বাজারে প্রচুর সরবরাহ থাকার পরেও ফের লাগামহীন সবজির দাম। ষাটের নিচে তেমন কোনো সবজি নেই বললেই চলে। বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে মাছ-মাংস। কিছুতেই কমছে না পেঁয়াজের ঝাঁঝ। তবে কাঁচা মরিচের দাম কিছুটা কমেছে। প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ এখন ১৬০-১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা গেল সপ্তাহে ২০০ টাকার উপরে ছিল।
শুক্রবার (০১ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, লম্বা বেগুন প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকা, গোল বেগুন ৮০-৯০ টাকা, পেঁপের ৪০-৫০ টাকা, করল্লা ৭০-৮০ টাকা, চিচিঙ্গা বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকা, ঢেঁড়শ ৭০-৮০ টাকা মান ও সাইজভেদে লাউ ৬০-৮০ টাকা, জালি ৫০-৬০ টাকা, ধুন্দল ৬০-৭০ টাকা, কচুর লতি বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। যা গেল সপ্তাহজুড়ে কিছুটা বিক্রি হয়েছে।
এছাড়াও নতুন সবজি হিসেবে টমেটো ১৪০, মুলা ৬০, কচুর মুখি বিক্রি হচ্ছে ৮০-৯০ টাকা কেজি, পুঁই শাক ৪০ টাকা, পাট শাক আটি ১৫-২০ টাকা, লাল শাক ২০ টাকা, ৩০-৪০ টাকা আটি বিক্রি হতে দেখা গেছে। তবে বাজারে দোকানের তুলনায় ফুটপাতের দোকানগুলোতে প্রত্যেক সবজির দাম ৫-১০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ প্রচুর থাকলেও কমছে না দাম। প্রায় সেঞ্চুরিতে অর্থাৎ ৯০-৯৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে দেশি পেঁয়াজ। একটু নিম্ন মানেরটা ৭০-৮০ টাকা। ভারতীয় পেঁয়াজও বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকা। রসুন ২৪০-২৫০ টাকা, আদা ২৫০-২৮০ টাকা।
অপরদিকে অস্বস্তি রয়েই গেছে মাছ-মাংসের বাজারে। ব্রয়লা মুরগী ১৮০-১৯০ টাকা, সোনালি ৩০০-৩৩০ টাকা। তবে ডজন প্রতি ৫-১০ টাকা কমে মুরগীর ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৪৫-১৫৫ টাকা ডজন।
মাছের বাজারে তেলাপিয়া ও পাঙাশ মাছের দাম প্রতি কেজি ২৩০ থেকে ২৫০ টাকা। যা গেল সপ্তাহেও একই দামে বিক্রি হয়েছে। অন্য মাছের মধ্যে মাঝারি ও বড় আকারের চাষের রুই, কাতলা ও মৃগেল মাছের দাম প্রতি কেজি ৩২০ থেকে ৪০০ টাকা। এছাড়াও পাবদা, টেংরা, কই, বোয়াল, চিতল, আইড় ও ইলিশ মাছের দাম সাধারণ নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে।