখিদের জন্যও প্রয়োজন। অনেক পাখি এখন গাছগুলোতে বাসা বানিয়ে ডিম দিয়েছে। প্রচন্ড তাপদাহের সময়ে পাখিগুলোর জন্য হলেও কিছুদিন পরে গাছগুলো কাটা উচিত।

পাড়িয়া ইউপি সদস্য আইয়ুব আলী জানান, দরপত্র হয়েছে গাছ কাটবে ঠিকাদার। এতে বাধা দেওয়ার সুযোগ নেই। তবে গ্রামবাসীর দাবি গরমের দিনগুলো পার করে গাছ কাটা হউক। এটা নিয়ে উপজেলা প্রশাসন এবং বন বিভাগকে প্রয়োজনে লিখিত আকারে জানানো হবে।

ঠাকুরগাঁও বনবিভাগের বন কর্মকর্তা শফিউল আলম মন্ডল জানান, গাছগুলো কাটার উপযোগী এবং যারা লাগিয়েছেন তাদের চাহিদার প্রেক্ষিতে দরপত্র আহবান করে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে কাটার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফছানা কাওছার জানান, পরিস্থিতি বিবেচনায় গাছগুলো কাটা বন্ধ রাখার জন্য ঠিকাদার ও বন বিভাগকে জানিয়েছি। তাপদাহ কমে গেলে দরপত্র অনুযায়ী ঠিকাদার কাটবেন।


আরও খবর



থাইল্যান্ডের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
কূটনৈতিক প্রতিবেদক

Image

ছয় দিনের সরকারি সফরে থাইল্যান্ডের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশটির প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের আমন্ত্রণে বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকাল ১০টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে ব্যাংককের উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করেন তিনি।

স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে ব্যাংককের ডন মুয়াং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমানটির অবতরণের কথা রয়েছে।

তার সফরে থাইল্যান্ডের সঙ্গে সহযোগিতা প্রসারে দুই দেশের মধ্যে একটি চুক্তি, তিনটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) ও একটি লেটার অব ইন্টেন্ট (আগ্রহপত্র) স্বাক্ষরের সম্ভাবনা রয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর থাইল্যান্ড সফর নিয়ে গত সোমবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ জানান, ২৬ এপ্রিল থাইল্যান্ডের গভর্নমেন্ট হাউজে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন। একই দিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সৌজন্যে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী আয়োজিত রাষ্ট্রীয় মধ্যাহ্নভোজে যোগ দেবেন। দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে অফিসিয়াল পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসা অব্যাহতি সংক্রান্ত চুক্তির পাশাপাশি জ্বালানি, পর্যটন ও শুল্ক সংক্রান্ত পারস্পরিক সহযোগিতা বিষয়ক তিনটি সমঝোতা স্মারক এবং মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির আলোচনা শুরুর জন্য একটি লেটার অব ইন্টেন্ট (আগ্রহপত্র) স্বাক্ষরের সম্ভাবনা রয়েছে। সফরকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা থাইল্যান্ডের রাজপ্রাসাদে রাজা মহা ভাজিরালংকর্ন এবং রানি সুথিদার সঙ্গেও সাক্ষাৎ করবেন।


আরও খবর