আজঃ সোমবার ০৬ মে ২০২৪
শিরোনাম

লালমোহন-তজুমদ্দিনের প্রিয় মুখ ইঞ্জিনিয়ার নোমান

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৩ নভেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৩ নভেম্বর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

ইঞ্জিনিয়ার আবু নোমান হাওলাদার এই মুহূর্তে বাংলাদেশের একজন তরুণ সফল শিল্পোদ্যোক্তা। উদ্যোমী, মেধাবী ও প্রকৌশলী শিল্পপতি হিসেবে ব্যবসায়ী সমাজের কাছে আদর্শ বিজনেস আইকন হিসেবে সমাদৃত তিনি। অল্প সময়ে তার পরিশ্রম, ত্যাগ, সততা, নিষ্ঠা ও সংগ্রামের মাধ্যমে নিজেকে ব্যবসায়ী জগতে যেমন অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন, তেমনি রাষ্ট্রের কাছে হয়ে উঠেছেন ব্যবসায়ী হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। বৃহৎশিল্প স্থাপন ও পরিচালনার মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে তিনি বেকারত্ব দূরীকরণ এবং ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মানে নিভৃতে কাজ করে চলেছেন।

ইঞ্জিনিয়ার আবু নোমান হাওলাদার ১৯৭৩ সালে ভোলা জেলার লালমোহন উপজেলার ধলীগৌরনগর ইউনিয়নের ভেদুরিয়া গ্রামে সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা আব্দুল হান্নান হাওলাদার ও মাতা নুর জাহান বেগম। ছয় ভাই-বোনের মধ্যে নোমান হাওলাদার দ্বিতীয়।

শৈশব থেকেই অত্যন্ত শান্তও মিশুক প্রকৃতির ছিলেন আবু নোমান। তার আদব-কায়দা ও ভদ্রতায় প্রতিবেশীদের কাছে অন্তত এ বিষয়টি স্পষ্ট ছিল যে একজন সুমানুষ হিসেবে গড়ে উঠবেন তিনি। বাবা মায়েরও বুঝতে বাকি ছিলোনা যে তাদের এই মেধাবী সন্তান পড়ালেখায় ভালো করে নিজেকে সুপ্রতিষ্ঠিত করবেন। সম্মান বয়ে আনবেন সমাজ ও দেশের জন্য। বাবা-মারও প্রত্যাশা ছিলো যেতাদের সন্তান দেশের মানুষের সেবা করবে সবটুকু উজার করে।

প্রথম শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত সবসময়ই ক্লাসে প্রথম ছিলেন আবু নোমান। প্রাথমিকে পড়েছেন উত্তর ভেদুরিয়ার কুলচরা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। এরপর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠ শেষে আবু নোমান ভর্তি হন ধলীগৌরনগর ইউনিয়নের করিমগঞ্জ উচ্চবিদ্যালয়ে। সেখানে ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেন তিনি। এখানেও প্রতিটি শ্রেণিতে প্রথম ছিলেন তিনি। এই সাফল্যের পথ ধরে ১৯৮৮ সালে অত্যন্ত কৃতিত্বের সাথে এসএসসি পাস করেন আবু নোমান। পিতা-মাতা উভয়েই শিক্ষার প্রতি অনুরাগী হবার ফলে পড়ালেখার উত্তম পরিবেশ সৃষ্টি করেন তারা এবং তাদের তত্ত্ববধানেই বাড়িতে থেকে পড়ালেখা করে মাধ্যমিকেও সাফল্য অর্জন করেন তিনি।

