
কুয়াশার স্থায়ীত্ব
কিছুটা কমায় দেখা মিলেছে সূর্যের। ফলে দিনের তাপমাত্রা কিছুটি বেড়েছে। আরও বাড়ার আভাস
রয়েছে। তবে শৈত্য প্রবাহ অব্যাহত থাকবে। এমন পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
আবহাওয়াবিদ খোন্দকার
হাফিজুর রহমান জানিয়েছেন, উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন
এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে,
যার বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।
শুক্রবার (০৬
জানুয়ারি) সন্ধ্যা পর্যন্ত আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে।
মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারাদেশে মাঝারী থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং দেশের কোথাও
কোথাও তা দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।
এদিকে রাজশাহী,
পাবনা, দিনাজপুর, পঞ্চগড়, নীলফামারী, যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া অঞ্চল সমূহের
ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্য প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। সারাদেশে রাতের
তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।
দিন ও রাতের তাপমাত্রায়
পার্থক্য কমে যাওয়ার কারণে দেশের উত্তর, উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল এবং মধ্যাঞ্চলে মাঝারি
থেকে তীব্র শীতের অনুভূতি থাকতে পারে। ঢাকায় উত্তর/উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায়
বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ থাকবে ৬-১২ কিলোমিটার।
আগামী দুদিনে
আবহাওয়ার সামান্য পরিবর্তন হতে পারে। আর বর্ধিত পাঁচদিনে রাতের তাপমাত্রা হ্রাস পেতে
পারে।
বৃহস্পতিবার দেশের
সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে যশোরে, ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা
রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড
করা হয়েছে সীতাকুণ্ড ও কক্সবাজারে ২৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।