আজঃ রবিবার ০১ অক্টোবর ২০২৩
শিরোনাম

লাগামে আসতে শুরু করেছে পেঁয়াজের বাজার

প্রকাশিত:বুধবার ০৭ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৭ জুন ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ভারত থেকে আমদানি করা হবে এমন ঘোষণার পর কমতে শুরু করেছে পেঁয়াজের দাম। দুই দিনে পণ্যটির দাম প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে। এরই মধ্যে দেশের বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজও পৌঁছে গেছে। প্রায় এক মাস সীমান্তে এসে অপেক্ষমাণ থাকার কারণে ভারতীয় পেঁয়াজ উল্লেখযোগ্য পরিমাণ নষ্ট হয়ে গেছে। এ কারণে বাজারে দেশি পেঁয়াজের চাহিদা একটু বেশি।

তবে প্রায় দুই মাস অস্থির থাকার পর পেঁয়াজের বাজার লাগামে আসতে শুরু করেছে। কিন্তু হঠাৎ করে বাড়তির দিকে চিনির দাম। মণপ্রতি ১০০ থেকে ১২০ টাকা বেড়ে গেছে চিনির দাম। সরবরাহ কমে যাওয়ায় দাম বাড়তির দিকে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

খোঁজ নিয়ে গেছে, দেশের ভোগ্যপণ্যের অন্যতম বৃহত্তম পাইকারি বাজার চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে বুধবার (৭ জুন) দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৩৮ থেকে ৪০ টাকা এবং ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে মানভেদে ৪৮ থেকে ৫২ টাকা।

ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, দামের লাগাম টানতে গত ১৪ মে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কৃষি মন্ত্রণালয়কে পেঁয়াজ আমদানির জন্য অনুমতি দিতে অনুরোধ করে। এরপর থেকে মূলত ভারতীয় পেঁয়াজবাহী ট্রাক সীমান্তে আসতে শুরু করে। তবে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অনুমতি না মেলায় সীমান্তে এসে অপেক্ষা করতে থাকে পেঁয়াজের গাড়ি। শেষমেশ গত ৫ জুন থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেয় কৃষি মন্ত্রণালয়। এরপর থেকে দেশে পেঁয়াজের ট্রাক ঢুকতে থাকে। দীর্ঘদিন ধরে সীমান্তে অপেক্ষমাণ থাকার কারণে গাড়িতে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ পেঁয়াজ নষ্ট হয়ে গেছে। আবার মান একটু ভালো থাকায় বাজারে দেশি পেঁয়াজের চাহিদা একটু বেশি বলে জানা গেছে।

চাক্তাইয়ের আফরা ট্রেডিংয়ের মালিক মো. আলাউদ্দিন আলো বলেন, ভারত থেকে খাতুনগঞ্জ-চাক্তাইয়ে পেঁয়াজবাহী ট্রাক ঢুকেছে। সীমান্তে বেশ কয়েকদিন অপেক্ষমাণ থাকায় ভারতীয় পেঁয়াজ নষ্ট হয়ে পড়ছে। তবে আমাদের দেশি পেঁয়াজের মান ভালো এবং বিক্রিও হচ্ছে।

এদিকে খাতুনগঞ্জ-চাক্তাইয়ে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বুধবার চিনি বিক্রি হচ্ছে মণপ্রতি ৪ হাজার ৫৮০ টাকায়। গতকাল (মঙ্গলবার) বিক্রি হয়েছিল ৪ হাজার ৫০০ টাকায় এবং সোমবার বিক্রি হয়েছিল ৪ হাজার ৪৬০ টাকায়।

চাক্তাইয়ের জমজম ট্রেডার্সের ব্যবস্থাপক মিজানুর রহমান বলেন, বাজারে সরবরাহ কমে যাওয়ায় সোমবার থেকে চিনির দাম একটু বাড়তির দিকে রয়েছে।

কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সহ-সভাপতি এস এম নাজের হোসাইন বলেন, চিনির তো তেমন কোনো সংকট নেই। দাম বাড়ানোর জন্য একটি চক্র কৃত্রিম সংকট তৈরি করে। কোনোভাবে লাগাম টানা যাচ্ছে না। পেঁয়াজের ক্ষেত্রে এরকম হয়েছিল।


আরও খবর
দেশের বাজারে সোনার দাম কমলো ১৭৫০ টাকা

শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩




জামিন পেলেন বিএনপি নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায়

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
এস এম সালাউদ্দিন, নড়াইল প্রতিনিধি

Image

শহীদ বুদ্ধিজীবীদের নিয়ে কটূক্তির মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নড়াইলের জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমাতুল মোর্শেদা এ আদেশ দেন। এ সময় গয়েশ্বর চন্দ্র রায় আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট ইমদাদুল ইসলাম এমদাদ জানান, ২০১৫ সালের ২৫ ডিসেম্বর দলীয় একটি সভায় বিএনপি নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায় শহীদ বুদ্ধিজীবীদের নিয়ে কটূক্তি করেন। এ অভিযোগে তার নামে শেখ জামাল জাতীয় স্মৃতি পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শেখ আশিক বিল্লাহ ওই বছরের ২৯ ডিসেম্বর এক কোটি টাকার মানহানি মামলা করেন। পরে দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের জামিন মঞ্জুর করেন।


আরও খবর



বাংলাদেশের ডিরেক্টররা আমাকে নিয়ে কম ভাবেন: নুসরাত ফারিয়া

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

নুসরাত ফারিয়াকে বাংলাদেশের চেয়ে কলকাতায় বেশি দেখা গেছে। এ বিষয়টি শুক্রবার একটি অনুষ্ঠানে ফারিয়ার কথায় যেন আরও পরিষ্কার হলো। গত শুক্রবার ঢাকার একটি অনুষ্ঠানে অকপটে তাই জানালেন অভিনেত্রী। বললেন, বাংলাদেশের পরিচালকেরা তাকে নিয়ে কম ভাবেন। কেন কম ভাবেন, সে ব্যাখ্যাও দিলেন তিনি।

শুরুটা মিউজিক ভিডিওর মডেল হলেও এরপর উপস্থাপনা। এখন তিনি পুরোদস্তুর চলচ্চিত্রের নায়িকা। ২০১৫ সালে আশিকী দিয়ে চলচ্চিত্রে যাত্রা শুরু।  আট বছরের পেশাদার চলচ্চিত্র জীবন নুসরাত ফারিয়ার। কলকাতায় সর্বশেষ তার মুক্তি পাওয়া ছবি বিবাহ অভিযান ২। 

ঢাকার প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে সুড়ঙ্গ, যেখানে তাকে ও ট্যাকা তুই কলিজা আর জান’—এমন কথার একটি আইটেম গানে পারফর্ম করতে দেখা গেছে। এ ছাড়া চরকিতেও মুক্তি পেয়েছে পাতালঘর নামের একটি ওয়েব ফিল্ম, যেটিতে নুসরাত ফারিয়াকে একেবারে ভিন্নরূপে পেয়েছেন দর্শকেরা। 

আরও পড়ুন>> ‘আলিয়াকে চান’ শাহরুখ, শুনে যা বললেন অভিনেত্রী

ফারিয়া বলেন, বাংলাদেশের ডিরেক্টররা আমাকে নিয়ে ভাবেন কম। তারা হয়তো মনে করেন, ও আচ্ছা সে খুব সুন্দরী।  তাকে মনে হয় ভাঙা যাবে না।  আমার মনে হয়, নুর ইমরান মিঠু সেটা করিয়ে দেখিয়েছেন পাতালঘর। আমি যে রকম ভালোবাসা পাতালঘর থেকে পেয়েছি বা সাড়া পেয়েছি, সেটা আসলেই অন্য রকম।  আমার ভীষণ ভালো লাগার।