মাধ্যমিক পাশ করার পর উচ্চ মাধ্যমিকে পড়ালেখার জন্য রাজশাহীতে যান আবু নোমান। সেখানে মামার তত্ত্ববধানে পড়ালেখা করেন তিনি। ভর্তি হন রাজশাহী সিটি কলেজে। উচ্চ মাধমিক পাস করার পর মেধার স্বাক্ষর রেখে আবু নোমান ভর্তি হন দেশের মেধাবীদের পীঠস্থান,বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়- বুয়েটে। পড়াশোনা করেন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে। এই সময়ে জড়িত হন ছাত্র রাজনীতিতে। বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশকে বুকে লালন করা পরিবারের সন্তান হিসেবে নিশ্চিত ভাবে আওয়ামী লীগ এবং ছাত্রলীগই তার রাজনৈতিক, আদর্শিক ঠিকানা হয়ে ওঠে।

নব্বইয়ের দশকে বুয়েটে ছাত্রলীগের রাজনৈতিক অবস্থান অতটা শক্তিশালী ছিলো না। ছাত্রলীগের অবস্থানকে শক্তিশালী করার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করেন ইঞ্জিনিয়ার আবু নোমান। সেই পরিশ্রম ও অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ১৯৯৭ সনে ইউকসু নির্বাচনে সোহরাওয়ার্দী হল থেকে ভিপি নির্বাচিত হন তিনি।

তার সততা, নিষ্ঠা, কঠোর পরিশ্রম, বন্ধুবৎসল আচরণে মুগ্ধ হন সবাই। সে কারণেই সাধারণ শিক্ষার্থীরা ও তাকে বিপুল সমর্থকরা ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করেন। কর্মজীবনে ও তিনি মানুষকে ভালোবাসার যে শিক্ষা চর্চা করেন, সেই হৃদ্যতাপূর্ণ আচরণের কারণেই দল মত নির্বশেষে সার্বজনীন ভালোবাসাও সম্মানের অবস্থানে নিজেকে উন্নীত করেছেন ইঞ্জিনিয়ার আবু নোমান হওলাদার। ছাত্র-শিক্ষক, ধনী-গরীব, নারী-পুরুষ,তরুণ, বৃদ্ধ নির্বিশেষে সবাই ইঞ্জিনিয়ার আবু নোমানকে একজন সজ্জন, দয়ালু, দানশীল মানবিক মানুষ হিসেবে জানেন এবং শ্রদ্ধাকরেন।

আবু নোমান হাওলাদারের নেতৃত্ব দেবার গুণাবলী অসাধারণ। তার মোহনীয় ব্যক্তিত্বই তাকে নেতৃত্বের স্থানে আসীন করেছে। তিনি এরই মধ্যে লালমোহন-তজুমদ্দিন এবং তার কর্মক্ষেত্রে প্রমাণ করেছেন তার জনপ্রিয়তা। দশ থেকে বারোটি বৃহৎ শিল্প পরিচালনা, এসব ভারী শিল্প কারখানকে টিকিয়ে রাখতে যে দক্ষতা, যোগ্যতা, দূরদর্শিতা এবং নেতৃত্বের প্রয়োজন আবু নোমানের এসবের কোনোটিরই কমতি নেই। তিনি যেমন একজন অদম্য মেধাবী শিক্ষার্থী হিসেবে জীবন শুরু করেছিলেন, ঠিক তেমনি ভাবেই একজন প্রতিভাবান ও সুব্যবসায়ী হিসেবে এদেশের শিল্পখাতে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।

শিক্ষাজীবন, পারিবারিক জীবন, সামাজিক জীবন, ব্যবসায়ী জীবনে সাফল্যের পর রাজনীতিতেও ঈর্ষণীয় সাফল্যের স্বাক্ষর রেখে চলেছেন তিনি। প্রতিটি ক্ষেত্রেই নিজের যোগ্যতায় বিশেষ বৈশিষ্ট্য মন্ডিত একজন সফল মানুষ ইঞ্জিনিয়ার আবু নোমান হাওলাদার। তার মতো প্রমাণিত মেধাবীদের পক্ষেই সম্ভব দেশের রাজনীতিতেও গুণগত পরিবর্তন সাধন করা।

