আজঃ মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪
শিরোনাম

লালন ফকিরের কুষ্টিয়া

প্রকাশিত:শনিবার ১৫ অক্টোবর ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ১৫ অক্টোবর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

কুষ্টিয়াকে বলা হয় সাহিত্য ও সংস্কৃতির রাজধানী। বাউল সম্রাট ফকির লালন শাহের আখড়া, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিবিজড়িত কুঠিবাড়ি এবং মীর মশাররফ হোসেন-এর বাস্তুভিটার জন্য ভ্রমণপিপাসুরা প্রতিনিয়ত ছুটে যান কুষ্টিয়ায়। আপনি চাইলে একদিন সময় নিয়েই ঘুরে আসতে পারেন কুষ্টিয়া থেকে। লালন শাহ সেতুর ওপর দিয়ে যেতে যেতে দেখতে পাবেন দেশের সবচেয়ে প্রাচীন ও দীর্ঘতম রেলসেতু হার্ডিঞ্জ ব্রিজ। শহরের উপকণ্ঠে স্বদেশি আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত মোহিনী মিল দেখতে পারেন। আরও দেখে নিতে পারেন বাংলাদেশের প্রথম রেলস্টেশন জগতিরেন উইক বাঁধ যেটি গড়াই নদীর ওপর অবস্থিত। নৈসর্গিক পরিবেশে অবস্থিত কুষ্টিয়া ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসটি না হয় এক নজর দেখে এলেন!

লালন শাহের মাজার: মানুষ ভজলে সোনার মানুষ হবি-এমন মানবতার বাণী যিনি গানে-কবিতায় আজন্ম প্রচার করেছেন সেই মরমি কবি বাউল সম্রাট লালন শাহের মাজার অবস্থিত কুমারখালীর ছেউড়িয়ায়। মজমপুর গেট থেকে অটো রিকশায় চেপে লাহিনী বটতলায় নেমে আবার অটো রিকশায় যেতে হবে ছেউড়িয়ার আখড়ায়। ফকির লালনের জীবদ্দশায় তিনি এখানেই তার শিষ্যদের মানবতাবাদ ও আধ্যাত্মিক শিক্ষা দিতেন। তার মৃত্যুর পর তার সমাধি স্থলেই এক মিলন ক্ষেত্র (আখড়া) গড়ে ওঠে। লালনের আখড়া বাড়ির আয়তন সাড়ে ১৪ একর। সরকারি সহয়তায় যেখানে নতুন করে গড়ে উঠেছে লালন একাডেমি ভবন ও কমপ্লেক্স।

মাজার কমপ্লেক্সে সাঁইজিসহ মোট ৩২টি সমাধি আছে। এর মধ্যে ১৪টি সাঁইজির মুরিদ, ১ জন প্রশিষ্য আর বাকি তার অনুসারীদের। আখড়া বাড়িতে সাঁইজির সাধু শিষ্যরা দলবদ্ধ হয়ে আগত ভক্ত-দর্শনার্থীদের লালনগীতি শুনিয়ে মুগ্ধ করেন। এখানে দোল পূর্ণিমার তিথিতে পাঁচ দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। আর পহেলা কার্তিক লালনের তিরোভাব তিথি। আনুষ্ঠানে দেশি-বিদেশি পর্যটক ও লালন ভক্তানুরাগীদের সমাগম হয়। আখড়া মাজারের সামনেই রয়েছে সারি সারি বেশকিছু দোকান। যেখানে পাবেন একতারা, দোতারা, বাঁশি, করতাল, ঢোলসহ অসংখ্য লোকবাদ্যযন্ত্র। আরও পাবেন নানা কুটিরশিল্প সামগ্রী।

রবীন্দ্রনাথের কুঠিবাড়ি: কুষ্টিয়ার কুমারখালি উপজেলায় অবস্থিত কুঠিবাড়িটি রবীন্দ্রসংস্কৃতি বিজড়িত একটি ঐতিহাসিক পর্যটন কেন্দ্র। ১৮০৭ সালে রবীন্দ্রনাথের পিতামহ প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর শিলাইদহের জমিদারির মালিক হন। জমিদারি দেখাশোনার দায়িত্ব নিয়ে রবীন্দ্রনাথ শিলাইদহে প্রথমে আসেন ১৮৮৯ সালে। তিনি মাঝে মাঝেই এখানে আসতেন এবং এই কুঠিবাড়িতেই থাকতেন। তার অবস্থানকালে কুঠিবাড়িটি পরিণত হতো খ্যাতনামা বিজ্ঞানী, সাহিত্যিক ও বুদ্ধিজীবীদের মিলনমেলায়। যাদের মধ্যে ছিলেন স্যার জগদীশচন্দ্র বসু, দ্বিজেন্দ্রলাল রায়, প্রমথ চৌধুরী, মোহিতলাল মজুমদার, লোকেন্দ্রনাথ পালিত প্রমুখ। বাংলাপিডিয়ার তথ্যমতে এ কুঠিবাড়ি ও পদ্মাবোটে বসে রচিত হয় রবীন্দ্রসাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সম্পদ সোনার তরী, চিত্রা, চৈতালী, কথা ও কাহিনী, ক্ষণিকার অধিকাংশ কবিতা। রচিত হয় নাটক, উপন্যাস, পত্রাবলী এবং গীতাঞ্জলি ও গীতিমাল্যের গান। শিলাইদহে বসেই কবি ১৯১২ সালে গীতাঞ্জলি কাব্যের ইংরেজি অনুবাদ শুরু করেন, যা তাকে ১৯১৩ সালে নোবেল পুরস্কারের সম্মান এনে দেয়।

শিলাইদহ ও পদ্মার প্রতি রবীন্দ্রনাথের ছিল গভীর অনুরাগ। আম, কাঁঠালসহ বিভিন্ন ফলজ বৃক্ষ ও অন্যান্য চিরসবুজ বৃক্ষের বাগান, পুষ্পোদ্যান এবং পুকুরসহ প্রায় ১১ একর মনোরম এলাকা জুড়ে বিস্তৃত এ কুঠিবাড়ি। গ্রামীণ পরিবেশ আর মনোমুগ্ধকর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগের পাশাপাশি দেখতে পাবেন রবীন্দ্রনাথের নিজ হাতে লাগানো বকুল গাছ। কুঠিবাড়িটির ১৮টি কক্ষে সাজানো আছে বিশ্বকবির ব্যবহৃত পালকি, নৌকা, টেবিল, খাট, কিছু দুর্লভ ছবিসহ সেই সময়ের ব্যবহৃত নানা জিনিসপত্র। কুঠিবাড়ির প্রবেশ পথেই পাবেন কুষ্টিয়ার বিখ্যাত তিলের খাজা ও কুলফি আইসক্রিম চাইলে চেখে দেখতে পারেন। সাপ্তাহিক ছুটির জন্য রোববার সারা দিন এবং সোমবার অর্ধদিবস বন্ধ থাকে কুঠিবাড়ি।

আরও যা দেখতে পারেন: কালজয়ী বাংলা উপন্যাস বিষাদ সিন্ধুর রচয়িতা বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ঔপন্যাসিক মীর মশাররফ হোসেনের বাস্তুভিটা কুমারখালী উপজেলার লাহিনীপাড়ায় অবস্থিত। বাঙালি সাংবাদিকতার পথিকৃত কাঙ্গাল হরিনাথ প্রতিষ্ঠিত ছাপাখানা। কুষ্টিয়া সদর থানার অন্তর্গত ঝাউদিয়া গ্রামে অবস্থিত শাহী মসজিদ মোগল সম্রাট শাহজাহানের রাজত্বকালে নির্মিত। এটি মোগল শিল্পকলার এক অপূর্ব নিদর্শন। ব্রিটিশ আমলে কুষ্টিয়ার সঙ্গে কলকাতার রেল যোগাযোগ ছিল। ১৯০৯ সালে পদ্মা নদীর ওপর ভেড়ামারা-পাকশি রেলসেতু নির্মাণ কাজ শুরু হয় এবং ১৯১৫ সালে শেষ হয়। তৎকালীন গভর্নর জেনারেল লর্ড হার্ডিঞ্জ-এর নামানুসারে এর নামকরণ করা হয় হার্ডিঞ্জ ব্রিজ। ব্রিজটি লম্বায় এক কিলোমিটার এবং এতে ১৮টি স্প্যান আছে। এটি পৃথিবীর অন্যতম বৃহত্তম রেলসেতু। ১৯৭১ সালে পাকবাহিনীর বোমার আঘাতে এর দুটি স্প্যান নষ্ট হয়। পরে ১৯৭৪ সালে আবার তা মেরামত করা হয়। বর্তমানে এর পাশেই লালন শাহ সেতুর অবস্থান।

যেভাবে যাবেন: ঢাকা থেকে বাস এবং ট্রেনে কুষ্টিয়া যেতে পারেন। রাজধানীর কল্যাণপুর থেকে কুষ্টিয়াগামী এসি, নন-এসির বিভিন্ন কোম্পানির বাস রয়েছে। ট্রেনে যেতে চাইলে সুন্দরবন এক্সপ্রেস অথবা চিত্রা এক্সপ্রেসে যেতে পারবেন। ট্রেনে গেলে ভেড়ামারা স্টেশনে নেমে বাসযোগে মজমপুর যেতে হবে। সেখান থেকে অটো রিকশা বা অন্য বাহনে আপনার পছন্দের জায়গায় ঘুরে আসুন।

নিউজ ট্যাগ: লালন স্মরণোৎসব

আরও খবর



জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদ জামাত শুরু হয়।

ঈদের প্রধান জামাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও বয়সের লাখো মুসল্লি।

ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন। দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি উপস্থিত সবার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সিটি কর্পোরেশন থেকে জানানো হয়, এবার জাতীয় ঈদগাহের ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়। ছিল ঈদগাহে নারীদের জন্যও আলাদা নামাজের ব্যবস্থা।

এদিকে জাতীয় ঈদগাহ ছাড়াও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মোট পাঁচটি জামাত আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে।  ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, বায়তুল মোকাররমে সকাল ৭, ৮, ৯ ও ১০ ও ১০টা ৪৫ মিনিটে ঈদের জামাত হবে।


আরও খবর



গাজীপুরে ফ্ল্যাট থেকে স্বামী-স্ত্রীর মৃতদেহ উদ্ধার

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
গাজীপুর প্রতিনিধি

Image

গাজীপুর শ্রীপুরের একটি বহুতল ভবনের ফ্ল্যাট থেকে স্বামী-স্ত্রীর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সকালে উপজেলার মুলাইদ গ্রামের মো. ফারুক খানের বহুতল ভবনের নিচ তলার এক কক্ষ থেকে মৃতদেহগুলো উদ্ধার করা হয়।

নিহত মো. ইসরাফিল (১৭) শেরপুরের ঝিনাইগাতি থানার হলদি গ্রামের মো. মফিজুল হকের ছেলে ও মোছা. রোকেয়া খাতুন (১৫) ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ থানার পস্তারি গ্রামের আবুল কাশেমের মেয়ে।

জানা যায়, প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে গত ৭/৮ মাস আগে তারা পরিবারের অমতে বিয়ে করেন। শ্রীপুরের মুলাইদ গ্রামের মো. ফারুক হোসেনের বহুতল ভবনে ভাড়া থেকে ইসরাফিল স্থানীয় একটি ওয়ার্কশপে ও রোকেয়া স্থানীয় একটি কারখানায় কাজ করতেন।

নিহত রোকেয়ার ভাই মো. বোরহান উদ্দিন বলেন, ৭-৮ মাস আগে পরিবারের অমতে তারা বিয়ে করে। তাদের সম্পর্ক ভালোই চলছিল। সম্প্রতি ইসরাফিল তার বাবা-মায়ের সঙ্গে ঝগড়া করে বাড়ি থেকে চলে গিয়েছিল। পরে বৃহস্পতিবার তাদের বুঝিয়ে বাসায় আনা হয়েছিল। সকালে তাদের মৃত্যুর খবর পাই।

নিহত ইসরাফিলের বাবা মফিজুল হক জানান, পাশাপাশি ফ্লাটে বসবাস করতেন তারা। পরিবারের রান্নার কাজ তারা ইসরাফিলের ফ্লাটে করতেন। শুক্রবার সকালে ইসরাফিলের ফ্লাটের দরজা খোলা দেখতে পেয়ে ভেতরে যান এবং ইসরাফিলকে ওড়নায় পেঁচানো ঝুলন্ত অবস্থায় এবং রোকেয়ার মৃতদেহ খাটের ওপর বিছানায় দেখতে পান। পরে পাশ থেকে একটি চিরকুট পাওয়া গেছে।

চিরকুটে লেখা ছিল, মা-বাবা আমাকে মাফ করে দিও, আমি তোমাদের সাথে থাকতে পারলাম না। আমার জান আমার জন্য ফাঁসিতে ঝুলেছে। তাই আমি থাকতে পারলাম না। আমি কাউকে দোষারোপ করি না। কারও কোনো দোষ নাই। আমার জান আমার জন্য অপেক্ষা করতাছে। সবাই ভালো থাকবা। মো. ইসরাফিল।

মা আমার পাশে রোকেয়ার কবর দিও মা। মা আমি জানি না আমার জান কেন ফাঁস দিল। তার জন্য সম্পন্ন আমি দায়ী। এতে কারও কোনো দোষ নাই।’

শ্রীপুর থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সাখাওয়াত হোসেন জানান, খবর পেয়ে স্বামী-স্ত্রীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে প্রথমে স্ত্রী আত্মহত্যা করে। স্ত্রীর আত্মহত্যার বিষয়টি স্বামী সইতে না পেরে তিনিও আত্মহত্যা করেন। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।


আরও খবর



ঈদ জামাতে দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনা করে দোয়া

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর বায়তুল মোকাররমে ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাত শেষে দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনা করে দোয়া করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৭টায় ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এরপর ৭টা ২২ মিনিটে শুরু হয় মোনাজাত।

১২ মিনিটব্যাপী চলা এই মোনাজাত করান বায়তুল মোকাররমের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। এ সময় আল্লাহ্‌র কাছে দুহাত তুলে দোয়া করেন ছোট বড় সব বয়সী মুসল্লিরা।

মোনাজাতে দেশবাসীর কল্যাণ ও সুস্থতা কামনা করা হয়। এছাড়া বঙ্গবন্ধু, তার পরিবার, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য দোয়া কামনা করা হয়। একইসঙ্গে মোনাজাতে দেশ ও জাতির সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি, মৃত সকলের মাগফিরাত, শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের রুহে মাগফিরাত কামনা করেন। নামাজ শেষে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা কোলাকুলির পাশাপাশি ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

এর আগে, পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাতের পর শুরু হয় ঈদের বিশেষ খুতবা। প্রথম জামাতে ইমাম ছিলেন বায়তুল মোকাররমের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন এই মসজিদের মুয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাক।

এরপর বায়তুল মোকাররমে সকাল ৮টায় ঈদের দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এ ছাড়া সকাল ৯টায় তৃতীয়, চতুর্থ সকাল ১০টায়, পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে অনুষ্ঠিত হবে।


আরও খবর



নাশকতার তিন মামলায় জামিন পেলেন মামুনুল হক

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

নাশকতার তিন মামলায় হেফাজতে ইসলামের নেতা মাওলানা মামুনুল হককে জামিন দিয়েছেন আদালত। বুধবার (২৪ এপ্রিল) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুল হক এই আদেশ দেন।

মামুনুল হকের আইনজীবী আব্দুস সালাম হিমেল জানিয়েছেন, বুধবার মতিঝিল থানার মামলা ১৪(৫)১৩, পল্টন থানার মামলা ৮(৪)২১, পল্টন থানার মামলা ২৮(৪)২১ সহ তিনটি মামলায় মাওলানা মোহাম্মদ মামুনুল হককে জামিন দিয়েছেন আদালত।

নথি থেকে জানা গেছে, মাওলানা মামুনুল হক গত ২০২১ সালের ২১ এপ্রিল গ্রেপ্তার হয়ে তিন বছরের বেশি সময় জেল হাজতে আটক আছেন।


আরও খবর



সুন্দরবনে আগুন, নেভানোর চেষ্টায় বনকর্মীরা

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

পূর্ব সুন্দরবনে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (৪ মে) বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে চাঁদপাই রেঞ্জের আমরবুনিয়া ও গুলশাখালীর মাঝামাঝি এলাকায় এ আগুনের ঘটনা ঘটে। বাগেরহাট ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিটসহ বনরক্ষীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।

পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের স্টেশন কর্মকর্তা (এসও) আনিসুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন। বনের ভিতর মধু সংগ্রহে মৌওয়ালের আগুনে এ আগুনের সূত্রপাত বলেও জানান তিনি।

আনিসুর রহমান বলেন, এরই মধ্যে বাগেরহাট ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিটসহ বনবিভাগের চারটি ফাঁড়ির বনরক্ষীরা মিলে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করেছে। এ ছাড়া পূর্ব সুন্দরবনের বন কর্মকর্তারা সেখানে উপস্থিত থেকে আগুন নিয়ন্ত্রণে তদারকির কাজ করছেন।

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. আবু তাহের মিয়া জানান, আমুরবুনিয়া ফাঁড়ির কাছেই আগুন লেগেছে। বেশ বড় এলাকা। অন্তত দুই কিলোমিটারজুড়ে আগুন ছড়িয়ে পড়েছে। সবাই নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে। যেভাবে আগুন ছড়িয়েছে সেটি নিয়ন্ত্রণে আনা কঠিনই হবে।

বাগেরহাট ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক মো. সাইদুল আলম চৌধুরী জানান, আগুনের খবর পেয়ে এরই মধ্যে মোরেলগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করেছে। আগুনের এ ঘটনায় বনের পশু এবং কী পরিমাণ বনাঞ্চল পুড়ে গেছে, তা আগুন নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত বলা যাচ্ছে না।

এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি করা হবে বলেও জানান তিনি। 

নিউজ ট্যাগ: সুন্দরবনে আগুন

আরও খবর