বছরের এই কয়েক মাসের মধ্যে চলচ্চিত্র, ওয়েব ফিল্ম, নতুন গান এবং ওয়েব সিরিজ ও চলচ্চিত্রে অতিথি চরিত্রেও ছিলেন নুসরাত ফারিয়া।

ফারিয়া বললেন, পেশাদারিভাবে এ বছরটা আমার জন্য যতটা সুন্দর, পারসোনালি ততটাই স্যাড। কারণ, বছরের শুরুতে জি-ফাইভে ভয় প্রকাশিত হয়েছে।  কলকাতার প্রেক্ষাগৃহে বিবাহ অভিযান ২ ছবিটা মুক্তি পেয়েছে। বুঝি না তো তাই শিরোনামের গান এসভিএফ থেকে, চরকি থেকে কলিজা আর জান আর আবার প্রলয় ওয়েব সিরিজে মেনকা গান প্রকাশিত হয়েছে।

আরও পড়ুন>> কেমন পুরুষ পছন্দ শাহরুখকন্যা সুহানার?

চরকির পাতালঘর তো আগেই বলেছি। বছরের সেপ্টেম্বর মাস চলছে, অলরেডি আমার ছয়টা কনটেন্ট রিলিজ হয়ে গেছে। সামনে আরও আসছে, পুজোতে কলকাতায় মুক্তি পাবে রকস্টার।  মুজিব আসবে এই বছর।

এসবের বাইরে সামনে আরেকটি গানও মুক্তি পাবে। অনেক কিছুই আসছে। আমি আমার এ সময়কে উপভোগ করছি। অনেক বছর ধরেই এ রকম পরিকল্পনা মাফিক কাজ করতে চাচ্ছিলাম, আমার সঙ্গে যেটা যায়। আমার কাছে মনে হয়, একজন ফিমেল অ্যাক্টরকে সঠিকভাবে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য যে ধরনের কাজ দরকার ক্যারিয়ারে, এখন আমি পাচ্ছি।


আরও খবর



খালেদার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিতে তিন বিদেশিকে অনুমতি

প্রকাশিত:রবিবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

নাইকো দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ আটজনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিতে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (এফবিআই) একজন এবং কানাডিয়ান রয়েল মাউন্টেড পুলিশের দুজনকে অনুমতি দিয়েছেন আদালত।

তারা হলেন যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (এফবিআই) অবসরপ্রাপ্ত সুপারভাইজরি স্প্রেশাল এজেন্ট ডেবরা লাপরিবট্ট গ্রিফিথ এবং রয়েল কানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিশের সদস্য কেভিন ডুজ্ঞান ও লিয়ড স্কুইপ্প।

রোববার (১৭ সেপ্টেম্বর) কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে অবস্থিত ঢাকার ৯ নম্বর (অস্থায়ী) বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান শুনানি শেষে এ অনুমতি দেন। এর আগে গত ১২ সেপ্টেম্বর অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন সাক্ষীদের আদালতে হাজির করার অনুমতি চেয়ে আবেদন করেন। আদালত শুনানির জন্য আজকের (১৭ সেপ্টেম্বর) দিন ধার্য করেন। 

আরও পড়ুন>> ‘উন্নয়ন সমৃদ্ধি ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি চাইলে শেখ হাসিনার বিকল্প নাই’

আজ মামলার বাদী দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তৎকালীন সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলমকে জেরা করার দিন ধার্য ছিল। খালেদা জিয়ার পক্ষে তার আইনজীবী হাজিরা দাখিল করেন। এরপর বিদেশি তিনজনের সাক্ষ্য নেওয়ার আবেদনের উপর শুনানি হয়। আদালত আবেদনটি মঞ্জুর করে পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আগামী ১০ অক্টোবর দিন ধার্য করেন।

২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তৎকালীন সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম তেজগাঁও থানায় খালেদা জিয়াসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। কানাডিয়ান প্রতিষ্ঠান নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতিসাধন ও দুর্নীতির অভিযোগে এ মামলা করা হয়।

এরপর ২০১৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। এতে তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকা আর্থিক ক্ষতিসাধনের অভিযোগ আনা হয়। ২০২৩ সালের ১৯ মার্চ কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে অবস্থিত ঢাকার ৯ নম্বর (অস্থায়ী) বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান আসামিদের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ গঠন করেন।

মামলার অন্য সাত আসামি হলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, ইন্টারন্যাশনাল ট্রাভেল করপোরেশনের চেয়ারম্যান সেলিম ভূঁইয়া ও নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ। 

আরও পড়ুন>> ভূমিকম্পে কাঁপলো ঢাকা

অন্যদিকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন ও বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান মারা যাওয়ায় মামলা থেকে তাদের অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

 


আরও খবর



দোহাজারী-কক্সবাজার নতুন রেলপথে দর্শনার্থীদের আড্ডা

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
জাহেদুল ইসলাম, সাতকানিয়া (চট্টগ্রাম)

Image

একসময় দেশের মানুষের স্বপ্ন ছিল রেলে চড়ে কক্সবাজার ভ্রমণে যাবেন। দীর্ঘদিনের সে স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে। চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত রেললাইনের কাজ শেষের পথে। অক্টোবরে শুরু হচ্ছে প্রথম ট্রায়াল।

নবনির্মিত দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথ এখন এ এলাকার দর্শনার্থীদের অন্যতম আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে। খুব শিগগিরই এ পথে ট্রেন চলবে। ঢাকা থেকে ট্রেনে চড়ে যাওয়া যাবে কক্সবাজারে। এ রেলপথ দেখতে প্রতিদিনই মানুষের ভিড় থাকে। বিশেষ করে বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত রেলপথের সাতকানিয়া অংশে সাধারণ মানুষের ভিড় দেখা যায়। দূর-দূরান্ত থেকেও অসংখ্য দর্শনার্থী আসেন, রেলপথ ধরে হাঁটেন। বসে আড্ডাও দেন।

স্থানীয়রা জানান, দোহাজারী-কক্সবাজার রেলসংযোগ বহুল কাঙ্ক্ষিত। ট্রেন চালু হলে যোগাযোগের নতুন মাত্রা যোগ হবে। গ্রামীণ অর্থনীতিতেও বিশেষ ভূমিকা রাখবে রেল যোগাযোগ। আর তাই ট্রেন চালু হওয়ার আগে এ রেললাইন স্থানীয়দের কাছে অবসর সময় কাটানোর স্থানে পরিণত হয়েছে। প্রতিদিন বিকেলে রেল লাইন জমে উঠে দর্শনার্থীদের ভিড়ে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, সাতকানিয়া উপজেলার কেরানীহাটের উত্তরে নতুন রেলপথে বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত নানা বয়সী মানুষের ভিড়। লোকজনের ভিড়কে কেন্দ্র করে রেল লাইনে ঝালমুড়ি ও বাদাম বিক্রেতাদেরও দেখা মিলে। অনেকেই পরিবার নিয়ে ঘুরতে আসেন। রেললাইনের ওপর বসে বাদাম খান আবার কেউ রেলপথে হেঁটে বেড়ান। পরিবার ছাড়াও দলবদ্ধ হয়ে স্কুল-কলেজের বন্ধুরা, চাকরিজীবী, স্থানীয় বয়স্কদের হেঁটে বেড়াতে দেখা যায়। সূর্য অস্ত যাওয়া পর্যন্ত রেললাইনে দর্শনার্থীদের বেশ ভিড় থাকে।