বুয়েটের মেধাবীদের কাছে বিদেশ কোনও স্বপ্ন নয়। অনেকেই ইউরোপ, আমেরিকায় উচ্চশিক্ষার উদ্দেশ্যে পাড়ি জমিয়ে সেখানেই স্থায়ী হয়েছেন পেশায়। বুয়েট থেকে পাশ করা একজন মেধাবী প্রকৌশলী হিসেবে ইঞ্জিনিয়ার আবু নোমান হাওলাদারেরও সেই সুযোগ ছিলো। সেরা বিদ্যাপীঠ থেকে পাস করে বের হওয়া একজন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারের বিদেশে চলে যাবার সুযোগ অবজ্ঞা করা নিশ্চয়ই সহজ কাজ নয়। কিন্তু দেশ, মাটি ও মানুষের কথা চিন্তা করে, নিজের আরাম-আয়েসের কথা বাদ দিয়ে দেশেই নিজেকে প্রমাণ করেছেন এই বুয়েট প্রকৌশলী। তিনি মা ও মাটিকে ফিরিয়ে দিতে চান তার চেয়েও বেশি যতটুকু তিনি এই দেশ থেকে পেয়েছেন।

ইঞ্জিনিয়ার আবু নোমানের জীবন পথও কুসুমাস্তীর্ণ ছিলোনা। ক্যারিয়ার ছিলো চ্যালেঞ্জিং ও বিপদ সঙ্কুল। বুয়েটে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি সম্পন্ন করার পর একটি স্বনামধন্য বেসরকারি শিল্প গ্রুপে চাকরি করেন তিনি। কয়েক বছর চাকরি করে এই প্রকৌশলী সিদ্ধান্ত নেন- আর চাকরি নয়; এবার ব্যবসা করবেন তিনি।

শুরু করলেন উদ্যোক্তা জীবন। শুরুটা ২০০০ সালের দিকে। কিন্তু ব্যবসাতো এত সহজ নয়। এই অভিযাত্রায় আছে ঘাত-প্রতিঘাত ও বন্ধুর পথ। আছে লাভ-লোকসানের কঠিন সব সমীকরণ। ব্যবসায় প্রয়োজন অসীম ধৈর্য, হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রম, দৃঢ় মনোবল, আত্মবিশ্বাস এবং সঠিক সময়ে উপযুক্ত সিদ্ধান্ত নেবার ক্ষমতা। জীবনের কঠিন সব চ্যালেঞ্জ উতরে আজকের অবস্থানে নিজেকে মেলে ধরেছেন আবু নোমান হাওলাদার। একজন সফল উদ্যোক্তা, নিষ্ঠাবান, সৎব্যবসায়ী হিসেবে রাষ্ট্রকে কোটি কোটি টাকা কর প্রদান করেন তিনি। শিল্পখাতে নিজের উজ্জ্বল ভাবমূর্তি প্রতিষ্ঠা করেছেন তরুণ এই শিল্পপতি।

দুদশকের ব্যাবসায়িক অগ্রযাত্রায় অর্জন আর সাফল্যের ঝুড়ি নিয়ে গর্ব করার অনেক কিছুই অর্জন করেছেন তিনি। সিআইপি মর্যাদা পেয়েছেন দুবার। রাষ্ট্র ব্যবসায়িক ভাবে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি তাদেরকেই মনোনীত করে যাদের অবদান বিশেষ সম্মানের সাথে স্বীকার করে রাষ্ট্র। যেসব বিবেচনায় একজন শিল্প উদ্যোক্তা সিআইপি মনোনীত হন।

ইঞ্জিনিয়ার আবু নোমান হাওলাদার একজন সৎ, আদর্শবান, পরিশ্রমী এবং নিষ্ঠাবান ব্যবসায়ী। ছাত্রজীবন থেকে যোগ্য নেতা হিসেবে প্রমাণিত এই মানুষটি করোনাকালে ভোলার লালমোহন-তজুমদ্দিনে অসহায়ের সহায় হিসেবে আবির্ভূত হন। তারপক্ষে চাল, ডাল, তেলসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য পৌঁছে দেয়া হয় নিম্নআয়ের মানুষের ঘরে ঘরে। জাতির পিতার আদর্শের ধারক হিসেবে তিনি বিশ্বাস করেন, সবাইকে নিয়ে বেঁচে থাকার মধ্যেই জীবনের প্রকৃত অর্থ নিহিত। এই মহৎ ভাবনা যাকে তাড়া করে ফেরে, তিনি একজন মানবিক মানুষ। আর মানবিক মানুষেরাই প্রকৃত মানুষ। নেতত্বের আসনে এমন প্রকৃত মানুষদের আসা উচিৎ যারা দায়িত্বকে ক্ষমতা নয়, মনে করেন আমানত।


আরও খবর



ভারতে যাত্রীবাহী বাস খাদে পড়ে নিহত ১২

প্রকাশিত:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ভারতের ছত্তিশগড়ে একটি যাত্রীবাহী বাস দুর্ঘটনায় অন্তত ১২ জন নিহত হয়েছন। আহত হয়েছেন আর ১৪ জন। মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) রাতে রাজ্যের দুর্গ জেলার কুমহারি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

দুর্গের কালেক্টর রিচা প্রকাশ চৌধুরী বার্তা সংস্থা এএনআইকে বলেছেন, কর্মীদের বহনকারী বাসটি রাত সাড়ে ৮টার দিকে কুমহারির কাছে একটি খাদে পড়ে যায়। এতে অন্তত ১২ জনের মৃত্যু হয় এবং ১৪ জন আহত হন। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

তিনি জানান, আহতদের মধ্যে ১২ জনকে এইমসে (রায়পুর) স্থানান্তরিত করা হয়েছে। বাকি দুজন একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তাদের সবার অবস্থা স্থিতিশীল।

সরকারি এ কর্মকর্তা জানান, বাসের মধ্যে আটকে পড়া যাত্রীদের উদ্ধারের প্রক্রিয়া চলছে। তবে দুর্ঘটনার কারণ এখনো জানা যায়নি। এ বিষয়ে আরও তথ্যের জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছে।

এদিকে, এই দুর্ঘটনা শোক প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণু দেও সাই। নিজের অফিসিয়াল এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, কুমহারির কাছে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের বহনকারী একটি বাস দুর্ঘটনার খবরে আমি দুঃখিত। আমি বিদেহী আত্মার শান্তি ও শোকসন্তপ্ত পরিবারকে শক্তি দেওয়ার জন্য সর্বশক্তিমানের কাছে প্রার্থনা করছি। আহত কর্মচারীদের চিকিৎসার জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।


আরও খবর



রাজবাড়ীতে মালবাহী ট্রেন লাইনচ্যুত, ট্রেন যোগাযোগ বন্ধ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

রাজবাড়ীতে একটি মালবাহী ট্রেন লাইনচ্যুত হয়েছে। এতে রাজবাড়ীর সঙ্গে ঢাকা, রাজবাড়ী-দৌলতদিয়া ও রাজবাড়ী-খুলনা রুটে ট্রেন যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। বৃহস্পতিবার (২ মে) সকাল সাড়ে সাতটায় ২নং রেলগেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

রাজবাড়ী রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার তন্ময় কুমার দত্ত বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, খুলনা থেকে ছেড়ে আসা মালবাহী ট্রেনটি সকালে রাজবাড়ীর ২নং রেলগেট এলাকার ক্যারেজ অ্যান্ড ওয়াগন ডিপোতে ঢোকার সময় লাইনচ্যুত হয়। আপাতত এই রুটে সব রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। পোড়াদহগামী লোকাল সাটল ট্রেন পাচুরিয়া রেলস্টেশনে দাঁড়িয়ে আছে। রাজবাড়ীতেই উদ্ধারকারী রিজার্ভ ট্রেন রয়েছে। আশা করছি খুব শিগগিরই লাইনচ্যুত ট্রেনটি উদ্ধার করা যাবে।


আরও খবর



সংসদ অধিবেশন শুরু, চলবে ৯ মে পর্যন্ত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২ মে) বিকালে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠক শুরু হয়। এর আগে বিকাল ৪টায় অনুষ্ঠিত সংসদের কার্য-উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে অধিবেশনের মেয়াদকালসহ অন্যান্য কার্যক্রমের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। চলতি অধিবেশন ৯ মে পর্যন্ত চলবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে।

অধিবেশনের শুরুতে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মনোনয়ন দেন। এবারের অধিবেশনের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্যরা হলেন আওয়ামী লীগের এমএ মান্নান, আসাদুজ্জামান নূর, শফিকুল ইসলাম শিমুল, জাতীয় পার্টির গোলাম কিবরিয়া টিপু এবং সংরক্ষিত আসনের ফজিলাতুন নেসা। স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকারের অনুপস্থিতিতে অগ্রবর্তিতার ভিত্তিতে সভাপতিমণ্ডলীর সদস্যরা সংসদ পরিচালনা করবেন। পরে স্পিকার সংসদে শোকপ্রস্তাব উত্থাপন করেন।

সংসদ অধিবেশন শুরুর আগে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের কার্য উপদেষ্টা কমিটির প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। কমিটির সভাপতি স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্ব সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে কমিটি সদস্য এবং সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অংশগ্রহণ করেন। এছাড়া বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন কমিটির সদস্য বিরোধীদলীয় নেতা জিএম কাদের, আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, ওবায়দুল কাদের, রাশেদ খান মেনন, আনিসুল হক, বিরোধীদলীয় উপনেতা আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, ডেপুটি স্পীকার মো. শামসুল হক টুকু, ডা. দীপু মনি, চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী এবং এ কে এম রেজাউল করিম তানসেন।

বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, চলতি অধিবেশন শুক্র ও শনিবার বাদে প্রতি দিন বিকাল ৫টায় বসবে। ৯ মে দ্বিতীয় অধিবেশন সমাপ্ত হবে বলে বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়। প্রয়োজনে অধিবেশনের সময় ও কার্যদিবস সম্পর্কিত যেকোনও পরিবর্তনের ক্ষমতা স্পিকারকে প্রদান করা হয়।

এ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর জন্য ৩৮টি ও অন্যান্য মন্ত্রীর জন্য ৯০২টি প্রশ্নসহ মোট ৯৪০টি প্রশ্ন পাওয়া গেছে। বিধি-৭১ এ মনোযোগ আকর্ষণের নোটিশ পাওয়া গেছে ৫৬টি এবং প্রস্তাব (সাধারণ) বিধি-১৪৭ এ নোটিশ পাওয়া যায়নি। এছাড়া বেসরকারি বিলের নোটিশ পাওয়া যায়নি। ৪টি সরকারি বিলের কমিটিতে পরীক্ষাধীন ১টি ও সংসদে উত্থাপনের অপেক্ষায় আছে ৩টি।


আরও খবর



তারকা ক্রিকেটারকে বাদ দিয়েই বিশ্বকাপে যাচ্ছে ভারত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য ১৫ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড (বিসিসিআই)। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) এ দল ঘোষণা করে তারা। বিশ্বকাপে ভারতকে নেতৃত্ব দেবেন রোহিত শর্মা। দলে রয়েছে বিরাট কোহলিও।

চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের স্বীকৃতিস্বরূপ বিশ্বকাপ দলে জায়গা পেয়েছেন শিবাম দুবে। তবে দলে জায়গা হয়নি লোকেশ রাহুল, শুভমান গিল ও রিঙ্কু সিংয়ের। রিজার্ভ দলে জায়গা পেয়েছেন গিল ও রিঙ্কু।

বিশ্বকাপ দলে হার্দিক পান্ডিয়ার থাকা নিয়ে সংশয় থাকলেও সহ-অধিনায়ক হিসেবে তিনি রয়েছেন ঘোষিত দলে। চলমান আইপিএলে মুম্বাইয়ের জার্সিতে বাজে সময় পার করছেন হার্দিক। ওপেনার হিসেবে রোহিত শর্মার সঙ্গী হওয়ার লড়াইয়ে গিলকে পেছনে ফেলেছেন যশস্বী জয়সওয়াল। আইপিএলে দারুণ পারফরম্যান্সের পুরস্কারস্বরূপ বিশ্বকাপের টিকিট পেলেন উইকেটরক্ষক ব্যাটার সঞ্জু স্যামসন।

ভারতের বিশ্বকাপ দল-

রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), যশস্বী জয়সওয়াল, বিরাট কোহলি, সূর্যকুমার যাদব, রিশভ পন্ত, সঞ্জু স্যামসন, হার্দিক পাণ্ডিয়া, শিবাম দুবে, রবীন্দ্র জাদেজা, অক্ষর প্যাটেল, কুলদীপ যাদব, যুজবেন্দ্র চাহাল, আর্শদীপ সিং, যসপ্রীত বুমরাহ ও মোহাম্মদ সিরাজ।

রিজার্ভ দল: শুভমান গিল, রিঙ্কু সিং, খলিল আহমেদ ও আভেস খান।


আরও খবর



চট্টগ্রামের এয়াকুবনগর বস্তির আগুন নিয়ন্ত্রণে, পুড়ল ২০০ ঘর

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

চট্টগ্রাম নগরের কোতোয়ালি থানার ফিরিঙ্গিবাজার এলাকায় এয়াকুবনগর বস্তিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (১৫ এপ্রিল) দুপুর সোয়া ১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় প্রায় দুইশ ঘর পুড়ে গেছে।

ফায়ার সার্ভিসের চট্টগ্রাম অঞ্চলের ডিএডি আব্দুর রাজ্জাক জানান, খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ৪টি স্টেশনের ১১টি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে কাজ শুরু করে। পরে ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের দেড় ঘণ্টার অক্লান্ত প্রচেষ্টায় বিকেল পৌনে ৩টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে।

ফিরিঙ্গি বাজারের মেরিনার্স রোড সংলগ্ন টেকপাড়া বস্তিতে কীভাবে আগুনের সূত্রপাত হল, তা জানাতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস। আগুন লাগার পর দূর থেকেও কালো ধোঁয়া উড়তে দেখা যাচ্ছিল।

ফিরিঙ্গি বাজার ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিপ্লব বলেন, আগুন লাগার খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ছুটে এসেছি। স্থানীয়দের সহযোগিতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে। টেকপাড়া বস্তি আর এয়াকুব নগরের পিছনের অংশ জুড়ে কিছু ঘর আছে, সেগুলোতেও আগুন লেগেছে।

তিনি আরো জানান, মেয়র মহোদয়, জেলা প্রশাসক ও চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে কথা হয়েছে। কত লোক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তা তালিকা করে জানাতে বলেছেন উনারা। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর জন্য রাতে খাবারের ব্যবস্থা করা হবে। তাদের ক্ষতিপূরণের বিষয়টি দেখা হবে।

কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিপ্লব জানান, এখনো পূর্ণাঙ্গ তথ্য না মিললেও প্রায় দুইশ ঘর পুড়েছে।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, আগুনে বস্তির বেশ কয়েকটি কাঁচাঘর পুড়ে গেছে। এসব বাড়ির কোনোটির বাসিন্দারা এখনো ঈদ শেষে বাড়ি থেকে ফেরেননি। অর্থাৎ বন্ধ অবস্থায় মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে অনেকেন। আর যারা আছেন চোখের সামনে নিজের বসতি পুড়তে দেখে বিলাপ করছেন বাসিন্দারা।


আরও খবর