বান্দরবান সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী সাতকানিয়ার বাসিন্দা তৌহিদুল ইসলাম বলেন, নতুন রেললাইনে ঘুরতে এসেছি। বেশ ভালো লাগছে। অবসর সময় কাটাতেই রেলপথ ধরে হাঁটছি। অনেক লোকজন আসছে।

শাহাব উদ্দিন নামে একজন বলেন, বিকেলে এখানে প্রায়ই ঘুরতে আসি। বিভিন্ন জায়গা থেকে অনেক লোকজন ঘুরতে আসে এখানে। সূর্য ডোবার মুহূর্ত রেললাইন থেকে বেশ ভালো লাগে।

তারেকুল ইসলাম ও গিয়াস উদ্দিন সানিম নামে দুই যুবক বলেন, রেল চালু হলে তো আর এভাবে হেঁটে বেড়ানো যাবে না। আমাদের এখানে তেমন দর্শনীয় স্থান নেই। এখন বিকেলের সময়টা রেলপথে ঘুরে বেড়াই। সময় কাটাই। ভালো লাগে। তাছাড়া বিভিন্ন জায়গা থেকে অনেক লোকজন আসে। বিকেলে একপ্রকার মেলা মিলে যায়।

কেঁওচিয়ার নয়াপাড়া এলাকার বোরহান উদ্দিন আজাদ বলেন, রেল চালু হলে নতুন দিগন্ত খুলবে যোগাযোগের। রেল ঘিরেও স্বপ্ন এ অঞ্চলের মানুষের মনে। এখন এ রেললাইন মানুষের অবসর সময় কাটানোর স্থানে পরিণত হয়েছে। অসংখ্য মানুষের পদচারণা দেখা যায় বিকেল হলেই। 

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আগামী ১৫ অক্টোবর প্রথম ট্রায়াল ট্রেন যাত্রা শুরু করবে বহুল কাঙ্ক্ষিত দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন ধরে। কালুরঘাট সেতু পার করে ৬টি বগি ও ইঞ্জিন পটিয়ায় নিয়ে রাখা হয়েছে দেড় মাস আগেই।

রেলওয়ে সূত্র জানায়, কক্সবাজার রুটে ট্রেন চালুর পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে চট্টগ্রাম স্টেশন থেকে ৬/১২ লোডের ২০১৯ সালে সুবর্ণ এক্সপ্রেসের অবমুক্ত হওয়া একটি ট্রেন পটিয়াতে ট্রায়ালে ট্রেন হিসেবে অবস্থান করছেন। যেটি আগামী অক্টোবরে কক্সবাজার অংশের কাজ শেষ হলে পটিয়া থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত পুরো রেল সড়কে চূড়ান্ত ট্রায়াল দিবে ৬টি বগি সম্বলিত এ ট্রেনটি।

প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত রেললাইন ও স্টেশনের কাজ প্রায় ৯০ শতাংশ শেষ হয়েছে। কক্সবাজারে আইকনিক স্টেশনে প্লাটফর্ম ও প্যাসেঞ্জার লাউঞ্জ প্রস্তুত করা হয়েছে। ১০০ কিলোমিটারের মধ্যে প্রায় ৯০ কিলোমিটার রেললাইনের কাজ শেষ হয়েছে। এশিয়া উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) আর্থিক সহায়তায় এই রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পে ব্যয় হচ্ছে ১৮ হাজার ৩৪ কোটি টাকা। আগামী বছরের জুন পর্যন্ত কাজের মেয়াদ ধরা হলেও ডিসেম্বরের মধ্যেই কাজটি পুরোপুরি শেষ করতে চায় প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা।

প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সূত্রে আরও জানা যায়, ১৮ হাজার ৩৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকা ব্যয়ে চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটার রেললাইন প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। ২০১১ সালের ৩ এপ্রিল দোহাজারী-রামু-কক্সবাজার পর্যন্ত মিটারগেজ রেলপথ নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর মধ্যে চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে রামু পর্যন্ত ৮৮ কিলোমিটার এবং রামু থেকে কক্সবাজার ১২ কিলোমিটার। প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের প্রায় সাত বছর পর ২০১৮ সালে ডুয়েল গেজ এবং সিঙ্গেল ট্র্যাক রেললাইন প্রকল্পের নির্মাণকাজ শুরু হয়। প্রথমে প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছিল ১ হাজার ৮৫২ কোটি টাকা। ২০১৬ সালে প্রকল্প প্রস্তাব সংশোধন করে ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ১৮ হাজার ৩৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। এতে অর্থায়ন করেছে এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ও বাংলাদেশ সরকার। এটি সরকারের অগ্রাধিকার প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত।

অপরদিকে, গত ৭ আগস্ট থেকে শুরু হওয়া ছয় দিনের টানা বৃষ্টিতে ডুবে যায় দক্ষিণ চট্টগ্রামের সাতকানিয়া, লোহাগাড়া ও চন্দনাইশ উপজেলা। এতে সাতকানিয়ার তেমুহনি এলাকায় ২৫০ মিটার রেললাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। রেললাইন থেকে পাথর-মাটি সরে যায়। এ কারণে দেবে যায় রেললাইনের বেশ কিছু অংশ। বন্যার পর ক্ষতিগ্রস্ত রেললাইন সংস্কার করা হয়েছে।


আরও খবর



সংগ্রাম-সাফল্যের দশ বছরে আজকের দর্পণ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

আমার এ জন্মদিন-মাঝে আমি হারা/আমি চাহি বন্ধুজন যারা/তাহাদের হাতের পরশে/মর্ত্যের অন্তিম প্রীতিরসে/নিয়ে যাব জীবনের চরম প্রসাদ/নিয়ে যাব মানুষের শেষ আশীর্বাদ/শূন্য ঝুলি আজিকে আমার/দিয়েছি উজাড় করি/যাহা-কিছু আছিল দিবার/প্রতিদানে যদি কিছু পাই/কিছু স্নেহ, কিছু ক্ষমা/তবে তাহা সঙ্গে নিয়ে যাই/পারের খেয়ায় যাব যবে/ভাষাহীন শেষের উৎসবে।’-আজকের দর্পণের ৯ম জন্মদিন আজ।

২০১৪ সালের এই দিনে গণতন্ত্রকে মজবুত, রাষ্ট্র-সমাজের অনিয়ম-দুর্নীতি-অসঙ্গতি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডকে আঁস্তাকুড়ে নিক্ষেপ এবং ইতিবাচক বাংলাদেশকে তুলে ধরতে সংগ্রামী যাত্রা শুরু করেছিল পত্রিকাটি। দেশে এখনো বলিষ্ঠ কণ্ঠে, সোচ্চার লেখনীতে অন্যায়-অবিচার, শোষণ-বঞ্চনা, অনিয়ম-দুর্নীতির খবর তুলে আনতে আজকের দর্পণ সাফল্যের সঙ্গে নিজের অবস্থান করে নিয়েছে। একইসঙ্গে ইতিবাচক সংস্কৃতি ও ইতিবাচক সংবাদ তুলে ধরতেও আজকের দর্পণের জুড়ি নেই।

আজকের দর্পণ শুধু সংবাদ প্রকাশ করে থেমে থাকেনি। বাংলাদেশের ইতিবাচক উন্নয়নে বড় ধরনের ভূমিকা রাখছে পত্রিকাটি। মূলত আজকের দর্পণ সর্বত্র বাংলাদেশের সাফল্য চায়। এতে সবচেয়ে বড় অনুঘটকের ভূমিকা নিচ্ছে এ দেশের লাখ লাখ পাঠক। আর এসবের ভিত্তি হলো সুসাংবাদিকতা, জনমুখিতা, বদলের সহযোগী, সৃজনশীলতা, সংহতি। সেইসঙ্গে পাঠকের ভালোবাসা নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার দৃঢ় প্রত্যয়।

প্রচারসংখ্যায় আজকের দর্পণ সর্বশীর্ষে এখনো পৌঁছাতে না পারলেও খবরের গুণগত মান ও মর্যাদার দিক থেকে এগিয়ে আছে সমসাময়িক অনেক পত্রিকার চেয়ে। যা সহযোগী সংবাদ মাধ্যমগুলোর জন্য সব সময়ই ঈর্ষণীয় হয়ে রয়েছে। তাই দিনশেষে খবরের বিশ্বাসযোগ্যতার জন্য আজকের দর্পণ পত্রিকাটিই খুঁজে নেন সবাই। এভাবেই দীর্ঘ পরিক্রমায় মানুষের মনের মণিকোঠায় জায়গা করে নিয়েছে আজকের দর্পণ। বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার জন্য পত্রিকাটি আজ দেশ পেরিয়ে বিদেশের পাঠকদের কাছেও সমাদৃত।

স্বাধীন, নিরপেক্ষ, সৎ ও সাহসী সাংবাদিকতার ধারা মেনে সুনামধন্য এ সংবাদ মাধ্যমটি কোনো দলের মুখপত্র হয়নি। জনগণের পক্ষে কোনো সত্য উচ্চারণে কখনই হয়নি শঙ্কিত। পেশাদারি দক্ষতা ও উৎকর্ষ অর্জনে আজকের দর্পণের প্রতিটি সদস্য সবসময় থেকেছে সর্বোচ্চ সচেষ্ট। যাত্রালগ্ন থেকেই পরিবর্তনের সহযোগী আজকের দর্পণ। তাই স্বল্প সময়েই তা জনগণের কাগজ হয়ে উঠেছে। বাড়ির ছোট্ট শিশু থেকে গৃহিণী, কর্মজীবী নারী থেকে প্রবীণতম সদস্য-সবার হৃদয়েই জায়গা দখল করে নিয়েছে আজকের দর্পণ।

পথচলার ১০ম বছরের শুরুতে আজকের দর্পণ পাঠককুলের হাতে তুলে দিচ্ছে ১২ পৃষ্ঠার মূল পত্রিকার সঙ্গে ৪৮ পৃষ্ঠার একটি বর্ষপূর্তি সংখ্যা। এতে লিখেছেন দেশের স্বনামধন্য লেখক, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, সমাজবিজ্ঞানী এবং প্রজ্ঞাবান বুদ্ধিজীবীরা।

দৈনিক আজকের দর্পণ এখন পর্যন্ত দেশের সর্বাধিক প্রযুক্তি সুবিধাসম্পন্ন প্রচার মাধ্যম। পত্রিকাটি ছাপা হয় সর্বাধুনিক প্রিন্টিং প্রেসে। আধুনিক, সুপরিসর অফিসে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করা হয়েছে শুরু থেকেই। এ কারণে প্রতিদিন নির্ধারিত সময়েই পাঠকের হাতে পৌঁছে দেয়া সম্ভব হচ্ছে আজকের দর্পণ। জাতীয় দৈনিকের জন্য এটা নিঃসন্দেহে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও অপরিহার্য দিক। আমাদের এসবের মূল্যায়নের ভার সর্বোপরি সহৃদয় পাঠকদের কাছেই রইলো।

আজকের দর্পণের নিবিষ্ট পাঠকরা তাদের মূল্যবান পরামর্শ দিয়ে আমাদের আগামী দিনে এগিয়ে যাওয়ার পথে তাদের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবেন এবং উদ্দীপ্ত ও প্রাণিত করবেন। আজকের দর্পণ সবসময়ই সত্যবাক, জনগণ ও জাতির কণ্ঠস্বর। আজকের দর্পণ জাতির অগ্রগতি, উন্নয়ন স্পন্দন ও প্রগতির পথে সবিশেষ ভূমিকা পালন করে যাবে।


আরও খবর